২১৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৩০ , ২০১৫

মানুষের সাথে মিশতে পারা একটা বড় আর্ট। আর একটা বড় এডভেঞ্চার ও । আমি এই খানে আর্টিস্ট ও না। এদ্ভেঞ্চারার ও না। আমি দর্শক। আমি দেখি কিছু কিছু মানুষ কি সুন্দর কইরা অন্য একটা মানুষের সাথে মিশা যায়। আমি দেখি আর শেখার চেষ্টা করি। ঠিক কি কারনে সে খুব তারাতারি আরেকটা মানুষ কে কম্ফোরটেবল করে ফেলতে পারসে তার সাথে। আমি একটা জিনিষ খুব বিশ্বাস করি। মানুষ যত দেখি মানুষ তত হই। ইন্ট্রোভার্ট হওয়া দোষ এর কিছু না। কিন্তু আমি ইন্ট্রোভার্ট, কেউ আমার সাথে মিশতে আসলে আমি সিলিং এর দিকে তাকায় থাকি এরকম হইলে জীবন থেইকা অনেক কিছু মিস হয়া যাবে।

আমি অনেক ইন্ট্রোভার্ট কিন্তু আমি নিজের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখি না। আমাদের যখন পাঠশালায় এনভাইরনমেন্টাল পোর্ট্রেচার এর ক্লাস হইত তখন শিবলী ভাই পুরা দুই টা ক্লাস ব্যয় করসিল আমাদের সাব্জেক্ট এর সাথে কেম্নে কানেক্ট করতে হবে তার উপর। তখন অনেক কিছু শিখসি। আর ক্লাস এর বাইরেও যারা এই মিশতে পারা শিল্পের শিল্পী তাদের দেখে দেখেও অনেক কিছু শিখসি।

যেমন একজন নতুন মানুষের সাথে যখন পরিচয় হয় তখন আমরা একটু কনফিউজ থাকি আমাদের কোন ভার্শন টা তারে দেখাবো। আমাদের প্রত্যেকেরই অনেক গুলা ভার্শন বা সংস্করন থাকে। একটা ছেলে বা মেয়ের হোম এডিশন যেমন তার ফ্রেন্ড এডিশন তেমন হবে না, আবার মিটিং এ ফেসবুক ফ্রেন্ড ফর দা ফার্স্ট টাইম এডিশন ও হবে পুরাই আলাদা। তাই ইন্ট্রোভার্ট, গিক এবং নার্ড দের প্রথম এঙ্কাউন্টার টু এ স্ট্রেঞ্জার যেই প্রব্লেম টা হয় তা হইল এই চিন্তা টা যে “ও তো আমারে চেনে না, তাইলে কি ওর সাথে স্মার্ট হওয়ার ট্রাই করব, অনেক ফ্রেন্ডলি এটিচিউড দেখাবো নাকি ভাবমুর্তি বজায় রাখার জন্য ভাব নিয়া মুর্তি হয়া থাকবো”। নিজের কোন ভার্শন তার কাছে প্রকাশ করা হবে তা সময়মতো ঠিক করতে না পারলে আমরা বাইছা নেই বোবা ভার্শন হয়া যাওয়ার। “ও আচ্ছা আচ্ছা”, “বাহ ভালো তো” , “ সেটাই সেটাই” এসবের আড়ালে বাজতে থাকে কি মুসিবতের ভিত্রে পড়লাম, আম্মু বাসায় যাবো।

এই অবস্থা থেইকা উত্তরনের তরিকা হইল , বি কিউরিয়াস এবাউট দা আদার পার্সন। আস্ক কোসচেন্স। কিন্তু জেরা করার মত না। যদি তার দেয়া উত্তরে আপনার নিজের জীবনে রিলেটেড কিছু থাকে, শেয়ার সাথে সাথে। তাইলে দেখা যায় কথা আগাইতাসে অনেক। যেমন আমি যখন দেখি আমার সাথে যিনি আছেন তার একটা ছোট বেবি আছে বাসায়, আমি জিজ্ঞেস করি, ও কি হাটতে পারে? কথা বলতে পারে? ব্যাস নেক্সট এক ঘন্টার জন্য নিশ্চিন্ত। বাবুটা কার সামনে কবে কি করসিল, সে যে কত বুঝে, সে যে কি আশ্চর্য এক টাইম পাস সবকিছু “বানের পানির লাহান” আসতেই থাকবে। ব্যাপার টা যে বাইচ্চা কাইচ্চা নিয়াই হইতে হবে তা না। আমি ট্রাই করি, আরেকজন এর প্যাশন টা জানতে, দেন ঐ ব্যাপারে কথা বলতে আরেক পক্ষের কখনোই ক্লান্তি আসে না।

আরেকটা তরিকা এবং খুবি ইম্পরটেন্ট তরিকা হইল কারো সাথে মিশার সময় নিজেরে কম হ্যাডম মনে করা। সে যদি একবার এই ফিলিংস টা পায় যে আপনি মনে মনে কিছু একটা পাকাইতাসেন যা সে ঠিক ধরতে পারতাসে না, তাইলে গেল আপ্নের তার সাথে মিশা। বিমান বাহিনীর ফাইটার প্লেন গুলা যখন ল্যান্ড করতে আসে তখন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার তারে ওলয়েজ জিজ্ঞেস করে, “হোয়াটস ইউর ইন্টেনশন্স”। সে কি ল্যান্ড করবে? নাকি টাচ এন্ড গো করবে? নাকি লো ফ্লাই কইরা যাবে গিয়া, এইটা জানা টা দরকার । সিভিল এয়ারলাইন্স রে কিন্তু জিজ্ঞেস করে না যে তার ইন্টেনশন কি। কারন তার ইন্টেনশন এক্টাই। যাত্রি আর মাল সামানা নিয়া নিরাপদে ল্যান্ড করা। মানুষের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেম। প্রথমেই নিজের ইন্টেনশন ক্লিয়ার করতে হবে। তারে বুঝাইতে হবে যে আমি এমন, আমি কোন উদ্দ্যেশ্য নিয়া তোমার সাথে কথা বলতাসি অর্থ্যাৎ আমার মতলব টা কি। তাইলে এটলিস্ট অপর পক্ষ বুঝতে পারবে যে আমি ধান্দাবাজ পক্ষ না মিত্র পক্ষ।

আর কেই যদি মিশতে চাওয়ার পরও এভয়েড করে তাইলে তারে তার মত থাকতে দেওয়া উচিত। এইটা বুঝতে পারাটাও দরকার। নাইলে বেপার টা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়া তার লগে চিপকায় যাওয়ার কন্টিনিউয়াস চেষ্টা করাটা ইজ এবনরমাল। সব মানুষের সাথে একেবারে মিশা যায়া একাকার হইতে হইব এমন তো কথা নাই। আমি তো আর ভোটে দাড়াইতাসি না।

তবে যে আমার সাথে মিশতে আস্তাসে কিন্তু আমি ইণ্টারেস্টেড না তারেও বেপারটা অনেক রেস্পেক্ট নিয়া বুঝায়া দিতে হইব যাতে সে মনে না করে যে এইখানে তার কোণ ফল্ট আছে। যেমন কিছু লোক আছে যারা পাশে দিয়া গেলে ন্যাচেরালি আমি সালাম দেই। এইটা এমন না যে মোসাহেবি অভ্যাস থেইকা দেই। এইটা ন্যাচারালি আসে ভিতর থেইকা কারন তাদের কিছু না কিছু গুন আমি অনেক শ্রদ্ধা করি। । কিন্তু মেজাজ খারাপ হয় তখন যখন পাশ দিয়া যাওয়ার সময় সালাম দিলাম, আমি শিউর যে সে শুন্সে, কিন্তু সালামের জবাব দিলে তার ভাবমুর্তি নষ্ট হয়া যাবে ভাইবা সে জবাব দেওয়া প্রয়জন মনে করে নাই। আমার দিকে স্থির চোখে তাকায়া গেল গিয়া। কত ভাব।

এগুলারে আমার অসহ্য লাগে। নিজের উপরেই রাগ উঠে ক্যান সালাম দিতে গেসিলাম। নিজেরে রাশার ভয়েসে নিষেধ করি, হপ ব্যাটা। তোর এত ত্যাল ক্যান। কিন্তু মন আমার কথা শুনলে তো হইতই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *