৩৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ এপ্রিল ৩, ২০১৫ । ৭.৪০ পি.এম

মইম্যারা এক্টু পর চইলা যাবে। সাথে ভাগ্নি গুলাও। দুলাভাই আর ওদের সবার অস্ট্রেলিয়া তে পারমানেন্ট রেসিডেন্সিশিপ হইসে। তাই যাইতাসে গা। আমরা এক্টু পর ওদের সি অফ করতে এয়ারপোর্ট যাবো।

এখন অনেক কিছুই চেঞ্জ হবে। বদ মহিলা সারা জীবনইই ঝামেলা করসে আমার লগে। এখন আমার ব্যাংক অফিস সব জায়গার “ইমারজেন্সি কন্টাক্ট” চেঞ্জ করা লাগবে। কি আজাইরা ঝামেলা। নাইলে দেখা যাইব, এক্সিডেন্ট করসি, মইম্যা রে ফোন দিসে আর মইম্যা কইতাসে, আমি তো এক্টু ক্যাংগারুর কাবাব বানাইতে বিজি আসি, আপ্নে বাংলাদেশ এ ফুন্দেন।

বাসার সাথে আমার যোগাযোগ আরো কমবে। এই বিরক্তিকর মহিলা আমি ফেসবুক এ কি করি না করি সব আম্মারে জানাইত। আম্মারে ফেসবুক ইউজ করা শিখাইসেও এই মহিলা। এখন আম্মা নিজেই সারাদিন আমার প্রোফাইলে উকি মারে। আর আমারে জিজ্ঞেস করে, “ওই মেয়েটা কে রে? সুন্দর আসে”। উফফ।

আমার এই ভইন দা পেইন আবার আহসানউল্লাহ ভার্সিটির টিচার আসিল। আমি শিউর হে ক্লাস এ গিয়া পোলাপান রে রিডিং পড়তে দিয়া হা কইরা ঘুমায় যাইতো। উনি এখন অস্ট্রেলিয়া দেশে গিয়া পি এইচ ডি করবেন, স্কলারশিপ পাইসেন (কলার ধইরা থ্রেট দিসিল প্রফেসর রে)। জীবনে রসুন্ডি, পিয়াজডি কাটলো না, অখন পি এইচ ডি করব। হুদাই।

ভাগ্নি গুলার জন্য বুক টা খালি খালি লাগতাসে। এদের এনাফ স্পয়েল করার টাইম পাইলাম না। এরা জীবনে প্রথম পিয়ানো শিখসে আমার কাসে, ছবি আকা শিখসে আমার কাসে, সেল্ফি তুলাও শিখসে আমার কাসে। ছোট বেলায় গোসল করার সময় এদের রাবার ডাক কিন্না দিসিলাম। এরপর থেইকা আমাকে ডাকে প্যাক প্যাক মামা। এরা বিদেশে বড় টর হয়া যাবে। এই বুড়া হাস রে কি আর মনে রাখবে।

সিংগাপুর এয়ারলাইন্স এই ভুটকি মহিলা রে নেওয়ার জন্য এক্টি বিশেষ কারগো বিমান পাঠাইসেন। এবং এয়ার হোস্টেশ আপা দের মানসিক রুগি হেন্ডেল করার বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হইসে। বাংলাদেশ সরকার এই আপদ বিদায় হওয়া উপলক্ষে কাল্কে সরকারি ছুটি ঘোসনা করসেন।

মনে রাখতে হবে অস্ট্রেলিয়া যদি ডুবে তাইলে তা গ্লোবাল ওয়ারমিং এর জন্য নহে। আমার ভইন দা পেইন (কি)ইসমত জেরিন(জরিনা) মম (মইম্যা) ই উহার জন্য দায়ী। হে ফারা দিয়া ডুবায়ালচে।

৩৪/৩৬৫

লেখার তারিখঃ এপ্রিল ২, ২০১৫ । ১১.২৮ পি.এম

ভোর বলেছিল, ও রাত, এভাবে চলে যাবে? আমি যে মাত্র আসলাম।

ছোট্ট ঘাস ফুল বলেছিল, আচ্ছা আগে না হয় বড় গাছ গুলোই আলো মাখুক গায়ে।

লেজ নাড়তে নাড়তে রুপালি মাছ বলেছিল, ঠিকাছে জাল, তোমাকে জড়ানি দেয়া যাক একটা।

সোডিয়াম আলো বলেছিল, আমি যে আলো তে অন্ধকার মেশাই বুঝতে পারো?

মাটিতে জমা কনফেট্টি গুলো বলেছিল, আমরা কিন্তু উড়েছিলাম, একদিন।

কমলা কমলা বিকেল রোদ বলেছিল, আমি ছুয়ে দেখেছি। ওর গাল নরম।

অফিসের সামনের সাদা কুকুরটা আমার গায়ে দু’পা তুলে দিয়ে বলেছিল, ঘেউ। লেজ নাড়ি, লেজ নাড়ি। ঘেউ।

সকালে মুরগির ছুপ খাই যে হোটেলে, সেই মামা বলেছিল, আরেক্টা রুটি খান, শুকায় যাইতাসেন দিন দিন

পিয়ানো বাজানো লোকটা হঠাত বাজানো থামিয়ে বলেছিল, বাজাবেন?

আবেগ যুক্তি কে বলেছিল, চল ফাইট করি।

আমি ঈশ্বর কে বলেছিলাম, কেন?

হাত ঘড়ি টা কব্জি ধরে বলেছিল, সময় যাচ্ছে। আমি না।

৩৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ এপ্রিল ১, ২০১৫ । ১১.৫৯ পি.এম

একটা ভুল দিন এর জন্য একটা ঠিক ওয়েদার হয়া কি লাব টা হইল। বসুন্ধরার গেট এ নাস্তা উস্তা খায়া অপিশের দিকে হাটা দিসি আর দেখি কি সুন্দর কাল কাল মেঘ। আমি মনে মনে কইলাম হপ ব্যাটা, আইজকা আইসস কিত্তে, আইজকা তো তোগো দেখনের টাইম নাই। আমাদের অফিস থিকা বৃষ্টি দেখন টা মজার। কাচের দেওয়াল তো। বেশ ওয়াইড এঙ্গেল ভিউ পাওন যায়। আমি যখন সকাল বেলার কাজ এ আস্তে আস্তে গলা ডুবাইতাসিলাম তখন দেখলাম চারপাশ অন্ধকার হয়া আসতাসে। বৃষ্টি আসনের এই আগের মুহূর্ত টা বৃষ্টি থেইকা বেশি সুন্দর লাগে। মনে হয় আল্লাহ দিন দেখতে দেখতে বিরক্ত। হঠাত মনে হইল ধুর, সন্ধ্যা কত দেরি, আমার এক্ষন সন্ধ্যা লাগবো। বইলা ফু দিয়া সূর্য টারে এট্টূ ডিম কইরা দিল। আর সকাল ১০ টায় হয়া গেল সন্ধ্যা ৭ টার আলো।

এক দিকে কাজ অন্য দিক এ কাচ। কাচ এর ওইপারে বৃষ্টি। বৃষ্টি খাইতে মজা হইলেও বৃষ্টি খায়া প্যাট ভরবে না তাই কাজ এই ফেরত যাওয়া। মনে মনে বৃষ্টির পানি তে পা নামায়া শব্দ করি আর সাম্নের কলিগ হঠাত লাত্তি খায়া সরি সরি চোখ এ তাকায়। আমি তারে সরি কই। সরি, বাইরে বৃষ্টি আর আমরা অফিস করতাসি। সরি।

সকালের বৃষ্টি টা অভিমানি প্রেমিকার অনুনয় এর মত হইলেও সন্ধ্যা বেলা একদম কোপানি প্রেমিকা হয়া গেসিল। দেখলাম ধুমায়া শিলা বৃষ্টি হইল। মানুষ আর গাড়ী গুড়ির মধ্যে দৌড়া দৌড়ি পইরা গেল। অফিসের লোক জন ও শিলা বৃষ্টি দেখতে আইসা পরসিল কাচের কাছে। একজন বেশ উৎসাহ নিয়া কইল, উয়াউ। শিলা বৃষ্টি হচ্চে ভচ। আমি কইলাম, হ, শিল পরতাছে। তার উৎসাহ তাতেও কমে না। সে জিগাইল, আচ্ছা ভচ, শীলা কখন পরে? আমি কইলাম, পরীক্ষা আসলেই পড়ে। উনি আর কিছু জিগানির সাহস করে নাই।

৩২/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ৩১, ২০১৫ । ১১.০৮ পি.এম

আইয়ুব বাচ্চু ভাই এর একটা গান আছে। উনি ওইখানে বেশ দরদ দিয়া গাইসেন, “গগনের তারা গুলো, নিভে যাওয়া এক রাতে, এলোমেলো জীবনের পথ, হারালো ভুল পথে। হঠাত দেখা তোমার সাথে। তুমি কে? তুমি কে? হবে কি বন্ধু আমার? তুমি কে? তুমি কে?” এই গান ডা আসলে আগের লেখাটার সাথে বেশি যাইত, যেইখানে আমি আম্নে কে নিয়া বেশ ভাবের আলোচনা করসি। ওইখানে আমি কইসিলাম একটা মানুষ দেখলে আমাদের প্রথম জিজ্ঞাসা থাকে, আম্নে কেঠা? আর পরের প্রশ্ন টা থাকে, কি চান?

এই কি চাই লয়াই আজকের ঘুম আনানিয়া আলুচনা। এই আলুচনা পড়লে আপ্নে আরো জানতে পারবেন, কিভাবে পড়তে পড়তে ঘুম আসে। (ইনসেটে বিকট শব্দে হাই তোলার ছবি, ভিডিও সহ 😛 )। অনেক ডিপ থ্রোট (কপিরাইট জিকো ভাই), এন্টেনার উপ্রে দিয়া যাওয়ার মত আলুচনা আছে, তাই আগেই সাবধান করলাম।

আমি কি চাই এইটা আশ্চর্য জনক ভাবে আমার কাছে সবসময় ই একটা জটিল প্রশ্ন লাগে। বিশেষ কইরা এই প্রশ্ন টা যখন প্রেম ভালবাসার ব্যাপারে করা হয়। আমরা পপুলার কালচারে এত বেশি ডুইবা থাকি আমরা অবচেতন ভাবে সবার সব রকমের আচার আচরন এবং বিশ্বাস কে নিজের অজান্তেই “আমি কি চাই” তা ঠিক করার মালিক বানায়া দেই।

আমরা সেক্স, মনোগামি, লাইফস্টাইল, সৌন্দর্য এই সব নিয়া ক্রমাগত পরস্পর বিরোধি বক্তব্য শুনতে শুনতে বড় হই। আমাদের বার বার বলতে বলতে আর দেখাইতে দেখাইতে টেক্সটবুক ডেফিনেশন অফ বিউটি শিখানো হয়। আর বুঝানো হয়, এইডা হইল স্ট্যান্ডারড, বুঝসস। এগুলা এগুলা চাইতে হয়।

মেয়েদের ব্যাপারটা বলতে চাই না । কিন্তু ছেলেরা এগুলা শুনতে শুনতে বড় হয় যে, এইটা প্লে বয়রা করে, এইটা ডিভোটেড ফ্যামিলি ম্যান রা করে, “দি ওয়ান” রে খুইজা বাইর করাই জীবনের একমাত্র উদ্দ্যেশ্য, ওই মেয়েটা হট, এই মেয়েটা হট না, আরে তুই কি বুইজ্জা ওই মেয়েরে লাইক করস? ওর কি আসে? ইত্যাদি ইত্যাদি।

এগুলা যে শুধু বন্ধুরা কয় তা না। ফ্যামিলি থেইকাও অনেক ইনপুট আসে। আমার কাসে মনে হয় এই গুলা তৈরি ই হইসে আমাগো কনফিউজ করার জন্য। আর কেউ যদি সতর্ক না থাকে, যেইটা বেশিরভাগ মানুষই থাকে না, আমরা এই ধারনা নিয়া বড় হই যে আমি তাই চাই যা সবাই মনে করে চাওয়া উচিত। আর আমি যদি বুঝতে না পারি সবাই কি চায়, তাইলে আমি কনফিউজড থাকি আর শেষ মেষ সবার চাওয়ারেই নিজের চাওয়া ভাবতে থাকি।

আমি আসলে কি চাই, ওইটা চিন্তা করার অভ্যাস আমাদের করানো হয় না। কারন আমাদের শেখার প্রসেস্টাই এমন। “আমি বলুম, তুমি শিখবা। শ্যাষ। নিজে খুইজা বাইর করতে যাইয়ো না ভুল হবে।“ আমাদের ভুল করতে দেওয়া হয় না।

যতখন না এই চাওয়া দেশের কোন আইন ভাংতাসে না, ততখন আমরা এইটারে ঠিক ই আসে ধইরা নেই। আর আমি কইতাসিও না যে ফেমেলির কথা মত চায়েন না, নিজের ইচ্ছা মত চান। আমি শুধু এতক্ষণ এর ভেরভেরানি তে এই পয়েন্ট টাই বুঝাইতে চাইতাসি যে,

নিজে কি চান শিওর হন এবং ওইটাতে স্টিক থাকেন। সেইটা পূর্ণ আত্ম বিশ্বাস এর সাথে নিজের চাওয়া বইলা দাবি করতে পারেন, ওই লেভেল এ স্টিক থাকেন। আমার মত, “না মানে ইয়ে মানে ভাল্লাগে তো, হইলে ভালো হইতো তো” এই টাইপ ম্যান ম্যান করলে হইব না।

সাথে সাথে এইটাও মনে রাইখেন যে আমাদের চাওয়া পরিবর্তনশীল। এইটা হবেই। এইটা স্বীকার কইরা নেওয়া টাই সুখ, শান্তি। রালফ ওয়াল্ডো এমারসন (Ralph Waldo Emerson) বইলা এক আম্রিকান ব্যাডা আসে। উনি একজন ফিলোসফার। উনার “Self-Reliance” নামে একটা বিখ্যাত লেখা আসে। ওই খানের একটা লাইন আমার ব্যাপক পছন্দ।

Foolish consistency is the hobgoblin of little minds.

মানে হইল গিয়া, খুদ্র মনা মানুষ গুলা এই চিন্তা দিয়াই প্রতিবন্ধি হয়া থাকে যে তাগোরে হারা জীবন কন্সিস্টেন্ট থাকতে হইব, জীবনেও মন রে চেঞ্জ করন যাইবো না। কারন তাতে হয়তো মানুষ ভুল বুঝতে পারে।

কিন্তু এইডাতে যে হেগো আরো খারাপ হইতাসে ওইডা হেরা বুঝে না। তাই এমারসন চাচায় কইসে, ভুল বুঝলে বুঝুক গা, তবু মন চেঞ্জ হইব না এইডা ধইরা বয়া থাইক্কেন না। আপ্নের ছায়া আর আপ্নের মধ্যে তইলে পারথক্ক কি থাক্লো যদি আপ্নের চাওয়া কি ওইডা না জানেন? জগতে কোন বিখ্যাত মানুষটারে দুনিয়ার লুকজন প্রথমে ভুল বুঝে নাই? এমারসন চাচার কথা গুলা এতই ভাল্লাগসে যে হুবুহু তুইলা দিলাম,

“A foolish consistency is the hobgoblin of little minds, adored by little statesmen and philosophers and divines. With consistency a great soul has simply nothing to do. He may as well concern himself with his shadow on the wall. Speak what you think now in hard words, and to-morrow speak what to-morrow thinks in hard words again, though it contradict every thing you said to-day. — ‘Ah, so you shall be sure to be misunderstood.’ — Is it so bad, then, to be misunderstood? Pythagoras was misunderstood, and Socrates, and Jesus, and Luther, and Copernicus, and Galileo, and Newton, and every pure and wise spirit that ever took flesh. To be great is to be misunderstood”

৩১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ৩০, ২০১৫ । ১১.৪৭ পি.এম

Just Be Yourself এইটার চেয়ে খারাপ উপদেশ মনে হয় দুনিয়ায় আর কিছু নাই। এক টা মানুষ হতাশার শেষ সীমায় পৌঁছাইয়া অনেক আশা নিয়া আপ্নেরে জিগাইলো, ভাই, আর তো পারি না, কি করতাম? আর আপ্নে কেলাইতে কেলাইতে কইলেন, আরে ম্যান, সিয়ার আফ, ঝাস্ট ভি ইউর চেল্প। মুন্ডায় চায় ধইরা রাস্তা থিকা ল্যাম্পোস্ট এর দিকে ছুইড়া মারি। আব্বে বুদ্ধিমান , আমি কি এদ্দিন তুইসেলফ আসিলাম যে অখন থিকা Just Be Myself হমু আর সব ফক ফকা হয়া যাইবো?

তারপর প্রশ্ন থাকে, Just Be Myself যে হমু, আমি আসলে কে? এমন তো না যে আমি আসলে সুপার ম্যান, এদ্দিন ব্যাটম্যান এর ভুমিকা পালন কইরা হতাশ হয়া যাইতাসিইলাম, Just Be Yourself উপদেশ খানা শুনা মাত্রই লাল জাইংগা খান বারান্দার দড়ি থিকা নামায়া প্রাউডলি পেন্টের উপ্রে চাপায়া রাস্তায় বাইর হয়া যামু। আমি খুবি মাইসেলফ হইতে চাই, বিশ্বাস করেন, আপ্নেরে ছুইয়া কইতাসি, আসলেই চাই। কিন্তু তার আগে তো জানতে হইব, আমি কে? আমি যে আমি হমু, ওই আমি টা কেরম?

আমাদের দেশে অপরিচিত কাউরে প্রথমেই যেই ধমকটা দেওয়া হয় তা হইল, “আম্নে কে?” তারপর, “কি চান?” কিংবা “কারে চান?” আমি বেপারটা খেয়াল করি যখন পরিচিত কেউ আমারে অপরিচিত অন্য কারো সাথে পরিচয় করায় দ্যায়। “ইনি হচ্ছেন ইথার ভাই, ইনি প্লেনের ছবি তোলেন”, “ইনি হচ্ছেন ইথার ভাই, ইনি গ্রামীনফোন এ জব করেন”, এই দুইটা সব চেয়ে কমন। এইটা মাঝে মাঝে আমারে ভাবায়। এইটা কেমন মন খারাপ করা বিষয় না ? একটা মানুষ কে, তার পরিচয় হয় সে কি করে তা দিয়া। যে কিছু করে না তাইলে তার কি উপায়? “ইনি হচ্ছেন ইথার ভাই, ইনি কিছু করেন না” এইটা বলবে?

এইটা কমন একটা ব্যাপার যে মানুষ যেভাবে লেবেলিং করতাসে করুক, তা মাইনা নিয়া চুপ চাপ থাকি, ঝামেলা কম। এইটা আপ্নের চাওয়ার উপরো নিরভর করে না। বিশেষ কইরা বন্ধু গো মধ্যে তো আপ্নের একটা লেবেল একবার লাইগা গেলে আর জীবনে সেইটা উঠবো না। কোন ইথার? ওই যে লম্বা কইরা, ব্যাক্কল মতন। কিংবা অমুক আবার কে? ওই যে সারাদিন ক্যাট ক্যাট করে যে মেয়েটা? এইটা থেইকা বাইর হওয়া হয়না বেশিরভাগ সময়ই। বন্ধু রা এমন ই যে কেউ যদি তার ডেসিগ্নেটেড ইমেজ থেইকা বাইর হয়া আলাদা কিছু করার ও ট্রাই করে, সবাই টাইন্যা তারে আবার আগের জায়াগায়ই নিয়া আসবে।

কিন্তু আমার মনে হয় ফরমেট ভাঙ্গা টা জরুরী। আমি আগে রাত তিন্টায় পোস্ট করতাম নোট গুলা। তারপর মনে হইল, নাহ রুটিন হয়া যাইতাসে। তাই সকালে পোস্ট করলাম কয়দিন। এখন আবার রাইত ১২ টার একটু আগে। এতে কইরা আমার মনে হয় না যে আমি একটা রুটিন ওয়ার্ক করতাসি।

চেঞ্জ খুবি ডিস্টারবিং একটা জিনিষ। অনেক অসুবিধা হয়। কিন্তু চেঞ্জ অনেক পজিটিভ এনার্জি নিয়া আসে। ওই জন্য চেঞ্জ দরকার। এইটা যে কোন জায়গায় হইতে পারে। সব সময় রাস্তার এক পাশ দিয়া হাটি, আজকে অন্য পাশে দিয়া গেলাম। সন্ধ্যার আগে অফিস থেইকা বাইর ই হইনা, আজকে বিকাল টা দেখতে আগে বাইর হইলাম। এইভাবে চক্র ভাংতে হবে। নাইলে বড় চক্র তৈরি হবে না।