৭৮/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মে ১৬, ২০১৫ । ১১.৪৯ পি.এম

আমরা শুধু জায়গার নাম টা জানতাম। আর জানতাম এয়ারপোর্ট এর বাতিল করা প্লেন এই সব লোহা ব্যাবসায়ী রা কাটে। গুগুল ম্যাপ থেইকা দেইখা দেইখা আমি আর কারিব ভাই অনেক খন ভাবলাম , হুম্মম, এই জায়গাটায় হইতে পারে? উহু এক্সেস রোড অনেক ছোট। যেহেতু এয়ারক্র্যাফট কাটে তাইলে অদের একটা বড় ভেহিকল ঢুকতে পারে এমন এক্সেস রোড অলা জায়গার দরকার হবে। আচ্ছা চলেন যাই, গিয়া খুইজা বাইর করুম নে।

রউনা দিলাম দুইজন সি এন জি দিয়া। ভিজুয়াল ন্যাভিগেটর কারিব ভাই আর গুগুল ম্যাপ্স দেইখা ন্যাভিগেটর আমি। ডাইনে জান, বাইয়ে জান , আবার বায়ে গিয়া ডাইনে মোচর দেন এরম ডিরেকশন দিতে দিতে সি এন জি আগাইতে লাগলো। ঝামেলা হইলে একটা জায়গায় আইসা। গুগুল ম্যাপ্স এ যেখানে সোজা রাস্তা দেখানো হইসে ওই রাস্তায় আসলে সি এন জি যাবে না। কারণ ওইটা দুই বাসার চিপা দিয়া যাওয়া একটা রাস্তা। সি এন জি ছাইড়া দিয়া হাঈট্টাই রউনা দিলাম। গু এর সমুদ্র পাড়ি দিয়া , বাসা থেইকা ফালানো ময়লা রে ডোজ মাইরা, এলাকার মাতবর লোক জন এর “এই সামনেই” এর ফলস ইলিউশন এর আশা বুকে নিয়া অবশেষে পৌঁছাইলাম গন্তব্যে।

জায়গাটা পুরাই একটা তিন গোয়েন্দার পাতা থেইকা উইঠা আসা সেল্ভেজ ইয়ার্ড। কি নাই। জাহাজের প্রপেলার , বিশাল বিশাল লোহার শিট, অসংখ্য লোহার আর মেটাল এর জিনিষ পাতির পাহাড়। এর মধ্যে আমরা আবিষ্কার করলাম একটা এয়ারক্র্যাফট ইঞ্জিন এর। কারিব ভাই একবার দেইখাই বইলা দিল এইটা একটা L-1011 Tristar এর ইঞ্জিন। আমরা জানতাম যে কয়দিন আগে স্কাই ক্যাপিটাল কারগো এর বিমান টা স্ক্র্যাপ করা হইসে। তাই বুঝলাম যে জায়গা মত আইসা পড়সি।

এর অর সাথে কথা বইলা মালিকের খোজ বাইর কইরা তার সাথে দেখা করলাম। লোকটা বেশ ভাল । আমাদের পেলেন পাগলামি দেইখা অনেক খুশি হইল। আমাদের কোক আর সল্টেস্ট বিস্কুট খাওয়াইসে। তারপর আমাদের লোহা কাটাকুটির জায়গায় নিয়া গেল। জিজ্ঞেস করসিল আমরা ইঞ্জিন এর ব্লেড নিতে চাই নাকি কোন টা। বইলা আসছি আগামী সপ্তাহে আবার যাব তখন নিব 😀

চইলা আসবো এমন সময় উনি বললেন চলেন আপনাদের একটা মজার জায়গায় নিয়া যাই। আমরা তো, শিট আরো মজার জায়গা আসে? চলেন চলেন। উনি উনার ই ভাই বেরাদর এর এক দোকানে নিয়া গেলেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কয়দিন তাদের অনেক স্ক্র্যাপ মালামাল , স্পেয়ার পার্টস বিক্রি কইরা দিসে। লাইক F-6 এর স্পেয়ার পার্টস, C-130 এর বাতিল যন্ত্রাংশ আরো অনেক হাবি যাবি। গিয়া মাথা খারাপ হয়া গেল। মনে হইল সব নিয়া আসি ট্রাক এ ভইরা। রকেট পড ছিল অনেক গুলা। ইচ্ছা করলে আনা যাইত। দরজায় লাগায় রাখলে মজা হইত। আন বিলি ভেবল।

আমি একটা অল্টিটিউড মিটার ওরফে অলটি মিটার নিয়া আসছি যেখানে এখনো ৭১০ ফ্লাইট লেভেল ইন্ডিকেট করতাসে। এইটা একটা সত্যিকার এর ফাইটার প্লেন এর ককপিট এ ছিল । এখন আমার বিছানার পাশে। কি যে খুশি লাগতাসে। দাঁত সব গুলা বাইর কইরা বইসা আসি।

আই এম গ্ল্যাড দ্যাট আই ওয়ান্টেড টু বিকাম এ প্লেন স্পটার। ধন্যবাদ এভিয়েশন, এত অসাম হওয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *