১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০১৫

 

The worst thing about Sadness is that Sadness brings Sadness. I’ve been sad for a pretty long time. Now that I think about it, I barely remember when is the last time I was sustainably happy. I mean, really, whole heartedly, o-my-god happy. Yes, there were moments when I thought, ah, this must be it, finally the spring had sprung. But, no. Sooner and not later, I am back to square one, the square of sadness.

 

Two days ago, my cat died. It is now “the saddest” thing that happened after the last “saddest thing” in my life. Day and night, in or out, awake or asleep, all I can think about is Oru. She was the loveliest of them all. The most sweetest, the most cuddliest and all “the most -est” words you can think of.  But, like everything else in my life, I messed it up and she died because of me.

 

আমি ওর কথা সারাক্ষণ ভাবি। কিভাবে আদর নিত, কিভাবে কোলের উপর এসে চুপচাপ বসে থাকতো, কিভাবে ওকে বাসায় রেখে অফিসে যাওয়ার সময় আমার  দিকে তাকায় থাকতো। ওই চোখে কি অভিমান ছিল? ছিল হয়তো। কিন্তু অনেক ভালবাসা ছিল  আমি জানি। কারন ও আমাকে ভালবাসতো। আর আমরা যাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসি, সবথেকে বেশি অভিমান আমাদের তাদের উপরই হয়।

 

আচ্ছা, ও যখন ১৫ তালার বারান্দা থেকে নিচে পড়ছিল, ও কি আমার কথা ভাবছিল? আমাদের একসাথে সময় গুলার কথা কি ও ভাবছিল? আমার উপর কি ওর অনেক অভিমান হচ্ছিল? মরে যাবার আগে, সারা রাত ঠান্ডা কংক্রিটে শুয়ে, ওর ছোট্ট বুকের ভিতর  এতগুলা অভিমান নিয়ে, আমার মেয়েটা, আমার ছোট্ট বিড়াল ছানা টা, মরে গেল।

 

আমি তখন কি করছিলাম? আমি তখন ফেসবুকে বসে ছিলাম। অর্থহীন সব স্ট্যাটাস লিখছিলাম। স্ক্রল করে যাচ্ছিলাম। অন্যের লেখা পড়ে তার জীবনে উঁকি দিয়ে ফেলেছি ভাবছিলাম। আর আমার মেয়েটা মরে যাচ্ছিল। হয়তো যদি ওকে চোখে চোখে রাখতাম, হয় তো ল্যাপ্টপ টা অফ করে ওর গায়ে আর একটু হাত বুলাতাম, হয় তো ও এখনো এখানে আমার কাছে থাকতো।

 

আমি আমার ফেসবুক ব্যবহার এর প্যাটার্ন এ একটা বড় পরিবর্তন আনছি। আমি এখন আর সারাক্ষণ অনলাইন এ থাকবো না। আমার একটা অভ্যাস হয়েছে এখন ফজর এর আজান এর সাথে সাথে ঘুম ভাঙ্গার। ওই সময় টায় কিছুক্ষণ এর জন্য অনলাইন হব। যদি কিছু পোস্ট করার থাকে পোস্ট করব। মেসেজ গুলা পড়ব। নোটিফিকেশন আর নিউজফিড টা একনজর দেখে বের হয়ে যাব।

 

আমি সবার মেসেজ পেয়েছি। আমি ক্ষমা প্রার্থী যে আমি কারোর মেসেজেরই রিপ্লাই দেই নি। লেখার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে  এক অদ্ভুত, নিঃশব্দ, শূন্যতা অনুভব করার ছাড়া আর কিছুই করতে পারছিলাম না। ওইজন্য রিপ্লাই দিতে পারি নি।

 

আমি আমার মনযোগ টা এখন থেকে আসল দুনিয়ার দিকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ওরুও হয়তো এটাই চাইত, যদি থাকতো। ফেসবুকের কারণে আমরা শেয়ার করার জন্য এত ব্যাস্ত হয়ে যাই যে আমাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি শুন্য হয়ে যাচ্ছে। আমরা অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে মজা নিতে নিতে ভুলে যাচ্ছি যে আমারো আরো অনেক কিছু করার ছিল, অনেক বই পড়া বাকি ছিল, অনেক গান শোনা বাকি ছিল, অনেক সিনেমা দেখা বাকি ছিল, অনেক কিছু শেখা বাকি ছিল, অনেক ভালবাসা দেয়া নেয়া বাকি ছিল।

 

আমরা সবকিছু নিয়ে এত দ্রুত উপসংহারে পৌঁছে যাচ্ছি শুধুমাত্র পরের সূচনা টা ধরার জন্য। This has to end or this will end us. ফেসবুক কে আমি খারাপ বলছি না। আমাদের কানেক্টেড থাকার অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু আমি সেই অল্প কিছুদের দলে সামিল হতে চাই যারা বেঁচে ছিল, একটা স্ক্রিন এর দিকে তাকিয়ে থেকে না, This sad thing called life এর দিকে তাকিয়ে থেকে।