১৮/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ১৭, ২০১৫ । ২.৫২ এ.এম

আজকে অফিস এর পরে বারডেম গেসিলাম। এইডা আসল বারডেম না। নকল ডা। সেগুন বাগিচার চিপার বিত্রেরডা। দুই লম্বর বারডেম। এইডা আমি কই নাই। হেরা নিজেরাই নিজেগো দুই লম্বর কইসে। বাইরে লেখা আসে মা ও শিশু , বারডেম – ২।

 

গেসিলাম মিশু আপু রে দেখতে। উনার বাংলাদেশ পুলিশ (বি পি) হাই। এখন অবস্থা ভাল। বাংলাদেশ পুলিশ কমতাছে। আর দুই একদিন পর রিলিজ দিয়া দিব।

 

মিশু আপু রে যেইখানে রাখসে হেইডা হাসপাতালের অন্দর মহল টাইপ এর জায়গা। পর পুরুষের প্রবেশ নিষেধ। তাই রুগি দেখতে গিয়া বেশির ভাগ টাইম আমি জিকো ভাই রে দেইখাই আয়া পরসি। আমরা এতিম এর মত কিছুখন এই হানে কিছুখন ওই হানে বয়া থাইকা আড্ডা উড্ডা মাইরা আয়া পরসি।

 

বইতে গিয়াও দেহি আরেক পবলেম। লুকজন বেশি নাই। হাস্পাতাল্ডা খুবি ঠান্ডা মারকা হইলেও বিত্রে গরম অনেক। আর ফ্যান ও বন্ধ কইরা রাখসে অনেক জায়গায়। তাই আমরা যেইখানে ফ্যান ছাড়া পাইসি ওইহানেই গিয়া চ্যাগায়া বয়া পরসি। এট্টু পরে ওই জায়গার ফ্যান কেডায় যানি অফ কইরা দিসে, আবার ফ্যান এর সন্ধান এ বাইর হইসি। জিকো ভাই এর এতো ফ্যান। দুই একটা রে আইন্না সিলিং এ ঝুলায় দিলেও কাম হইত।

 

ফ্যান খুইজা বহন ডাও আরেক প্যারা আসিল। আমরা খুজতে খুজতে এক জায়গায় আয়া এট্টু আরাম কইরা বইসি, এট্টু পরে দেহি এক আন্টি আয়া খুবি ভুরু মুরু কুচকায়া লুক দিতাসে। আমরা তো বুঝি না উনি এরুম করতাসে ক্যান। ফাস্ট এ তো পাত্তাই দেই নাই। হুর, আন্টি লুক দিলে আম্রার কি। ইট্টু পরে আশে পাশে তাকাইতে গিয়া দেহি যেহানে বইসি তার পিছনে লেখা “ব্রেস্ট ফিডিং করনার”। কাম সারসে। তারাতারি উইঠা আবার ফ্যান খুজতে বাইর হইসি।

 

আল্লায় বাচাইসে। নাইলে  এই করনারে বইসি বইলা বাধ্যতা মুলক ব্রেস্ট ফিডিং করাইতে হইলে খবর আসিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *