উড়তে শেখা ৩
আগের পর্বে ১৬৭০ সালের ফ্রাঞ্চেস্কো ডি লানার গপ্প যহন কইসিলাম তহন কইসিলাম যে উনি Society of Jesus নামে একটা ক্যথলিক গ্রুপ এর মেম্বার আসিলেন। ফ্লাঞ্চেস্কো লানার এই থিউরি লয়া ঠিক একশো বছর পর ১৭০৯ সালে এই সোসাইটিরই আরেকজন আগ্রহি হয়া উঠলেন। একি কেলাবের মেম্বার তো, তাই “ভাই এ কইসে” ধইরা লয়া ব্রাজিল এর এক ব্যাডায় ভাব্লেন আম্মো বানামু এয়ারশিপ। ব্রাজিলিয়ান এই ব্যডার নাম আসিল বারতোলমিউ দে গুসমাউ (Bartolomeu de Gusmão ) ।
গুসমাউ ভাইজান অনেক খাটা খাটনি কইরা পাখির মত দেখতে একটা এয়ারশিপ বানাইলেন, যার নাম ছিল পাসারোলা (passarola) । কিন্তু তাতে ফ্রাঞ্চেস্কো ডি লানার থিউরি অনুসারে গুল্লা গুল্লা বল আসিল না । এক রকমের কাগজের তৈরি বুইত্তামারা পিরামিড এর মত এনভেলপ আসিল। অঈডার নিচে উনি কি কি জানি দিয়া আগুন জালাইসিলেন আর তখনকার আমলে পর্তুগাল অধ্যুশিত ব্রাজিলের রাজা পঞ্চম জন এর সামনে ডেমো দেহাইসিলেন।
কিন্তু তখনকার মানুষ এইটার জন্য ঠিক রেডি আসিল না। তাই রাজা পাঁচ লম্বর জন এর চাকর রা তাত্তারি কইরা বেশি উপ্রে উঠনের আগেই ওই এয়ারশিপ এর আগুন নিভায়া হালাইসিল আর লুকজন জনাব গুসম রে জাদুকর, শয়তানের উপাশক এইসব হাবিজাবি কউয়া শুরু করসিল। একজন কট্টর যিশু খৃস্টের সেবক হিসাবে ব্যাপারটাতে উনি বেশ মাইন্ড খাইলেন। উনি উনার সব কাগজ পত্র পুড়ায়া ফালাইলেন আর ছদ্মবেশ নিয়া পালায় গেলেন স্পেন এ। জীবনের শেষ কয়টা দিন অইখানেই কাটাইসিলেন। পরে গুসমাউ এর এক ভাই এর কাছ থেইকা আর কিছু কাগজপত্রের সাহায্যে তার আসল কাহিনী জানন যায়। নাইলে ইতিহাস থিকা হারায়াই গেসিল আরেট্টু হইলে প্রথম “প্রায়” সফল এয়ারশিপ এর কাহিনি।
এই শতাব্দিতেই মানে আটলান্টিক এর আরেক পারে, ফ্রান্সে, মানব জাতির উড়তে শিখার পথে, আরেক লাফ আগায়া যাওয়ার ঘটনা, ঘটতে যাইতাসিল। যার নায়ক দুই আপন ভাই। না আগেই “ও রাইট ব্রাদারস! আমি তো আগেই জানতাম” বইলা ফাল পাইরেন না। এই দুই ভাই সেই দুই ভাই না। এদের পরিবারের নাম মন্টগলফিয়ার। এরা হইলেন মন্টগলফিয়ার ভাইয়েরা।
বড় ভাই এর নাম জোসেফ মন্টগলফিয়ার (Joseph-Michel Montgolfier) । ইনার এট্টু আবেগি স্বপ্ন দেখার বাতিক আসিল, মন রে উইড়া যাইতে দিতেন ইচ্ছামত। ইনারি ছোট ভাই এর নাম ইতিএন মন্টগলফিয়ার (Jacques-Étienne Montgolfier)। ইনার ব্যবসায়িক বুদ্দি আসিল সেইরাম। ইনারা দুইজন বাপের কাগজের ব্যাবসা দেখাশুনা করতেন। ইতিএন মন্টগলফিয়ার এর ব্যবসায়িক বুদ্ধির কারনে অল্পদিনের মধ্যেই তাদের কাগজের ব্যবসা বেশ বাম্পার হয়া উঠল।
একদিন ফায়ারপ্লেস এর আগুনের ধারে বয়া জোসেফ মন্টগলফিয়ার ঝিমাইতাসিলেন। বড়লুক মানুষ তো, কামকাইজ নাই, তাই ঝিমাইতাসিল মুনে লয়। ফায়ারপ্লেস এর পাসে হেগো বুয়া মুনে লয় কার জানি শার্ট দিসিল শুকাইতে। জোসেফ মিয়াভাই আতকা খেয়াল করলেন, আগুনের তাপে শার্টের পকেট ফুইল্লা উইঠা ইট্টু উপ্রে উইঠা গেল। জোসেফ ভাব্লেন, কাম সারসে, ঘটনা তো ঘটায়া লাইসি, নিজের অজান্তেই কি জানি আবিষ্কার কইরা লাইসি। তিনি ভাব্লেন আগুনেত্তে একটা ইশপেশাল গ্যাস বাইরইতাসে আর এই গ্যাস এর আসে ল্যাভিটি নামের একটা ইশপেশাল বৈশিষ্ট। এই গ্যাস এর নাম তিনি আদর কইরা দিলেন “মন্টগলফিয়ার গ্যাস”। দেখসেন তহন সবকিসুতে এট্টু নিজের নামডা ঢুকায়া দেওনের বদ্ভ্যাস আসিল মাইন্সের। সোনার তরী তে উইট্টা পরনের ধান্দা আরকি।
ব্যপারটা আরো ভালা মত বুঝনের লাইগা, জোসেফ মিয়াভাই একটা তিন ফিট বাই তিন ফিট এর কাগজের বাক্সের লাগান জিনিষ বানাইলেন। তার নিচে আগুন আনলেন আর বাক্স গেল উইরা ।
খুশিতে জোসেফ মিয়াভাই তার সুডু ভাই রে চিডি লিখলেন, ভাই আমার, তাত্তারি বাইত আয়, তরে তামশা দেহামু। আহনের সময় কুইন্নার দুকান তে বেশি কইরা সিল্ক এর কাপড় আর দড়ি লয়া আহিস। সুডূ বাই ইতিএন তো লগে লগে জিনিষপাতি লয়া হাজির। দুই ভাই মিল্লা শুরু করলেন তাগো গবেশনা আর টেষ্টিং। দুইজন মিল্লা একি রকম কিন্তু তিন গুন বড় আর একটা বাক্সের লাগান জিনিস বানাইলেন আর তার তলায় আগুন রাখলেন। রেজাল্ট হইল ব্যাপক। দুই জনের তো খুশিতে পুরা জাব্রা জাব্রি অবস্থা।
দুই ভাই যহন শিউর হইলেন যে নাহ তাগো বানানি বেলুন কাম করে, তহন তারা ঠিক করলেন, এইবার ব্যাপারটার পাব্লিক রিলিজ দিতে হইব, নাইলে আবিস্কারক হিসাবে ইতিহাস তাগোরে স্বীকার করব না। তাদের এই চেষ্টার ফল দেখা গেল ১৭৮৩ সালের ৪ঠা জুন এ। এইদিন ফ্রান্সের এনোনে (Annonay) শহরে প্রথম গরম বাতাসের বেলুন আকাশে উড়ল আর মাইন্সে আক্কইরা থাকল “এইডা আমি কি দেখলাম” ভাইব্বা। ওই দিন এর পর তাদের এই আবিস্কার এর কথা ছরায় গেল সারা ফ্রান্স এ।
ইতিএন মন্টগলফিয়ার তাগো এই নাম জশ রে কাজে লাগানো শুরু করলেন। তিনি বিভিন্ন শহরে গিয়া গিয়া সম্ভাব্য বিনিয়োগকারিদের কে ডেমো দেখায়া দেখায়া পয়সা জুগার করা শুরু করলেন। এই পয়সা পিজ্জা খাউনের পয়সা না। এই পয়সা যোগার এর উদ্দ্যেশ্য ছিল তাদের আবিস্কারকে আরো এক ধাপ আগায়া নিয়া যাওয়া। প্রথম মানুশ অলা বেলুন উড়ানো।
ওই দিকে একি সময়ে প্যারিসে আবির্ভাব হইসে আরেক রকম উড়তে শেখার সিস্টেম এর আবিশকারক এর। যার নাম “হাইড্রোজেন বেলুন”। জেকুয়েস চার্লস (Jacques Charles) নামের একজন ফ্রেঞ্চ কেমিস্ট এবং আবিষ্কারক ভাইবা দেখলেন হাইড্রজেন গ্যাস একটা ভাল লিফটিং এজেন্ট হইতে পারে। কিন্তু এইডারে ব্যবহার কইরা কেমনে “হাইড্রোজেন বেলুন” বানানি যায় ওইটা তিনি কিসুতেই সাইজে আনতে পারতাসিলেন না। তাই উনি দ্বারস্থ হইলেন আরেক দুই ভাই রবার্ট ভাইদ্বয় এর। এনি জিন রবার্ট (Anne-Jean Robert ) আর নিকলাস লুইস রবার্ট (Nicolas-Louis Robert) এই দুই ভাই মিল্লা জেকুয়েস চার্লস এর লাইগা “হাইড্রোজেন বেলুন” বানানি শুরু করলেন তাদের প্যারিস এর ওয়ার্কশপ এ।
যদি ঘুমায় গিয়া থাকেন পড়তে পড়তে তাইলে এইখানে বইলা রাখা ভাল আমি কিন্তু দুই টাইপ বেলুন এর ইতিহাস পাশাপাশি কইতাসি। মন্টগলফিয়ার ভাইদের “হট এয়ার বেলুন” আর জেকুয়েস চার্লস এর “হাইড্রোজেন বেলুন” ।
মন্টগলফিয়ার ভাইয়েরা তাগো “হট এয়ার বেলুন” প্রথম সফল পাব্লিক ডেমো করসিলেন ১৭৮৩ সালের ৪ঠা জুন, এইদিন ফ্রান্সের এনোনে (Annonay) শহরে। আর জেকুয়েস চার্লস আর রবার্ট ভাইইয়েরা তাগো “হাইড্রোজেন বেলুন” এর পরথম ডেমো করার উদ্যোগ নিলেন তার দুইমাস পর, ১৭৮৩ সালের ২৭শে আগস্ট এ। তাগো জায়গাডা আসিল এখন যেইখানে আইফেল টাওয়ার দাড়ায়া আসে, প্যারিস এর ঠিক ওই জায়গাটায়। তখন ওই জায়গার নাম আসিল শেম্প দে মারস । মজার ব্যাপার হইল তাগো ডেমো দেখতে যারা আইসিল, সেই ভিড় এর মধ্যে আসিলেন আম্রিকার অন্যতম জাতির পিতা বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ও। আম্রিকায় উড়তে শিখার দৌড় টা নিয়া যাওয়ার পিছনে এইডারে একটা যুগাযুগ বইলা ধইরা নেওন যায়।
জেকুয়েস চার্লস আর রবার্ট ভাইয়েরা সফল ভাবে তাগো “হাইড্রোজেন বেলুন” যার নাম “লে গ্লোব”, উড়াইলেন। “লে গ্লোব” বেলুন্টা আসিল পয়তিরিশ কিউবিক মিটার এর রাবারের লগে সিল্ক মিশায়া তৈরি। এই বেলুন্টা প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট উইরা প্যারিস থিকা ২১ কিলোমিটার দূরে গনেস (Gonesse) গ্রাম এ গিয়া পরসিল। গেরামের লুকজন তো এই জিনিস জীবনেও দেহে নাই তাই বেলুন্ডা মাডির কাসা কাসি আইলে বরশা, কুরাল আর যার যা আসিল সব লয়া ঝাপায়া পরসিল বেলুন এর উপ্রে। হেরা ভাবসিল হেগো গেরামে শয়তান আইসে। তাই শয়তান মারা যায়েজ করতে ইতিহাসের প্রথম “হাইড্রোজেন বেলুন” রে ছিড়াবিড়া শ্যাশ কইরা দিল।
মজার জিনিষ হইল ““হাইড্রোজেন বেলুন” এর আবিষ্কারক জেকুয়েস চার্লস আসিলেন মন্টগলফিয়ার ভাই দের “হট এয়ার বেলুন” প্রজেক্ট এর অন্যতম কলাবরেটর। তারা একে অন্যরে সাহায্য করতাসিলেন বিভিন্ন ভাবে । তখনকার আমলের ফ্রান্সের রাজাও এই তিন পাগলার কাজ কাম মনিটরিং করতাসিলেন। দুই প্রকার বেলুনের ই মানুষ ছাড়া সফল উড্যয়ন এর পর দুই দল ই রাজার কাসে প্রস্তাব করলেন যে তারা এইবার মানুষ সহ বেলুন উড়াইতে চান ।
কিন্তু অইডা বেশি রিস্ক হয়া যায়, যেহেতু তহন কেউ জানেনা উপ্রে গেলে মাইনষের উপ্রে তার এফেক্ট কি হইব। তাই রাজামশাই প্রস্তাব করলেন, জেল থিকা দুইডা ক্রিমিনাল রে ধইরা বেলুনে উডায়া দেওয়া হউক। তারপর কি হয় দেহা যাইব। কিন্তু মানুষের উড়তে শেখার এরুম একটা ইম্পরটেন্ট ব্যাপারে ক্রিমিনাল গো ইনভল্ভ করন ডা দুই দল এর কেউ ই রাজি হইলেন না।
মন্টগলফিয়ার ভাইরা একটা বুদ্দি করলেন। তারা বেলুনের লগে একটা বাস্কেট লাগাইলেন। আর ওই বাস্কেট এ রাখলেন একটা মুরগি, একটা হাস আর একটা ভেড়া। তারপর ওই ১৭৮৩ সালের ই , ১৯শে সেপ্টেম্বর ফ্রান্স এর ভারসেলিস শহরে রাজা ষোলতম লুই আর রানি মেরি এন্টইনেট এর সামনে ডেমো দেহানির ব্যবস্থা হইল। আট মিনিট উইড়া, ১৫০০ ফিট উচ্চতায় তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়া এই বেলুন নিরাপদে অবতরন কইরা প্রমান করল, এখন বেলুনে মানুষ পাডানি যাইতে পারে। শুরু হইল দুই রকম বেলুন “হাইড্রোজেন বেলুন” আর “হট এয়ার বেলুন” এর প্রথম ম্যান্ড ফ্লাইট অর্থাৎ মানুষ লয়া উড্ডয়ন এর প্রস্তুতি।
মন্টগলফিয়ার ভাইয়েরা তাদের প্রথম ম্যান্ড ফ্লাইট এর বেলুন বানানির জন্য শরণাপন্ন হইলেন অয়ালপেপার বানানির কারিগর রেভেলন (Jean-Baptiste Réveillon) এর। রেভেলন তাদের ওই হাস-মোরগ-ভেড়া ওয়ালা বেলুন্টাও বানাইসিলেন। মানুষ বাহি বেলুন এর লাইগা মন্টগলফিয়ার ভাই দের ডিজাইন অনুসারে রেভেলন তাদের বানায় দিলেন ষাইট হাজার কিউবিক ফিট এর এক বিশাল বেলুন । বেলুন্টার কালার স্কিম আসিল নীল আর সোনালি। উপরে আসিল রাজা লুই এর রয়েল মোনগ্রাম আর বিভিন্ন জোডিয়াক (রাশিফল এর রাশি) সাইন। এই বেলুনের নাম রাখসিলেন “এরোস্টেটিক গ্লোব ” (Aerostatic Globe)
বই পত্র আর ইন্টারনেট ঘাইটা জানতে পারসি যে মানুষ বাহি বেলুন এর পাব্লিক ডেমো দেওনের আগে টেস্টিং এর লাইগা ইতিয়েন মন্টগলফিয়ার অন্তত একবার অইডা লয়া উরসিলেন। তয় তহন বেলুন ডা দড়ি দিয়া বান্দা আসিল মাটির লগে। তাই প্রথম মানুষ বাহি টিথারড (Tethered) ফ্লাইট এর ক্রেডিট টা ইতিয়েন মন্টগলফিয়ার রে দেওন যায়।
২১শে নভেম্বর ১৭৮৩। প্যারিসের পশ্চিমে শহরতলি থিকা রাজার এক সেনা অফিসার মারকুইস (marquis d’Arlandes ) আর পিলাত্রে (Pilâtre de Rozier) রে নিয়া মন্টগলফিয়ার ভাইদের হট এয়ার বেলুন “এরোস্টেটিক গ্লোব” উড্ডয়ন করল। এই বেলুন প্যারিসের ২৫ মিনিটে ৩ হাজার ফিট উপ্রে দিয়া উইরা ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়া রাম্পারট সিটির বাইরে দুইটা উইন্ডমিল এর মাঝখানে সফলতার সাথে ল্যান্ড করল। পিলাত্রে আর মারকুইস দুইজনই পরে লিখা গেসেন যে প্রথম বেলুন ভ্রমন খুবি মজা হইসিল। একটা সময় বেলুনের আগুন লাইগা যাওনের অবস্থা হইসিল প্রায় কিন্তু পিলাত্রে উনার কোট দিয়া বাইরায়া আগুন নিভায়া লাইসিল।
মানুষ নিয়া হট এয়ার বেলুন এর সফল উড্ডয়ন এর ঘটনা চারিদিকে ব্যাপক সারা ফালায় দিল। আর জেকুয়েস চার্লস বুকে সাহস পাইলেন উনার হাইড্রজেন বেলুন এও মানুষ উডাইতে । তাই মণ্টগলফিয়ার ভাই দের হট এয়ার বেলুনে প্রথম ম্যানড ফ্লাইট চালানির ঠিক ১০ দিন পর মানুষ বাহি হাইড্রজেন বেলুন উড়ানির উদ্যোগ নিলেন।
১লা ডিসেম্বর, সন ১৭৮৩। ৪ লক্ষ লোক প্যারিস এ সমবেত হইলেন প্রথম মানুষ বাহি হাইড্রজেন বেলুন এর লঞ্চিং দেখনের লাইগা। এর মধ্যে একশ জন ১ ক্রাউন ( তখনকার ফ্রান্স এর মুদ্রা ) কইরা দিসেন এই প্রজেক্ট এর ফান্ডিং এর লাইগা আর কাছে থেইকা দেখার লাইগা যে ইশপেশাল এনক্লজার গ্যালারি বানানি হইসে ওই খানে বহানির লাইগা। এই এনক্লজার এ অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তি রা বইসিলেন। যার মধ্যে দুই জন এর নাম খুবি উল্লেখযোগ্য। একজন হইলেন পরবর্তী তে আম্রিকার প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন আর মণ্টগলফিয়ার ভাই দের একজন জোসেফ মন্টগলফিয়ার। চার্লস লুক্টা এতই ভালা আসিল যে উনি জোসেফ মন্টগলফিয়ার রে সম্মান কইরা মুল বেলুন উড়ানির আগে যে ছোট অয়েদার বেলুন্টা উড়ানি হয় ওইটা উইড়াইতে দিসিলেন।
বেলা ১টা পয়তাল্লিশ মিনিটে জেকুয়েস চার্লস আর রবার্ট ভাই দের একজন নিকলাস লুইস রবার্ট তাদের বানানি হাইড্রজেন বেলুন নিয়া আকাশে উড়লেন। বেলুন্টা ছিল ৩৮০ কিউবিক মিটারের । ২ ঘন্টা পাঁচ মিনিট ধইরা ১৮০০ ফিট উপ্রে দিয়া উইড়া ৩৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়া উত্তর ফ্রান্স এর নেসেলস (Nesles-la-Vallée) শহরে নাইমা আসলেন জেকুয়েস চার্লস আর নিকলাস লুইস রবার্ট। প্রমান হইল মানূষ এখন উড়তে পারার জন্য প্রস্তুত।
আগামি পর্বে আমি এই দুই প্রকার বেলুনের আরো ডেভেলপমেন্ট আর কিভাবে সেইটা আস্তে আস্তে পেলেন এর দিকে আগাইল তা লয়া লিখুম। আজকের লেখাডা এট্টু বেশি বড় হয়া গেসে ওই জন্য দুঃখিত। কিন্তু আসা করি আমি লিখা যেরুম মজা পাইতাসি আপ্নেরা পইড়াও অইরম মজা পাইতাসেন। লেখা সম্পর্কে যে কোন মতামত পড়ের লেখা গুলা রে আরো ভাল করতে আমারে সাহায্য করবে।
এতক্ষণ কষ্ট কইরা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের উড়তে শেখা শুভ হোক।