২৪৭/৩৬৫

লেখার তারিখঃ নভেম্বর ১, ২০১৫

আজকে একটা কাম করসি। আজকে আমি অফিসের পর জিম এ গেসিলাম। আমাদের অফিসে একটা বেশ বড় জিম আসে। অনেক যন্ত্রপাতি। লকার আসে। চেঞ্জিং রুম আসে। স্টিম বাথ আসে। শাওয়ার নেওয়ার ব্যবস্থা আসে। কিন্তু আমি জীবনেও যাই নাই। কেরম গেলে যদি মাইদ্দ্যায়? টাইপ ডর লাগতো। কিন্তু অনেক দিন আমি শরীর এর ফিটনেস এর প্রতি নজর দেই না। এক মাস নিয়মিত পাঁচ কিলোমিটার হাটার পর , পরের মাসে খুবই আইলসা হওয়া গেসিলাম। তাই মন স্থির করসিলাম আবার শুরু করুম। ভাবলাম, অফিসেই জিম আসে যখন, দেখি না গিয়া কেরম লাগে।

খুবি ডর ডর এ ঢুক্সি। আমার কল্পনায় ছিল, আমি জিম এর দরজা খুইলা ঢুকুম। ওয়েস্টার্ন সিনেমায় হিরো যখন বার এ ঢুকে তখন যে সবাই হঠাত চুপ হয়া যায় আর হের দিকে ব্ল্যাঙ্ক লুক দিয়া তাকায় থাকে, এরম কিসু একটা হইব। সবাই বিয়াম থামায়া আমার দিকে তাকাইব, কিছুক্ষন পর সবাই হাসতে হাস্তে একে অন্যের উপর গড়ায় পড়বো, এই ছিল আমার কল্পনা। কিন্তু না। সেরম কিছু হয় নাই। আমারে নিয়া কেউ হাসে নাই। গ্রেট সাক্সেস।

আমি ঢুইকা খুবি ঢাকায় নতুন আইসি মারকা লুক দিয়া মুখ হা কইরা চারদিকে দেখতাসিলাম। উউউ ডাম্বেল, উউউ সাইকেল , উউউ ট্রেডমিল করতাসিলাম। হা কইরা থাকতে থাকতে ঠুট এর কুনা দিয়া লুল গড়ায়া পড়বো এরুম সময় দেখি আমাগো দোস্ত, জিপির একমাত্র ডক্টরেট ইঞ্জিনিয়ার, ডঃ রেদোয়ান ট্রেড মিল এর উপর দৌড়াইতাসে। আমি ত ক্লাস এ পরে আইসা আগে বসার জায়গা পাইসি টাইপ আহ্লাদ নিয়া তার দিকে আগায় গেলাম। আর কিছু না বুইজ্জাই তার পাশের ট্রেড মিল ধইরা টিপা টিপি শুরু করলাম। কি টিপ মারছি আল্লায় জানে, ট্রেড মিল এর বেল্ট মশল্লা ভাঙ্গানির মেশিন এর বেল্ট এর মত সাঁই সাঁই কইরা চলা শুরু করসে।

রেদওয়ান এর আমার অবস্থা দেইখা মায়া হইল। সে আমারে শিখাইল কুন্টায় টিপ দিলে কি হয়। তারপর আমি পনের মিনিট ট্রেড মিল এ হাটাহাটি আর দৌড়া দৌড়া করসি।
প্রথম দিন তো তাই বেশি প্রেসার দেই নাই। আমার ইন্সট্রাকটর বলসে দশ মিনিট ট্রেডমিল, দশমিনিট সাইক্লিং আর দশমিনিট স্টেপার এ কাটাইতে। এক উইক চলবে এমন। মানে মেইনলি কার্ডিও এক্সারসাইজ করতে বলসে আরকি। তারপর আসতে আসতে অন্য কিছু শুরু করাবে।

এগুলা কইরা টইরা আজকে জীবনে প্রথম বার এর মত স্টিম বাথ ও নিসি। একটা রুম এর ভিত্রে গিয়া বইতে হয়। একটু পরে পুরা রুম এ খালি ধুমা আর ধুমা। মনে হয় অনেক ঘামতাসি। গরম গরম লাগে। পানি নাই তবু হারা শরীর ভিজ্যা যায়। চশ্মা ঘুমা হয়া যায়। কিন্তু বাইর হওয়ার পর বেশ ভাল্লাগে। মনে হয় শরীর এর রোমকুপ পর্যন্ত ক্লিন্সিং হয়া গেসে। একবার একা সেলুন এর ব্যাডায় আমারে ভুলায় ভুলায় ফেসিয়াল করায় দিসিল। তারপর মুখ এ এরম গরম বাতাস দিয়া ভাপ দিসিল। আইজা মনে হইসে “পুরা শইল্যে ফেসিয়াল” করাইসি। তাইলে আমি কি শিখলাম? আমি শিখলাম, স্টিম বাথ মানে শরীরে ফেসিয়াল করানো।

আমি দেখসি লোক জন জিম শব্দ টারে অনুভূতি এর মত ব্যবহার করে। আমি রাগ করি, আমি মন খারাপ করি এর মত “আমি জিম করি” বলে। আমি মাত্র একদিন গিয়া “জিম করি” বলার মত পর্যায়ে না গেলেও “জিম ক্যারি” এর মত আউলা ঝাউলা হাত পা ছুইরা আসছি। শুরু ত করি। শুধু নিজেরে নিতে হইব কষ্ট কইরা।

আই নো আই ক্যান। দ্যাটস দা ইজি পার্ট। হার্ড পারট হইল, আই ক্যান ডু ইট কে আই ডিড ইট এ কনভার্ট করা

২৪৬/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ৩১, ২০১৫

ছোটদের স্প্যানিশ শিক্ষা ২

আমি ঠিক করসি সপ্তাহে দুই দিন স্প্যানিশ নিয়া লিখুম। মুলত শুক্কুরবার আর শনিবার রাইতে। নাইলে প্রত্যেকদিন স্প্যানিশ শিখাইতে গেলে আগ্রহ জাইবো গিয়া আর এই দায়িত্ব কঠিন মন হইব।

আজকে শেখা শুরু করবো খানা খাদ্য দিয়া। সামান্য ফল ফ্রুট আরকি। তবে একটি বিশেষ মোবাইল ফোন এর ব্যবহার কারি রা খুশি হয়া যাবে দেখলে। আজকের প্রথম শব্দ,

Apple
যার স্প্যানিশ হইল, Manzana (উচ্চারন মানজানা)
তাইলে আপেলটি বা The Apple এর স্প্যানিশ হইল La Manzana ( লা মানজানা)
এইখানে আপেল কে নারীবাচক শব্দ ধরা হইসে। স্প্যানিশ ভাষায় এই ব্যাপার টা মজার। এক এক জিনিষ কোন টা পুরুষ বাচক, কোন টা নারী বাচক।
কইসিলাম যে শুরু করুম খানা খাদ্য দিয়া। এখন কথা রাখতাসি। আমাদের আজকের

দ্বিতীয় শব্দ,
Eats
যার স্প্যানিশ হইল Come ( উচ্চারন কোমে)

এইটার উদাহরন দেওয়ার আগে আরো দুইটা শব্দ শিখে নেই, তাইলে পরের উদাহরন টা দিতে সুবিধা হইব। এই দুই টা শব্দ হইল,
He এর স্প্যানিশ হইল Él (উচ্চারন এল)
She এর স্প্যানিশ অইল Élla ( উচ্চারণ এইয়া)
তাইলে ,
He Eats Apple = Él Come la manzana ( এল কোমে লা মানজানা)
She Eats Apple= Élla come la manzana (এইয়া কোমে লা মানজানা)

আজকে এদ্দুর ই থাক। স্প্যানিশ আবার শিখবো নেক্সট উইক এ ইনশাল্লাহ।

২৪৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ৩০, ২০১৫

ছোটদের স্পেনিশ শিক্ষা ১

আমি অনেক দিন কিছু না করি না। তাই আজকে একটা কিছু না করার দিন কাটাইসি। কিছু না করা দিন মানে হইল যখন “কি কর?” “কি করেন?” “কি করস?” এর উত্তরে বিরাট কনফিউজড হয়া, অনেক খন মাথা চুল্কায়া, পেট চুল্কায়া, আকাশ দেইখা , বাতাস দেইখা, সিলিং দেইখা, সিলিং ফ্যান দেইখা, সিলিং এর কোনার টিকটিকি দেইখাও উত্তর খুইজা না পায়া বলতে হয়, কিছু না। কালকে রাত্রে জ্বর আসছে হঠাত। তেমন আহামরি কিছু না। হাল্কা গা শিরশিরানি আর ফ্যান বন্ধ করলে গরম লাগে ছারলে শীত করে টাইপ জ্বর। কিন্তু যেহেতু বাসাবো আসছি তাই আল্লাদ এর কমতি নাই। সারাটা দিন আজকে বিছানার এক কোনায় আমাদের নীল দেয়ালে হেলান দিয়াই কাইটা গেল। তবে একটা জিনিষ করসি। অনেক কিছু পড়সি। কিছু আতলামি কথা বার্তা এহেড। তাই ওয়ার্নিং দিলাম আগেই।
আমি প্রতিদিন নতুন কিছু না কিছু শিখুম ঠিক করসি। যাতে ঘুমাইতে যাওয়ার আগে যদি নিজেকে প্রশ্ন করি, “আজকে নতুন কি শিখসো?” তাইলে একটা উত্তর দিয়া ঠোটের কোনায় একটা তৃপ্তির হাসি নিয়া ঘুমাইতে যাইতে পারি।

এখন শিখতাসি স্প্যানিশ। কি শিখসি সেইটা একটু শিখাই। তাইলে আমার শিখাটাও ভাল হবে।

স্প্যানিশ ভাষায় “এক” বুঝাইতে দুইটা শব্দ আছে। Un (উচ্চারনঃ উন) আর Una (উচ্চারনঃ উনা) । যখন এক এর পরে কোন পুরুষ বাচক শব্দ বসে তখন ব্যবহার করা হয় Un। আর যখন কোন নারী বাচক শব্দ বসে তখন ব্যবহার করা হয় Una. যেমন Un ব্যাডা মানে একটা ব্যাডা আর Una বেডি মানে একটা বেডি। আবার Un ছ্যামরা মানে একটা ছ্যামরা আর Una ছেমরি মানে একটা ছেমরি।

এই ব্যাডা, বেডি, ছেম্রা, ছেম্রি কইতে কেরুম যানি লাগতাসে। তাই এগুলার স্প্যানিশ শব্দ গুলা শিখা ফালাই।

ব্যাডা এর স্প্যানিশ হইল Hombre (উচ্চারণ ওমব্রে)।
তাইলে একটা ব্যাডা এর স্প্যানিশ হইল Un Hombre ( উন ওমব্রে)
বেডি এর স্প্যানিশ হইল Mujer (উচ্চারণ মুখের)।
তাইলে একটা বেডি এর স্প্যানিশ হইল Una Mujer (উনা মুখের)
ছেম্রা এর স্প্যানিশ হইল niño (উচ্চারণঃ নিইনিও)
তাইলে একটা ছেম্রা এর স্প্যানিশ হইল Un niño (উন নিইনিও)
ছেম্রি এর স্প্যানিশ হইল niña (উচ্চারণঃ নিইনিয়া)
তাইলে একটা ছেম্রি এর স্প্যানিশ হইল Una niña (উনা নিইনিয়া)

Un এবং Una এর ব্যাপার টা আশা করি কিলিয়ার হইসে। এরম ছেম্রাটি বা বেডাটি বা ছেম্রিটি বা বেডিটি বুঝাইতেও স্প্যানিশ ভাষার দুইটা আলাদা শব্দ আছে। La এবং EL । El বসে পুরুষ বাচক শব্দের আগে আর La বসে নারী বাচক শব্দের আগে। উপরের ছেম্রা ছেম্রি বেডা বেডি গুলা La এবং El ব্যবহার কইরা লিখলে এরম হইব।
ছেম্রাটি El niño (এল নিইনিও)
ছেম্রিটি La niña (লা নিনিইয়া)
বেডাটি El Hombre (এল ওমব্রে)
বেডিটি La Mujer (লা মুখের)

শেষ যেইটা শিখসি আজকে তা হইল ইংরেজি তে যারে কয় I am , স্প্যানিশ এ তারে কয় Yo soy (ইয়ো সয়)। তাইলে উপ্রে যা শিখসি তা ব্যবহার কইরা আমরা এই গুলা লিখতেই পারি এখন।

আমি একটা ছেম্রা Yo soy un niño (ইয়ো সয় উন নিইনিও)
আমি একটা ছেম্রি Yo soy una niña (ইয়ো সয় উনা নিনিইয়া)
আমি একটা বেডা Yo soy un hombre (ইয়ো সয় উন ওমব্রে)
আমি একটা বেডি Yo soy una mujer (ইয়ো সয় উনা মুখের)

আজকে এইটুক ই শিখসি আমি। আরো শিখলে আবার শিখাবো নে।

২৪৪/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ২৯, ২০১৫

কিছু পুরানো কবিতা খুইজা পাওয়া গেসে। কবিতা গুলার কোন শিরনাম নাই। তাই তাদের লেখার সময়কালটাই শিরোনাম হিসাবে দিয়া দিলাম।আমার লেখা তো আমার নিজেরই মনে থাকে না, আর আমার কোন কবিতার খাতাও নাই। এইখানে ওইখানে লিখা রাখি। আর হঠাত অনেক দিন পর পড়তে গেলে মনে হয়, এইটা আবার কবে লিখসিলাম !

১৯শে ডিসেম্বর , ২০০৬

দিনের শেষ ফোনটা শেষ হলো এই মাত্র
এইবার ঘুমানো যাক একটু
মাথার ভেতর শুধু ওয়েব পেজ আর ওয়েব পেজ
মনে হয় সব মনে রাখতে হবে, সব মুখস্ত রাখতে হবে
যদি ঘুমের মধ্যে পড়া ধরে কেউ ? কি বলব তখন ?
ইদানিং অনেক বেশী চাকরী খোজা হচ্ছে
ইদানিং অনেক বেশী ব্লগ পড়া হচ্ছে
অনেক বেশী কষ্ট পাওয়া হচ্ছে
অনেক বেশী ইচ্ছে হচ্ছে বড় কিছুর অংশ হই

২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯

আমার বুকের রক্তে তারা,
হাত রাঙিয়ে আত্মহারা,
তাদের যত ঘৃনার বুলেট,
তোমার সুখের জন্যে গো মা,
বুকে নিতে পারি,
মাগো আমার হয়না ফেরা বাড়ি
১৭ই ডিসেম্বর, ২০০৮
যদি খোজো আমায়
বিজয়ের পরে,
যখন ঢেকে যায় আকাশ তোমার
সবকিছু হয়ে আলোকিত ;
আমি শুধু আধারের রঙে
তোমার মুখ দেখি মানুষের ভিড়ে
একা হয়ে,
হয়ে পরাজিত
তুমি ভেসে যাও দুর থেকে দুরে
তোমার স্রোতে ডেকে নাও আমায়
আমি তবু জানি, এখানে থেমে যেতে হয় ;
অসময়ে শুরু আমার সময়,
এভাবেই শেষ হতে হয় ।

১৪ই নভেম্বর, ২০০৭

তোমাকে ভালবাসতে হলে যেতে হয় অনেকদুর,
প‌ৃথিবীর মাঠ ঘাট পার হয়ে হয়ে,
পথে বোধহয় নদীও পরে একটা..
যখন হারিয়েছি পথ, সেই সব ঘুম ঘুম দিন
ভুলেছি কবেই..
শুধু তোমার দিকেই হেটে গেছি,
কখনো পাশাপাশি, কখনো পায়ে পায়ে।
তারপর যখন তুমি প্রায় ছুই ছুই ;
আমার বুকে ডুবে যেতে যেতে বলেছিলে,
“আমার পৃথিবী কেমন এক অন্য আলোয় আঁধার হয়ে আসে !!”
আমি শুধু কানের কাছে মুখ নিয়ে বলেছি ফিসফিস…
“সন্ধ্যা নামতে কি কখনো দেখনি আগে ? “

২৪৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ২৮, ২০১৫

ছোটদের অভিশাপ শিক্ষা


আজকের লেখা অনেক নেগেটিভ একটা লেখা । তাই সরল সুজা মনের অধিকারি রা এই লেখা না পড়লেই ভাল। এই লেখা পরলে আপনার সাদা মন, এশ কালার হয়া যাইতে পারে। আজকের লেখার বিষয় অভিশাপ। মানুষ মাত্রই জিদ উঠে। আর জিদ উঠলে আমরা সব চেয়ে খারাপ গালি গুলা দিয়া জিদ কমাই। কিন্তু এমন টাই হইতে হবে সেটা কোথাও লেখা আছে? আরো অনেক ভাবে রাগ কমানো যায়।

বাচ্চারা, এই খানে আমি কিছু ভদ্র অভিশাপ লিখা দিলাম। এই গুলা দিলে মন ও ভাল হবে, রাগ ও কমবে ইনশাল্লাহ।

১। তুই মুজা পরার পর সবসময় একটু ব্যাকা হওয়া থাকুক একটু যাতে জুতার ভিতর ব্যাথা লাগে ।

২। তুই মুজা পরার পর ফার্স্ট যেখানে পারা দিবি সেই জায়গাটা ভিজা হোক।

৩। তোর গিটারের পিক সব গিটারের ছিদ্রে পইড়া হারায়া যাক।

৪। তুই যখন ঘুমায় থাকবি তখন তোর বুয়া ঘর ঝাড়ু দিয়া ফ্যান অন করতে ভুইলা যাক।

৫। চা খাওনের সময় তোর চা অনেক গরম হোক যাতে খাইতেই না পারস, আর একটু পরে খাবি ভাইবা রাইখা দেওনের এক ঘন্টা পর খাওনের কথা মনে হোক যাতে চা ঠান্ডা হয়া আইস টি হয়া যায়।

৬। তোর বিস্কুট তোর চা এর কাপ এর চেয়ে বড় হোক।

৭। তোর গুরুত্বপূর্ন মানুষ দের সামনে দেয়া প্রেজেন্টেশন এর মাঝখান দিয়া কালকে রাত্রে অর্ধেক দেখা “শিক্ষামূলক” ভিডিও এর বাকি টুক আপনা আপনি চলা শুরু হয়া যাক।

৮। তোর জার্নির শুরুতে হেডফোন এ প্যাচ লাগুক আর প্যাচ ছুটাইতে ছুটাইতে ডেস্টিনেশন আয়া পরুক।

৯। তোর কম্বল দিয়া পা ঢাকলে মাথা বাইর হয়া যাক আর মাথা ঢাকলে পা বাইর হওয়া যাক।

১০। তোর নটিফিকেশন সব ক্যান্ডি ক্রাশ আর ক্লাশ অফ ক্লান এর ইনভাইটেশন হোক।

১১। তোর খালি মনে হোক ফোন বাজতাসে কিন্তু আসলে না বাজুক।

১২। তুই নিজে গাড়ি চালায়া কোথাউ গেলে জীবনেও গাড়ি পার্ক করার যায়গা যাতে না পাস।

১৩। তুই ল্যাপ্টপ থেইকা উঠনের সময় হেডফোন খুলতে ভুইল্লা যাতে যাস আর টান লাইগা ল্যাপ্টপ এর ইন্নানিল্লাহ হোক।

১৪। তুই চেয়ারে বসলে একটা বিস্রি আওয়াজ হোক, আর একবার ই হোক, যাতে সবাই ভুরু কুচকায় তাকায় নাকে হাত দ্যায়।

১৫। তুই টিকেটের জন্য যেই লাইনেই দাড়াবি সেই লাইন সব চেয়ে স্লো আগাক।

১৬। বিশাল স্ট্যাটাস লেখনের পর চাপ পইড়া সব মুইছা যাক আর তোর মনে পরুক মোবাইলে তো কন্ট্রোল+জেড নাই।

১৭। তুই দেরি কইরা সকালে উইঠা তারাহুরা কইরা বাইর হোওয়ার আগে আগে যাতে দেখস যে মোবাইলে চার্জ দিসিলি ঠিকই কিন্তু সকেটে প্লাগ না লাগায়াই ঘুমায় গেসিলি।

১৮। তোর পিচ্চি পোলা বা মাইয়া, মেহমান দের সামনে তোরে জিজ্ঞেস করুক , আব্বা তুমি রাত্রে বেলা আম্মাকে এত ডিস্টার্ব করো ক্যান? আম্মা যে শুধু এই কি হচ্ছে, এই কি হচ্ছে করে।

১৯। তোর বাস যাত্রা বিরতির পর আবার চলতে শুরু করার পর তোর মনে হোক, জরুরী বাথ্রুমে যাওয়া দরকার

২০। তোর বস অফিসের বাত্রুমে ঢুইকা দরজা লাগাইতে ভুইলা যাক, আর তোর তখনি ওই বাত্রুমেই যাতে যাইতে হয় আর সেই মিনি হার্ট এটাক মোমেন্ট এ উনার সাথে একটু আই কন্টাক্ট ও যাতে হয়।

২৪২/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ২৭, ২০১৫


ধরুন একদিন মনে হল, কি লিখবো আজকে? অনেক জ্ঞ্যান দেওয়া হলো, অনেক শিল্পকলার কথা বার্তা হলো, আজকে কি হলো না হলো তা নিয়ে আলোচোনা হলো, আর কত? প্রতিদিন একি জিনিষ লিখলে তো ভবিষ্যত এর আমি , বর্তমানের আমি টাকে বকবে অনেক। উৎসাহী পাঠিক সবাইকে সুনিয়ে জোড় জোড় এ বলবে, দেখ কি ফাকিবাজ। দেখ, দেখ।

কিন্তু প্রতিদিন লেখা আসে না আসলেই। লিখতে বসার আগ পর্যন্ত মাথা ফাঁকা থাকে। লিখতে বসলে আমি আমার ভাল লাগে করতে এরকম একটা বিষয় নিয়ে ভাবতে থাকি। ইন্সপায়ার্ড লাগে। তখন লিখতে শুরু করি আর শেষ হয়ে যায়। বিষয় ঠিক না থাকলে চোখের উপর ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি পোল ড্যান্স করে। তাদের পারায় চোখ বন্ধ হয়ে আসে বার বার। আমার চোখের পাতা কি ওয়েট গেইন করসে অনেক। এত ঘুম পায় কেন খালি?

আজকে একটা ভাল দিন ছিল। যদিও এটাকে প্রচন্ড মন খারাপ দিন করে দেয়ার যথেষ্ট কর্পোরেট কারণ ছিল। কিন্তু না পারে নাই। আশাবাদী মন সেই সব কে পাত্তা পুত্তা দ্যায় নাই। সব চেয়ে ভাল ছিল সন্ধ্যা টা। কপাল গুনে আজ পুর্নিমা। চাঁদ টা অনেক সৌভাগ্য ও ঘাড়ে কইরা আনছে মনে হইসে।

আমি আর লিখবো না আজকে। কালকের রান্না করা খাবার দাবার গরম করব। তারপর খাবো। তারপর ঘুমায় যাবো।

অনলি ঘুম ইজ রিয়েল।
বাকি সব রিয়েলিটি।
গুন বললে ঠিকাছে সব
দোষ ধরলেই খিটিমিটি।
এই দুনিয়া সারকাস
তাই আমিও সারকাস্টিক
দেশের প্যাডে গ্যাস ভরা
আর আমগো প্যাডে গ্যাস্টিক।

২৪১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ২৬, ২০১৫

আমি আই বি এ তে ভর্তি পরীক্ষা দিসিলাম সবার দেখা দেখি। কিন্তু পড়ার কোন ইচ্ছা ছিল না। রিজু দিতাসিল তাই দিসিলাম। টিকি নাই। কারন জানতাম যেইখানেই পড়ি কম্পিউটারেই পড়ুম, যে জন্য ইণ্টার এ বায়োলজিই নেই নাই। রিজু টিকসিল আই বি এ তে। আর আমি ভর্তি হইসিলাম আহসানুল্লাহ তে। সেকেন্ড ইয়ার এ আমার ক্লাস এর পোলাপান আমারে এক ঘরে করসিল। ক্যান করসিল তা আগের লেখা গুলায় অনেক বার বলসি। তাই ক্লাস এর পর আড্ডা উড্ডা দিতে আমি আই বি এ গিয়া বইসা থাকতাম। রিজুর ফ্রেন্ড রাও আমার পরিচিত হয়া গেসিল। যদিও এত স্মার্ট সব পোলাপান এর মধ্যে আমি এক ধান খ্যাত পাট খ্যাত গিয়া বইসা থাকতে নিজেরি অনেক লজ্জা লাগতো।

একদিন রিজু বলল , তাহসান ভাই দের ব্যাচ এর সমাবর্তন, একটা গ্রাজুএশন সং লাগবে। এইটা এমন একটা সময় এর কথা বলতেসি যখন মাত্র ব্ল্যাক এর প্রথম এলবাম বাইর হইসে। ফেসবুক বইলা কিছু নাই। সিডি , ক্যাসেট এবং উইন এম্প এ শোনা এম পি থ্রি এর সুন্দর সহাবস্থান বিরাজমান। বাচ্চারা, উইন এম্প একটি এম পি থ্রি বাজানোর সফটওয়্যার। আমরা এম পি ত্রি বাজাইতে উইন এম্প ব্যবহার করতাম এবং “শিক্ষামুলক” ভিডিও দেখার জন্য হিরো মিডিয়া প্লেয়ার, জেট ওডিও ইত্যাদি ব্যবহার করতাম।

যাই হোক আপু সমাজ তখনও তাহসাআ আ আন বইলা অজ্ঞ্যান হইতে শেখে নাই কারন তখনো তারা ফ্রক পইরা স্কুল এ যায়। আমরা ডাকতাম তাহসান ভাই। বলা মাত্র আই বি এর ছোট মাঠ এর পাসে (এখন যেইটার নাম ফুটসোল মাঠ) বইসা বইসা গ্রাজুয়েশন সং এর প্রথম লাইন গুলা লিখলাম।

“এই তো আকাশ আমাদের
সব স্বপ্ন ওড়াবার
তুমি আমার হাত বাড়ানো
দিগন্ত ছোয়ার
ফিরে পাওয়া নিজেকে
এক নতুন দিনে আবার”

গিটার সাথেই ছিল। রিজু ইন্সট্যান্ট একটা অনেক সুন্দর সুর দিয়া ফালাইলো। কিন্তু এই রকম একস্টিক ভার্সন দিয়া তো হবে না, আরো ইন্সট্রুমেন্ট এড কইরা কম্পোজ করা লাগবে। রিজু বলল, চল তাহসান ভাই এর বাসায় যাই। এক সকালে ভারসিটি বাংক মাইরা আমি আর রিজু তাহসান ভাই দের মিন্টো রোড এর বাসায় গেলাম। অনেক সুন্দর ছিল বাসা টা। উনার রুম এ বিছানার উপর বিরাট এক কি বোর্ড। কারন উনি পিয়ানো বাজাইতেন।

রিজু যতটুকু হইসে গান একস্টিক এ বাজায় শুনাইলো। তাহসান ভাই বলসিল, “বাহ, লিরিক্স টা দারুন। মজা করে করা যাবে গান টা”। তারপর দুইজন মিলা গানটা কম্পোজ করতে বইসা যায়। গিটার বাদে বাকি সব ট্র্যাক (ড্রামস, ব্যাকাপ পিয়ানো, স্ট্রিংস) তাহসান ভাই কি বোর্ড দিয়া দিসিল আর গিটার সেকশন রিজু আর আইকন্স এর গিটারিস্ট শওকাত মিলে করসিল।

শেষ মেষ আরো দুইটা ভার্স যোগ করার পর গানটা দাড়াইসিল এমন

“এই তো আকাশ আমাদের
সব স্বপ্ন ওড়াবার
তুমি আমার হাত বাড়ানো
দিগন্ত ছোয়ার
ফিরে পাওয়া নিজেকে
এক নতুন দিনে আবার ।।
আজ স্বপ্ন সত্যি হবার বেলায়
ভেসে যাবো মেঘের ভেলায়
আকাশে এই কথা দিয়েছি
তবু যাবার আগে যাচ্ছি বলে
মনে পড়া কথার ছলে
তোমার কাছেই উড়তে শিখেছি।
আমরা সবাই মিলে একটা ছোট
গড়ছি মালা মনের মতো
হচ্ছে শুরু নতুন রুপকথা
মনের ইচ্ছে গুলো এলোমেলো
না ফোটা ফুল হয়েছিল
তোমার বনে আজ ফুটলো তা।“

গানটা আমার কাছে আছে কোথাউ, কোন একটা হার্ড্ডিস্ক এর চিপায়। খুইজা দেখতে হবে। এইটা সহ আই বি এর জন্য গান লিখসি আমি মোট দুই টা। তাহসান ভাই রা ছিল আই বি এর এইটথ ব্যাচ সম্ভবত। আর রিজু রা ছিল এগারো বা বারো। চারবছর পর , রিজুদের ব্যাচ এর সমাবর্তন এর জন্য আমি আরেকটা গান লিখি যেই টা পরে টিভির একটা নাটকেও ব্যবহার করা হইসিল।