২১১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫

 

কারো মন খারাপ থাকলে সেই মন খারাপ কেম্নে ভাল করে তা এক বিরাট রহস্যময় এবং “দুইন্যার কডিন” কাজ। আমার নিজের মন খারাপ এর অবস্থা আমি বুঝি। নিজে নিজে নিজের মন কেম্নে ভাল করতে হইব তা না বুঝলেও মন খারাপ কেম্নে ম্যানেজ করুম তা এত দিনে জানি। সেইটা তেমন কঠিন কিছুও না। নিজেরে আইসোলেটেড কইরা ফালাইতে হইব। চুপচাপ সুভাস্তুর বাসায় ঢুইকা গিয়া বড় বড় শ্বাস ফালাইতে হইব, ওই সময় ফোন আসলে চরম বিরক্তি নিয়া ফোন এর দিকে তাকাইতে হইব এবং ফোন ধরুম না। হয়তো দুই এক লাইন কবিতা লেখা হবে। তারপর কয়েকদিন রাস্তার পিচ দেখতে দেখতে অফিসে যাওয়া আর আকাশ দেখতে দেখতে অফিস থেইকা ফেরা হবে। তারপর কোন কারণ ছাড়াই মন খারাপ টা কাইটা যাবে।
এখন এই ওশুধ তো আর আমি অন্য কাউরে দিতে পারি না। আমার যা ইচ্ছা তাই লেখা লেখি পইড়া অনেকে কেম্নে কেম্নে যানি ইন্সপায়ার্ড ফিল করে। আমি মেসেজ পাই, “ভাইয়া, আপনার লেখা পড়ি। ভাল লাগে। আজকে মন টা খুব খারাপ। একটু বলেন কি করব”। আমার এমন অসহায় লাগে নিজেরে তখন। নারী পুরুষ (নারীদের বেশি) নির্বিশেষে সবাইরে আয় ভাবুল বুকে আয় বইলা হাগ করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু পোলাপান এখনো এত প্লেটনিক পর্যায়ে যায় নাই বইলা কিছু বলতে পারি না। এইটা ওইটা বইলা ভুজুং দেওয়ার ট্রাই করি। যেমন বলি, ক্যান কি হইসে? আমাকে বলা যাবে? এজ ইফ আমি শুনা মাত্রই, মিসির আলির মত রুল টানা ফুল স্কেপ কাগজে ঘটনার সাথে জরিতদের চরিত্র এনালাইসিস করতে বইসা যাবো। সব কথা শুনা হইলে বলব,হুমমম। আমার মনে হয় সব দোষ অবচেতন মনের।
আমি কিছুই পারি না। মন খারাপওয়ালার মন আরো খারাপ হয়। শেষ মেশ “আচ্ছা ভাইয়া, যাই, ভাল্লাগতাসে না” বইয়া যায় গিয়া। এই কথা শুনা মানেই গেম ওভার। এই কথা বলা মানেই, ধুর , আপ্নের এইসব বাল সাল কথা শুনার সময় নাই। আই রিয়েলি উইশ আমার কাছে যারা মন খারাপ এর কথা বলে তাদের সাথে কথা বলতে বলতে এক সময় দে উইল ফিল গুড। মন খারাপ দূর না হইলেও হাল্কা ফিল করবে একটু।
এই সব সময়ে আমার আসলেই মনে হয় আমি এক্টূ চালু হইলে ভাল হইত। ঐ যে আছে না অনেক কথা বার্তা পারে। ঠুস ঠাস মুখে মুখে জবাব দিতে পারে সেইটা যত আহাম্মক ই শোনাক। বলে তো কিছু। আমি তো “ ও অকে” “আয় হায় তারপর?” আর “থাক কিছু হবে না” “ঠিক হয়ে যাবে” এই ভোকাবুলারির বাইরে যাইতেই পারি না।
আমি অভিজ্ঞতা থেইকা পাওয়া খুবি ছোট খাট কিছু জিনিষ ট্রাই করি। তার কথা গুলা মনোযোগ দিয়া শুনি। তার মধ্যে কোন ধরনের আশা , তা যত ছোটই হোক জাগানোর ট্রাই করি। আশার শক্তি অনেক। তারে নিজের সম্পর্কে ধারনা টা পাল্টানোর ট্রাই করি। যদিও এইটা বেশির ভাগ জায়গাতেই ধমক খাওয়া লাগে। যেমন একটা ছেলের হয়তো মন খারাপ তার চাকরি হইতাসে না কোথাউ। তারে আমি বলতে গেলাম দেখেন ভাই দুনিয়ায় টাকা পয়সার দরকার আছে সত্য, কিন্তু প্রথমে বুঝতে হবে আমার টাকার প্রোয়োজন্টা বেশি না লোভটা বেশি। যা আছে তার উপর সন্তুষ্টি আনা টা খুব জরুরি। এবং আরো কিছু ব্লা ব্লা ব্লুশ। ওই ছেলে শিউর আমারে বলবে, আরে মিয়া এম্নেই আব্বা একটু আগে টাকা পয়সা নিয়া লেকচার দিয়া গেল আর আপ্নে আইসেন টাকা পয়সা বেপার না বুঝাইতে। আপ্নেরে বলাই ভুল হইসে। বাই।
অথবা একটা মেয়ে ফ্রেন্ড হয়তো তার ডুশব্যাগ বয়ফ্রেন্ড এর পুরুষগিরিময় শাষন এ অতিষ্ঠ। ক্যান অমুক টা করার আগে পারমিশন ন্যায় নাই টাইপ ঝারি খায়া মন টন খারাপ। আমারে বলসে, আর তারে আমি বুঝাইতে গেসি, দেখ, তুমি এগুলা নিয়া মন খারাপ কর ক্যান। তুমি একটা স্ট্রং ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইমেন, তুমি ব্লা তুমি ব্লা ব্লা ইত্যাদি, শুভেচ্ছা, অনির্বান, আনন্দমেলা। ঐ মেয়ে আমারে শিউর ঝারি দিয়া বলবে, আরে রাখেন, আমি আসি আমার জালায় আর আপ্নে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওমেন ফালাইতে আসছেন। ফাইজলামি করেন? টেক কেয়ার। বাই।
কারো মন ই ভাল করতে পারি না আসলে। খালি কষ্ট লাগে ক্যান পারলাম না। আই ওয়ান্ট টূ। আই সো ওয়ান্ট টু।

 

 

২১০/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫ | ১১.২৮ পি এম

 

আমার বাবা ঘুমায় গেসে। সারাদিন উনার উপর দিয়া কম ধকল যায় নাই। গরু কাটাকাটির জন্য লোক ম্যানেজ করা থেইকা শুরু কইরা ডিস্ট্রিবিউশন। সব নিজের হাতে করসেন। ছেলে হিসাবে আমি একদম ই অপদার্থ লেভেল এর। বাসায় একি জায়গায় শুইয়া ছয়টা বন্ড মুভি দেখা ছাড়া কিছুই করি নাই। আম্মাকে কয়েকবার পাঠাইসিল অবশ্য। সামনে আইসা কি কি জানি বইলা গেসে। হেডফোন এর পিছনে লুকায়া থাকার কারনে তার কিছুই শুনতে হয় নাই। তবু কারো কোন অভিযোগ নাই। থাক ঈদ তো।

 

আম্মাও টিভি টা বন্ধ কইরা রান্না ঘরে কি জানি খুটুর খাটূর করে। দোকান বন্ধের আগে দোকানদার এর হিসাব মিলানোর মত। আমি এক মগ আইস টি নিয়া বসছি। লাইট নিভায় দিসি। অফিসের দেওয়া নতুন ল্যাপ্টপ এর ব্যাক্লিট কি বোর্ড এর অক্ষর গুলা অন্ধকার এও জল জল করে জানান দিচ্ছে, ইথার, তুমি কিন্তু অনেকের চেয়ে ভাল আছো। ঈদ এর এই পার্ট টা আমার খুব ভাল্লাগে। এই শেষ এর পার্ট টা। এই উৎসব এর পরের নিশ্চুপ অংশ টা। সব কাজ শেষ। এখনি ঘুমায় যাবে মানুষ গুলা। একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফালাবে , যাক যা গেসে ভালই গেসে, আরো ভাল হয়তো যাইতে পারতো। এই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমায় যাবে এক জন এক জন। কালকে যা হয় হোক। আজকে তো আর কিছু নাই।

 

আমি আহমেদ ছফার উপন্যাস সমগ্র টা পড়া শুরু করসি গতকাল। প্রথম উপন্যাস টার নাম “সুর্য তুমি সাথী”। প্রথম দুই টা চ্যাপ্টার পরসি মাত্র। আহমেদ ছফার লেখা উপন্যাস পড়তেসি এই প্রথম। এর আগে শুধু “যদ্যপি আমার গুরু” পড়সিলাম। প্রথম দুই চ্যাপ্টার পইড়াই বই এর রিভিউ মার্কা কথা বার্তা লেখা টা অতিরিক্ত বেয়াদপি হয়া যাবে। তাই ওইদিকে গেলাম না। শুধু পড়তে পড়তে একটা জিনিষ মনে হইসে সেইটা নিয়া কথা বলি একটু।

 

আমার কাছে মনে হইসে আহমেদ ছফা অনেক সময় নিয়া অনেক শব্দ খরচ কইরা ঘটনার পরিবেশ তৈরি করেন। সংলাপ এইখানে কিছু কিছু যায়গায় মুখ্য বিষয় না। পরিবেশ এর অন্যন্য উপাদান গুলা যেমন দারুন খরায় মাঠ ঘাট পুইড়া যাইতাসে, হাসেম এর বই হাসেম এর মাথার পট্টি পালটে দিল যদিও কিছুক্ষন আগেও হাসেম মাইর দিসে বউ রে, এগুলা অনেক হেল্প করতাসে টু ফিল দা স্টোরি, টু সি দা স্টোরি।

 

সংলাপ গুলা চট্টগ্রাম এর আঞ্চলিক ভাষায় লেখা আবার ব্রেকেটে অর্থ ও বলে দিসেন লেখক। পরিবেশ তৈরি করার এই ব্যাপারটা এখনকার লেখক দের মধ্যে অনেক কম দেখা যায়। সবাই ঠুশ ঠাশ সংলাপ এ চইলা আসে। হিউমার এ চইলা আসে। সময় নিয়া অনেক গুলা প্যারাগ্রাফ খরচ কইরা পরিবেশ টার ফিল তৈরি করার পর চরিত্র গুলাকে দিয়া সংলাপ বলানোর সাহস এখনকার অনেক লেখক এর নাই। এর কারন মনে হয় তারা মনে করেন পাঠক এর এত সময় কই। তারা চায় বিনোদন। তারা চায় তাদের ইমোশন এ সরাসরি হাত দেক লেখক। বুকে হু হু তুলে দেক, হাসায়া দাত বাইর কইরা দেক, প্রেম প্রেম লাগায়া ব্যাকগ্রাউন্ড এ Awwww আওয়াজ উঠাক আর চোখ ছোট ছোট কইরা দেক আহ্লাদে। স্লো গোয়িং উপন্যাস বইলা কিছু খুইজা পাওয়া দুর্লভ এখন।

 

“সূর্য তুমি সাথী” উপন্যাস এর ২য় অধ্যায় এ আসা হাসিম এর দাদি কে আমার খুব পছন্দ হইসে। পাড়ার লোক এর ভয়ে উনি রাতের আধারে আহত হাসিম কে দেখতে আসেন। অনেক কিউট দাদি। তার কথা লিখতে গিয়া আহমেদ ছফা লিখসেন,

 

“ আঁধারের ভেতর নদীর মতো – শুশ্রুষার জল, পিপাসার বারি হয়ে আসে বুড়ি – আধারেই চলে যায়। দিনের আলো তে দেখা নেই। অন্তরেও আঁধার নদী আছে। তারই স্রোতে ভেসে ভেসে আসে সমাজের অনুশাসন ডিঙ্গিয়ে রাতের বেলা নাতিকে দেখার জন্য। হৃদয়ের এই লাবণ্যরেখার নদী কোনদিন কি দিনের আলোর মুখ দেখবে ?”

 

এভাবে কেউ ভাবে না এখন । জীবন এর চেয়ে অনেক গতিময়। যত বড় হচ্ছি, জীবন এর যে জিনিষ টা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করছি তা হচ্ছে এর গতি। সব কাজ আজকেই করতে হবে, সব ইচ্ছা আজকেই পুরন হতে হবে, সব ভালবাসা আজকেই লাগবে। এত তারাহুরা ক্যান আমাদের। কি হবে এত তারাহুরা করলে। যেখানে সে পাচ মিনিট আগে পৌছাবে আমি সেখানে দশ মিনিট পরে পৌছাবো। বিগ ডিল। বলা হয়, দৌড়াতে না পারলে পিছিয়ে পরতে হবে। কেউ বলে না , দেখতে দেখতে যাই, জার্নি টাই তো ইজ অল দ্যাট উই হ্যাভ। জার্নি টাই তো উইল ডিফাইন হু ইউ আর। নাইলে গন্তব্যে তো পৌছাবেই সবাই। জীবন ই তো নিয়া যাবে গন্তব্যে।

 

আমি জীবন এইটা ভাবতে ভাবতে শেষ করতে চাই না যে, আহা কিছুই করে যেতে পারলাম না, সময় ই পাইলাম না। আমি ভাবতে ভাবতে যেতে চাই, ওয়াও, ভাগ্যিস দৌড়াইনাই, নাইলে তো এই গুলা মিস করতাম। ভাবতে চাই কত বই এখনো পড়া বাকি। কত বিশ্ময় এখনো আমার অপেক্ষায়। এই ছোট জীবন কে ছোট ভাবতেই ভাবতেই আরো ছোট করে ফেলতে চাই না আমি। দিন শেষে সারভাইভ করতে চাই না। দুপুর বেলা পর্যন্ত আয়ু হলেও দেখে শুনে পড়ে অনুভব করতে করতে বাচতে চাই। পিঠে পড়তে থাকুক চাবুক সপাং সপাং। এই গাধার কোন তারাহুরা নাই।

 

২০৯/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫ | ১২.৪৭ এ এম

 

ঈদ আমার কাছে খুব একটা আনন্দের কোন বিষয় না। যেই সব হুতুম প্যাচা “ঈদ? মেহ , বিগ ডিল” বইলা হাড়ি মুখ কইরা ঘুমাইতে যায় আমি তাদের অন্যতম। তাই ঈদ আমার কাছে কোন এক্সাইটিং ব্যাপার লাগতাসে না। ঈদ বরং একটা এক্সট্রা প্রেসার। হাসি খুশি থাকতে হইব, ঈদ এর এস এম এস গুলাতে ঈদ মোবারক বলার পরে জোর কইরা স্মাইলি দিতে হইব একটা। বিরক্তিকর ব্যাপার স্যাপার। ঈদ এর আগের দিন রাত্রে এই সব লেখা উচিত হইতাসে না মে বি। কিন্তু, ওয়েল, এট লিস্ট আমি ভন্ডামি কইরা তো হেপি দেখাইতাসি না নিজেরে।

 

যারা ঈদ নিয়া খুশি, যারা ঈদ নিয়া এক্সাইটেড তাদের সাথে আমার কোনই সমস্যা নাই। ভাল লাগতাসে তাদের খুশি দেখতে। গরুর সাথে ছবি , ছাগলের সাথে ছবি , দেক না। সমস্যা কি? একটা ছোট বাচ্চা ও তো নতুন জামা পরলে দৌড় দিয়া উপরের তালার আন্টি রে দেখাইতে যায়, দেখ দেখ, আমি নুতুন দামা পসসি। আর ফেসবুকে খুশি শেয়ার করলে অসুবিধা কি? যে যেম্নে খুশি হইতাসে, খুশি দেখাইতাসে হইতে দেন না। আপ্নের সমস্যা কি? কেউ যদি রক্ত মাখা ছবিও দ্যায় কাল্কে, দেক না। ইগ্নোর করেন। তারে ছবি দেওয়ার কারনে এনিমেল ক্রুএল্টি , আহা বিভতসতা এই সব আপানার মনে উদয় হওয়া চিন্তা ভাবনা নিজের কাছেই রাখেন। তারে তার আনন্দ পাইতে দ্যান, আপ্নে আপ্নের আনন্দ লয়া থাকেন।

 

আমি আর আম্মা সকাল বেলা গরু দেখতে গেসিলাম আমাদের। তারপর দুপুর থেইকা টানা সিনেমা দেখা শুরু করসি। এখনো জেমস বন্ড এর ৪ নাম্বার টা পস দিয়া তারপর নোট লিখতে বসছি। কাল্কেও এম্নেই যাবে অল্মোস্ট। সকালে নামাজ, তারপর কুরবানি, গরু কাটা হয়া গেলে উপরে আইশা খাওয়া দাওয়া, তারপর মুভি দেখতে ডুইবা যাওয়া, ঘুম । আমারে বাসায় রাইখা হয়তো আম্মা বাবা বাইর হইতে পারে সন্ধায় বড় চাচার বাসায়। রাত হবে , ঘুমায় যাবো । ঈদ শেষ। পরের দিন সময়ের কিছুটা অদল বদল, কিন্তু একি রুটিন আবার। রবিবার হয়তো একটু বাইর হইতে পারি , সম্ভাবনা কম যদিও। সোমবার থেইকা অফিস। ঈদ ভেকেশন এর সমাপ্তি। তারপর বস ও ফিরবে হজ থেইকা। তারপর যে কি হবে, ভাবতেও চাই না।

 

আমি আহমেদ ছফার উপন্যাস সমগ্র পড়া শুরু করসি আজকে। প্রথম উপন্যাস এর নাম টা সুন্দর। “সূর্য তুমি সাথী”। যদিও পড়া কম আর সিনেমা দেখা বেশি হইতাসে। একটা জিনিষ দেখলাম, মাঝে মাঝে মোবাইলে ডাটা অফ কইরা রাখলে বেশ কন্সান্ট্রেশন দেওয়া যায়। এই কাজ টা শুরু করা লাগবো নিয়মিত। নিজেরে নেট ইউজ করার টাইম  বাইন্ধা দিমু। অন্য সময় অফ  থাকবে। নাইলে বার বার মন ওই দিকে যায় গিয়া। আমি মনে হয় আসলে একজন ফেসবুক এডিক্ট।

 

জেমস বন্ড এর সিনেমা দেখতে দেখতে প্লেন স্পটিং ও করসি। প্রচুর প্লেন এর সিন আছে। ওই সব জায়গায় জায়গায় পস কইরা ছবি তুলসি আর সিনেমা শেষের ডেটা অন কইরা কারিব ভাই রে পাঠাইসি হোয়াতস এপ এ। আর দুই জন মিল্লা এক লগে আইডেন্টিফাই করসি। মজা হইসে।

 

এই গ্রুর ঈদ এ আমার নিজেরে খুবি ডেস্পেকেবল মি সিনেমার গ্রু গ্রু লাগতাসে। আমারে নিয়া মনে হয় “হাউ দা গ্রিঞ্চ স্টোল দা কুরবানির ঈদ” লেখা যাইব ।

 

২০৮/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫ | ১২.০৭ এ এম

 

এটি একটি ঘুম ঘুম পোস্ট। ঘুমের কারনে আজকে সব বাতিল ঘোষণা করা হইল। ঈদ এর ছুটিতে বাসাবো আশ্ছি আর গামলা গামলা ভাত খায়া লড়া চড়া করতে পারতাসি না অবস্তা। এরুম ঘুম আস্তাসে যে এই কয়টা লাইন লিখতেও জান বাইর হয়া যাইতাসে টাইপ লাগে।

 

মহান প্রিয়ম ক্যাস্পারকে ওর কাছে রাখতে নিয়া গেসে কয় দিন এর জন্য। ক্যাসপার রে মিস ইউ মিস ইউ লাগে ।

 

কালকে অফিস নাই ভাবতেই খুশি তে ঘুম আইসা পরতাসে আরো। আর মনে হয় পারবো না জাইগা থাকতে।মাঝে মাঝে ঘুমের কাছে হাইরা যাওয়া ভাল। শুভ রাত্রি।

 

 

২০৭/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫ | ১২.৫১ পি এম

 

সিনেমাঃ বাংলাদেশে

 

“দি লাস্ট কিস”। বাংলাদেশের ভু খন্ডে নির্মিত প্রথম সিনেমা। বাংলাদেশের ভু খন্ড বললাম এবং এই লেখায় বেশ কয়েকবার এই টার্ম টা ব্যবহার করবো, কারন যখন কার কথা বলছি তখন ১৯৩১ সাল। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয় নাই। সিনেমাটা ঢাকার তৎকালীন “মুকুল” সিনেমাহলে প্রথম প্রদর্শিত হয়। এর আগে “সুকুমারী” নামের একটা এক্সপেরিমেন্টাল সিনেমা বানানোর কথা অবশ্য পড়লাম এক জায়গায়। কিন্তু সেইটা আলোর মুখ দেখে নাই।

 

নবাব পরিবারের কতিপয় উৎসাহী তরুণ ক্রীড়াবিদদের সহযোগিতায়, ঢাকার জগন্নাথ কলেজের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর তরুণ নাট্য-পরিচালক অম্বুজ গুপ্ত, “দি লাস্ট কিস” নির্মাণ করেন । ছবির চিত্রগ্রহণের স্থান ছিল দিলখুশা গার্ডেন, শাহবাগ, নীলক্ষেত বাগিচা এবং মতিঝিল। ছবির নায়িকা লোলিতাকে আনা হয়েছিল বাদামতলীর পতিতালয় থেকে। কারণ অন্য মেয়েদের চার দেয়ালের বাইরে আসা নিষেধ ছিল। শুটিং শেষে লোলিতা তার পূর্ব পেশায় ফিরে যায়।

 

“দি লাস্ট কিস” সিনেমার সম্পূর্ন কাহিনী জানতে পারি নাই। যারা ফিল্ম নিয়ে পড়ালেখা করেন তারা হয়তো ভাল বলতে পারবেন। আমার রিসার্চ এর দৌড় কিছু বই, ফিল্ম সোসাইটির জার্নাল আর ইন্টারনেট।  চুরাশি বছর আগের এই সিনেমার কোণ নেগেটিভ বা প্রিন্ট বাংলাদেশে নাই। ছবির কোন দর্শকও আজ বেঁচে নেই। যতটুকু কাহিনী জানতে পেরেছি তা হলো, “ এক রাতে নায়ক আজমল তার স্ত্রী লোলিতাকে নিয়ে যাত্রা দেখতে যাবার পথে জমিদার খাজা নসুরুল্লাহর লোকজন দ্বারা অপহৃত হয়। বহু খোঁজাখুঁজির পর লোলিতাকে জমিদারের ঘরে পাওয়া যায়। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। নায়ক-নায়িকা ঘটনার অনিবার্য পরিণতিতে মারা যায়”। “দি লাস্ট কিস” ছিল নির্বাক চলচ্চিত্র।

 

এরপরে বাংলাদেশে বানানো সিনেমা অনেক খুঁজেও আর পাই নাই। পাওয়া গেল ১৯৪৬ সালে। ওবায়দুল হক এর নির্মিত সিনেমা “দুঃখে যাদের জীবন গড়া” । ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তিতে এই অঞ্চলে যে ভয়াভয় দুর্ভিক্ষ দেখা দ্যায়, তার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয় এই সিনেমা। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় মুক্তি পায় এটি। তারপর আর এ দেশে আনা হয় নাই এই সিনেমা।

 

যতদূর দেখলাম ব্রিটিশ-ভারতে শিল্প সাহিত্য ছিল মূলত কলকাতা মুখি। ঢাকায় সিনেমা বানানোর কোন প্রতিষ্ঠান এই কারণে গড়ে উঠেনি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৫ সাল এর মধ্যে বাংলাদেশের ভূ খন্ডে কোন সিনেমা বানানো হয় নি। তবে কিছু প্রামাণ্য চিত্র নির্মিত হয়েছিল। জিন্নাহর পুর্ব পাকিস্তান সফর, মন্ত্রীদের ফিতা কাটা ইত্যাদি। ১৯৫৫ সালে নাজির আহমেদের পরিচালনায় “সালামত” নামে একটা প্রামাণ্য চিত্র নির্মিত হয়। বিষয় ছিল ডেভলপিং ঢাকা, এর নির্মান কাজ।

 

১৯৫৬ সালে “মুখ ও মুখোশ” দিয়ে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সবাক চলচিত্রের যাত্রা শুরু হয়। কাহিনী এবং পরিচালনা আবদুল জব্বার খান। এর আগে তার সিনেমা নির্মানের অভিজ্ঞতা বলতে ছিল বন্যার উপর একটি প্রামান্য চিত্র। পরিচালক আব্দুল জব্বার খান ফরিদপুরের একটি ডাকাতির সংবাদ কে কেন্দ্র করে ১৯৫৩ সালে “ডাকাত” নাটক লেখেন এবং এই নাটক টিই পরে “মুখ ও মুখোশ” চলচ্চিত্রে পরিণত হয়। এই ছবির মোট খরচ হয়ে ছিল ১ লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা।

 

১৯৫৬ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার “রূপমহল” সিনেমা হলে মুখ ও মুখোশ” মুক্তি পায়। ছবিটির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন গভরনর শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। “মুখ ও মুখোশ” সিনেমার শুটিং ঢাকায় হলেও ফ্লিম প্রসেসিং, এডিটিং করা হয়েছিল লাহোরের বারী স্টুডিও তে। কারন তখন ঢাকায় কোন ফ্যাসিলিটি ছিল না। “মুখ ও মুখোস” সিনেমার চিত্রগ্রহণ করেছিলেন কিউ এম জামান। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সমর দাশ। কণ্ঠ সঙ্গীতে মাহবুবা হাসনাত ও আব্দুল আলীম। ছবির নায়ক ছিলেন পরিচালক নিজেই অর্থাৎ আবদুল জব্বার খান এবং নায়িকা পুর্নিমা সেনগুপ্তা।

 

১৯৫৭ সালের জুলাই তে ঢাকায় এফ, ডি, সি গঠিত হয়। তার পরে চলচিত্র জগতে একটা বিপ্লব আসে। কিন্তু সেই গল্প আরেকদিন বলবো।

 

 

 

 

২০৬/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫ | ১২.৫২ এ এম

 

আমি এখন পর্যন্ত দুইবার বাসা থেইকা পালাইসি। একবার অনেক ছোট থাকতে স্কুল এও ভর্তি হই নাই। আরেকবার ক্লাস এইট এ থাকতে। ছোট বেলার টা খুব বেশি মনে নাই। শুধু মনে আছে জয় নামে আমার একটা খেলার সাথি ছিল তার সাথে কই জানি গেসিলাম গা। অনেক খন পর বাসার সবাই মিলা খুঁজতে বাইর হয় আর এক বাসার সিড়ি তে বইসা বইসা চকলেট খাইতাসি অবস্থায় উদ্ধার করে।

 

২য় বার এর পালানি টা সিরিয়াস ছিল। কয়দিন ধইরা বাসায় অনেক কথা বার্তা শুনতে সিলাম। আমি ক্যান পড়ালেখা করি না, সারাদিন খালি ক্রিকেট খেলি ক্যান, আমারে পাইলা যে ওদের কোনই লাভ হইতাসে না ইত্যাদি ইত্যাদি।  এই সব শুনতাম আর বাসায় আইসা দুইটা বন্ধুর সাথে শেয়ার করতাম। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল পুরাই আউট ল দুইটা ছেলে। আমার ক্যান জানি ভদ্র, চুল আচ্রানি, পড়ালেখায় ভাল টাইপ ছেলেদের সাথে যাইত না। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল হয় স্পোর্টস এ ফার্স্ট, পড়ালেখায় লাস্ট এমন টাইপ পোলাপান, নাইলে বাসাবো এলাকার বিরাট ত্রাস এমন।

 

এরা আমারে বুদ্ধি দিসিল, দ্যাখ দোস্ত, বাসার লোকজন তোকে কত অত্যাচার করে। তুই স্বাধীনতা সংগ্রাম কর। ওদের বুঝায় দে যে তুই দা ম্যান। তুই পালায়া যা। নতুন জীবন শুরু কর। আমার মামার বাড়ি আছে রাজশাহী তে। ওই খানে তোরে নিয়া যাবো।কেউ খুইজা পাবে না। ওইখানে দেখবি কত আদর যত্ন করে তোরে। আমি শুনতাম আর স্বপ্ন দেখতাম। আহা রাজশাহী, না জানি কত স্বপ্নপুরী ওইটা। গেলেই খালি খাতির আর যত্ন।

 

তারপর থেইকা খালি পালায় যাওয়ার বাহানা খুঁজতাম। আর সেই বন্ধু দুইটার সাথে প্ল্যান করতাম, স্বপ্নের রাজশাহী গেলে কত কি করবো। একদিন বাসায় আব্বা আম্মা নাই। কারেন্ট ও নাই। বাসায় খালি আমি আর ছোট খালা যাকে আমি মা ডাকি ছোটবেলা থেইকাই। কারেন্ট গেলে আগে পারায় পারায় এমন বিকট আওয়াজ কইরা জেনারেটর চালু হয়া যাইত না। মোমবাতি জ্বালায়া চুপচাপ অপেক্ষা করা লাগতো।

 

আমি হাতের কাছে যাই পাইতাম সেইটা মোমবাতি তে পুরতে কেমন লাগে দেখতাম। কলম, পেন্সিল, স্কেল, বোতল শব মোমবাতিতে ধইরা বইসা থাকতাম। এরমই অনেক কিছু পুড়াইতাসিলাম বইসা বইসা এমন সময় মা আসলো। আইসা আমার কাজ কারবার দেইখা চিল্লান দিল একটা, কি করওওওস আগুন লাগবো তো। বইলাই দিল এক থাপ্পড়।

 

আমার এত অভিমান হইল। আমি থাপ্পড় এর ব্যাপারে প্রচণ্ড সেন্সেটিভ। চোখে পানি আইসা পরে ফাইজলামি কইরা মারলেও। আমার মনে হইল আমার দুনিয়ায় কেউ নাই। আমি আর থাকুম না এই বাসায়। একটু পরে মা যখন টিভি দেখতে দেখতে ঘুমায় গেল, আর আব্বা আম্মা তখনো ফেরে নাই, আমি আস্তে আস্তে আমার ক্রিকেট এর ব্যাগ টাতে ট্রাউজার, শার্ট ভরলাম। তারপর দরজা খুইলা বাইর হয়া আইসা পরলাম বাসা থেইকা।

 

বার বার মনে হইতাসিল এখনই ওই পালাইলো, পালাইলো আওয়াজ উঠলো। কোনমতে একটা রিকশা নিয়া আসলাম ওই বন্ধুর বাসার কাছের এক ফোন এর দোকানে। মনে রাখতে হবে  সময় টা ১৯৯৬ সাল। মোবাইল ফোন চোখেই দেখি নাই জীবনে। বন্ধুর টি এন্ড টি ফোন এ ফোন দিলাম, দোস্ত আমি তো পালায়া আইসা পড়সি, এখন কি করুম। অনেক খন সাইলেন্স ওই পাশে। তারপর বলল, তুই বাসার নিচে অ্যায় আমি নামতাসি। বাসার নিচে দাঁড়াইলাম, একটু পরে বন্ধু দুইজন আসলো। এরা খুবি বিরক্ত আমি ক্যান প্ল্যান হওয়ার আগেই আইসা পরসি।

 

কথা বার্তার পর প্ল্যান হইল যে দুই জন এর বাসাই তো আমার আম্মা আব্বা চিনে, এদের বাসায় রাতে থাকা যাইবো না।  বন্ধুর এক পাড়াতো বন্ধুর বাসায় নিয়া গেল থাকতে। বলল, আনটি এদের বাসায় অনেক গেস্ট আসছে তো, আজকে রাতটা একটু থাকতে দেন। উনারা ভাল মানুষ ছিল, আমাকে থাকতে দিল, রাতে শিং মাছ আর ডাল দিয়া ভাত ও খাইতে দিসিল। আমি মাছ বাইছা খাইতে পারি না, বার বার চোখে পানি চইলা আস্তেসিল বাসার কথা ভাইবা।

 

বন্ধু বইলা গেল আজকে রাতে এইখানে থাইকা কালকে সকাল ৯ টায় ধান্মন্ডিতে ঢাকার তখনকার দুই মাত্র আইসক্রিম পার্লার রেইনবো আইসক্রিম এর সামনে দাঁড়াইতে। ওরা আইসা তারপর আমাকে রাজশাহী নিয়া যাবে। আমি খুব ভোরে ওই বাসা থেইকা উইঠা আইসা চুপি চুপি চইলা আসলাম রাস্তায়। তারপর একটা বেবি ট্যাক্সি নিয়া ধান্মন্ডি। তখন বাজে ৭ টা। ওরা আসবে ৯ টায়। এই দুই ঘণ্টা করবো কি। ধান্মন্ডি এর কিচ্ছু চিনতাম না তখন। লেক এর পারে বইসা থাকলাম কিছুক্ষণ। তারপর হাট তে হাট তে একটা নির্জন গলি তে ঢুইকা গেলাম। ওই খানে ব্যাগ থেইকা ক্রিকেট এর ট্রাউজার আর জার্সি বাইর কইরা পইড়া নিলাম, যাতে মনে হয় সকালে খেলতে গেসিলাম ফিরতাসি। তারপর আবার ধান্মন্ডির রাস্তায় হাটাহাটি। ওই দিকে আমাদের বাসায় তখন তোলপাড় চলতেসিল।

 

সারা রাত কেউ ঘুমায় নাই। ঢাকা শহরের সব আত্মীয় স্বজন চইলা আসছিল বাসায়। আম্মা কান্তে কান্তে অজ্ঞ্যান হওয়া যাইতেসিল একটু পর পর। যেই খালা চড় মারসিল উনি কান্তেসিল ননস্টপ। বাবা কাজিন রা স্টেশন, থানা, হাসপাতাল সব চইশা ফালাইতেসিল। আমার ক্লাস এর বন্ধুরা সব জাইনা গেসিল যে আমি পালাইসি বাসা থেইকা। আইডিয়াল স্কুল এ আমাদের খুবি মানসিক প্রতিবন্ধী বানায় রাখা হইত। লাইব্রেরিতে তালা থাকতো। জাতীয় সংগীত গাওয়া যাইত না। এসেম্বলি তে মিউজিক বাজানো হইত। স্যার গুলা সাইকো দের মত ফিসিকাল টর্চার করতো। এসব এর মধ্যে কেউ এরকম কিছু করার কথা ভাবতেও পারে সেইটা ওদের কাছে অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার ছিল।

 

ওরা বুঝতে পারসিল যে আমি কাদের সাথে প্ল্যান কইরা পালাইসি। একটা ফ্রেন্ড ছিল আমার নাম রাকিব। বেস্ট ফ্রেন্ড দের একজন। সে জানতে পারলো যে আমরা রাজশাহী যাওয়ার প্ল্যান করসি আর আমি ওয়েইট করতেসি ধানমন্ডি রেইনবো এর সামনে। সে আমাদের বাসায় ফোন কইরা এই তথ্য টা জানায় দিল।

 

আমি বইসা ছিলাম রেইনবো এর সামনের ফুটপাথ এ। সব কিছু কেমন স্লো মোশন এ হয়া গেল তারপর। আমি দেখলাম একটা বেবি টেক্সি আইসা থামলো। প্রথমে বাবা বের হইল তারপর আম্মা, তারপর বড় চাচি। ওরা সব আমার দিকে দৌড়াইয়া আস্তেসিল স্লো মোশন এ। আমি ওদের দিক থেইকা ঘুইরা গেলাম। ভাবলাম, আচ্ছা আমি কি দৌড় দিব?  ওরা যদি বেবি টেক্সি নিয়া আমারে ফলো করে?

 

এই সব ভাবতে ভাবতে এক পা দুইপা আগাইতেসি আর পিছন থেইকা অনেক গুলা হাত আইসা আমারে খপ কইরা ধরল। “কই ছিলি তুইইইইই, কই চইলা গেসিলি??? “ তারপর বিশাল কান্না কাটি আর বিলাপ। আশে পাশে শত শত লোকজন জইমা গেল তামশা দেখতে। আমি শুধু মাটির দিকে তাকায় বললাম “আস্তে, আস্তে”

 

এই পর্যন্তই কাহিনী থাক। ইদানীং পালায় যাওয়ার ইচ্ছাটা আবার ভর করসে মাথায়। এখন পালায় যাওয়া এত কঠিন হয়া গেসে।  যাইতেই পারতাসি না।

 

২০৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫ | ১২.৪১ এ এম

 

ছোটদের পিয়ানো শিক্ষা ৪

 

আগের তিনটা লেখায় পিয়ানোর নোট গুলা কি কি থাকে তা তো আমরা শিখলাম। কিন্তু জিনিষ টা হইসে স্বরে অ , স্বরে আ, ক, খ, গ ইত্যাদি মুখে মুখে শিখার মত। আমরা কিভাবে পড়তে লিখতে শিখি কি মনে আছে?

 

প্রথমে আম্মার মুখে মুখে শুনে শুনে বলি, শুধুই বলি, কোন টা কি রকম দেখতে কিছুই জানিনা। তারপর আম্মা কাগজে লিখে দ্যায়, এই দিলাম একটা ছোট গোল্লা, তারপর দিলাম একটা বড় গোল্লা, তার পাশে দিলাম একটা টান, হয়ে গেল স্বরে অ। তার পর আমরা নিজে নিজে ট্রাই করি লিখতে, আর এক সময় পারি ও।

 

আমরা যখন কাউকে বুঝাতে চাই যে এইটা স্বরে অ তখন সেটা লিখে দেখাই। তাকে বুঝাই এই যে আমি ঠোট গল কইরা অ বলতাসি, এইটা লিখতে গেলে এমনে লিখতে হয়। স্বরে অ এর প্রতীক হইল – অ। মিউজিক এর ক্ষেত্রেও ব্যাপার টা সেম। C, D, E এই সব নোট গুলা আমরা পিয়ানো তে কই থাকে দেখসি। এখন আমরা শিখবো এই নোট গুলা যখন লিখবো তখন কিভাবে লিখবো। আই এম টকিং এবাউট রিটেন মিউজিক। যার অন্য আরেকটা নাম হইল Sheet Music.

 

আপনারা কখনো  Sheet Music  দেখসেন? আমি শিউর দেখসেন। বিশেষ কইরা অর্কেস্ট্রা গুলাতে যে লোকজন সামনে এই রকম লেখা  কাগজ নিয়া বসে আর দেইখা দেইখা বাজায় আর সামনে এক ব্যাডা একটা কাডি লয়া দাঁড়ায়া দাঁড়ায়া লারা চারা করে। নিচের ছবি টা দেখেন। এইটা মেটালিকার বিখ্যাত গান Nothing Else Matters এর পিয়ানোর জন্য লেখা মিউজিক শিট

 

 

 

 

অবাস্তব মনে হইলেও সত্য যে আমরা এখন এই জিনিষ শিখবো। মানে এই রকম একটা মিউজিক শিট দেইখা দেইখা আপনে কেমনে কি বুঝবেন সেই জিনিষ গুলাই আমরা আস্তে আস্তে ধাপে ধাপে শিখবো। তাড়াহুড়ার দরকার নাই। আমাদের পুরা জীবন পইরা রইসে সামনে। আর আমি তো আগেও বলসি কোন কিছুই কঠিন না যদি আমরা সেইটারে ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা ছোট ছোট ভাগ গুলা কে জয় করি।

 

শিট মিউজিক কেমনে পড়তে হয় তা শিখার প্রথম ধাপঃ স্টাফ এবং নোটেশন

 

যে কোন শিট মিউজিক এ স্টাফ জিনিষ টা থাকে। স্টাফ কি? স্টাফ হইলো সমন্তরাল এ আঁকা কিছু লাইন এবং লাইন এর মধ্যের গ্যাপ। এই লাইন গুলা এবং লাইন এর গ্যাপ গুলার আলাদা আলাদা মানে আছে যা আমরা একটু পরেই শিখবো। এই স্টাফ এর উপর বিভিন্ন নোটেশন/সিম্বল বসায়া বিভিন্ন নোট, সময়, থামতে হবে কিনা, জোরে বাজাইতে হবে না আস্তে বাজাইতে হবে, একটা নোট কত সময় ধইরা বাজবে ইত্যাদি জিনিষ বুঝানো হয়। একটা ফাইভ লাইন স্টাফ দেখতে এমন হয়ঃ

 

 

 

 

এখন ঘটনা হইল, একই শিট মিউজিক দেইখা তো পিয়ানো ওয়ালারাও বাজায়, ভাইওলিন ওলারাও বাজায় আবার গিটার ওয়ালারাও বাজায়। তাইলে সব ইন্সট্রুমেন্ট এর জন্যই কি একি শিট মিউজিক হবে? না। আলাদা আলাদা ইন্সট্রুমেন্ট এর জন্য স্টাফ নোটেশন আলাদা আলাদা হবে। শুধু যিনি শিট মিউজিক টা লিখতেসেন তাকে স্টাফ এর শুরু তে কষ্ট করে বলে দিতে হবে এইটা কি ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট এর জন্য। এই বইলা দেওয়া টা স্টাফ এর এর একদম শুরু তে থাকে আর এইটা প্রকাশ করা হয় Clef নামের একটা সিম্বল দিয়া। ক্লেফ দেখলেই মিউজিসিয়ান রা বুঝতে পারে এইটা কোণ ইন্সট্রুমেন্ট এর জন্য।

 

ক্লেফ (Clef ) অনেক রকম এর হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার করা হয় দুইটা ক্লেফঃ “ট্রেবল ক্লেফ (Treble Clef) বা G Clef” আর “বেজ ক্লেফ (Bass Clef) বা F-Clef”. ক্যান এই গুলার নাম জি ক্লেফ বা এফ ক্লেফ তা আমরা পরে শিখবো।

 

ট্রেবল ক্লেফ দেখতে এরকম

 

 

 

যে সব ইন্সট্রুমেন্ট এর স্বর চিকন টাইপ এর মানে যাদের পিচ বেশি অর্থাৎ ইন্সট্রুমেন্ট এর সাউন্ড এ ট্রেবল এর প্রাধান্য বেশি, সেই ইন্সট্রুমেন্ট এর স্টাফ নোটেশন লেখার সময় ট্রেবল ক্লেফ সাইন টা দেওয়া হয়। যেমন বাশি, ভাইওলিন, স্যাক্সোফোন ইত্যাদি। পিয়ানোর হাই নোট গুলা মানে যেগুলা ডান হাতে বেশি বাজানো হয় সেগুলার জন্যও  ট্রেবল ক্লেফ দিয়া শুরু কইরা তারপর স্টাফ নোটেশন লেখা হয়।

 

আর বেজ ক্লেফ দেখতে এরকম

 

 

 

যে সব ইন্সট্রুমেন্ট এর স্বর মোটা টাইপ এর মানে যাদের পিচ কম অর্থাৎ ইন্সট্রুমেন্ট এ বেজ এর প্রাধান্য বেশি , সেই ইন্সট্রুমেন্ট এর স্টাফ নোটেশন লেখার সময় বেজ ক্লেফ দেওয়া হয়। যেমন চেলো, টুবা, বেজ গিটার ইত্যাদি। পিয়ানো তে লো নোট গুলা মানে যেগুলা বাম হাতে বেশি বাজানো হয় সেগুলার জন্যও বেজ ক্লেফ দিয়া তারপর স্টাফ নোটেশন লেখা হয়।

 

 

হোম ওয়ার্কঃ উপরে মেটালিকার যেই শিট মিউজিক টা দেওয়া আছে তার মধ্যে ট্রেবল ক্লেফ দিয়া শুরু স্টাফ আর বেজ ক্লেফ দিয়া শুরু হওয়া স্টাফ খুইজা বাইর করেন।

 

আগামী লেখায় আমরা শিখবো স্টাফ এর কোন লাইন আর কোন লাইন এর মধ্যের ফাঁক কি মিন করে। হ্যাপি লার্নিং।

 

২০৪/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫ | ১২.২২ এ এম

 

ছোটদের পিয়ানো শিক্ষা ৩

 

আজকের লেখা পড়ার পর আমরা পিয়ানোর সব গুলা সাদা কি এর নাম বলতে পারবো। আমরা আগে সাদা কি গুলা শিখি। তারপর কালো কি গুলার নাম জানা এক সেকেন্ড এর ব্যাপার মাত্র। ইন ফ্যাক্ট এখনি বইলা দেই, কালো কি গুলার নাম হয় তার আগের বা পরের সাদা কি টার সাথে সম্পর্কিত। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত তে পরে আসতাসি।

 

আগের দিন আমরা পিয়ানো তে C নোট টা শিখসিলাম। যদি মনে না থাকে তাইলে এই খানে C নোট টার একটা ছবি আবার দিলাম।

 

 

 

পিয়ানোর মজা টা হইল একটা নোট খুইজা পাইলে বাকি গুলা পর পর আস্তে থাকে। এই যে আমরা C নোট শিখলাম, এইটার ঠিক পাশের সাদা কি টাই হইলো D নোট। অর্থাৎ কিনা D নোট হইল এইটা

 

 

 

D এর পাশের সাদা কি টা কি নোট হবে তাইলে? অফকোর্স E.

তার পাশের টা? F

তার পাশের টা? G.

এই ভাবে একদম পর পর A আর B। তারপর আবার C, D, E , F… এরকম।

 

তাইলে এখন আমরা পিয়ানোর সব গুলা সাদা কি এর নোট টার নাম জানি। যা দেখতে এরকম

 

 

 

 

কালো কি গুলারে ব্যাপারে আগেও বলসি যে এগুলার নাম হয় সামনের সাদা কি দিইয়া। যেমন আমরা যদি সাদা কি এর নাম টা আইডেন্টিফাই করতে পারি, তাহলে ঠিক তার পরের কালো কি টাই হইলো ওই নোট এর শার্প। যেমন এমন

 

 

 

আবার সাদা কি টার ঠিক আগের কালো কি তাই হইল ওই স্কেল এর ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাট বুঝানো হয় b এই সাইন দিয়া। যেমন নিচের ছবিটা দেখলে আরো বুঝা যাবে

 

 

 

 

আজকের বাড়ির কাজ হইল, একটা পিয়ানো লেয়াউট এর ছবি গুগলে সার্চ দিয়া বাইর কইরা সব গুলা নোট এর উপর আঙ্গুল রাখি এক এর পর এক ।

 

 

যেহেতু “নোট” ধারণটা আই গেস পরিষ্কার হইসে, তাই হোপফুলি আগামী ক্লাসে আমরা স্টাফ নোটেশন না রিটেন মিউজিক নিয়া আলাপ আলোচুনা করব।

 

২০৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫ | ১.৪৯ এ এম

 

আজকে আমি আর রাশা একটা জ্যাজ কন্সার্ট এ গেসিলাম। জ্যাজ আগে শুনি নাই তা না। কিন্তু লাইভ জ্যাজ কন্সার্ট এ এই প্রথম। বাংলাদেশ এর মিউজিক সিন এ জ্যাজ খুব একটা পরিচিত জনরা উঠে নাই এখনো। Genre এর সঠিক উচ্চারণ জনরা। জেনার, জেনারে, গেনার না, এই টা দেইখা নেয়া যাইতে পারে যদি সন্দেহ থাকেঃ https://www.youtube.com/watch?v=hvlOk1jzAms ।

কিছু লোকজন তাই একসাথে হয়া জ্যাজ মিউজিক কে পপুলার করার এর একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার চেষ্টা করসেন। এই প্ল্যাটফর্ম এর নাম Dhaka Swingin’ . ইনারাই এই কন্সার্ট এর উদ্যোক্তা। আমার এই খানে পরিচিত কেউ নাই। শুধু মাত্র গান এর টানে, টু বি স্পেসিফিক, জ্যাজ এর টানে আমি আর রাশা গেসিলাম এই কন্সার্ট এ।

জ্যাজ ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার মত মিউজিক বোদ্ধা আমি না । তবে বাসায় আইসা জ্যাজ নিয়া অল্প কিছু পড়ালেখা করসি। অনেক অনেক ডিটেইল পড়া বাকি। মোটা দাগে যা বুঝসি তা হইল জ্যাজ এর ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরেরো বেশি পুরানো। উনিশ আর বিশ শতাব্দীর মাঝখানে ছড়ায়া আছে জ্যাজ এর সব মুল ইতিহাস।

১৯১০ এর দশকে প্ল্যান্টেশন এ কাজ করা খেটে খাওয়া আফ্রিকান আমেরিকান আর আফ্রিকান ইউরোপিয়ান মানুষ গুলার হাত ধইরা র‍্যাগটাইম, ব্লুজ, ফ্রেঞ্চ কুয়াড্রিলস, বিগুইন্স ইত্যাদি মিউজিক জনরার সংমিশ্রনে শুরু হয় New Orleans Jazz এর।

১৯৩০ এর দশকে সুইং জনরার মিউজিক জ্যাজ এর সাথে মিশে শুরু হয় Swing Jazz এর।

১৯৪০ এর দশকে শুরু হয় Bebop Jazz এর । এই টা মূলত জ্যাজ রে আরো মিউজিসিয়ান্স জ্যাজ বানায় দ্যায়। কারন এই জ্যাজ এর টেম্পো আরো ফাস্ট, আর কর্ড ভিত্তিক ইম্প্রোভাইজেশন বেশি থাকে। ১৯৪০ দশকের শেষের দিকে আসে Cool Jazz. এই খানে জ্যাজ আরো শান্ত, আরো স্মুথ, লম্বা লম্বা মেলোডি ওয়ালা হয়া ওঠে।

১৯৫০ এর দশকে আসলো Free Jazz. এই খানে কোন রেগুলার প্যাটার্ন, টাইম সিগনেচার আর ফর্মাল স্ট্রাকচার অনুসরণ না কইরাও যে জ্যাজ মিউজিক করা যায় তা দেখাইল দুনিয়ারে মিউজিসিয়ান রা।

১৯৬০ দশক আর ১৯৭০ এর দশকে আমরা শুনতে পাইলাম জ্যাজ-রক ফিউশন এর যেখানে জ্যাজ এর সাথে রক মিউজিক এর ইনফ্লুয়েন্স ব্যাবহার কইরা আলাদা একটা মিউজিক এর টাইপ ই তৈরি করায় ফালানো হইল।

জ্যাজ মিউজিক এর সব চেয়ে মজা যেই জিনিষ টা লাগসে আমার সেইটা হইল এইটা পুরাটাই বেজড অন ইম্প্রোভাইজেশন। একজন জ্যাজ মিউজিশিয়ান পর পর দুই কন্সার্ট এ এক ই জিনিশ বাজাবে না। কিছুটা আলাদা হবেই। অথচ শুনতে একটুও খারাপ লাগবে না। বাজাইতে বাজাইতে টেম্পো হঠাত বাইরা যাবে হটাত কইমা যাবে। কোণ ফিক্সড টাইম সিগনেচার নাই। আর জ্যাজ এ ব্লু নোট ও বাজে আবার রক নোট ও বাজে , সব কিছুরেই জ্যাজ এর মধ্যে জ্যাজ এর স্টাইলে বাজায় দিলে বেশ সুন্দর মানায় যায়। বেমানান লাগে না।

কারন আমার মনে হয় জ্যাজ এর জন্মই হইসে দেখানোর জন্য যে জ্যাজ বাজানোর সময় একজন মিউজিশ্যান স্বাধীন। তার কোন স্ট্রাকচার এ পইরা থাকতে হয়না। ভিতরে ইচ্ছা কইরা অনেক স্কেল এর বাইরে নোট ঢুইকা গেলেও সমস্যা নাই। প্রতিদিন তার নিজেরে ইম্প্রুভ করার সুযোগ আছে।

জ্যাজ এত পুরানো একটা জনরা অথচ এর কাজ কারবার যুগ যুগ ধইরা পুরা পুরি ই নতুন প্রজন্মের মত। দুই সেকেন্ড পরে কি হবে, কোন ঠিক নাই।

 

২০২/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫ | ১২.৩৬ এম

 

আমি তো ভাল থাকবই যেভাবেই হোক। ভাল থাকা লাগে যে। এভাবে ধপ করে দুঃখে পড়ে যাওয়াটা প্রেম এ পড়ে যাওয়ার মতই । নতুন কিছু তো না। প্রথমে দুঃখে পড়বো। সেই দিন টা খুব খারাপ যাবে। কিছুই ভাল লাগবে না। তারপর দলে দলে আসবে অভিমান। কেন এমন হবে, কেন তেমন হবে না , কেন আমাকেই, কেন আমাকেই না এই সব প্রশ্নরা মহা আনন্দে বের করবে মিছিল। তারপর এর দিন টা যাবে চুপ চাপ। মাটি দেখে দেখে হেটে যাওয়া। নিজেকে বাদে সবাইকে মনে হওয়া, কি সুখেই না আছে তারা। বুকের মধ্যে আঘাতের শব্দগুলা লুপ এ পড়ে বার বার মনে হতেই থাকবে, হতেই থাকবে। ভলিউম টা কমাতে চাইবো বার বার। কমবে না।

তারপর মনে হবে, বুঝল না কেউ বুঝলও না। মনে হবে থাক, আমি তো ঠিক ছিলাম ই। নিজেকে পিঠ চাপড়ানো হবে কল্পনায়। আমি ভেবে দেখেছি মন খারাপ থেকে মন ভাল হওয়া শুরু এর মধ্যে ধাপ হয় সাতটা।

১। প্রথমে মানতেই চাই না।
২। তারপর দুঃখ টা মেনে নেওয়ার পর শক টা আসে ট্রাকের মত চাপা দিতে
৩। রাগ হয়, নিজের পক্ষে যুক্তি দাড় করানো হয়
৪। রাগ ক্ষোভ অভিমান সব ডিপ্রেশন এ কনভার্ট হয়, একা থাকতে ইচ্ছা হয় খালি
৫। ডিপ্রেশন এর কারনেই হোক আর একা থাকতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকেই হোক, জীবনটা শান্ত হয় হঠাত। কোন তারা নেই, কোথাউ যাবার নেই মনে হয়
৬। ভাল থাকার উপায় গুলার দরজায় কড়া নারা শুরু হয়। ভাই ভাল থাকা, বাসায় আছেন? চলেন একটু কথা বার্তা বলি। কি কি করা যায় আপনার জন্য আলোচনা করি।
৭। লাস্ট বাট দি ইম্পরট্যান্ট ওয়ানঃ দা “থাক এন্ড আচ্ছা” স্টেজ । মাইনা নেওয়া শুরু হয়, “থাক” যা হবার তা হইসে। “থাক” কি আর করা। “থাক” সবাই ভাল থাক, আমার ভাল থাকার দরকার নাই। “আচ্ছা” তাইলে তাই ই হোক। “আচ্ছা” আর বলবো না কোনদিন। “আচ্ছা” থাকো তাইলে, বাই।

আমি এই ৭ নম্বর এ এত দ্রুত পৌছাতে পারি এখন নিজেরই অবাক লাগে। নিজেকে বুঝায় ফেলি অনেক দ্রুত। বাধ্য ছাত্রের মত বুঝেও ফেলি। সৃষ্টিকর্তার সাথে আমার বোঝা পরা টা অনেক দিন এর কিনা। উনিই আমাকে শিখিয়েছেন উনি কিছু না দিলে সব কিছু শেষ ভাবা ঠিক না। তাই যা পাইনি তা নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দেই আমি। যা পেয়েছি তা নিয়েও ভাবা বন্ধ। শুধু যা পেতে পারতাম গুলো বেশি যন্ত্রণা করলে ভাবতে থাকি, আমার জন্য না। আমার জন্য না। আমার জন্য অন্যকিছু। আবার আমার জন্য কিছুই না।

সব কিছুর ব্যালেন্স তো করতে হবে। এক পাশে সবার সুখ টা থাকুক। আমি আমার পেট ভর্তি অভিমান নিয়ে হোঁৎকা কালো বাঠখারাটাই হই।