২১৭/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ০২ , ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ১

ফটোগ্রাফির প্রথম নিয়ম হইলো, নিয়ম ভাঙা। কিন্তু একটা নিয়মরে ভাইঙ্গা চুইরা, খিচুরি বানায়া, সেইটা থেইকা তেহারি বাইর কইরা নিয়া আসার আগে, জানতে হইবো আসল নিয়মটা কি আসিলো। নাইলে নিয়ম ভাঙ্গাটাও ঠিক জুইতের হইবো না।

আমার এই লেখার উদ্দেশ্যটাও কিন্তু সেইটা। যাদের একটা ফটো তুলার পর মনের ভেতর অন্য রকম একটা আনন্দ হয়, তারা আর কি কি ভাবে এই আনন্দ আরো বেশী কইরা পাইতে পারে, তার কায়দা কানুন গুলান একটু চিনায়া দেওয়া। আপাতত আপনের ক্যামেরা আসে কি নাই ওইটা নিয়া চিন্তা কইরেন না, কারন এখন যা কমু তা পড়তে হইলে ক্যামেরা জীবনে একবার দেখলেও চলবো, ক্যামেরা থাকনটা আবশ্যক না। তাইলে আসেন আর প‌্যাচাল না পাইরা ফটোগ্রাফির নিয়মের দুনিয়ায় প্রথম পা ফালাই।

এক্সপোজার (Exposure)

ফটোগ্রাফি জীবনের প্রথম এবং শেষ পর্যন্ত এই শব্দটা আপনার অসংখ্যবার শুনতে হইবো। তাই আমি মনে করি এইটা দিয়াই ফটোগ্রাফির টার্ম শিক্ষা শুরু করা উচিত।

ফটো কি? ফটো জিনিষটা হইলো আলোর একটা খেলা। ফ্লিম ক্যামেরার কথা যদি চিন্তা করেন তাইলে, আলো যখন সাবজেক্টের উপর থেইকা প্রতিফলিত হইয়া আইসা, ফ্লিমের উপর পরে তখন এর উপর আলোক সংবেদী (photo sensitive) একটা বিক্রিয়া হয় আর যেইটা তৈরী হয় আমরা সেইটারে বলি ফটো। আর এই যে ফ্লিমের আলোর সংস্পর্শে আসা টা এইটারে বলে, “ফ্লিমটা আলোতে এক্সপোজ হইলো” ।

ডিজিটাল ক্যামেরায় যেহেতু ফ্লিমের কারবার নাই, তাই এইখানে এক্সপোজ হওয়া মানে হইলো ভিতরে সেনসরটার উপর আলো পড়া। ডিজিটাল আর ফ্লিম ক্যামেরা কেমনে কাম করে সেইটা নিয়া আরেকদিন লেখার ইচ্ছা রাখি। ওহন এক্সপোজারে ফেরত যাই।

তো সেনসর বা ফ্লিমের উপর আলো পড়াটারে যদি এক্সপোজার কই তাইলে এই আলোটারে কন্ট্রোল করার কায়দাটারেই আমরা বলতে পারি এক্সপোজার কন্ট্রোল করা । আলো যদি বেশী পরে তাইলে বলা হয় ওভার এক্সপোজ হইসে আর যদি কম পরে তাইলে বলা হয় আনডার এক্সপোজ হইসে। ছবি ওভার এক্সপোজ হইলে সাদা সাদা বেশি লাগে আর আনডার এক্সপোজ হইলে মনে হয় দুনিয়া বড়ই আন্ধাইর।

এক্সপোজার কন্ট্রোল করা হয় তিনটা জিনিষ দিয়া: অ্যাপারচার (Aperture), শাটার স্পিড (Shutter Speed) আর আই.এস.ও (ISO) ।

এই তিন বস্তু কি খায় না মাথায় দেয় …সেইটা নেক্সট পোস্টে কমুনে। আর এঈ লেখা আজকে লিখি নাই। ২৫ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৫ এ লিখসিলাম। ব্লগ এ লেখার কারনে দরকার এর সময় খুইজা পাই না। তাই এই খানে লেখা গুলারে পর্যায়ক্রমে নিয়া আসার ডিসিশন নিসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *