২২৬/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ১২, ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ১০

আজকের লেখার পর টিউটোরিয়াল লেখা এক্টূ বিরতি দিমু। তারপর আবার টানা দশটা লিখা ফালামু ইনশাল্লাহ। কালকে থেইকা আবার আমার হাবি জাবি লেখা শুরু হবে।

এর আগের লেখায় কইসিলাম এর পর আলুচনা করুম লেন্স লইয়া। কিন্তু মনে হইতাসে লেন্স এর আগে ক্যামেরার ই আরেকটা জিনিষ বুঝন দরকার। সেইটা হইলো “মিটারিং”।

মিটারিং এ যাওনের আগে আরকবার মনে করায়া দেই যে ক্যামেরা কেমতে ফটুক তুলে। এই ফটুকটা দেহেন:

এইহানে দেখন যাইতাসে যে আলোর উৎস থেইকা আলো আইসা সাবজেক্টের উপর পরতাসে। সাবজেক্ট থেইকা আলো প্রতিফলন হইয়া আবার ক্যামেরায় আইতাসে। (ধইরা লন এই ক্যামেরা বাজারের সবচেয়ে নিম্নমানের চাংকি পান্ডে ব্র্যান্ড এর মুবাইলের ক্যামেরা। ) এহন ক্যামেরা এই “প্রতিফলিত আলো”র উপর নির্ভর কইরা ঠিক করতাসে ছবিডা কেরম হইবো। খেয়াল করেন সাবজেক্টের উপর আলো কতটুকু পরতাসে তার উপর কিন্তু ক্যামেরা কিসু করতাসে না, করতাসে কতটুক আলো সাব্জেক্ট এ বাড়ি খায়া বাইর হয়া আইসা ক্যামেরার উপর পরতাসে তার উপর।

আমরাছবি তুলার আগে ফোকাস করি, এই আলো টা মাপি, সেই অনুযায়ি এক্সপোজার ঠিক করি, তারপর ছবি তুলি। এই যে আলো মাপামাপির বিষয়ডা, এইডারে কয় মিটারিং। আর যেই যন্ত্র এই আলো মাপার কামডা করে তারে কয় লাইট মিটার। লাইট মিটার দুই কিসিমের আসে:

১) এক্সটার্নাল লাইট মিটার : হাতে ধইরা আলো মাপা যায় এরম একখান জিনিষ। উপরে ছবিটায় নীল বলটার উপরে ছবি আসে দেহেন। এইডা সরাসরি সাবজেক্টের উপর রাইখা কি পরিমান আলো সাবজেক্টের উপর আইতাসে তা মাপন যায়। একুরেসির হিসাবে এইডা সবচেয়ে ভালা তাই দামটাও সেইরাম। ভবিষ্যতে একখান কিনার ইচ্ছা রাখি। দুআ রাইখেন।

২) ইন ক্যামেরা লাইট মিটার: এইডা ক্যামেরার ভিতরে থাকে। আর এইডা মোটামুটি সব ডিজিটাল ক্যামেরার লগো ফিরি হিসাবে আসে। ভালা ছবি তুলতে হইলে এইডা কেমনে কাজ করে তা বুঝনটা খুব দরকার। তাই লন এট্টু এইডা লইয়া গপশপ করি।

একটু আগেই কইতাসিলাম যে ক্যামেরা প্রতিফলিত আলোর উপর নির্ভর কইরা ছবির এক্সপোজার (এক্সপোজার কি জিনিষ, আগের লেখা গুলায় কইসিলাম) ঠিক করে। কিন্তু সব জিনিষ থেইকা তো একি রকম আলো আসেনা তাইনা? আপনের সবুজ পেন্ট আর গুলাপি শার্ট পরা বন্ধুর ছবি তুলান সময় ক্যামেরা তো কনফিউজড হইয়া যাইবো যে, শার্ট এর থেইকা প্রতিফলিত আলোটারে স্ট্যানডার্ড ধরবো না প্যান্ট এর টা? না কি চিপা দিয়া উকি মারা লাল আন্ডিটারে ধরবো? 😀

এই ধরনের কনফিউশন থেইকা রেহাই পাওয়ার জন্য বিগ গ্যায়ানিরা ইন ক্যামেরা লাইট মিটার ডিজাইন করসে একটা বিশেষ রং থেইকা প্রতিফলিত আলোরে স্ট্যানডার্ড ধইরা। এই বিশেষ রংটা হইলো ১৮% গ্রে।

মানে উপরের রংটা ওয়ালা কোনো বোর্ড যদি সাবজেক্টের উপর ধরেন, তারপর ক্যামেরার এক্সপোজার (শাটর স্পিড, এপারচার, আই এস ও)ঠিক করেন, তারপর বোর্ডটা সরায়া ছবিটা তুলেন তাইলে সেইটা সবচেয়ে পারফেক্ট এক্সপোজারে ছবি তুলা হবে।

তার মানে হইলো ক্যামেরার লাইট মিটার আসলে কালার ব্লাইন্ড। সে সামনে যা দেখে তা আসলে সব ওই ১৮% গ্রে এর সাথে তুলনা কইরা দেখার চেষ্টা করে। এই জন্য যেই ছবিতে কালারের ভ্যারিয়েশন বেশি থাকে সেইখানে মিটারিং ভুল হয় সবচেয়ে বেশি। কারন ক্যামেরার মিটার ই তখন ভুল রিডিং দিতেসে সামনের যেই রংটা ১৮% গ্রে এর কাছাকাছি, তার উপর নির্ভর কইরা।

তাইলে ওখন কি করবেন? ২ টা কাম করতে পারেন। এক, সাথে একটা গ্রে কার্ড লইয়া ঘুরবেন। ছবি তুলনের আগে গ্রে কার্ডের এক্সপোজার নিয়া তারপর ছবি তুলবেন। মাগার খিয়াল রাইখেন, গ্রে কার্ড কইলাম দামি জিনিষ।

অথবা দুই, নিজের হাতের পাতার এক্সপোজার নিবেন। কারন, এশিয়ান হওয়ার সুবিধা হিসাবে আমাদের হাতের পাতা থেইকা প্রতিফলিত আলো প্রায় ১৮% গ্রে এর কাছাকাছি এক্সপোপার দেয়।

যাইকগা মিটারিং বিষয়টা কি তা যদি বুইঝা থাকেন তাইলে আহেন এইটার আরেকটু ভিতরে ঢুকি। আমগো ক্যামরা কয়েক রকম ভাবে মিটারিং করতে পারে। ছবির ধরনের উপর এই রকম গুলা নির্ভর করে। মানে আমি কইতে চাইতাসি যে আপনে যদি বুঝতে পারেন যে কোন ছবি তুলার সময় কোন মিটারিং ব্যবহার করবেন তাইলে ছবিটাও সেরম ভালা হইবো।

১) Evaluative Metering (ইভালুয়েটিভ মিটারিং): ক্যাননের Evaluative Metering অথবা নাইকনের Evaluative/Matrix Metering হইলো এই ক্যামেরা গুলার ডিফল্ট মিটারিং। এই ধরনের মিটারিং এ ক্যামেরা সামনের সিনটারে কয়েকটা জোন এ ভাগ কইরা প্রত্যেকটা জোনের আলো মাপে, তারপর সেইগুলা এনালাইসিস কইরা একটা রিডিং দেয় (মানে ক্যামেরায় দেখায় ছবি আন্ডার এক্সপোজড না ওভার এক্সপোজড হইবো) । এই মিটারিং এর সুবিধা হইলো, যহন আপনে শিউর না যে কোন মিটারিং ব্যবহার করবেন, তহন এইডা মাইরা দিবেন, কাম হইয়া যাইবো । আর অসুবিধা হইলো, ক্যামেরা ওভারওল আলোকিত একটা ছবি তুলে ফলে আলো ছায়ার খেলাটা ঠিক মতো খেলা যায় না। নিচের ছবিটা দেহেন, ইভালুয়েটিভ মিটারিং এ তুলা হইসে। কিন্তু মনে হইতাসে না যে কাঠের উপর আরেকটু ডিটেইল থাকলে ভালা হইতো?

২) Partial Metering/Spot Metering (পারশিয়াল মিটারিং আর স্পট মিটারিং): এই ধরনের মিটারিং এ ক্যামেরা ফ্রেমের একেবারে মাঝখান থেইকা রিডিং লয়। কিসু কিসু ক্যামেরায় ডাইনে/বামে/উপরে/নিচে কোন একটা ফোকাসিং পয়েন্ট সিলেক্ট কইরা দিলে সেই পয়েন্টের রিডিং লয়। যহন আপনের ফ্রেমের বিশেষ কোনো জায়গার আলো আপনে একদম ঠিক ঠাক দেখাইতে চান, বাকি জায়গা মুটামুটি হইলেই হইলো, তখন এইডা ইউজ করবেন। উপরের ছবিটাই পারশিয়াল মিটারিং দিয়া তুল্লে এরম হইবো:

আমি পারশিয়াল মিটারিং ইউজ করি পোর্টেইট তুলতে। তাইলে ব্যাক লাইট আমার সাবজেক্টের চেহারার এক্সপোজার রে কনফিউজড করতে পারে না। আর স্পট মিটারিং ইউজ করি যখন সিন এ শুধু একটা আলোকিত জায়গা থাকে। ধরেন মুমবাতির ছবি অথবা চান্দের ছবি।

Center-Weighted Average Metering (সেন্টার ওয়েটেড এভারেজ মিটারিং): এই ক্ষেত্রে ক্যামেরা ফ্রেমের মাঝখানের এক্সপোজার নেয়, তারে একটা ওয়েটেজ ভ্যালু দেয়, আবার সেন্টারের চারপাশের এক্সপোজার নেয়, একটা ওয়েটেজ ভ্যালু দেয় তয় প্রথমটার চেয়ে কম। এইবার এই গুলার একটার এভারেজ কইরা রিডিং দেয়। যখন সাবজেক্ট ফ্রেমের এক্কেরে মাঝখানে থাকে তহন এইডা সবচেয়ে ভালা কাম করে।

হফফফফফফফফফফফ…. বিশাল লেখা লিখলাম। এল্লা থামি।

২২৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ১১, ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ৯

আগের দিন ফিল্ম আর ফিল্ম এর উপর বেজ কইরা ক্যামেরার প্রকারভেদ আলোচনা করসি। এইবার একটু ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করি।

ডিজিটাল ক্যামেরার হাড্ডিগুড্ডি

ফিল্ম ক্যামেরার প্যাচালটা যদি বুইঝা থাকেন তাইলে ডিজিটাল ক্যামেরার কথাবার্তি গুলান এক্কেরে পানি ভাত মনে হইবো। সোজা হিসাব, ফ্লিমটার জায়গায় খালি একটা সেনসর চিন্তা করেন, ব্যস হইয়া গেল ডিজিটাল ক্যামেরা। তাইলে সেনসর জিনিষটা কি এইটা আগে বুইঝা লই।

সেনসরের আক্ষরিক অনুবাদ হইলো যা কিসু একটা সেন্স করে। এই “কিসু”টা যে কোন “কিসু” হইতে পারে। যেমন ধরেন, মোশন সেনসর নাড়াচাড়া সেন্স করতে পারে, হিট সেনসর গরম না ঠান্ডা হেইডা সেন্স করতে পারে। এইখানে যে সেনসর নিয়া আলাপ হইবো সেইটা হইলো “ইমেজ সেনসর” যেইটা আলো সেন্স করতে পারে। অবশ্য “ইমেজ সেনসর” শুধু আলো সেন্স কেইরা বইয়া থাকেনা, আলোটারে আবার ইলেকট্রিকাল সিগন্যালেও রুপান্তর করতে পারে।


“ইমেজ সেনসর” সাধারনত দুই ধরনের হয়। সি.সি.ডি (CCD = Charged Couple Device) আর সিমোস (CMOS = Complementary Metal Oxide Semiconductor)। নাম,গঠন যেইটাই হোক দুইটারি একই কাম। আলোরে ইলেকট্রিকাল সিগন্যাল বানানো। এরা “ক্যামনে কাজ করে” সেইটা বোঝনের চেয়ে “কি কাজ করে” সেইটার আইডিয়াটা দরকার বেশি । তাই বেশি থিউরিতে গেলাম না।


ধরেন একটা আয়তোক্ষেত্রে বাংলাদেশের সব রাজাকার গুলারে গাদাগাদি কইরা দাড়া করানো হইলো আর আপনে একটা গুলতি লইয়া এক একটারে নিশানা কইরা ঢিলা মারা শুরু করলেন। যার চান্দিতে ঢিলা লাগতাসে হে চিল্লান দিতাসে আর আপনের বন্ধু কেউ একজন ক্যাডায় চিল্লান দিলো হেইডা লিখা রাখতাসে ।


এখানে আপনে হইলেন আলোর উৎস, ঢিলা গুলান হইলো আলোর কনিকা ফটোন,রাজাকারগুলান হইলো ফটো সেনসিটিভ সেল, তাগোর চিল্লানোটা হইলো ইলেকট্রিকাল সিগন্যাল আর আপনের যেই বন্ধু ক্যাডায় ক্যাডায় চিল্লাইলো লিখ্খা রাখতাসে হে হইলো ইমেজ প্রসেসর।


ইমেজ প্রসেসরের কামের কুনো শেষ নাই। এই হালায় ইলেকট্রিকাল সিগন্যালগুলারে পিক্সেল ( পিক্সেল কি সেই বেপারে বিস্তারিত শেষে আসে) বানায়, মেমরিতে সেভ করে, ক্যামেরার মনিটরে দেহায় এমনকি অনুরোধের ফাপরে পইরা ছবি তে কিসু এফেক্টও দিয়া দেয় মাঝে সাঝে। ইমেজ প্রসেসর কতো শক্তিশালি তার উপর ক্যামেরার দামও অনেক নির্ভর করে। যদি আপনের ডিজিটাল ক্যামেরা বা ক্যামেরা ওয়ালা ফোনের ম্যানুয়ালটা কাসাকাসি থাকে তাইলে এটট্টু কষ্ট কইরা ২টা জিনিষ খুইজা বাইর করেন ওইখানে । এক, “সেনসর টাইপ” এ কি লেখা আসে? সিসিডি না সিমোস? আর দুই, “ইমেজ প্রসেসর টাইপ” এ কি লেখা আসে?



যাউকগা আগের লেখাটায় বলতেসিলাম ফ্লিমের কি কি সাইজ হয়। একই রকম ভাবে সেনসরেরও কয়েকরম সাইজ হয়। কি টাইপের ক্যামেরা সেইটার উপর নির্ভর করে সেইটাতে কি সেনসর ব্যবহার করা হইসে। মোবাইল ক্যামেরার ছবি বাসার ডিজিটাল ক্যামেরার মতো সুন্দর আসে না ক্যান?

শুধু মেগাপিক্সেল কম ওই জন্য না কিন্তু। মোবাইল ক্যামেরার ইমেজ সেনসর ছোট আর ডিজিটাল ক্যামেরার ইমেজ সেনসর বড়। আবার আইফোনে কিন্ত ইমেজ সেনসর অন্য মোবাইলের চেয়ে বড় তাই এইটাতে ছবি ভাল আসে।


ফিল্ম এস.এল.আরের কথা এর আগের লেখায় বলা হইসে। এইবার সেইটার ফ্লিমের যায়গায় একটা ইমেজ সেনসর কল্পনা করেন। হইয়া গেলো ডিজিটাল এস.এল.আর বা DSLR। এক এক DSLR এ এক একধরনের সেনসর ব্যবহার করা হয়। ইমেজ সেনসরের সাইজটা যদি একটা ৩৫ মিমি ফরমেট এর ফিল্মের সাইজের সমান (৩৫ মি.মি. বাই ২৪ মি.মি.)বা কাছাকাছি হয় তাইলে সেইটারে বলা হয় ফুল ফ্রেম সেনসর আর ক্যামেরাটারে বলে ফুল ফ্রেম DSLR।


কিন্তু কোন ক্যামেরার ইমেজ সেনসর যদি ফুল ফ্রেম সেনসর এর চেয়ে ছোট হয় তাইলে কি হইবো? তাইলে ফুল ফ্রেম সেনসরে যে ছবিটা পরতো, ছোট সেনসরে তার সেই একি ছবির চারপাশের বর্ডারের কাছ থেইকা কাইটা মাঝখানে যেট্টুক বাচে ততখানি পরবো। টিফিন বক্স যদি পাইরুটির চেয়ে ছুডু অয় তাইলে চারপাশ ফালাইয়া ঢুকাইতে হয় না? ওইরকম আরকি।


এই কাইটা ফেলনের ঘটনাডারে কয় ক্রপিং আর কোন সেনসর কতখানি কাটবো তারে কয় ক্রপ ফ্যাকটর। যেমন আমার ক্যামেরার ক্রপ ফ্যাকটর ১.৬ । এইটার মানে হইলো ফুল ফ্রেম সেনসরের চেয়ে আমার ক্যামেরার সেনসর ১.৬ গুন ছোট।



ক্যামেরার কিননের সময় (অথবা কিন্না ফালাইলে কিননের পরে) ক্যামেরার ক্রপ ফ্যাকটর জানাটা দরকারি। ফুল ফ্রেম ইমেজ সেনসরে ক্রপ সেনসরের তুলনায় কম নয়েজ আর বেশি ডিটেইল ছবি পাওয়া যায়। এই পার্থক্যটা খুব ভাল মতো বোঝা যায় কম আলোয় ছবি তুলতে গেলে। যেহেতু কম আলো সেহেতু আই.এস.ও বাড়াইতে হয়। যেহেতু আই.এস.ও বাড়াইতে হয় সেহেতু নয়েজ আসার প্রবনতা বাড়ে। ইমেজ সেনসর যত বড় হয় সেইটা এই নয়েজকে তত ভালভাবে হ্যান্ডেল করতে পারে।


যেইকারনে ফুল ফ্রেম ক্যামেরায় অনেক হাই আই.এস.ও যেমন ৬৪০০ এ ফটো তুললেও ক্ষেত্র বিশেষে ছবিতে নয়েজ আসে না। কিন্তু একি কাজটা যদি কোন পয়েন্ট এন্ড শুটে করতে যান তাইলে যতই হাই আই.এস.ও সাপোর্ট করুক মোটামুটি ২০০ এর উপরে গেলেই ছবিতে নয়েজ আসা শুরু করবো।

কয়েকটা ইমেজ সেনসরের নাম জাইনা রাখা ভাল। তাইলে পরে মিলায়া দেখতে পারবেন ম্যানুয়ালের সাথে (এইখানে বইলা রাখি ক্যামেরার ম্যানুয়াল পরাটা একটা ফরজ কাজ ) । ফুল ফ্রেম ইমেজ সেনসরের আলাদা কোন নাম নাই, এই নামেই পরিচিত। ক্রপ সেনসরের মধ্যে ক্যাননের প্রো লেভেলের গুলায় ব্যবহার হয় APS-H সেনসর ( ২৮.৭ মি.মি. বাই ১৯ মি.মি.) যেইটার ক্রপ ফ্যাকটর ১.৩। নাইকনের ক্রপ সেনসর ক্যামেরা গুলা শুরু হয় ক্রপ ফ্যাকটর ১.৫ থেইকা। সেনসরের নাম DX । ক্যাননের ক্রপ ফেকটর ১.৫ এর সেনসরের নাম APS-C। সনি আলফা সিরিজের কিসু ক্যামেরায় ১.৫ ক্রপ ফ্যাকটরের সেনসর ব্যবহার হয়। এই APS-C সেনসরের মধ্যে আরেকটা আসে যেগুলা ক্যাননের এন্ট্রি লেভেল ডি এস এল আরে ব্যবহার হয় । এইগুলার ক্রপ ফ্যাকটর ১.৬।


ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ক্যামেরা যাকে আমরা বলি পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামারা বা ছোট ডিজিটাল ক্যামেরা, তার ক্রপ ফ্যাকটর শুরু হয় ৩ থেইকা, যেইটা ৭ পর্যন্ত যাইতে পারে। মোবাইলের ক্যামেরার ক্রপ ফ্যাকটর সাধারনত ১৪ থেইকা শুরু হয়।


ইমেজ সেনসর আর ক্রপ ফ্যাকটর নিয়া এতো কচকচানির উদ্দেশ্যটা যখন ক্যামেরার লেন্স নিয়া কথা কমু তখন বুঝা যাইবো। একই লেন্স, ক্রপ ফ্যাকটরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্যামেরায় ভিন্ন ভিন্ন আচরন করে।

এই তো গেল ৩৫ মি.মি ফরমেটের ডিজিটাল ক্যামেরার কথা। এ ছাড়া মিডিয়াম ফরমেটের ডিজিটাল ক্যামেরাও আসে যেইটার সেনসরের সাইজ ৩৬ বাই ৪৮ মি.মি এর মতো।


পিক্সেল আর মেগা পিক্সেল কি খায় না মাথায় দ্যায়?


ডিজিটাল ক্যামেরায় আরেকটা টার্ম খুব বেশি ব্যবহার করা হয় যেইটা হইলো পিক্সেল। পিকচার এলিমেন্ট বা সংক্ষেপে পিক্সেল হইলো ছবি বানানির ইট। ইমেজ সেনসর আলোরে ইলেকট্রনিক সিগন্যালে রুপান্তরের পর ইমেজ প্রসেসর পিক্সেলের পরে পিক্সেল সাজায়া ছবি টা বানায়। তয় ম্যাক্সিমাম কয়টা পিক্সেল ব্যবহার করতে পারবো সেইটা নির্ভর করবো সেনসরের সাইজের উপর ।

এখন আপনের ক্যামেরা যদি প্রসেসর রে কয় আব্বে ওই ! একটা ১০ মেগা পিক্সেলের ছবি বানা তো । তাইলে প্রসেসর মামায় সেনসরের সাহায্য লইয়া দৈর্ঘ্য বরাবর বসাইবো ৩৮৭২টা পিক্সেল আর প্রস্থ বরাবর বসাইবো প্রতি কলামে ২৫৯২টা পিক্সেল। তাইলে টোটাল পিক্সেল হইবো ৩৮৭২ গুন ২৫৯২ = ১০০৩৬২২৪টা পিক্সেল বা ১০ মেগাপিক্সেল।


তাইলে বুঝতেই পারতাসেন আপনের যেই ক্যামেরাই হোক চেষ্টা করবেন যদি মেমরি থাকে তাইলে অবশ্যই সবচেয়ে ম্যাক্সিমাম পসিবল মেগাপিক্সেলে ছবি তুলবেন।

আইজকা মনে হয় থামি এইখানে। বেশি হইয়া যাইতাসে ।

২২৪/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ১০, ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ৮

গত লেখায় আমি ছবি তুলনের মিডিয়াম এর উপর নির্ভর কইরা ক্যামেরার প্রকারভেদ এবং ফিল্ম এর বিভিন্নতার উপর নির্ভর কইরা ক্যামেরার প্রকারভেদ পড়সি। আজকে আরেকটা প্রকারভেদ পড়ি আমরা।

ফ্লিম ক্যামেরায় ছবি তুলনের জন্য কি ধরনের টেকনলজি ব্যবহার করা হয় সেই ভিত্তিতে ক্যামেরারে কয়েকটা ভাগ করন যায় ( এতো কষ্ট না কইরা ক্যামেরারে তুইলা আছার মাইরাও কয়েকটা ভাগ করন যায়..খিক খিক..কুবুদ্ধির জন্য কতৃপক্ষ দায়ি নন..খিক খিক):

ভিউফাইন্ডার আর রেন্জ ফাইন্ডার ক্যামেরা:

ইটা ডিজিটাল ক্যামেরা আসনের আগে সবচেয়ে চাল্লু ক্যামেরা। খালি ফ্লিম ভরবেন, ফুটা (ভিউফাইন্ডার) দিয়া দেখবেন আর শাটার রিলিজ বাটন টিপ দিবেন । রেন্জ ফাইন্ডার ক্যামেরায় ভিউফাইন্ডারটা ঠিক লেন্সের উপর না হইয়া এট্টু সাইডে থাকে তাই ক্যামেরায় ভিউফাইন্ডারে যা দেহা যায় তার চেয়ে ফ্লিমে যা উঠবো তা এট্টু আলাদা। এইটারে কয় প‌্যারালাক্স ইরর এই ইরর দুর করনের উপায় রেন্জ ফাইন্ডারে থাকে। তয় সেইটা আরেক প‌্যাচাল।


ফিল্ম সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা : সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স বা এস.এল.আর ক্যামেরায় দুইটা প্রধান উপাদান হইলো একটা আয়না আর একটা প্রিজম। আয়নাটা থাকে ঠিক লেন্সের পিছনে আর ফ্লিমের সামনে। এই আয়নাটা সাবজেক্ট থেইকা আসা আলোটারে রিফ্লেক্ট করে উপরে বসানো প্রিজমটার দিকে। প্রিজমটা এই রিফ্লেট হওয়া আলোটারে কেচকি মাইরা পাডায়া দেয় ভিউফাইন্ডারের দিকে আর হেরপর আমরা দেখতে পাই। এখন শাটার রিলিজ বাটনে টিপ দিলে শাটারের লগে লগে আয়নাটাও লাফ দিয়া উপরে উইঠা যায় আর তহন ফ্লিমের উপরে আলো পরে আর ছবি উইঠা যায়। ব্যাপারটা অনেকটা এইরকম:

একটা ফিল্ম এস.এল.আর ক্যামেরায় নিচের হাড্ডি গুড্ডি গুলা থাকে:



ছবিটা তেমন জটিল না । দেখলে বুঝা যাওনের কথা কুনটা কি? তারপরও কিসু না বুঝলে জিগায়েন।

ফিল্ম টুইন লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা : টুইন লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা বা টি.এল.আর এক্কেরে এস.এল.আরের লাহানি কাজ করে তয় পার্থক্য হইলো এইটাতে লেন্স থাকে ২টা। একটা দিয়া ভিউফাইন্ডারে আলো যায় আর আরেকটা দিয়া ফিল্মে আলো যায়। এইটাতেও প‌্যারালাক্স ইরর আসে।




টি.এল.আর দেখতে এইরম:



ভিউ ক্যামেরা: ভিউ ক্যামেরায় ভিউফাইন্ডারটা থাকে ঠিক ফিল্মের পিছনে। লেন্স দিয়া যেই আলোটা ক্যামেরার ভিতরে আসে সেইটা সরাসরি ভিউফাইন্ডারে দেখা যায় তবে উল্টা। ফোকাসিংএর পর ফ্লিমটা লেন্স আর ভিউফাইন্ডারের মাঝখানে নিয়া আসা হয়। এখনো খুজলে গুলিস্থানে এই ধরনের ক্যামেরা দেখা যায় যেইটার প্রচলিত নাম বক্স ক্যামরা। ক্যামরাটার পিছনে একটা পর্দা লাগানো থাকে যাতে ওইদিক দিয়া আলো আইসা ফ্লিমে পরতে না পারে।



এই হইলো গিয়া ফ্লিম ক্যামেরার প‌্যাচালি। ডিজিটাল ফটোগ্রাফি বুঝতে হইলে এইগুলা আগে জানাটা জরুরি। আগামি পাঠে আশা রাখি ডিজিটাল ক্যামেরা আর লেন্স নিয়া কখা কইতে পারুম।

২২৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ০৮ , ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ৭


ফটোগ্রাফির একটা বড় অংশ জুইরা আসে ক্যামেরা আর লেন্স। যদিও বলা হয় ফটো আসলে তৈরি হয় মাথায়, ক্যামেরায় না, তারপরও যেই বন্দুকটা দিয়া গুল্লি করবেন সেইটার ট্রিগারটা কই আসে ওইটাই যদি না জানেন তাইলে ক্যামনে চলবো কন?

দুনিয়ায় যত ক্যামেরা আসে তার সবটিরে আসলে অনেক গুলা ভাবে প্রকারভেদ করন যায়। যদি ছবি তুলনের মাধ্যমটা বা যার উপ্রে ছবি উঠে তা চিন্তা করেন তাইলে দুনিয়া তে ২ রকমের ক্যামেরা আসে:

১) ফিল্ম ক্যামেরা
২) ডিজিটাল ক্যামেরা

ফিল্ম ক্যামেরার প্রসঙ্গে যাওনরে আগে এট্টু ফিল্ম লইয়া কথা কইয়া লই। ফিল্ম এর ভাগ হইলো ৩টা:

১) স্মলফরম্যাটফিল্ম : এইটা সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ফিল্ম টাইপ। জর্জ ইস্টম্যান ছিলেন এই ফরমেট এর ফিল্ম এর জনক। দুকানে ফিল্ম চাইলে যে ফিল্ম দেয় এটার সেই ফিল্ম। এইটার মাপ হইলো

৩৬ মিলিমিটার বাই ২৪ মিলিমিটার।

এইটার প্রচলিত নাম হইলো ৩৫ মি.মি ফ্লিম কারন বর্ডার বাদ দিলে এইটার ছবি তোলার প্রস্থের সাইজ ৩৫ মি.মি। এইটার আবার ৪ রকম আই.এস.ও তে পাওয়া যায়। আই.এস.ও হইলো ফ্লিম অথবা সেনসরের লাইট সেনসিটিভিটি। আই.এস.ও যত বেশি ফিল্ম তত তাড়াতাড়ি আলোর লগে বিক্রিয়া করবো। আই.এস.ও নিয়া আগের পোস্টে আলোচনা করসি মনে লয়, তাই আর বেশি কিসু কইলাম না। ৩৫ মি.মি ফিল্ম ৪ ধরনের আই.এস.ও তে পাওন যায়: ১০০,২০০,৪০০ আর ৮০০। আমার মনে আসে দুকানে ফিল্ম কিনতে গেলে ব্যাটায় হেভি ভাব নিয়া যিগাইতো ১০০ পাওয়ারের টা নিবেন না ২০০ পাওয়ারেরটা? তহন ভাবতাম নিমু যহন কম নিমু ক্যা , ২০০টাই দেন


) মিডিয়ামফরমেটফিল্ম: এইটা অনেকটা বড়লুকগো ফিল্ম, তাই আম জনতার মইদ্যে ব্যবহার কম। এইটার সাইজ হইলো গিয়া

৬ ইন্চি বাই ৬ ইন্চি।

মিডিয়াম ফরমেট আমাগো দেশে বেশি প্রচলিত না কিন্তু ফ্লিকারে খুজলে এরুম অনেক ফটোগ্রাফার বাইবেন যারা খালি মিডিয়াম ফরমেটেই ফটুক তুলে। বাংলাদেশে কিছু ফ্যশন স্টুডিও ফটোগ্রাফার এই ফর্মেটে তুলে বইলা শুনসি। এইটাতে ৩৫ মি.মি. এর চেয়ে ডিটেইল অনেক বেশি পাওন যায়


৩) লার্জফরমেটফিল্ম: এইটা আরো বড়লুকগো ফিল্ম। বিদেশের ব্ড় বড় ফ্যশন ম্যাগাজিনগুলান তাদের কাভার পেজে যে ফটু দেয় তার ৮০% ই এই ফরমেটে তুলা। এইটা সাইজ হইলো

৮ ইন্চি বাই ১০ ইন্চি

আর এইগুলান ৩৫ মি.মি এর মতোন রোল অবস্থায় পাওন যায় না বরং একটা একটা কইরা ক্যামেরায় লাগায়া ফটু তুলা লাগে।

যারা অর্ডে হেপবার্নের ফানি ফেস সিনামাটা দেখসেন তারা হয়তো খেয়াল করসেন সিনামাটার নায়ক একটা ভুমা সাইজের ক্যামেরা দিয়া ফটু তুলে, ওইটাই হইসে লার্জ ফরমেট ফিল্ম ক্যামেরা। এই ফিল্মে তোলা ছবির ডিটেইল দেখলে মাথা খারাপ হইয়া যায়।


আরো কিছু স্পেশাল টাইপের ফিল্ম আসে তয় সেগুলা ঠিক তেমন প্রচলিত না তাই এইখানে আর বল্লাম না।

ফিল্ম যেহেতু তিন রকম তাই ক্যামেরাও তিন রকম:

১) স্মলফরম্যাটফিল্মক্যামেরা

২) মিডিয়ামফরম্যাটফিল্মক্যামেরা

৩) লার্জফরম্যাটফিল্মক্যামেরা


ক্যামেরা নিয়া আরো অনেক প্যাচাল বাদ আসে। কিন্তু আজকের জন্য ইনফরমেশন ওভারলোড হয়া যাবে। আবার কালকের লেখায় ক্যামেরা এবং এর বেসিক কার্যপদ্ধতি নিয়া লিখব নে।

২২২/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ০৭ , ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ৬

ফটোগ্রাফি তে দুইটা দিক আসে। একটা হইল এর টেকনিক্যাল(Technical ) দিক। যেইখানে ফটোগ্রাফির বেসিক, টেকনিক্স, কারিগরি ইত্যাদি ব্যাপার স্যাপার গুলা আছে। আরেকটা দিন হইল এর এসথেটিকস (Aesthetics) দিক। এসথেটিকস বাংলা করলে হয় নন্দনতত্ত্ব। আমরা আগের ৫ টা লেখায় অনেক টেকনিকাল ব্যাপার নিইয়া আলোচনা করসি। আজকে এক্টূ টাইম দেই অগুলারে মাথায় সিঙ্ক ইন করতে। আর আমরা এসথেটিকস নিয়া কথা কই।

একটা জিনিস সুন্দর লাগে, ক্যান সুন্দর লাগে। ক্যান একটা ছবি ভালল্লাগে ক্যান একটা ছবি ভাল্লাগে না। এই গুলাই নন্দনত্তত্ব। এই জিনিষ্টা মানুষ থেকে মানুষে চেঞ্জ হয়। আপনার কাছে যেইটা সুন্দর সেইটা আরেকজন এর কাছে হয় তো সাধারন। এইটা সব সময় ই ছিল , সব সময় ই থাকবে।

কিন্তু মাথায় রাখতে হবে ফটোগ্রাফি তে যত টা না আপনি কি দেখেন তার চেয়ে অনেক বেশি “দেখানো”। যেমন আকাশ ভর্তি অনন্ত নক্ষত্র মালা। দেইখা আপ্নের ভিত্রে কি জানি নইড়া চইড়া গেল। আপনি আপনার দুই মেগা পিক্সেল এর চাইনিজ মোবাইল বাইর কইরা আকাশের দিকে তাক কইরা ফ্ল্যাশ অন কইরা দিলেন টিপ। মোবাইল রে ধন্য কইরা ঘন কাল নয়েজ এ ভরপুর কালা পর্দা উঠলো একটা। আপনি নিচে লিখে দিলেন , আমার ছবি তে মিল্কি ওয়ে। ফটো টেকেন বাই মি। কপিরাইট বাই মি। ছবির কুনায় লিখলেন (c) কুদ্দুছ+জুলেখা ফটোগ্রাফি। তাইলে কি যা দেখলেন তা দেখানি হইল? আপনি যা ফিল করলেন তা ফিল করাইতে পারলেন ছবি দিয়া?

আমরা ফটোগ্রাফি টা সময় নিয়া আগ্রহ নিয়া শিখি এই কারনেই। যাতে আমার এসথেটিকস সেন্স আর আমার হাতের ক্যামেরার তোলা ছবির মধ্যে গ্যাপ টা যতটা পারা যায় কমায় আনা যায়। যাতে যা তুলতে চাইতেসি তা তুলতে পারি। যাতে যা দেখাইতে চাইতেসি তার তুলার জন্য কি করতে হবে সেইটা জানি, যাতে ক্যামেরার উপর , আলোর উপর আরো কন্ট্রোল আসে।

এই যে আমরা প্রতিদিন কতকিসু দেখি, এই দেখা জিনিষটা কি আসলে সবার একরকম? না । এক এক জন এক ভাবে একটা বিষয়রে দেখে, দেখতে পছন্দ করে । রাস্তার জ্যাম যখন আমরা বুঝাইতে চাই তাইলে যে ছবিটা আসে তা হইলো একটা এরিয়াল ভিউ, উপর থেইকা দেখা একটা লম্বা গাড়ি/রিকশা/বাসের সারি। আবার র্বষার ফুল বুঝাইতে চাইলে আমরা কিন্তু উপর থেইকা তোলা কদমগাছের ফটুক দেইনা, বরং অনেক কাছ থেইকা তোলা ২টা কদমফুলের ছবি দেই। কারন আমরা এমনেই দেখতে পছন্দ করি।

টেকনিকাল বেপার গুলার বাধা টা পার হয়া আসার পর আমাদের যেই দিক্টায় পুরা মনোযোগ দিতে হয় তা হইল ছবির কম্পোজিশন। মানে আমার ছবির ফ্রেমে যা যা আসে সেগুলারে আমি কিভাবে সাজামু সেই টা।

সুজা কইরা কইতে গেলে কম্পোজিশন মানে হইলো সাজানো। আপনার মনের চোখ যা দেখে সেইটা কিভাবে একটা ছবিতে দেখাইবেন আর সে জন্য ছবির উপাদান গুলারে কেমনে সাজাইবেন সেইটাই ফটোগ্রাফিতে কয় কম্পোজিশন। যেহেতু আপনার দেখার চেয়ে ক্যামেরা একটু ভিন্ন ভাবে দেখে, তাই কম্পোজিশনের টেকনিক গুলা জানা থাকলে, ক্যামেরারেও আপনার মতোই দেখাইতে পারবেন।

কম্পোজিশনের কয়েকটা নিয়ম নিয়া এখন কথা বলি । কিন্তু এই গুলাই শেষ না। এইগুলা হইসে কয়েকটা রং পেনসিল মাত্র, যে গুলা দিয়া ছবি বানানোর দায়িত্ব আপনার। আরও অনেক রং এর পেনসিল আসে যে গুলা যত ছবি দেখবেন, ছবি তুলবেন তত বুঝতে পারবেন। আমি আমার স্টুডেন্ট দের বলি, কম্পোজিশন এর কোন নিয়ম নাই শুধু কিছু এলিমেন্ট আছে। এগুলার এক বা একাধিক এলিমেন্ট ব্যাবহার কইরা আমরা একটা ছবি কম্পোজ করি।



১) ছবির সাবজেক্ট ঠিক করা

সিরিয়াসলি ছবি তুলার প্রথম প্রথম আমরা সবাই যেটা করি সেটা হইল একটা কিছু পছন্দ হইলেই সেটার সামনে ক্যামেরা নিয়াই ক্লিক। কিন্তু পরে ছবিটা দেখলে নিজের কাছেই আর ভাল্লাগেনা, মনে হ্য় এউটা ক্যান তুলসিলাম হুদাই…তাই সবার আগে দরকার একটু চিন্তা করা, আপনি ঠিক কি দেখাইতে চাইতেসেন ছবিতে? আমি নিজে যা করি তা হইসে, ছবি তোলার আগে যদি আমার মনে হয় আমি যেমনটা দেখাইতে চাইতেসি সেইটা আমার চোখে দেখা সম্ভব হইলেও ছবিতে আনা সম্ভব কি না? না হইলে আর তুলি না। কি দরকার? সব ছবি তুলতে হবে এমন তো কনো কথা নাই। নিজেরে এইটুক স্বাধীনতা উপভোগ করতে দিয়েন, নাইলে আমি অনেকেরে দেখসি অনেক তাড়াতাড়ি হতাশ হইয়া পরতে।

একটা উদাহারন দেই, ধরেন আপনি চান বিস্তির্ন পর্বতমালার ছবি তুলতে কিন্তু আপনার কাছে পুরাটা ফ্রেমে আনার মতো ক্যামেরা/লেন্স নাই, শুধু একটা পয়েন্ট এন্ড শুট অথবা মোবাইলের ক্যামেরা আছে। আপনি যদি হোটেলের সামনে থেকে সেই পর্বতমালার দিকে ক্যামেরা তাক করে শাটার টিপে দেন তাহলে যে ছবিটা উঠবে, সেইটার কি আসলেই কোন দরকার আছে আপনার? কি উঠবে সেই ছবিতে? হয়তো অনেক শার্প কিছু গাছপালা আর দুরে প্রায় দেখাই যায় না এমন কিছু একটা যেটাকে আপনাকে ফেসবুকে ট্যাগ কইরা বুঝায় দিতে হবে যে “ইহা পর্বত”।

আমার মুল পয়েন্টটা হইলো কি আসলে তুলতে চান (মানে ছবির সাবজেক্ট), সেইটা আগে ঠিক করেন তারপর দেখেন আপনার ক্যামেরা আদৌ সেইটা তোলার ক্ষমতা রাখে কিনা।

২) ফোকাল পয়েন্টকে একা করে দেন (Isolate the Focal Point)

কিছু কিছু ছবি তে এইটা বেশ কাজে দ্যায়। বিশেষ কইরা নতুন নতুন ফটোগ্রাফি শুরু করলে আমরা অনেক বেশি জুম ইন করি। যতই দিন যায় আমাদের ফ্রেম ওয়াইড হয় আস্তে আস্তে। কিন্তু টাইটেল পইড়াই গ্রুপ ছবি তে সবাইরে আলাদা করা শুরু কইরেন না।

ছবি তোলার সময়, সাবজেক্ট ঠিক করার পর চেষ্টা করেন সাবজেক্টটাকে ছবিতে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন কইরা তুলতে। সেইটা করতে হইলে আপনারে সাবজেক্টকে রাখতে হবে ফোকাল পয়েন্টে। জিগান ফোকাল পয়েন্ট কি? সহজ ভাষায় লেন্সের সামনের যেই পয়েন্ট থেইকা আলো আইসা লেন্সের পিছনে সবচেয়ে স্পষ্ট রিফ্লেকশন তৈরি করে সেই পয়েন্টটা।


ফোকাল পয়েন্টে যা থাকবো, সেইটা ছবিতে সবচেয়ে বেশি শার্প আসবো। আর আশেপাশের গুলা তাদের অবস্থান অনুসারে কম শার্প আসবো। অনেক সময় সাবজেক্টকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য আশে পাশে বা সামনে পিছনে কিছু আনশার্প এলিমেন্ট রাইখা দেয়া হয়।

ছবিতে যদি অনেক বেশি ফোকাল পয়েন্ট থাকে তাইলেও অনেকে কনফিউজড হয় যে আসলে ছবিটাতে কি বুঝানো হইসে। তাই চেষ্টা করেন ছবিতে ফোকাল পয়েন্ট যতটা কম রাখা যায়…অবশ্য এই নিয়মটাও ভাঙা হয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যেমন গ্রুপ ফটো আর ল্যান্ স্কেপ। যে পর্বতের ছবিটার কথা বল্লাম শুরু তে, সেইটার এমন ঝাপসা ফটো না তুইলা সুর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন, এরপর পাহারের একটা সিলুয়েট তুলেন, যেইটা যে কোন ক্যামেরায় সম্ভব।


৩) রুল অফ থার্ডস

এইটা অনেক বার শুনতে হবে আপনার ফটোগ্রাফি লাইফ এ। যে কিছুই পারে না, সেও রুল অফ থার্ড পারে। তাই এইটা আপ্নের জানা উচিত।

নতুন নতুন ছবি তোলার উৎসাহে অনেকেই খেয়াল করেনা যে ভিউফাইন্ডারে/ক্যামেরার স্ক্রিনে কি দেখা যাচ্ছে। রুল অফ থার্ডস এই সব ফটোতে ব্যালেন্স আনতে অনেক সাহায্য করে। যদিও ৩য় স্থানে লিখতেসি কিন্তু আমি মনে করি এইটা ফটোগ্রাফির অন্যতম মুল্যবান একটা কম্পোজিশন এলিমেন্ট।

এইটা মনে রাখাও অনেক সহজ। ছবির ফ্রেমে “#” এইরকম চারটা লাইনের একটা গ্রিড চিন্তা করেন। লাইন গুলা যেখানে ক্রস করে সেইগুলাকে বলে “গোল্ডেন সেকশন”। চেষ্টা করেন আপনার সাবজেক্টকে গোল্ডেন সেকশন ৪টার যে কোন একটাতে রাখতে।


আপনি যদি এই নিয়মগুলা মাথায় রাইখা কিছু ভাল ছবি দেখেন, দেখবেন ৭৫% ফটোগ্রাফার এই নিয়মটা অনুসরন কইরা ছবি তুলসে। প্র্যাকটিস করলে এই নিয়মটা অনেকটা ইনটুইশনের মতো মাথায় ঢুইকা যায়। এইটা ফলো করেন, দেখেন আপনার ছবির কোয়ালিটি ভাল হয় কি না।

আপাতত এইটুকুই থাক… কম্পোজিশন নিয়া আরো কথা বার্তা আছে। কিন্তু প্রথম কিস্তি এই পর্যন্তই। আমরা টেকনিক্যাল দিক দিয়া আরেকটু আগায় নেই। তারপর আবার কম্পোজিশন এর আলোচনায় ফেরত আসবো।

২২১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ০৬ , ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ৫

যেহেতু টার্ম গুলা মোটামুটি জানেন, তাইলে এখন আমি বলতে পারি এক্সপোজার (Exposure) হইল অ্যাপারচার(Aperture), শাটার স্পিড(Shutter Speed) আর আই.এস.ও(ISO) এই তিন এর কম্বিনেশন। এই তিনটারে কমায়া বা বাড়ায়া একটা ফটোরে আপনি কারেক্ট এক্সপোজারে তুলতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হইলো কারেক্ট এক্সপোজার(Correct Exposure) কি? কারেক্ট এক্সপোজার হইলো একটা সাবজেক্ট থেইকা যেই লাইট টা রিফ্লেক্ট করতাসে, ঠিক ওই লাইটটারেই ফ্লিম/সেনসর বন্দি করা। এর চেয়ে কম লাইটও না, বেশী লাইটও না ।

ছবিতে যদি বেশী লাইট চইলা আসে তাইলে কি হইবো? তাইলে ছবিটা এট্টু সাদা সাদা হইয়া যাইবো বা ওভার এক্সপোজ্ড (Over Exposed) হইবো। আর যদি মূল আলোটার চেয়ে কম আলো ফ্লিম/সেনসরের উপর পরে তাইলে ছবিটা এট্টু অন্ধকার আসবো বা আন্ডার এক্সপোজ্ড (Under Exposed) হইবো ।

এখন একটা ছোট্ট বাড়ির কাজ দেই। আজ প‌র্যন্ত যতো ছবি তুলসেন, সেগুলা নিয়া একটু বসেন। এরপর প্রত্যেকটা দেইখা দেইখা একটু চিন্তা করেন যে, ছবিটা কি ওভার এক্সপোজ্ড না আন্ডার এক্সপোজ্ড না ওই সময় ওইখানে যে আলোটা ছিলো তাই আসছে? ছবি গুলা জুম কইরা দেখেন ছবিতে গ্রেইন বা নয়েজ আসছে কিনা। গ্রেইন থাকলে বুঝতে পারবেন ওই সময় ক্যামেরার আই.এস.ও খুব হাই হইয়া গেসিলো। অটো মোডে তুললে ঠিক এক্সপোজার পাওয়ার জন্য, ক্যামেরা নিজে নিজেই আই.এস.ও হাই কইরা দেয়। তাই ছবিতে গ্রেইন চইলা আসে।

নিশ্চই এই প্রশ্নটা এতক্ষনে ভাবা শুরু করসেন যে, ছবি তোলার পর তো বুঝতাসি কিন্তু ছবি তোলার সময় কেমনে বুঝুম যে ছবিটা আন্ডার/ওভার এক্সপোজ্ড হইতাসে কিনা ? এইটা আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে যেই যন্ত্রটা, তার নাম “লাইট মিটার”। লাইট মিটার আপনার ক্যামারার লগে আলাদা কইরা কিনতে হইবো না। যদিও আলাদা কিন্তে পাওয়া যায়, কিন্তু সব ক্যামেরাতেই একটা বিল্ট ইন লাইট মিটার থাকে। সেইটা দিয়া কেমনে লাইট মাপন যায় আর ঠিক এক্সপোজারে ফটুক তুলন যায় সেইটা আমরা এখন দেখুম।

আসেন তাইলে পরথমে দেখি লাইট মিটার কেমনে কাজ করে আর এইডা দেখতেইবা কেমন। এক এক ক্যামেরাতে লাইট মিটারের ইন্ডিকেটর এক এক রকম থাকে যদিও সবগুলার কাজ একি। লাইট মিটার একটা সিনের লাইট মাপে আর আমাদের এক্সপোজার দেখায়। আপনি যদি ক্যামেরা টারে মেনুয়াল মোড এ রাইখা, সাবজেক্টের দিকে ক্যামেরা তাক কইরা, যে সুইচটা টিপ দিলে ফটো উঠে (এইটারে কয় Shutter Release Button) ওইটাতে পুরা টিপ না দিয়া অর্ধেক টিপ দেন, তাইলে ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরায় ডিসপ্লেতে ধরা যাক নিচের মতো একটা কিসু দেখাইবোঃ

এর মানে হইলো ক্যামেরার লাইট মিটার সামনের আলোটারে মাপসে, আর দেখাইতাসে যে, ঠিক এক্সপোজারের চেয়ে একটু কম আসে এক্সপোজার। যেহেতু কাটাটা মাইনাস “-” এর দিকে তারমানে ক্যামেরায় আলো কম ঢুকতাসে। তাইলে আলো বেশি ঢুকাইতে হইলে আমরা কি করুম? ৩টা কাজ করন যায়:

এক) এপারচারটা আরেকটু খুইলা দেওন যায়। মানে এখন f এর যেই ভ্যালু দেখাইতেসে (ধরেন f/4) তার চাইতে এক স্টপ কমায় f/2.8 করন যায়। আশা করি মনে আসে যে f এর ভ্যালু যত কমে এপারচার তত বড় হয়। এপারচার খুলা মানে বেশি আলো ঢুকা। সো মিটার এর কাটে ডানে সরবে যদি এপারচার কমাই মানে এক্সপোজার বাড়বে।

দুই) শাটার স্পিড এক স্টপ কমায় দেয়ন যায়। যদি 1/125 থাকে তাইলে 1/100 করন যায়।

তিন) আই.এস.ও এক স্টপ বাড়ায় দেওন যায়। যদি iso 200 থাকে তাইলে iso 400 করন যায় (ডিজিটাল এ)

এই ৩টা করার কোন সিরিয়াল নাই। প্রয়োজন অনুসারে, কোনটা বাড়াইতে আর কোনটা কমাইতে হবে এইটা ঠিক করা হয়। এইখানে “প্রয়োজনটা কি” এইটা ৩টা জিনিষ বুঝানোর সময় কিছুটা বলসি, সামনে আরো বলবো। উদাহারন হিসাবে বলা যায়, আপনে চাইতাসেন ছবিতে একটা ফোয়ারার পানি ফ্রিজ করতে। এইখানে এক্সপোজার ঠিক করতে গিয়া আপনে যদি শাটার স্পিড কমায় দেন তাইলে তো আর ফ্রিজ হইবো না। তাই কমাইতে হইবো f ভ্যালু অথবা বাড়াইতে হইবো আই.এস.ও।

আপনাদের বাড়ির কাজ হইল, পাচ টা ছবি কারেক্ট এক্সপোজার এ তোলা। আজকে তাইলে রাকি। বাই বাই।

২২০/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ০৬ , ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ৪

আর একটা ছোট্ট জিনিষ বাকি এক্সপোজার নিয়া আলোচনার আর সেইটা হইলো ISO

আই.এস.ও (ISO)

ছোট্ট নাম হইলেও এর ক্ষমতা ব্যাপক। আই.এস.ও নামের ইতিহাস না বইলা সরাসরি চইলা যাই জিনিষটা কি সেইটাতে ।

আই.এস.ও হইলো ফ্লিম বা সেনসর কতটা Light Sensitive বা আলোক সংবেদী সেইটা । একটা ফ্লিম যদি “বেশী আলোক সংবেদী” হয় তাইলে কি হইবো? তাইলে ওইটা কম আলো পাইলেই আলোর সাথে রিয়েকশন ঘটাইতে পারবো। আর যদি “কম আলোক সংবেদী” হয় তাইলে কি হইবো? তাইলে এইটাতে রিয়েকশন ঘটাইতে হইলে অনেক বেশি “পরিমান” আলো বেশি “সময়” ধইরা ফেলা লাগবো। আশা করি সময় আর পরিমান ক্যামারায় কি দিয়া কন্ট্রোল করন যায়, সেইটা এখন জানেন। মনে না থাকলে কই, “পরিমান” কন্ট্রোল করন যায় Aperture দিয়া আর সময় কন্ট্রোল করন যায় Shutter Speed দিয়া।

জিনিষটা অনেকটা এইরকম যে, আমার অনেক কাতুকুতু। কেউ আমারে কাতুকুতু দেওনের ভাব কইরা চোখের সামনে আঙ্গুল নারাইলেও আমি লাফ দিয়া উঠি। অথচ গন্ডাররে এই কামটা করতে গেলে আপনারে পাত্তাও দিবনা। এর মানে হইলো আমি বেশি কাতুকুতু সংবেদী, আমারে হাসাইতে হইলে কম কাতুকুতু দিলেই চলে। আর গন্ডার মামু কম কাতুকুতু সংবেদী, তারে হাসাইতে বেশী কাতুকুতু দেওন লাগে ।

যাউকগা আই.এস.ও তে ফিরা আসি। ফ্লিম ক্যামেরার ক্ষেত্রে , আই.এস.ও জিনিষটা হইলো ফ্লিমের একটা প্রপার্টি। ফ্লিম কেনার সময় দোকানদাররে হ্য়তো বলতে শুনসেন ১০০ পাওয়ারের ফ্লিম, ২০০ পাওয়ারের ফ্লিম। ফ্লিমের গায়েও লেখা থাকে।এই ১০০ বা ২০০ ই হইলো ওই ফ্লিমটার আই.এস.ও। ডিজিটালের ক্ষেত্রেও একি জিনিষ শুধু ফ্লিমের জায়গায় সেনসর থাকে।

আই.এস.ও এর মান যা যা হইতে পারে তা হইলো

১০০

২০০

৪০০

৮০০

১৬০০

৩২০০ ইত্যাদি।

খেয়াল করেন এপারচার আর শাটার স্পিডের মতো, আই এস ও বাড়াইলে বা কমাইলে এক্সপোজার ডাবল বা অর্ধেক হওয়ার ব্যাপারটা এইখানেও আছে।

আই.এস.ও ১০০ মানে কম আলোক সংবেদী আর ৮০০ মানে বেশী আলোক সংবেদী। তো যেখানে অনেক বেশী আলো আছে (যেমন বিয়া বাড়ি বা সূর্যোজ্জল দিন) ওই খানে তো আমার বেশী লাইট সেন্সিটিভিটির দরকার নাই, তাই আমরা আই.এস.ও ১০০ বা ২০০ ব্যবহার করি। আবার ধরেন ঘুমন্ত আন্ধার রাইতে জলন্ত মুমবাতির ফটুক তুলতে গেলে আই.এস.ও বাড়ায়া ৮০০/১৬০০ করন লাগতে পারে। কারন কম তেলে করকরা ভাজার মত তখন কম আলোতে বেশি ফটুক দরকার।

আই.এস.ও বাড়ানির একটা সাইড এফেক্টও আসে। সেইটা হইলো, আই.এস.ও যতো বাড়াইবেন, ছবিতে grain বা noise ততো বেশি আসবে। তাই আই.এস.ও বাড়ানির সময় খিয়াল কইরা বাড়াইতে হইব।

একটা Canon G12 ক্যামেরায় ISO বাড়ানোর এফেক্ট এই রকমঃ

Aperture এবং Shutter Speed একি রাইখা শুধু ISO চেঞ্জ করলে দেখেন ছবিতে আলো কেম্নে বাড়তাসে। কারন তখন সেন্সর বেশি আলো ধরতে পারতাসে।

সেম ফ্রেম এর ছবি বিভিন্ন ISO তে। নয়েজ বাড়ার ব্যাপারটা খেয়াল করেনঃ

এই ছিল এক্সপোজার কন্ট্রোল করার তিনটা এলিমেন্ট। Aperture, Shutter Speed আর ISO. এই তিন এলিমেন্ট রে মাখায়া মুখায়া কেম্নে একটা ফটো রে কারেক্ট এক্সপোজার এ তুলন যায় তা আমরা আগামি লেখায় শিখবো।

২১৯/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ০৫ , ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ৩

গত দুই টা লেখায় আমরা শিখসি Exposure কি আর Exposure এর যে তিনটা নিয়ন্ত্রক আছে তার প্রথম টা যা ছিল Aperture. আজকে শিখবো ২য় টা যা হইল Shutter Speed ।

শাটারস্পিড (Shutter Speed)

আপনের বাসায় জানলা আসে না ? ওই জানালায় পরদা আসে না? অ্যাপারচার যদি হয় এই জানালার সাইজ তাইলে শাটার হইলো সেই জানালার পরদা । যেই আলু মিয়া (Light) লেন্সের গ্লাস এর ভিতর দিয়া আইসা, অ্যাপারচার টারে পাস করার পর, ক্যামরার ভিতরে আসলো, তিনি কতক্ষণ ক্যামরার ভিতরে থাকবেন সেইটা ঠিক কইরা দেয় শাটার স্পিড ওরফে “পর্দার গতি” ভাইজান।

এইডাতো আবুলেও (মাল ছাড়া আবুল) বুঝে যে, পর্দা যদি অল্প সময় খুইলা রাখি তাইলে ঘরে আলো কম সময় ধইরা ঢুকবো, আর পরদা যদি সারা জীবনের লাইগ্গা খুইল্লা রাখি তাইলে দিনের বেলায় আলো ঢু্কতেই থাকবো, মানে বেশি সময় ধইরা ঢুকবো। (আর রাইতে ঢুকবো মশা ) ।

শাটার স্পিডের একক হইলো সেকেন্ড (second)। যদি কই, শাটার স্পিড 1/4 second তার মানে হলো, আলোটা ১ সেকেন্ডের ৪ ভাগের এক ভাগ সময় মাত্র ক্যামেরার সেনসর অথবা ফ্লিমের উপর পড়বে।

আবার যদি শাটার স্পিড হয় 8 second তাইলে সেনসর অথবা ফ্লিমের সামনের পর্দাটা ৮ সেকেন্ড ধইরা খুলা থাকবো। অনেক সময় একটা কথা শুইনা থাকবেন কাউরে কাউরে কইতে যে “ফটুকটা স্লো শাটার স্পিডে তোলা হইসে”। স্লো শাটার স্পিড মানে হইলো এট্টু আইলশা টাইপের শাটার এর স্পিড যেই শাটার কিনা বন্ধ হইতেই চায়না। খুলার পর অনেক সময় ধইরা খুলা থাকে, আস্তে ধীরে লাগে, তাই এইটারে বলে স্লো শাটার স্পিড।

একটা ক্যামারায় শাটার স্পিডগুলা সাধারনত এইরকম থাকে :

1/8000 s
1/4000 s
1/2000 s
1/1000 s
1/500 s
1/250 s
1/125 s
1/60 s
1/30 s
1/15 s
1/8 s
1/4 s
1/2 s
1 s
2 s
4 s
8 s
B – এইডা মানে বাল্ব। এইডা সিলেক্ট কইরা যতক্ষন বাটন টিপ্পা রাখবন ততক্ষন শাটার খুলা থাকবো, বন্ধ হইবো না। ছাইড়া দিলেই বন্ধ হয়া যাইবো।


উপরের ভ্যালু গুলা এক্টু খিয়াল কইরা দেখেন, উপরে বা নিচে যাইতে শাটার স্পিড হয় ডাবল হইতাসে, না হয় অর্ধেক হইতাসে। যেমন ১/২ সেকেন্ড থেইকা বারলে হয় ১ সেকেন্ড (Double Speed) আর ১/২ সেকেন্ড থেইকা কমলে হয় ১/৪ সেকেন্ড (Half Speed)। এই অর্ধেক আর ডাবল হউনের সম্পর্কটা অ্যাপারচারেও আসে। আগের লেখা টা বাইর কইরা দেইখেন খেয়াল কইরা। সামনে যখন আই.এস.ও নিয়া কথা কমু তখন দেখবেন ওইহানেও একই তামশা।

এই এক ধাপ এক্সপোজার বাড়ানি বা কমানি রে বলে এক্সপোজার এক স্টপ বাড়ানি বা এক স্টপ কমানি। উপরের প্যারাগ্রাফ টা যদি বুইঝা থাকেন তাইলে এই টা নিশ্চই বুঝসেন যে, এক্সপজার এক স্টপ বাড়ানো বা কমানো মানে এক্সপোজার দ্বিগুণ বা অর্ধেক করা। ডিজিটাল ক্যামেরায় এই দ্বিগুণ বা অর্ধেকের মধ্যে আরো কিছু স্টপ থাকে। এগুলারে বলে হাফ স্টপ। যেমন ১/১৫ সেকেন্ড এর ১/৩০ সেকেন্ড এর মদ্ধ্যে আছে ১/২০ আর ১/২৫। এই ১/২০ আর ১/২৫ হইলো গিয়া হাফ স্টপ অথবা কোয়ার্টার স্টপ।

এই তো গেলো শাটার স্পিড কি বা হুয়াটিজ শাটার স্পিড। এখন তাইলে আসি এই শাটার স্পিড দিয়া আমাদের কি ফায়দা তা নিয়া।

শাটার স্পিড কমায় বাড়ায় ফটুতে অনেক রকম মজা করন যায়। ধরেন একটা ব্যস্ত রাস্তায় আপনে যদি স্লো শাটার স্পিড দিয়া ফটুক তুলেন তাইলে দেখবেন গাড়ি গুলার হেড লাইট আর টেল লাইট একটা লম্বা শাদা আর লম্বা লাল রেখার মতো তৈরি করসে। অনেকটা এইরম:

আবার শাটার স্পিড বাড়ায় দিয়া (ধরেন 1/125 sec) যদি কনো ঝরনার ফটুক তুলেন তাইলে পানি গুলা বরফের লাহান ফিরিজ হয়া গেসে। যেমুন:

Shutter Speed এর বারানি কমানির কারনে কি হয় তার আরো কিছু উদাহরন এইখানে দিলাম ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার জন্য। ছবি গুলা এক্টূ সময় নিয়া দেখেন

তাইলে এই পর্যন্ত আমরা কি শিখলাম? অ্যাপারচার দিয়া আলোর পরিমান (Amount of Light) কন্ট্রোল করন যাইতাসে আর শাটার স্পিড দিয়া কন্ট্রোল করন যাইতাসে এই আলোটা কত সময় ধইরা সেনসর/ফ্লিমের উপর পরবো (Time of Exposure)।

এরপরের লেখায় আই.এস.ও নিয়া লিখুম নে।

২১৮/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ০৩ , ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ২

আগের পোস্টে লিখসিলাম এক্সপোজার কি তা নিয়া।এক্সপোজার কন্ট্রোল করা হয় তিনটা জিনিষ দিয়া: অ্যাপারচার (Aperture), শাটার স্পিড (Shutter Speed) আর আই.এস.ও (ISO) । এই তিন বস্তু কি খায় না মাথায় দেয় …এই ডা আজকা আমরা দেখমু।

আগের পোস্টে লিখসিলাম এক্সপোজার কি তা নিয়া।এক্সপোজার কন্ট্রোল করা হয় তিনটা জিনিষ দিয়া: অ্যাপারচার (Aperture), শাটার স্পিড (Shutter Speed) আর আই.এস.ও (ISO) । এই তিন বস্তু কি খায় না মাথায় দেয় …এই ডা আজকা আমরা দেখমু।

অ্যাপারচার (Aperture)

অ্যাপারচার এর খাস বাংলা হইলো গিয়া ফুটা। ক্যামেরায় যে লেন্স থাকে সেইখানে প্রথমে থাকে কিছু কাচের জিনিষপাতি (Glass Elements) তার ঠিক পিছনেই থাকে অ্যাপারচার । মাইনে হইল, আপ্নে যদি একটা ক্যামেরা হাতে লন আর তার লেন্সটা চোখের সামনে ধইরা দুরবিন এর লাগান চোখ দ্যান তাইলে আপ্নের চোখের ঠিক সাম্নেই থাকবো গ্লাস এলিমেন্টস, তারপর থাকবো একটা ফুটা। এইডাই হইল ওই ল্যান্স এর অ্যাপারচার।

অ্যাপারচার যতো বড় হইবো মানে ফুটা যতো বড়ো হইবো, ক্যামেরার ভিতরে ততো বেশি আলো ঢুকবো । আবার অ্যাপারচার ছুডু হইলে আলো ঢুকবো কম কম। তার মানে দাড়াইলো যে ক্যামেরার ভিতরে কি “পরিমান”(How Much Light) আলো ঢুকবো, সেইটা আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি এই অ্যাপারচার দিয়া।


মজার জিনিষ হইলো, অ্যাপারচারের ব্যাপারটায় একটু ঘিরিঙ্গি লাগায় দিসে এর স্রষ্ঠারা। ঘিরিঙ্গিটা হইলো, অ্যাপারচার বুঝানোর জন্য যে ভ্যালুটা দেওয়া থাকে, ওইটার সাথে ফুটার সাইজের সম্পর্ক পুরা উল্টা। মানে অ্যাপারচার ভ্যালু যত বাড়বো, ফুটার সাইজ ততো ছোট হইবো আর অ্যাপারচার ভ্যালু যত কমবো, ফুটার সাইজ ততো বড় হইবো।


এইডা শিখার পরের কয়দিন অনেক ধান্দা লাগতো মাথার ভিতর। ভ্যালু বেশি মানে ফুটা ছোট… না কি জানি…সব কেরম আউলায় যাইতো। কিন্তু পরে বুঝলাম আমি শুধু খিয়াল রাখুম আমার কি দরকার? অ্যাপারচার বড় না ছোট? .. এইটাই মেইন… ভ্যালুটা ওই অনুযায়ি বাড়ানি কমানি তো যাইবোই।


অ্যাপারচার বাড়ায়া কমায়া ছবিতে অনেক তেলেসমাতি করন যায়। যেইটারে কয় ডেপথ অফ ফিল্ড (Depth of Field)। যেই কারনে বেশির ভাগ মানুষ ফটোগ্রাফি শিখতে চায়, সেই ঘুলা করনের ব্যাপারটা কিন্তু এই ডেপথ অফ ফিল্ড দিয়া হয়। এইডা বুঝলে আপ্নে সাব্জেক্টের সামনে পিসে কট্টূক ঘুলা হইব তা নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। কিন্তু আজকে ডি.ও.এফ ব্যাখ্যা করুম না, তাইলে যা শিখলেন তা পেস পুস লাইগা যাইতে পারে। আরেকদিন এই ভেপারে আলুচনা হইবেক ।

একটা সহজ উদহারণ দেই। ধরেন আপনারে একটা সুক্ষ জিনিস আকতে দেয়া হলো। আপনার সামনে মোটা তুলি আছে আবার চিকন তুলিও আছে। আপনে জিনিসটা আকার সময় কোন তুলিটা ব্যবহার করবেন। নিশ্চয়ই চিকনটা। কেননা মোটা টা দিয়া আঁকলে রংটা ছড়াইয়া যাবে, সুক্ষভাবে জিনিসটা আঁকা যাবে না। তাই কোন ছবির শার্পনেসের জন্য ফুটাটা বা অ্যাপারচার যত ছোট হবে, আলো তত তিক্ষ্ণ হবে আর ছবি তত সুক্ষ হবে।

অ্যাপারচার এর সুচক হইলো f . অনেক সময় f এর পরে একটা “/” ও দেয়া হয়। f যতো কম, ফুটা ততো বড়। f এর ভ্যালু কি কি হইতে পারে, ক্যামেরার লেন্স এ সেইটা কেমন দেখায় আর তার লগে লগে ছবির কি চেঞ্জ হয় তার কয়ডা ছবি এইখানে দিলাম। আমরা যখন লেন্স এর প্রকারভেদ পরবো তখন এই “বাইয়া, ফোটর পিসে ঘুলা করব কেম্নে” ব্যাপারটা আরো ক্লিয়ার করবো। আপাতত ছবি দেইখা উপরে যা বইলা আসছি তা মিলায় দেখেন ঠিক আসে কিনা :

অ্যাপারচার এর ভেলু গুলার সাথে ফুটা বড় ছোট হওয়ার সম্পর্ক। ভ্যাল্য যত কম, ফুটা তত বড়

ফুটা / অ্যাপারচার বড় ছোট হইলে লেন্স এর ভিত্রে কেমুন দেখা যায় তার ছবি

অ্যাপারচার পরিবর্তনের সাথে সাথে ছবি তে কি পরিবর্তন আসে তার উদাহরন

আজকা তাইলে এই পর্যন্তই থাক। শাটার স্পিড আর আই.এস.ও শিখুমনে পরের পুস্টে।

২১৭/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ০২ , ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ১

ফটোগ্রাফির প্রথম নিয়ম হইলো, নিয়ম ভাঙা। কিন্তু একটা নিয়মরে ভাইঙ্গা চুইরা, খিচুরি বানায়া, সেইটা থেইকা তেহারি বাইর কইরা নিয়া আসার আগে, জানতে হইবো আসল নিয়মটা কি আসিলো। নাইলে নিয়ম ভাঙ্গাটাও ঠিক জুইতের হইবো না।

আমার এই লেখার উদ্দেশ্যটাও কিন্তু সেইটা। যাদের একটা ফটো তুলার পর মনের ভেতর অন্য রকম একটা আনন্দ হয়, তারা আর কি কি ভাবে এই আনন্দ আরো বেশী কইরা পাইতে পারে, তার কায়দা কানুন গুলান একটু চিনায়া দেওয়া। আপাতত আপনের ক্যামেরা আসে কি নাই ওইটা নিয়া চিন্তা কইরেন না, কারন এখন যা কমু তা পড়তে হইলে ক্যামেরা জীবনে একবার দেখলেও চলবো, ক্যামেরা থাকনটা আবশ্যক না। তাইলে আসেন আর প‌্যাচাল না পাইরা ফটোগ্রাফির নিয়মের দুনিয়ায় প্রথম পা ফালাই।

এক্সপোজার (Exposure)

ফটোগ্রাফি জীবনের প্রথম এবং শেষ পর্যন্ত এই শব্দটা আপনার অসংখ্যবার শুনতে হইবো। তাই আমি মনে করি এইটা দিয়াই ফটোগ্রাফির টার্ম শিক্ষা শুরু করা উচিত।

ফটো কি? ফটো জিনিষটা হইলো আলোর একটা খেলা। ফ্লিম ক্যামেরার কথা যদি চিন্তা করেন তাইলে, আলো যখন সাবজেক্টের উপর থেইকা প্রতিফলিত হইয়া আইসা, ফ্লিমের উপর পরে তখন এর উপর আলোক সংবেদী (photo sensitive) একটা বিক্রিয়া হয় আর যেইটা তৈরী হয় আমরা সেইটারে বলি ফটো। আর এই যে ফ্লিমের আলোর সংস্পর্শে আসা টা এইটারে বলে, “ফ্লিমটা আলোতে এক্সপোজ হইলো” ।

ডিজিটাল ক্যামেরায় যেহেতু ফ্লিমের কারবার নাই, তাই এইখানে এক্সপোজ হওয়া মানে হইলো ভিতরে সেনসরটার উপর আলো পড়া। ডিজিটাল আর ফ্লিম ক্যামেরা কেমনে কাম করে সেইটা নিয়া আরেকদিন লেখার ইচ্ছা রাখি। ওহন এক্সপোজারে ফেরত যাই।

তো সেনসর বা ফ্লিমের উপর আলো পড়াটারে যদি এক্সপোজার কই তাইলে এই আলোটারে কন্ট্রোল করার কায়দাটারেই আমরা বলতে পারি এক্সপোজার কন্ট্রোল করা । আলো যদি বেশী পরে তাইলে বলা হয় ওভার এক্সপোজ হইসে আর যদি কম পরে তাইলে বলা হয় আনডার এক্সপোজ হইসে। ছবি ওভার এক্সপোজ হইলে সাদা সাদা বেশি লাগে আর আনডার এক্সপোজ হইলে মনে হয় দুনিয়া বড়ই আন্ধাইর।

এক্সপোজার কন্ট্রোল করা হয় তিনটা জিনিষ দিয়া: অ্যাপারচার (Aperture), শাটার স্পিড (Shutter Speed) আর আই.এস.ও (ISO) ।

এই তিন বস্তু কি খায় না মাথায় দেয় …সেইটা নেক্সট পোস্টে কমুনে। আর এঈ লেখা আজকে লিখি নাই। ২৫ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৫ এ লিখসিলাম। ব্লগ এ লেখার কারনে দরকার এর সময় খুইজা পাই না। তাই এই খানে লেখা গুলারে পর্যায়ক্রমে নিয়া আসার ডিসিশন নিসি।