২২০/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অক্টোবর ০৬ , ২০১৫

ছোটদের ফটোগ্রাফি শিক্ষা ৪

আর একটা ছোট্ট জিনিষ বাকি এক্সপোজার নিয়া আলোচনার আর সেইটা হইলো ISO

আই.এস.ও (ISO)

ছোট্ট নাম হইলেও এর ক্ষমতা ব্যাপক। আই.এস.ও নামের ইতিহাস না বইলা সরাসরি চইলা যাই জিনিষটা কি সেইটাতে ।

আই.এস.ও হইলো ফ্লিম বা সেনসর কতটা Light Sensitive বা আলোক সংবেদী সেইটা । একটা ফ্লিম যদি “বেশী আলোক সংবেদী” হয় তাইলে কি হইবো? তাইলে ওইটা কম আলো পাইলেই আলোর সাথে রিয়েকশন ঘটাইতে পারবো। আর যদি “কম আলোক সংবেদী” হয় তাইলে কি হইবো? তাইলে এইটাতে রিয়েকশন ঘটাইতে হইলে অনেক বেশি “পরিমান” আলো বেশি “সময়” ধইরা ফেলা লাগবো। আশা করি সময় আর পরিমান ক্যামারায় কি দিয়া কন্ট্রোল করন যায়, সেইটা এখন জানেন। মনে না থাকলে কই, “পরিমান” কন্ট্রোল করন যায় Aperture দিয়া আর সময় কন্ট্রোল করন যায় Shutter Speed দিয়া।

জিনিষটা অনেকটা এইরকম যে, আমার অনেক কাতুকুতু। কেউ আমারে কাতুকুতু দেওনের ভাব কইরা চোখের সামনে আঙ্গুল নারাইলেও আমি লাফ দিয়া উঠি। অথচ গন্ডাররে এই কামটা করতে গেলে আপনারে পাত্তাও দিবনা। এর মানে হইলো আমি বেশি কাতুকুতু সংবেদী, আমারে হাসাইতে হইলে কম কাতুকুতু দিলেই চলে। আর গন্ডার মামু কম কাতুকুতু সংবেদী, তারে হাসাইতে বেশী কাতুকুতু দেওন লাগে ।

যাউকগা আই.এস.ও তে ফিরা আসি। ফ্লিম ক্যামেরার ক্ষেত্রে , আই.এস.ও জিনিষটা হইলো ফ্লিমের একটা প্রপার্টি। ফ্লিম কেনার সময় দোকানদাররে হ্য়তো বলতে শুনসেন ১০০ পাওয়ারের ফ্লিম, ২০০ পাওয়ারের ফ্লিম। ফ্লিমের গায়েও লেখা থাকে।এই ১০০ বা ২০০ ই হইলো ওই ফ্লিমটার আই.এস.ও। ডিজিটালের ক্ষেত্রেও একি জিনিষ শুধু ফ্লিমের জায়গায় সেনসর থাকে।

আই.এস.ও এর মান যা যা হইতে পারে তা হইলো

১০০

২০০

৪০০

৮০০

১৬০০

৩২০০ ইত্যাদি।

খেয়াল করেন এপারচার আর শাটার স্পিডের মতো, আই এস ও বাড়াইলে বা কমাইলে এক্সপোজার ডাবল বা অর্ধেক হওয়ার ব্যাপারটা এইখানেও আছে।

আই.এস.ও ১০০ মানে কম আলোক সংবেদী আর ৮০০ মানে বেশী আলোক সংবেদী। তো যেখানে অনেক বেশী আলো আছে (যেমন বিয়া বাড়ি বা সূর্যোজ্জল দিন) ওই খানে তো আমার বেশী লাইট সেন্সিটিভিটির দরকার নাই, তাই আমরা আই.এস.ও ১০০ বা ২০০ ব্যবহার করি। আবার ধরেন ঘুমন্ত আন্ধার রাইতে জলন্ত মুমবাতির ফটুক তুলতে গেলে আই.এস.ও বাড়ায়া ৮০০/১৬০০ করন লাগতে পারে। কারন কম তেলে করকরা ভাজার মত তখন কম আলোতে বেশি ফটুক দরকার।

আই.এস.ও বাড়ানির একটা সাইড এফেক্টও আসে। সেইটা হইলো, আই.এস.ও যতো বাড়াইবেন, ছবিতে grain বা noise ততো বেশি আসবে। তাই আই.এস.ও বাড়ানির সময় খিয়াল কইরা বাড়াইতে হইব।

একটা Canon G12 ক্যামেরায় ISO বাড়ানোর এফেক্ট এই রকমঃ

Aperture এবং Shutter Speed একি রাইখা শুধু ISO চেঞ্জ করলে দেখেন ছবিতে আলো কেম্নে বাড়তাসে। কারন তখন সেন্সর বেশি আলো ধরতে পারতাসে।

সেম ফ্রেম এর ছবি বিভিন্ন ISO তে। নয়েজ বাড়ার ব্যাপারটা খেয়াল করেনঃ

এই ছিল এক্সপোজার কন্ট্রোল করার তিনটা এলিমেন্ট। Aperture, Shutter Speed আর ISO. এই তিন এলিমেন্ট রে মাখায়া মুখায়া কেম্নে একটা ফটো রে কারেক্ট এক্সপোজার এ তুলন যায় তা আমরা আগামি লেখায় শিখবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *