৩০/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২৯, ২০১৫ । ১১.৩৭ পি.এম

 

কবি বলেছেন, “মু হা হা” । কবি “মু হা হা” ছাড়াও বলেছেন, “ওলো সই, আমার ইচ্ছে করে, তোদের মত, মনের কথা কই। তোদের এত কি বলিবার আছে, ভেবে অবাক হই”। এই চিন্তা ডা আমারো মাঝে মাঝে মাথায় আহে। এত কি বলিবার আছে? আর যদি এত কিছু বলিবারও থাকে তাইলে সেইটা ক্যাম্নে কইতাম কাউরে এক্টুও বিব্রত ফিল না করায়া?

 

৫ বছর আগে একদিন অফিস করতাসি মনোযোগ দিয়া ( খুব সত্যি কথা ), এমন সময় তখনকার একজন ম্যানেজার (এখন প্রবাসী), দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমার কাছে আসলেন। আইসা বললেন, ফয়শাল, তুমি নাকি কবি? তুমি নাকি কবিতা লেখ। হে হে হে হে হে।

 

আমার তো মনে মনে পুরাই, “হে ফলস সিলিং, দ্বিধা হউ, আমি মাথা হান্দায় দি” অবস্থা। তবু মুখে এক্টা বিগলিত হাসি দিয়া কইসিলাম, না মানে ইয়ে আরকি ভাইয়া, লিখি অল্প সল্প, তেমন কিছু না। উনিও খুশি হয়া গেলেন গা, যাক আমি তাইলে এমন কোন কুতুব না। ম্যানেজার এর চেয়ে কুতুব লোকজন টিম এ থাকলে সমস্যা। টিম চালাইতে অসুবিধা হয়। আমিও বাঁচলাম হুদাই এইটা লয়া পচানি খাওয়ার থিকা।

 

কিন্তু তাই বইলা কি আমি ওইদিন লজ্জা পাইসিলাম নিজেরে কবি হিসাবে স্বীকার করতে? আমার মনে হয়, না। তাইলে আমি পুরাই অস্বীকার যাইতাম। “আল্লাহ ভাইয়া, কি বলেন এগুলা, ছি ছি ছি। তউবা আস্তাগফিরুল্লাহ। এসব কবিতা ববিতার ভিত্রে আমি নাই” এসব বলতাম। কিন্তু আমি প্রথমে স্বীকার করসি যে, হ লিখি। তারপর বিনয়ের সাথে এইটাও বুঝাইসি এইটা এমন আহামরি আলোচনা যোগ্য কিছু না।

 

আমার মনে হয় বিনয় একটা প্রচন্ড রকম দরকারি বিষয়। আমি আল্লাহর রহমতে জীবনে অনেক প্রতিভাবান লোকজন দেখসি। কিন্তু বিনয় ছাড়া প্রতিভা আমার কাসে “হালায় হুদাই ভাব লয়” ছাড়া আর কিছু হয়া উঠে নাই।

 

যদি আপ্নে একজন নারড হন এবং আপনার নারডি কিছু হবি থাকে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় আপ্নে ওগুলা সাধারন লোক জন এর সাথে শেয়ার করতে একটু সংকোচে থাকেন। যেমুন আপ্নের কমিক্স ভাল্লাগে, এনিমে ভাল্লাগে, ভিডিও গেম ভাল্লাগে, লেগো ভাল্লাগে, একশন ফিগারস ভালাল্গে ইত্যাদি।

 

কিন্তু মাইন্সে যদি “এহ এক্কেরে পুলাপান” কয়? তাই বেশিরভাগ সময় ই আপ্নে এডি নিজের ভিত্রেই রাখেন। আর এইটা এমন না যে শুধু ছেলেদের মধ্যে থাকে। একটা মেয়ের হয়তো ডেথ মেটাল বিরাট পছন্দ। কিন্তু সে একটু চিন্তায় থাকে, ছেলেটারে কি কমু যে আমার মেটাল গান পছন্দ? হে যদি আবার ভাইগা যায় শুইনা? থাক কি দরকার বলার।

 

এই ক্ষেত্রে আপ্নের সবার প্রথমে যেইটা করতে হইব তা হইল নিজের হবি রে নেগেটিভ লি দেখা বন্ধ করতে হইব। শখ এর চর্চা কইরা আপ্নে কোন অপরাধ করতাসেন না ( যদি না আপ্নের শখ হয় মেয়েদের কানের দুল জমানো যা কিনা আপ্নে প্রত্যেক শুক্রবার রাত এ রাস্তা থেইকা টান দিয়া ছিনতাই কইরা আনেন, অথবা যদি না আপ্নের শখ মানে বন্ধু দের নিয়া মুম্বাতি জালায়া শনিবার রাতে “আয় আয় লুসিফার” বইলা প্রেত সাধনা করা)।

 

আমার কাছে এইটা খুবি আজাইরা একটা ব্যাপার লাগে যদি কেউ তার নিজের শখ এর জন্য একটু একটু পর পর সরি বলে। না মানে ইয়ে ইথার ভাই, আমি আসলে একটু কমিক্স টমিক্স বেশি পড়ি, সরি। ইথার ভাই, পিসি তে গেম খেলাটা আমার একটু বেশি ই প্রিয়, সরি।

 

কি বিস্রি লাগে শুনতে । কল্পনা করেন আপ্নের যেই কাজ টা করতে এত ভাল লাগে সেইটা যদি আপ্নে “আমার না লেসবিয়ান পর্ণ দেখতে খুব ভাল্লাগে” এই রকম নিষিদ্ধতা মিশানো ফিশ ফিশ টোন এ কন তাইলে কেরম শুনাইব?

 

বুক ফুলায়া (মমমমম বুক) নিজের শখ এর কথা কন। প্যাশন এর কথা কন। কারো সেইটা পছন্দ না হইলে হে দূরে গিয়া, হা কইরা মুড়ির সাগরে ডুইবা মরুক (এই গালি টা আজকে উদ্ভাবন করসি)।

২৯/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২৮, ২০১৫ । ১১.০০ পি.এম

 

কিছু লেখা দুর্বোধ্য হোক। সব মাথার উপ্রে দিয়া গেসে মনে হোক। মনে হোক আজকে কবির মন খারাপ। কিংবা ভেবে নিক, হালায় তো বহুত মজায় আসে। আমি যদি প্রতিদিন স্টেজ এ উঠে বক্তিতা দেই, তাহলে প্রতিদিন শুনবে কে? কেউ কেউ বসে থাকবে এই একটু পরেই আসল কথা আসবে বলে। কেউ উঠে যাবে, নাহ হালার মাথা খারাপ ভাবতে ভাবতে। ইন্টারনেটটা একটা লাইব্রেরী হওয়ার কথা ছিল। আমরা সবাই মিলে সেটাকে একটা স্টেজ বানিয়ে ফেলেছি। সবাই কিছু বলতে চায়, কিছু করে দেখাতে চায়, কিছু হতে চায়। আমি দৃক এ গেছিলাম আজকে। আমার বন্ধু প্রীতি-কামাল ভাই আর তাদের পুত্র আহরান আসার আগ পর্যন্ত এই খানে অঈখানে গোত্তা খাচ্ছিলাম।  কোথাউ ঠিক ফিট খাইতেসিলাম না। আমি খুব কম জায়গাতেই ফিট ইন করতে পারি, দৃক গ্যালারির প্রদর্শনী তার মধ্যে একটা না। আমার একটা ছবি আছে, কিন্তু ছবি ধইরা তো আর ঝুইলা থাকতে পারি না। আর ওই রুম টাতে বার বার উঁকি দিয়া কে কে আমার ছবি দেখলো অইটা করতেও লজ্জা লাগে। তাও কথা বার্তা বলসি কয়েকজন এর সাথে, অনেকে নিজ থেইকা আইসা কথা বলসে। কিন্তু বুঝতে পারতেসিলাম যে তারা অনেক হতাশ হইতাসে। একজন বলসেও, আপনি ফেসবুকে যতটা সরব, বাস্তবে ততটাই নীরব। তারে কোন তাক লাগানো জবাব দিতে পাারি নাই। প্রীতিরা আসনের পর একটু দেখা কইরা আইসা পরসি বাসায়। প্রীতি রাগ করসে কিন্তু মনে হইতাসিল আর কিছুখন ওই খানে থাকলে দম আটকায়া মইরাই যামু। বাসার কোল বালিশ রে মিস করতাসিলাম। এইটা হয়। আমার হঠাত হঠাত মনে হয়, নাহ আর পারুম না।  এখখন বাসায় গিয়া কোল বালিশ লয়া কুন্ডুলি পাকায়া শুইয়া থাকতে হইব। দুনিয়া তুমি অফ যাও। এইটা আগে এত ছিল না। ইদানিং বারতাসে আস্তে আস্তে। তখন ফোন এর রিং বাজে আর বাজে। এখন তো আর সবুজ বোতাম টিপ দেওনের ঝামেলা নাই। স্লাইড করতেও ইচ্ছা করে না। এম্নে বাড়তে থাকলে খবর আসে। অফিসে হঠাত লুকজন দেখবো আমি নাই। কই গেসে? কুলবালিশ লিভ লয়া বাসায় গেসে গা। আমি একটা বড় কাজ এ হাত দিতে যাইতাসি কালকে। মুক্তিযুদ্ধে প্লেন রিলেটেড অনেক গুলা ঘটনা আছে। তার মধ্যে একটা নিয়া লেখার ইচ্ছা হইসে। এক বন্ধুর সহায়তায় কিছু বই পত্র ও যোগাড় করসি, করতাসি। তারপর পড়া শুরু করব। উদ্দেশ্য হইল মুক্তিযুদ্ধের সেই অসাধারন ঘটনাটা আমি যেম্নে লিখি অইরম খ্যাত ভাষায় নিজের মত কইরা লেখা। হয়তো তাতে মুক্তিযুদ্ধ রে আমার এই খিচুরি ভাষা দিয়া অসম্মান করসি বইলা বিতর্ক উঠতে পারে। কিন্তু আমি শিওর, যদি ঘটনা টা বুঝাইতে পারি ঠিক ঠাক মত তাইলে শইল্ল্যের লুম্বা দাঁড়ায় যাইব সবার। দেখা যাক কদ্দুর পারি। দুইটা সিনেমা দেখসি আজকে। Interstellar আর Maleficent । ভাল্লাগসে দুইটাই। Coleen Hoover এর Maybe Someday বইটা দৃক এ বয়া বয়া পড়লাম কিছু দূর। মেয়েটা ভাল লেখে। কিছুখন পড়লেই দেখি অনেক অনেক পৃষ্ঠা আগাইসে। Maleficent এর একটা ডায়লগ খুব ভাল্লাগসে আর সারাদিন মাথায় ঘুরসে। You Stole What was Left of My Heart.

 

You Stole What was Left of My Heart… কি সুন্দর কথা।

২৮/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২৭, ২০১৫ । ১১.৩৯ পি.এম

 

আজকে পাঁচ লম্বর এবং শেষ কারণ ডা লিখতে বইসি। এত্ত সব কারন মারন পইড়া আপ্নের যুদি মনে হয়, ধুর হালা প্রেম ই করুম না, তাহলেই লেখক তার উদ্দ্যেশ্য সফল হয়েছে বলে মনে করবেন। মনে রাখবেন, কবি বলেছেন, “মু হা হা”

 

***কুন কুন সম প্রেম করবেন না***

**একটি উত্তপ মস্তিস্ক দি বারনিং ব্রেইন পরিবেশনা**

*লিখেছেন ফয়সাল আকরাম ইথার [বেশি বুজার কারনে লেখক এখনো ছিংগেল]*

 

৫। থামেন, যখন আপ্নে প্রেম করার জন্য রেডি ই না, কইরেন্না থাক।

উদাহরনঃ

আপ্নে হয়তো এই কয়দিন আগে একটা রিলেশনশিপ থিকা বাইর হইসেন। আপ্নের মনে হইতাসে, হইসে তো, আর কত, আর কষ্ট পাইতে পারুম না, আহারে আমি টা, এইবার প্রেম কইরা কলিজা ঠান্ডা করুম।

হয়তো আপ্নে এমন এমেজিং একটা মানুষের দেখা পাইসেন যারে দেইখা আপ্নের মনে হইতাসে আরে এরে তো ছাড়া যাইবোনা, অখনি বুক করতে হইব এরে।  এর লাইগা মানসিক ফিলিংস আসে কিনা দেখনের এখন টাইম নাই, শারীরিক ফিলিংস তো হইতাসে, রেডি ওয়ান টু থ্রি, প্রোপোওওওজ।

হয়তো আপ্নে জানেন না প্রেম করতে হইলে কেম্নে কি করতে হয়, কুনুদিন সৌভাগ্য হয় নাই প্রেম করনের, তাই আপ্নের কাছে “প্রেম করতাছি” এই আইডিয়াটা খুব ভাল্লাগে। তাই আপ্নে কাউরে ভাল লাগা মাত্রই মাথা সামনে দিয়া ডাইভ মারেন।  সিমেন্টে পরবেন না গদিতে পরবেন না উনার কোলে গিয়া পরবেন অত কিছু ভাবার টাইম কই আপ্নের। আগে প্রেম কইরা লই, ভালুবাসা লয়া পরে ভাবুম নে।

এগুলান খারাপ। খুব খারাপ। আরেকজন হয়তো আপ্নের আবেগের তিব্রতা দেইখা আপ্নেরে একটা চান্স দিয়াই দিব। কিন্তু আমি শিউর কয়দিন পর আপ্নে আবার প্রেম এ পরবেন কিন্তু এইবার অন্য আরেকজন এর। আর দা কেরফা উইল বিগিন ।

ব্যাখ্যাঃ

এই খানে আপ্নে এক্কেরে ইনোসেন্ট। মাসুম বাচ্চা। এই খানে আপ্নের কুনু দোষ নাই। আমি সরকারকেও দোষ দিতাম কিন্তু আমারে ধইরা লয়া যাইতে পারে তাই দিতাসি না। এই দোষ সমাজের। আমাদের সমাজ বই এর পরথমেই শিখানো হয়, মানুষ সামাজিক জীব। সে একা বাস করতে পারে না। আব্বে হালায়,  সুভাস্তু আয়া দেইখা যা আমি একা বাস করতাছি কিনা।

এই সমাজ আমাদের ধ্যান ধারনা এম্নেই তৈরি করে যে, একা থাকা মানে আপ্নের সমস্যা আসে মাথায় নাইলে সমস্যা আসে গুপন কুথাউ। গানে, বইয়ে, ঘরে, বাইরে সব জায়গায় আপ্নেরে ঠেল্বো দোকা হউ, দোকা হউ। একা থাকা মানে নিশচই কুথাউ গন্ডগোল আছে তোমার।

এই প্রেসার এর কারনে আপ্নে ভাবা শুরু করেন, প্রেম না করলে জেবন নষ্ট। আমরা যত বেশি ই চাই না কেন, কোন কোন সময় আমরা আসলেই প্রেম করার জন্য রেডি থাকি না। আপ্নে ছ্যাক খাইসেন, অখনো তারে ভুলতারেন নাই, অথচো প্রেম এ পইড়া যাইতাসেন সকাল বিকাল। এইডা আর কিছুই না, আপ্নে রিলেশনশীপ এর বাইরে থাইকা অভ্যস্ত না যে। তাই আপ্নের আতংক লাগতাছে। আপ্নে মনে করতাছেন একা থাকলে আপ্নেরে বাঘ, সিংহ, ভুত আইসা খায়া ফালাইব।

কিন্তু বিশ্বাস করেন, আপ্নের অবশ্যই কিছু সময় এর জন্য  সিংগেল থাকা উচিত ।  প্রেম এ সফল হওয়ার মুল বিষয় ই হইল নিজেকে আপ্নে কট্টূক চিনেন সেইটা। আগে যেই সব ভুল গুলা কইরা আসছেন সেই সব যাতে আর না করেন, সেই চিন্তা ভাবনা গুলা কিন্তু সিংগেল থাকা অবস্থা তেই সাইরা ফেরা উচিত । তাইলে নিজের উপ্রে আর যার লগে প্রেম করতে চাইতাসেন তার উপর “কি চাই জানি না “এর অতিরিক্ত প্রেসার টা আসে না।

প্রেম তো করবেন ই। হৃদয় মন ঢাইলা দিয়া করবেন। কিন্তু তার লগে লগে “কুন কুন সময় করবেন না” এইটা বুঝাও অইত্যান্ত জরুরি জিনিশ। আয়াই ধুম ধাম চাইর ছক্কা মারলেন আর আউট হয়া গেলেন এর চেয়ে এট্টু সেট হয়া তারপর পিডানি শুরু করা উচিত না?

পাঁচ পর্বের এই টপিক টা শেষ হইল আজকে। কাইল্কা যে কি লয়া লিখুম। খালি খালি লাগতাসে। প্রেম করুম নাকি একটা? 😛

২৭/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০১৫ । ১১.২৮ পি.এম

 

চাইর লম্বর কারন ডা একটু কন্ট্রভারশাল। অনেকেই ডিজএগ্রি করতে পারেন। কিন্তু ইটস ওকে। আই ডোন্ট ওয়ান্ট ইউ টু এগ্রি উইথ মি। আই ওয়ান্ট ইউ টু আন্ডারস্ট্যান্ড ইট।

 

***কুন কুন সম প্রেম করবেন না***

**একটি উত্তপ মস্তিস্ক দি বারনিং ব্রেইন পরিবেশনা**

*লিখেছেন ফয়সাল আকরাম ইথার [বেশি বুজার কারনে লেখক এখনো ছিংগেল]*

 

৪। থামেন, যদি আপ্নের মনে হয় এই মুহূর্তে আপ্নে অনেক ব্যাস্ত, থাক এখন প্রেমটা কইরেন না।

উদাহরনঃ

মাঝে মাঝে আপনার হাতে সব কিছু থাকে না। জীবন মাঝ খান দিয়া বা হাত টা ঢুকায় দ্যায়। আপনার চারপাশের সবাই যখন প্রেম কইরা বেরাইতাসে, আপ্নের হয়তো তখন অফিস এর কাজ এ কুত্তা পাগল অবস্থা। আপ্নের হয়তো সাম্নেই পরীক্ষা । আপ্নের হয়তো পরিবারের বিরাট কোন ঝামেলা সাম্লাইতে হইতাসে। আপ্নের হয়তো টেকা পয়সার সমস্যা। শুধু একটা জায়গায় টিক্কা থাকার জন্য আপনি হয় তো সারাদিন এইখানে ওইখানে দৌড়াইতাসেন।

এমন একটা সময় আপ্নের কাউরে ভাল্লাগ্লো আর আপ্নে ঠিক করলেন, নাহ বহুত পেরা খাইসি এখন পেয়ারা খাবু। ছল বন্দু পেম করি। আর এই খাইলেন ধরা । লাইফ তো জীবন থিকা সরে নাই, আপ্নের আগের ঝামেলাও কমে নাই, আপ্নে আরো ঝামেলা ডাইক্কা আনলেন।

ব্যাখ্যাঃ

আমি কিন্তু কইতাসি না যে প্রেম করা ঝামেলা। প্রেম কোন ঝামেলা না। বেস্ট কেস সিনারিও হইল দুইজন দুইজন রে খুব বুইঝা উল্টায়া ফেলে। আর একজন কোন কারনে আরেকজন কে টাইম দিতে না পারলে এক্টুও রাগ করে না। কিন্তু জীবন মানে বেস্ট কেস সিনারিও হইলে তো হইতই।

আমি এইটাও কইতাসি না যে আগে আপ্নের লাইফ পারফেক্ট হইতে হইব, তারপর প্রেম করতে হইব। আমি শুধু কইতাসি যে আগে লাইফ টা রে স্টেবল হইতে দেন। সামনে পরীক্ষা থাকলে আগে পরীক্ষাডা দিয়া লন। চাকরির ব্যাস্ততা থাকলে আগে কিছু টা ফ্রি টাইম আসতে দ্যান।

“কবে ফ্রি? জানি না”, “আজকের প্ল্যান কেন্সেল, আমি বিজি” এইগুলা খুব কষ্ট দ্যায় দুইজন কেই, আর একটা নতুন রিলেশনশীপ শুরু করার সময় তো ইহা খুবি ভয়ংকর।  খেলার সময় খেলা আর পড়ার সময় পড়া মাইনা নিয়া খেলার সময় প্রেম করা অফ রাখেন।

আর একটা নতুন সম্পর্কে ঢুকলে সেইটাতে টাইম দেওয়া গাছে পানি দেওনের মতই ব্যাপার। পানি না দিলেও হয়তো গাছ টা টিক্কা যাইব। কিন্তু নিয়মিত যত্ন নেওয়া একটা গাছ আর একটা এম্নেই ফালায় রাখা গাছ পাশা পাশি চিন্তা কইরেন। প্রথমটা কত চকচক করব সবুজে আর পরেরটা শুটকির লাগান খালি দাড়ায়াই থাকবো আর কিছু না।

আগে চিন্তা করেন প্রেম করলে দুইজন ই দুইজন কে টাইম দিতে পারবেন কিনা । তারপর প্রেম করার কথা ভাইবেন। নাইলে “সব” হুগায়া যাইব।

২৬/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২৫, ২০১৫ । ৯.৪৮ পি.এম

 

ঘুমায়া পড়নের আগে তিন লম্বরটা লিখা লাই। এই তিন নম্বর কারণ ডা বুঝতে এট্টু টাইম লাগসে কারণ কুনু এক জায়গায় সব কিছু লেখা নাই। এই হানে এট্টূক , ওই হানে অট্টূক, সব পইড়া পইড়া শেষে অ অ অ বোজ্জি বোজ্জি বইলা মাথা লারানি লাগসে।  কিন্তু আসলে যে কি বুজ্জি আল্লায় জানে।

 

***কুন কুন সম প্রেম করবেন না***

**একটি উত্তপ মস্তিস্ক দি বারনিং ব্রেইন পরিবেশনা**

*লিখেছেন ফয়সাল আকরাম ইথার [বেশি বুজার কারনে লেখক এখনো ছিংগেল]* 

 

৩। থামেন, যদি আপ্নের মনে হয় উহার প্রেম পাওয়া আমার অধিকার, থাক ওই প্রেমটা কইরেন না।  

 

উদাহরনঃ

 

আপ্নে কাউরে হেল্প করলেন। অথবা কাউরে বাসায় পোউছায় দিয়া আসলেন। অথবা তার হোম ওয়ার্ক এ সাহায্য করলেন। এমন কি তার ব্রেক আপ এর পর সে আপ্নের কাছে কশটের কথা কইতে কইতে চোখের পানি/ নাকের পানি/ বাত্রুমের হ্যান্ড শাওয়ার এর পানি দিয়া আপ্নের শার্ট/শাড়ী ভিজায়া লাইল (মমমমম, ভিজা শাড়ি…)

 

আপনি তারপর ভাবা শুরু করলেন ওউ মাই ঘট আমি ওর জন্য এত কিছু করলাম, অয় তো আমার প্রেম এ পরতে বাধ্য। এখনো ক্যান পরতাছে না। অউফ, আমি একটা জুয়ান/ছেড়ি/ছেড়া, আর কত দিন সইজ্য করি। তারপর দিন যায়, কথা থাকে, অয় তো আর প্রেম এ পড়ে না। আর আপ্নের মিজাজ খারাপ হয়। হেরে অকৃতজ্ঞ, বেইমান, সুবিধাবাদি, ইংরেজিতে “সমুদ্রের পার” ইত্যাদি ভাবা শুরু করেন। আসলে সমস্যটা হের না। সমস্যাটা ইজ দা ইউ।

 

ব্যাখ্যাঃ

 

এর পেছনে অনেক টা দায়ী আমাদের সিনেমা আর এড গুলা । নায়ক নায়িকা কে ছেড়ে দে শয়তান থেকে উদ্ধার কইরাই মাঠে ঘাটে গাছ ধইরা গান গায় আর এর এইখানে অইখানে ধইরা লারা চারা শুরু করে। আর আমরা ভাবতে শিখি, হুমম কাউরে বিপদ থিকা রক্ষা করা মানে তার পশ্চাত দেশে আমার নাম এর ছিল মাইরা দেওয়া, হমমমম…

 

কিন্তু আপ্নে ভুইলা যাইতাসেন যে প্রেম মানে এইটা না যে আমি তোমারে এক্স দিলাম তুমি আমারে ওয়াই দাও। এই ডা তো আর আপ্নের মুরগি ওয়ালার লগে আপ্নের সম্পর্ক না তাই না? যে টেকা দিসি, হে গরম মুরগি ছানা তুমি আমার। বা আপ্নে রাজকন্যারে ড্রাগন এর হাত থিকা রক্ষা করসেন বইলাই যে আপ্নের মত তেলচুরা রে সে ভালবাসতে বাধ্য এইডা আপ্নে কেম্নে ভাইবা লন?

 

আপ্নে তার লগে একটা সুন্দর ভবিষ্যত কল্পনা কইরা লইতেই পারেন। কিন্তু সেও যদি আপ্নের লগে কোন ভবিষ্যৎ না দ্যাখে, তাইলে আপ্নে তারে অন্ধ, নাবুঝ ভাবতে পারেন না।

 

জানি আপ্নে বেসিকালি একটা ভাল মানুষ। কখনো কারো অপকার করেন নাই। তাই আরেক চোকভোদ যখন আপ্নের সামনে আরেকটা মানুষের বিশ্বাস রে এবিউজ করে আর সেই মানুষ টা আপ্নেরে দেইখাও দ্যাখে না , তখন আপ্নের মনে হাহাকার যাগতেই পারে। কিন্তু আপ্নে কি ওই চোকভোদ এর লগে দৌড় প্রতিযোগিতায় নামসেন? হোক না, সে ফার্স্ট হোক না। আপ্নে কি প্রাইজ চান? না খোরাইতে খোরাইতে বাসায় ফিরার সময় হাত ধরার কেউ চান?

 

তাই উপকার করলে নিঃস্বার্থ হয়া করেন, নিজেরে ঢাইল্লা দেন। বন্ধু হইলে বন্ধুই হন, না হইতে পারলে সইরা আসেন। তবু কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রথা রে রিলেশনশীপ এর মধ্যে এপ্লাই কইরেন না। অপমান হয়। আপ্নেরো। তারো। ভালবাসারো।

২৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২৪, ২০১৫ । ৯.৪২ পি.এম

আজকে “কুন সময় প্রেম করবেন্না” এর তিন নম্বর টা লেখার কথা মাথায় ছিল। কিন্তু একটা অনেক হ্যাপি এন্ড হ্যাপেনিং দিন যাইতাসে। কাল্কে রাত্রে লিখতে পারি নাই। বাসাবো ছিলাম। আম্মা এক গাম্লা ভাত খাওয়ায় দিসে। ঘুমে অজ্ঞ্যান হয়া গেসি লগে লগেই। নিশ্চই লেখা অপেক্ষা ঘুম উত্তম, তাই শেষ রাতে ঘুম ভাংলেও মনে হইসে, থাক।

কাল্কে রাতে খবর আইলো হঠাত আজকে নাকি বাংলাদেশ বিমান এর ড্যাশ এইট দুইটা আইবো। আমি ভচ রে মেসেজ দিলাম যে আজকে হাফ ডে ছুটি দ্দ্যান, এয়ারপোর্ট যামু। তারপর সকালে বাসাবো থিকা সুভাস্তু গিয়া ক্যামেরা পিক কইরা এয়ারপোর্ট। ১২ টার দিকে খবর আইলো, আইজকা পেলেন আইবো না। আবার লগে লগেই জিকো ভাই ফোন দিল, ইথার ভাই আজকেই অপারেশন করবে, আপ্নে আইসা পরেন। মিশু আপুও ফোন দিল, “ইথার ভাই আমাকে নিয়া যাবে ওটি তে এখন, আইসা পরেন।” আমি মিশুর আপুর জন্য স্ট্যান্ডবাই ব্লাড ডোনার ছিলাম। তাই লগে লগে পেলেন মেলেন ফালায়া সি এন জি তে বইসা দোউড়াইতে দোউড়াইতে আইসা পরসি হাসপাতাল।

আল্লাহর রহমতে জিকো ভাই আর মিশু আপুর একটা ফুটফুটে তুলতুলে কন্যা বাবু হইসে। মেয়ের নাম রাখা হইসে “অর্হ আজীজ রহমান”। অর্হ মানে মুল্যবান।

আমি জিকো ভাই এর লগে লগেই আসি। কিন্তু উনি অনেক দোউড়ের উপর তাই প্রায় ই আমারে থুইয়া এদিক অইদিক যাইতে হইতাসিল। একবার গেলো আমারে উনার এক খালার লগে বসায়া থুইয়া। খালায় তো আমারে পুরা জেরা, কুন ভার্সিটিত্তে পাস করস? মাস্টার্স ক্যান কর নাই? আমি তারাতারি আয়া বাইরে বয়া রইসি। অই খানে এট্টু পরে দেখি পিছনে লেখা “প্রসুতি মহিলা দের বসিবার স্থান”। নিসিল আরেট্টু হইলে আমারে ধইরা ওটি তে। বিশাল বাচা বাচ্ছি। এই দুই লম্বর বারডেম এক্টা কনফিউজিং জাগা। খালি ভুল জায়গায় বয়া পরি।

আরেকবার রাইখা গেল জিকো ভাই এর শশুর এর লগে। উনি আমারে ক্যান জানি অনেক পছন্দ করে। তাই এক্টু পরেই ওই বিস্কুট আন, পানি আন, পিঠ চুল্কায় দে এই রকম আদর শুরু করলেন। ভালুবাসার দাবি। না ও তো বলতে পারি না।

আজকে রাত্রে জিকো ভাই এর লগে থাকুম। উনার এক্লা এক্লা ডর লাগতাসে। কাল্কে ইখান থিকা অপিশ যামু।

২৪/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২৩, ২০১৫ । ১২.৩৪ এ.এম

গত লেখা শেষ করসিলাম কুন কুন সম পেম করভেন্না তার ১ লম্বর কারন দিয়া। আইজা লিখসি ২ লম্বর। ২ লম্বরি হইলেও ইহার গুরুত্ব অপরিসীম।

 

                 ***কুন কুন সময় প্রেম করবেন না***

          **একটি উত্তপ মস্তিস্ক “দি বারনিং ব্রেইন” পরিবেশনা**

*লিখেছেন ফয়সাল আকরাম ইথার [বেশি বুজার কারনে লেখক এখনো ছিংগেল]*

২। থামেন, যদি আপনে মনে করেন প্রেম কল্লে আপ্নের জীবন কম্পিলিট হবে, থাক, প্রেম কইরেন না,

উদাহরনঃ

যখন আমরা শুনি “অয় আমারে কমপ্লিট করসে” আমাগো চোউখখে ভাসে একটা চাইর আনা আরেক টা চাইর আনার লগে মিল্লা আটানা হইসে। আমরা ভাবি যে যার লগে পেম করুম এ আমার আত্তার বন্দু (সোউল মেট) হইব । কি ধরনের সঙ্গী খুজছেন এই ধরনের মেগাজিন মারকা প্রশ্নের জবাবে বেশিরভাগ ই দেখবেন আবেগে মুইত্তালচি হয়া গিয়া বলে,  এমন কাউকে খুচ্চি যে কিনা আমার আমাকে একদম বদলায় দিবে, জন্মের মত লাইনে আইনা দিবে।

এই সময় আমরা মনে করি পেম করলে আমাদের ভিতরে যেই গ্যাপ টা আছে সেইটা ভরাট হবে। আমরা জীবনে যা কিছু মিস করসি সব পায়া যাবো। আমাদের ভাবতে ভাল্লাগে যার লগে পেম করুম সে আইসা আমাদের ওই দোষ টা যেইটা আমাদের নিজেদেরো ভাল্লাগে না, একদম রাবার দিয়া ঘইসা ঘইসা মুইছা দিবে।

আমরা ভাবি পেম করলে সে আইসা আমাদের জীবন নাম এর এই এডভেঞ্চার এ হাত ধইরা হাটি হাটি পা পা করা শিখাবে।

এডি ভাবতে ভাবতে আমরা তার মধ্যে এমন কিছু গুনাবলি কল্পনা কইরা ফালাই যেইটার সবগুলা মানুষ হিসাবে কারো মধ্যে থাকা এক্কেরে অসম্ভব।

ব্যাখ্যাঃ

এগুলি ভাবা খুবি রোমান্টিক। আমি অফিসে কাজ এর নাম কইরা বেশিরভাগ সময় এডি চিন্তা কইরাই কাটাই। কিন্তু একটা জিনিষ খেয়াল করেন জীবন সঙ্গী কন আর প্রেম এর সঙ্গী কন, সেও কিন্তু আরেকটা মানুষ ই। সে আপ্নের জীবনের লগে লাইগা যাওনের জন্য জন্মায় নাই। আপ্নে তারে (আপ্নের জীবনের লগে) “লাগাইলেই” সে পত পত কইরা পতাকার মত আপ্নের জীবনের মহাত্ত ঘোষনা করতে শুরু করব না।  সে একটা মানুষ। কোন এক্সেসরিজ না। সে আর একটা পা। আপ্নের পায়ের মুজা না।

সে আপ্নের পারটনার। রিপেয়ারম্যান, টেক সাপোর্ট বা মেস্তুরি না যে আপ্নের জীবন ও যৌবনের ছেদা ঠিক করবে। দুই দিন পর পর “এখনো ক্যান ছেদা ঠিক হইল না, সব দোষ ওর, ও আমাকে এক্টুও বুঝে না” এরম ব্লেম করবেন এইটা ঠিক না। আপ্নের কলিজায় যেরুম কারো কইরা যাওয়া ছেদা আসে, তার কলিজা তেও আসে। কেউ কারো ছেদা ঠিক করতে পারে এইটা ভাইবা প্রেম করতে গেলেই ধরা খাইবেন।

আপ্নের যদি মনে হয় আপনার লাইফ এ কিছু গ্যাপ আছে, কিছু অপূর্ণতা আছে, কিছু দোষ আছে তাইলে আগে নিজে নিজে এগুলা মেরামত করেন। তারপর অন্যজন এর লগে প্রেম করনের কথা চিন্তা করেন। হে আইসাই হাতুরি বাটাল লয়া আপ্নেরে মেরামত করতে নাইমা যাইবো এইডা আশা কইরা প্রেম করতে যায়েন না।

বরং আপ্নে যদি নিজেই নিজের অপূর্ণতা গুলারে ওভারকাম করতে পারেন তাইলে অনেক কনফিডেন্টলি আরেকজন এর সমস্যা গুলা শেয়ার করতে পারবেন। তারে কইতে পারবেন, আরে এই জিনিশ? এইডা কুনু ব্যাপার ই না। আমারো এই সমস্যা আসিল। আমি এই এই আর ওই ওই করসি। ঠিক হয়া গেসে। তাইলে দেখবেন আপ্নের জায়গাটা আরো কত উপ্রে উইঠা যায় তার চোখে।

২ লম্বর কারণ এইখানে শেষ। আর ৩ খান বাকি। আল্লায় বাচাইলে আবার কাইল্কা লিখুম নে। যাই গা। ঘুমাই।

২৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২২, ২০১৫ । ১.১৮ এ.এম

 

আগের দিন কইসিলাম রিলেশনশীপ সাইকোলজি নিয়া লেখুম। তাই এই বার সাহস কইরাই ফালাইলাম। এই বিষয়ে ওয়েবসাইট গুলা একটু খুইজা পাওয়া কঠিন। বেশিরভাগ ওয়েব সাইটেই ডেটিং এডভাইস দিয়া ভরপুর থাকে। সস্তা অনলাইন পোর্টাল গুলা যেখান থিকা লেখা মারে ওই গুলায় সয়লাব ইন্টারনেট। কোন ১০ টি কাজ করিলে মহিলা আপনার বিছানায় ফাল দিয়া পড়িবে, কোন ৫ টি কাজ করিলে জীবনে পেম আসিবে এই টাইপ এর লেখা দিয়া ভর্তি।

 

আমি এডি পইড়া মজা লইসি আর মনে হইসে আরো গোড়ার দিকে যাইতে হইব। লাইক পেম অখনও হয় ই নাই কিন্তু হই হই করতাসে। তখন কনফিউজড লাগে । কিত্তাম, কার কাছে জিগাইতাম , লরছুইন তো মরছুইন টাইপ এর ডিলেমা ভর করে। টেনশন করার কিসু নাই। আমি থাকতে কারো কোন ভরসা নাই এনশাল্লাহ। তয় পরের প্যারা পড়নের আগে যাইনা রাখা ভাল যে, আমি আমার দোস্ত রে প্রেম বিষয়ক উপদেশ দিসিলাম। হের পর বিশাল কেরফা লাগসে আর দোস্ত আমারে কইসে, খবরদার তুই আর কাউরে প্রেম বিষয়ক উপদেশ দিবি না। খালি কেউ কিছু জিগাইলে উপ্রে নিচে ডাইনে বামে মাথা লারবি। তাই যা পড়বেন জান হাতে লয়া পড়বেন। বিরাট রিস্ক এর এলাকা আসে সামনে।

 

                ***কুন কুন সম প্রেম করবেন না***

          **একটি উত্তপ মস্তিস্ক দি বারনিং ব্রেইন পরিবেশনা**

*লিখেছেন ফয়সাল আকরাম ইথার [বেশি বুজার কারনে লেখক এখনো ছিংগেল]*

 

১। থামেন, প্রেম করবেন না, যখন আপনি কিছু প্রমান করতে চাইতাসেন  

উদাহরনঃ

হয়তো আপ্নে ভাবতাসেন, “নাহ জীবনে প্রেম ই কল্লাম না তো কি কল্লাম। আমি আর “দি লাস্ট ভার্জিন অফ বিডি” হয়া থাকতে চাইনা”। প্রমান করতে চাইতাসেন সবাই আপ্নের লগে যেম্নে মজা লয় আপ্নে আসলে অতটা বেকুব কেউ না।

হয়তো আপ্নে দুনিয়ার কাছে একটু স্বীকৃতি , একটু দাম চাইতাসেন। আর পাশে একটা গালফ্রেন্ড/ বয়ফ্রেন্ড লয়া ঘুরার চেয়ে ভাল ব্যানার আর কি হইতে পারে যে “এই ব্যাক্তি আর লুজার নহে, সে এখন উইনার, তারে সালাম দেন” ।

হয়তো আপ্নের ব্রেক আপ হইসে রিসেন্টলি। আপ্নে সেই “ওরে” একটা শিক্ষা দেওনের মউকা মউকা খুজতাসেন। “ওরে” দেখাইতে চাইতাসেন যে আপ্নের আর ওর লাইগা কুনু ফিলিংস ই নাই। আপনি প্রমান করতে চাইতাসেন যে আপ্নের আসলে ব্রেক আপ হয় নাই, আপ্নে নিজেই বেটার কাউকে বাইছা নিসেন। আপ্নের ইচ্ছা করতাসে ফেসবুকে আপ্নের প্রেম করার ছবি দিয়া দিয়া “ওরে” জেলাস বানাইতে।

ব্যাক্ষাঃ

বিশ্বাস করেন আমি নিজে যতবার এই কারনে প্রেম করার কথা ভাবসি ততবার আপ্নে ক্রাশ ও খান নাই। আপ্নে এই জন্য প্রেম করতে যাইতাসেন না যে আপ্নের আর ওর মধ্যে অনেক কমন জিনিষ আসে, অফফ্‌, মার লাফ। আপ্নে আসলে প্রেম করতে যাইতাসেন কারন আপ্নের নিজের উপ্রে ভরসা নাই। আপ্নে আরেকজন রে যাস্ট একটা প্লেকারড, একটা চকচকা খেলনা হিসাবে ব্যাবহার করতে যাইতাসেন যেইখানে আপ্নে তারে মাথায় উঠায়া দেখাইবেন আর কইবেন, “দেখসত? দেখসত?”

একজন মানুষ হিসাবে আপ্নের তার সাথে এইটা করাটা খুব ই খারাপ একটা কাজ হইব। আপ্নের গালফেন/বয়ফেন রে ট্রফির মত মাথায় উঠায়া দেখাইলেও আসলে আপ্নের বেপারে কারো ধারনা চেঞ্জ হইব না। হুদাই আরেকজন এর লাইফ টাই নশট হইব, লগে আপ্নের টাও।

এই কারনে প্রেম করলে এইটা প্রমান হইব যে, আপ্নে যতই চেঞ্জ হন না কেন, আপ্নে এখনো অন্যদের এপ্রুভাল এর লাইগা কাঙ্গালের লাগান হয়া থাকেন।

“প্লিজ তরা ক, ওয়াও।

প্লিজ তরা ক, নাইস কাপল।

প্লিজ তগ তিন্ডা পায়ে ধরি ক যে, লুকিং কিউট”

এইডা শুনতে কি খুব ভাল্লাগে। কিন্তু আপ্নের কাজ কারবারে এইটাই নিঃশব্দ চিৎকার হিসাবে প্রকাশ পাইবো ।

শুধু এই প্রমান করার উদ্দেশ্যে প্রেম করাটা আসলে একটা লক্ষন যে ভিত্রে ভিত্রে আসলে আপ্নে চেঞ্জ হন নাই। বেটার কিছুই হন নাই। আপ্নে শুধু চান অন্যরা ভাবুক আপ্নে চেঞ্জ হইসেন। আর এই কারনে প্রেম করলে এর পরে ই যে ব্রেক আপ টা হইব, কলিজার টুকরা খুইজা কুল পাইবেন না, এক্কেরে চুরমাচুর চানাচুর হয়া যাইব কয়া থুইলাম।

আরো ৪ টা কারন এর কথা চিন্তা করসি যখন পেম করা উচিত না। ওই গুলা নিয়া আরও ডিপ থ্রোট থুক্কু ডিপ থোট দিতে হইব [ডিপ থ্রোট জোক এর কপিরাইটঃ জিকো ভাই] । আজকে ঘুমায় যাই। কালকে অপিশ আসে।

২২/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২১, ২০১৫ । ৮.২৮ এ.এম

অর্থহীন কিছু জানার মধ্যে একটা অন্যরকম চার্ম আছে। একটা বেশ সেন্স অফ কনফিডেন্স পাওয়া যায়। যেমন আমার প্লেন নিয়া আগ্রহ আছে তাই আমি কারিব ভাই, আজিজ ভাই আর এরে অরে জিজ্ঞেস কইরা, নেট এ পইড়া বিভিন্ন জিনিষ জানসি। আমার ভাল্লাগে জানতে এবং মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্লেন বিষয়ক আলোচনায় আমি আতকা ঢুইকা গিয়া কিছু ভুল ধারনা ভাইঙ্গা দিতে পারি। এট্টুক জ্ঞান হইসে।

 

কিন্তু আমি পাইলট না কিংবা এভিয়েশন রিলেটেড কোন জব ও করি না। তাই আপাত দৃষ্টি তে এই জ্ঞ্যান এর কোন ভেলু নাই। “বাইয়া, পেলেন দেইখা কি লাব?” কিংবা “বাইয়া, পেলেন এর লম্বর যে জমান, এডি দিয়া পরে কি করেন?” এই ধরনের প্রশ্ন আমার প্রায় ই শুনতে হয়। আমি প্রথম প্রথম আগ্রহ নিয়া বুঝাইতে শুরু  করতাম , এ এ আন্তর্জাতিক শখ, এ এ দেশের ভাবমূর্তি, এ এ বিদেশি স্পটার ইত্যাদি ইতং বিতং বুঝাইতাম। কিন্তু এখন আর বুঝাইতে যাই না। আগে তার শখের লগে আমারটা মিলে কিনা বুঝি তারপর উত্তর দেই। তারেও আমার জায়গায় টাইনা আনার দরকার নাই আমারো তার জায়গায় উইঠা কিংবা নাইমা গিয়া দাগ কাটা শুরু করার দরকার নাই।

 

ইদানিং আরেকটা বিষয়ে অর্থহীন আগ্রহ হইসে। তা হইলো সাইকোলোজি। বিশেষ কইরা রিলেশনশীপ সাইকোলোজি। প্রেম বালুবাসা ঘটিত ব্যাপার স্যাপার। আমরা যতই আলাদা আলাদা দেশে জন্মাই, আলাদা কালচার এ বড় হই এই একটা ব্যাপার এ আইসা ব্যাপারটা, ঘটনাটা এবং ঘটনার পরের আনন্দটা, কষ্টটা, ধাক্কাটা একই।

 

আমার কাসে জিনিষ টা বেশ প্লেন স্পটিং এর মত লাগসে। আমিও প্লেন স্পটার, ওই বিদেশি চাচাও প্লেন স্পটার। উনি আমাত্তে অনেক বেশি পেলেন দেখসে তাই উনি আমাত্তে পেলেন বেশি বুজে। এইডাই নিয়ম। বিদেশে পেম বালুবাসার নিয়া সাইকোলজিকাল এনাইলাইসিস টাইপ লেখা অনেক বেশি হইসে। আর আমাগো দেশে সেই তুলনায় খুব কম হইসে। যদিও আমরা হুমায়ুন আহমেদ পইড়া বা টাইম না থাকলে “হুমায়ুন আহমেদ কোটস” পেজ এ লাইক দিয়া অনেক কিছু বুইঝা লাইসি।  কিন্তু কেস স্টাডি করলে দেহা যাইব বিদেশিগো বালুবাসা আর আমাগো বালুবাসা এর কাহিনি মাহিনি একই। অন্তত আমাগো আব্বা আম্মাগো টাইম এর এর মত না হইলেও আজকের সময় এ প্রায় একই।

 

বইলা রাখা ভাল যে আমার সাইকোলজির কোন বেসিক ই নাই। আমার গিয়ান এই সব ওয়েবসাইট পইড়া আর পরিচিত ঘটনার লগে তা মিল্লা গেলে হয় হয়, ঠিক ঠিক করার মধ্যেই। আর রিলেশনশিপ এডভাইস এর ব্যাপারে তো আমি বড় সময় চুষি (I suck big time) ।

 

এক দোস্ত রে তার ঝগড়া ঝাটির সময় অনেক পন্ডিতি কইরা এইডা কর অইডা কর কইতাসিলাম। তখন পর্যন্ত দোস্ত আমার বেশ ভাল অবস্থানে ছিল, আমার কথা মত কাজ করনের পর মাইয়া পুরাই পল্টি খাইসে, দোস্ত এখন বেকায়দায়। ওই মাইয়া দোস্ত রে উলটা ফাপর লয়া ফাডায়া লাইতাসে। চেইতা গিয়া দোস্ত কইসে, অখন থিকা তরে কিছু কইলে তুই খালি মাথা ডাইনে বায়ে নাইলে উপ্রে নিচে লাড়বি বুঝসত? উপদেশ আর দিস না, তোর আল্লাহর দোহাই লাগে। আমি মিন মিন কইরা, না ইয়ে মানে…ওয়েবসাইতে তো লেখসে…মানে সাইকোলজি…মানে খিদা লাগসে…মানে মমমম ডিম্ভাজি… এডি ছাড়া কিছু কইতারি নাই।

 

আগামি লেখা গুলায় আমি এই ওয়েব সাইট পইড়া আহোরিত রিলেশনশীপ সাইকোলোজি এর জ্ঞ্যান বাংলা কইরা জন সাধারনের মাঝে ছড়ায়া দেওন এর বদ ইচ্ছা রাখি। তয় চেশ্টা করুম রিলেশনশীপ এডভাইস যত কম পারি দেওনের। নাইলে মাইর মুইর খাওনের বিরাট চান্স আসে।

২১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ২০, ২০১৫ । ৫.৪৫ এ.এম

আমার মন খারাপ। আমাদের সবার মন খারাপ। হেরে গেলে মন খারাপ হয়। কিন্তু আমরা তো হারিনি। ইন্ডিয়া হয়তো জিতে গেছে বলে বগল বাজাচ্ছে কিন্তু আমরা তো হারিনি। আমাদের পয়সার জোরে জিততে দেয়া হয় নি।

আমাদের জন্য এটা খেলা। হার জীত এর অনুভুতির চেয়ে খেলার উত্তেজনাটা আমাদের কাছে মূখ্য। কিন্তু ইন্ডিয়ার মত মারোয়ারি জাত এর কাছে এইটাও এক্টা ব্যাবসার জায়গা, একটা করপোরেট ব্যাপার, আরো একটা আত্মা বেচে দিয়ে নোট গোনার ক্ষেত্র মাত্র।

ওরা তাই জেতার জন্য সব কিছু করতে পারে। আমাদের অত টাকাও নাই আম্পায়ার কেনার আর আমরা অত টা নিচে চাইলেও নামতে পারবো না কোনদিন। থাকুক। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রাস্তায় হাগু করার রেকর্ড ধারি ইন্ডিয়ান জাতি, বদনা নিয়ে কারাকারি করার অভ্যাস বসত বলতে থাকুক, উহু, Won’t Give It Back

আর কিছু মাতবর দেখসি “আহা, না হয় একটা ভুল আউট ই দিসে, আহা না হয় মাহমুদুল্লাহর আউট টা হয় নাই, কিন্তু তাই বইলা এত রান এর ব্যাবধান এ হারবে?” এইটাইপ এর গুপ্তকেশ মারকা কথা লিখছেন। এদের নগদে বহিষ্কার ছাড়া আর কিছু করার কথা ভাবছি না এখন। এগুলাই রাজকার হয়। এভাবেই বেঈমানি করা হয়। বেঈমান ফ্রেন্ড দরকার নাই লিস্ট এ আমার।