লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫ । ১১.১৮ পি এম
আমার মনে হয় ব্যাড গাই আর নাইস গাই এর কচকচানি টা শেষ করা উচিত। ১৭৮ লম্বর নোট এ বলা শুরু করসিলাম একটা ব্যাড বয় এর মধ্যে কি এমন থাকে যা একটা নাইস গাই এর মধ্যে থাকে না। এই প্রশ্ন টার উত্তর খোজার ট্রাই করসি তারপর ১৭৯ আর ১৮০ তে। এরপর আর লিখি নাই। আজকে সেইটার শেষ পর্ব লিখতাসি।
৩ নম্বর পার্থক্যঃ অনিয়ন্ত্রিত
মেয়েটা মুখে যাই বলুক , সে চ্যালেঞ্জ পছন্দ করে। একটা ব্যাড বয় তারে সেই আপিল টা দিতে পারে যাতে সে মনে করে যে এই পোলারে ধারন করার এমন কি বদলানোর ক্ষমতা তার আছে। আসলে আছে কি নাই সেইটা পরে, কিন্তু ব্যাড বয় দের এটিচিউড এ এই জিনিশ টা থাকে যাতে তাদের মনে হয় তাদের কেউ নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। তারা অনিয়ন্ত্রিত বা সেলফ নিয়ন্ত্রিত। সবাই ভাবা শুরু করে, এই ছেলে এত এগ্রেসিভ আর এত কনফিডেন্ট, এরে বশ করবে কে।
এই “বশ” করার চ্যালেঞ্জ টার জন্যই সে মেয়েটার কাছে এত আরাধ্য হয়া ওঠে। সে ঐ স্পেশাল মানুষ টা হইতে চায় যে কি না এই বুনো গরুর গলায় দড়ি পরাইতে পারসে। এই সব ছেলেরা এই ফিল টা দিতে পারে যে , তুমি থাকলে ভাল, না থাকলে সমস্যা নাই, আমি মুভ অন করুম।
আমার কাসে এদের কিছুটা বিড়াল বিড়াল লাগে। এদের অনেক আদর যত্ন খাবার দাবার দিলেন কিন্তু এরা ভাব টা এমন দেখাবে যেন মাঝে মাঝে আপ্নেরে দেখা দিয়া, আপ্নের দেওয়া খাবার খায়া আপ্নেরে বিরাট ধন্য করতাসে। পরের বার এরা হয়ত আবার খাইতে আসবে, অথবা নাও আস্তে পারে। এই শুরু হয় মেয়েটার মাথা খারাপ হওয়া, আয় হায় এ ছুইটা গেলে আমার কি হপে।
উলটা দিকে নাইস গাই কি করে? সে পালা কুত্তার মত একবার এইদিক গিয়া জিনিষ নিয়া আসে আবার ওইদিক গিয়া জিনিশ নিয়া আসে আর মেয়েটার সামনে আইনা লেজ নারায়। যদি মেয়েটা খুশি হয়া কিছু কৃপা করে। এর মধ্যে চ্যালেঞ্জ থাকবে কই থেইকা। এরে লাত্থি দিলেও তো এ আবার আইসা পায়ের কাছেই মুচ্রা মুচ্রি করবে।
এইবার আসি কিছুটা সাহায্য কারি লেখায়। কিভাবে ব্যাড বয় হইবেন?
অনেক নাইস গাই রা শেষ মেষ এই উপসংহারে পৌছায় যে , ও তাইলে এই কাহিনি? ভাল মানুষের কোন মুল্যই নাই দুনিয়াতে ? ঠিক আসে যাও। খারাপ ই হমু। এক্কেরে খারাপের খারাপ হমু। রেজাল্ট কি হয়?
দুই ধরনের রেজাল্ট হয়। এক, কিছু কিছু ছেলে পোশাকে আশাকে চাল চলনে ব্যাড বয় হওয়ার ট্রাই করা শুরু করে। সারা জীবন ঠান্ডা ঠান্ডা গান শুনসে হঠাত কইরা দেখা যায় স্লিপ নট এর ছাপ মারা কালা টি শারট পইরা ঘামতে ঘামতে ঘুইরা বেড়াইতাসে, হাতে হয় তো কবজি থেইকা কনুই পরযন্ত ফুটপাথ থেইকা কিনা রিস্ট ব্যান্ড। টাইট পেন্ট শার্ট পইরা মাথার দুই পাশের চুল চাইছা ফালায় দিসে কেউ কেউ। সাদা, কমলা জুতা পরা শুরু করসে। রকস্টার আর হিপ্সটার আউটলুক এর পার্থক্য গুলায় ফালায় হিক স্টার টাইপ কিছু একটা জগাখিচুরি হয়া গেসে। মদ বা গাঞ্জা খায়া আই এম সো হাই ডুড হয়া যাইতাসে। একটা কিউট দেখতে পাপি ডগ হঠাত স্পাইক অলা কলার পইরা ঘুরলে যেমন লাগবে, এরা নিজেরাও জানেনা এদের ঠিক ওই রকম লাগে।
আরেক পক্ষ ব্যাড হইতে গিয়া হয় গাধা ছিদ্র। এরা হঠাত সাইকো টাইপ আচার আচরন শুরু করে। নিজেরে খুব আনরিচেবল প্রমান করার জন্য এদের দৌড় বড়জোর ফোন পিক না করা পর্যন্ত। এগ্রেসিভ নেস এরা দেখাইতে চায় মেয়েটার গায়ে হাত তুইলা। সেন্স অফ হিউমার এরা বুঝায় ব্যাড জোক আর মোটা দাগের ইন এপ্রোপ্রিয়েট এডাল্ট জোক কইরা। ব্যাড হয়া মানে যে অমানুষ হয়া যাওয়া না এইটা এরা বুঝে না।
থিং ইজ, নাইস হওয়ার মধ্যে ভুল কিছু নাই। প্রব্লেম হইল নাইস গাই হয়া যাওয়ার মধ্যে। ব্যাড বয় দের যেসব দিক গুলা মেয়েটার মধ্যে আপিল টা ক্রিয়েট করে সেই দিক গুলাকে নিজের মধ্যে আনতে হইলে অমানুষ হয়া যাইতে হবে না এইটা মাথায় রাখা দরকার।
আপনি যে ভাল মানুষ আছেন তাই থাকেন। শুধু একটু সারকাস্টিক হইলেন, অনেক বেশি কনফিডেন্ট হইলেন, নিজেকে কিছুটা দুর্লভ বানায় রাখলেন, লুল প্রজাতির না হইলেন, আর যারে চান তার বেপারে ধইর্য্য সহকারে এগ্রেসিভ হইলেন। ব্যাস তাইলেই হবে।
চলন্ত ফিরন্ত আলু হওয়া অফ করেন, পেয়াজ মরিচ সরিষার তেল মাখা ঝাঝালো আলু ভর্তা হন। নাইস গাই হওয়া বন্ধ করেন। স্পাইসি গুড গাই হন।
শুভ কামনা থাকলো।