২৯৭/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জানুয়ারি ৯, ২০১৭, ০৯:১৯ এ এম

দা ব্যাটেল অফ বয়রা ( মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আকাশ যুদ্ধ ), পর্ব ৩

আগের পর্ব শেষ করেছিলাম ২১শে নভেম্বর, ১৯৭১ এ। এই দিন দুই বার কলকাতার দমদম বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স এর Gnat বিমান গুলো কে Scramble (কোন জরুরী অবস্থায় মিলিটারি এয়ারক্র্যাফট দ্রুত এয়ারবোর্ন হওয়া) করা হয় কিন্তু দুই বার ই তারা পাকিস্তান এয়ারফোর্স এর Sabre বিমান কে পাল্টা আক্রমন করতে না পেরে ফিরে আসে। উল্লেখ্য যে প্রতিবার Scramble এ চারটি করে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স এর Gnat বিমান অংশ ন্যায়।

২য় বার এর Scramble এর একজন পাইলট ছিলেন ফ্লাইং অফিসার P.K. Tayal । কোন কারনে তায়াল এর G-Suite রয়ে গিয়েছিল Kalaikunda এয়ারফোর্স বেজ এ। তাই Tayal সেদিন তার কলিগ P.M Velankar এর G-Suit পরেই মিশন এ অংশ নিয়েছিলেন।

এখন একটু জেনে নেই G-Suit কি? যুদ্ধ বিমান চালানোর সময় পাইলট রা গতি জনিত ত্বরন বা G Force এর চাপ কে সামলানোর জন্য এক বিশেষ ধরনের পোশাক পরেন। এই পোশাক পাইলট এর শরীরের রক্ত কে হাই স্পিড এ বিমান চালনার সময় রক্তকে শরীরের নিচের অংশে ফ্লো করতে দ্যায় না। শরীরের নিচের অংশে রক্ত হঠাৎ চলে গেলে মস্তিষ্ক রক্তশূন্যতায় পরতে পারে, ফলে পাইলট অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। G-Suit এই কাজটাই করে। পাইলট এর শরীরে আটোসাটো হয়ে বসে রক্ত কে শরীরের নিচের অংশে হঠাত চলে যাওয়া থেকে আটকায়। কমার্শিয়াল এয়ারলাইন্স এর পাইলট রা G-Suit পরেন না কারন তাদের অনেক স্পিড এর কোন ম্যানুভার করতে হয় না যেখানে জি ফোর্স এর প্রেসার বেশি থাকে। মিলিটারি এয়ারক্র্যাফট বা এক্সপেরিমেন্টাল এয়ারক্রাফট এর পাইলট রাই G-Suit এর প্রধান ইউজার।

image

Gnat বিমান এর সাথে G-Suit পরিহিত Indian Air Force এর পাইলট। ছবি সুত্রঃ www.bharat-rakshak.com

আবার মূল লেখায় ফিরে আসি। Tayal যার G-Suit পরে বিমান চালাচ্ছিলেন সেই Velankar ছিলেন Tayal এর চেয়ে ফুট খানেক ছোট। তাই Tayal এর কাছে Velankar এর G-Suit খুবি ডিসকম্ফোর্টেবল লাগছিল। Tayal জানতেন সেদিন সন্ধ্যায় Kalaikunda বেইজ থেকে স্পেয়ার, সাপ্লাই এবং রিপ্লেসমেন্ট পাইলট রা আসবেন। তাই তিনি Kalaikunda তে ফোন করে তার কোর্স মেইট Don Lazarus কে দমদম বেইজগামি Otter বিমানে তার G-Suit টি পাঠিয়ে দিতে বললেন। কিন্তু Lazarus অনেক খুজেও Tayal এর G-Suit কোথাও পেলেন না। Tayal এর স্বভাব Lazarus জানতেন ভালভাবেই, তাই তিনি দমদমগামী বিমান এ চরে বসলেন। Lazarus এর ধারনা ঠিক ছিল। G-Suit পাওয়া যায়নি এই খবর জানার পর Tayal আর কোন মিশনে ফ্লাই না করার স্বিদ্ধান্ত নেন। Kalaikunda বেইজ থেকে তার আরেক কোর্সমেট ফ্লাইং অফিসার Sunith “Sue” Soars আসছিল । Tayal এই সুযোগে Soars এর আনা রিপ্লেস্মেন্ট Gnat টি নিয়ে Kalaikunda বেইজ এ ফেরত চলে যান।

দিনের বাকি সময় আর কোন উত্তেজনা ছাড়াই কেটে যায়। Tayal তখনো জানতেন না সামান্য G-Suit এর কারনে তিনি কি হারালেন যেমন রিপ্লেসমেন্ট হিসাবে আসা Lazarus এবং Soars জানতেন না তারা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রথম আকাশ যুদ্ধ Battle of Boyra এর অংশ হতে যাচ্ছেন।

মূল এয়ার ব্যাটেল এর ঘটনায় আসতে আমার আরো একটা পর্ব লাগবে। পরের পর্বে আমি মূল ঘটনার আরো কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করব।

এখন পর্যন্ত লেখা তিনটা পর্ব ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂

২৯৬/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জানুয়ারি ৩, ২০১৭, ১১:৫৭ এ এম

দা ব্যাটেল অফ বয়রা ( মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আকাশ যুদ্ধ ), পর্ব ২

আগের পর্বে একটা সার সংক্ষেপ দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। এই পর্ব থেকে যতটুকু পারি বিস্তারিত লেখা শুরু করলাম।

নভেম্বর মাস, ১৯৭১। স্বাধিনতার জন্য আমাদের বিক্ষিপ্ত যুদ্ধ গুলো তখন অনেক গোছানো হয়ে এসেছে। পাকি সেনারা (আমাদের পাঠ্য বই এ পড়ানো হইত পাক সেনা, আমি এইসব নাপাক দের পাক সেনা বলতে চাই না) বুঝতে পেরেছে আমরা তাদের ভয় পাই না। তাদের আরো কোনঠাসা করতে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত দিয়ে ইন্ডিয়ান আর্মিও ঢুক্তে শুরু করেছে। আমাদের আজকের কাহিনী এই সীমান্ত এলাকারই একটি জায়গা “বয়রা” নিয়ে।

“বয়রা” ভারতের সীমান্তবর্তি একটা এলাকা যা মুক্তিবাহিনী এবং ইন্ডিয়ান আর্মি মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি “এন্ট্রি পয়েন্ট” বা “ইনগ্রেস পয়েন্ট” হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করে। ভৌগলিক ভাবে বয়রার কিছু সুবিধা ছিল। এই জায়গাটা কলকাতা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার আর যশোর শহর থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার। ভালো ভাবে বোঝার সুবিধার জন্য নিচে একটা ম্যাপ দেয়া হইলঃ

image

১২ নভেম্বর, ১৯৭১। ভারতের গরীবপুর, বাংলাদেশ এর চৌগাছা এবং যশোর শহর পাকি বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করার লক্ষে ইন্ডিয়ার আর্মির 350th Infantry Brigade of 9 Division অপারেশন শুরু করে। কোন রকম বাধা ছাড়াই তারা গরীবপুর পর্যন্ত পৌছায়। ১৮ই নভেম্বর, ১৯৭১ এ 42nd Infantry Brigade যোগ দ্যায় তাদের সাথে।

পাকি ছাগল বাহিনীর এতদিনে গিয়া হুশ হয় যে কিছু একটা করা দরকার। তারা ১৯শে নভেম্বর, ১৯৭১ ইন্ডিয়ান আর্মি কে আক্রমন করার জন্য এয়ার স্ট্রাইক (বিমান আক্রমন) কল করে। ২২শে নভেম্বর, পাকি বাহিনী ইন্ডিয়ান আর্মির উপর তাদের গ্রাউন্ড ট্রুপ এবং M-24 Chaffe Tank নিয়ে ঝাপিয়ে পরে। সাথে পাকি এয়ারফোর্স এর আক্রমন ও অব্যাহত থাকে। কিন্তু পাকিস্তান এয়ারফোর্স এর Sabre বিমান গুলার আক্রমন অনেকটাই রুটিন বাধা ছিল। সেই সময় এর ভারত এর এয়ার মার্শাল শারদ ইয়েশওয়ান্ত সাভুর এর ভাষ্য মতে,

“পাকিস্তান এয়ার ফোর্স অনেকটা রুটিন মাফিক ৩৫০ ব্রিগেড এর উপর আক্রমন করতো। প্রথম আক্রমন টা হতো সকাল ৯ টার দিকে। তারপর ২য় আক্রমন আসতো বেলা ৩ টায়। খুব কদাচিত তারা দুপুর ১২ টার দিকে একটা আক্রমন করতো, সেই ক্ষেত্রে বেলা ৩ টার স্ট্রাইক আর হতো না সেদিন। দুই বা চারটা PAF এর বিমান আসতো, রেসকোর্স প্যাটার্ন এর সার্কিট এ ঘুরতো, তারপর একে একে ডাইভ করতো এবং আক্রমন করে ধীরে সুস্থে ফিরে যেতো”

image

পাকিস্তানি M-24 Chaffe Tank

image

পাকিস্তানি Canadair Sabre Mk6


২১শে নভেম্বর, ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স এর চার টা Gnat বিমান কে Scramble করা হয়। Wikipedia তে Scramble এর সংজ্ঞা হিসাবে বলা আছে, কোন জরুরী অবস্থায় মিলিটারি এয়ারক্র্যাফট কে দ্রুত এয়ারবোর্ন (শুন্যে উড়ানো) করা। সাধারন্ত জরুরী অবস্থা বলতে এখানে শত্রু বিমানের আগ্রাসন কেই বোঝানো হয়েছে। কলকাতার দম দম এয়ারপোর্ট (বর্তমান নাম নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) থেকে সকালে উড্ডয়ন করে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স এর Gnat বিমান গুলো কিন্তু PAF কোন বিমান এর দেখা পাওয়া ছাড়াই সীমান্ত থেকে আবার ফিরে আসে। বিকালে বিমান গুলো কে আবারো Scramble করা হয় কিন্তু এবারো একি অবস্থা হয়। Gnat বিমান গুলো পৌছানোর আগেই Sabre বিমান গুলো পালিয়ে যায়। :

image

ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স এর HAL Folland Gnats বিমান

আগামি পর্বে আমরা দেখবো একটা সামান্য “জী স্যুট” কিভাবে কারো জীবন বদলে দ্যায়।

তথ্য সূত্রঃ

বইঃ Eagles Over Bangladesh. Written by: P.V.S Jagan Mohan and Samir Chopra

image

ইন্টারনেটঃ

বয়রার ম্যাপ ( https://www.google.com/maps/place/B…)
Battle of Garibpur (https://en.wikipedia.org/wiki/Battl…)
Battle of Boyra (https://en.wikipedia.org/wiki/Battl…)

ছবি সূত্রঃ

Mostly Google Image search and various Defence Forums

২৯৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জানুয়ারি ১, ২০১৭, ১০:২২ এ এম

দা ব্যাটেল অফ বয়রা ( মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আকাশ যুদ্ধ ), পর্ব ১

যাদের “অভ্যাস নাই” তাই “অনেক লেখা” পড়তে কষ্ট লাগে (ইন্টেশনালি ই পচাইসি, পড়ার অভ্যাস নাই ক্যান? হুর মিয়া -_- ) , তাদের জন্য সার সংক্ষেপঃ

বয়রা কি?

বয়রা একটা আঞ্চলিক শব্দ। কেউ কানে কম শুনলে তাকে আমরা বয়রা বলি। কিন্তু এইখানে বয়রা বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া সীমান্তের একটা জায়গা। এইটা ইন্ডিয়ার ভিতরে পরসে। এই জায়গাটা কলকাতা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার আর যশোর শহর থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার। নিচে ম্যাপ দেইয়া হইলঃ

image

ব্যাটেল অফ বয়রা কি?

২২শে নভেম্বর ১৯৭১

বয়রার ভৌগলিক সুবিধার কারনে মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্ডিয়ান আর্মি বাংলাদেশ এ যখন ঢুকতে শুরু করে, তখন এই জায়গাটা তাদের ইনফেন্ট্রি ব্রিগেড এর জন্য একটা এন্ট্রি পয়েন্ট হিসাবে ব্যাবহার করে। বাংলাদেশ সীমান্তের ভিতরে “গরীবপুর” নামক জায়গায় ইন্ডিয়ান আর্মি, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মধ্যে প্রবল যুদ্ধ শুরু হয় যা “ব্যাটেল অফ গরীবপুর” নামে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে। এই যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এয়ার স্ট্রাইক (বিমান আক্রমন) কল করে। “ব্যাটেল অফ গরীবপুর” এ বিমান আক্রমন শেষে ওভার কনফিডেন্ট পাকিস্তানি বিমানগুলো ঢুকে পরে ইন্ডিয়ান সীমান্তের ভিতর। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স ও ছুটে যায় এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে।

দুই বাহিনীর মধ্যে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া সীমান্তের এয়ার স্পেস এ বয়রার আকাশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আকাশ যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কেই বলা হয় “দি ব্যাটেল অফ বয়রা”।

ব্যাটেল অফ বয়রা তে কি কি বিমান অংশ নিয়েছিল ?

ইন্ডিয়ান সাইড এ ৪ টা HAL Folland Gnat বিমান। HAL Folland Gnat দেখতে এরকমঃ

image
image
image

পাকিস্তানি সাইড এ ৩টা Canadair Sabre Mk6 বিমান। Canadair Sabre Mk6 দেখতে এরকমঃ

image
image
image

এই দুই টাইপ এর বিমান ই যদি সামনা সামনি দেখতে চান তাহলে আগারগাও আই ডি বি ভবনের সামনে যে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স এর মিউজিয়াম আছে সেখান থেইকা ঘুইরা আসতে পারেন।

ব্যাটেল অফ বয়রা এর ক্যাজুয়ালিটিঃ

ইন্ডিয়ান সাইড এ কোন ক্যাজুয়ালিটি হয় নাই। পাকিস্তানি সাইড এ ৩ টার মধ্যে ২টা Sabre কে ভূপাতিত করে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স। এই ২টা বিমান এর পাইলট রা ইজেক্ট করে কিন্তু ল্যান্ড করে ইন্ডিয়ান সীমান্তের ভিতরে, বয়রা তে। ইন্ডিয়ান আর্মি তাদের কে গ্রেফতার করে এবং বড় অফিসার আসার আগে আগে ভালই উত্তম মধ্যম দ্যায়। অফিসার না আসলে মনে হয় মাইরাই ফালাইত কিলায়া। আরেকটা Sabre বিমান বেশ খারাপ ভাবে ড্যামেজড হয়ে ঢাকার তেজগাঁও এর ঘাটি তে ফেরত যায়। এই পাকি পাইলট দাবি করে সে একটা Gnat বিমান ধবংস করে আসছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন খবর আসে ৪টা Gnat ই নিরাপদে ল্যান্ড করসে কলকাতার দমদম এয়ারপোর্ট এ, তখন এই পাইক্যা হালার চেহারাটা কি হইসিল তা দেখার খুব শখ হইতাসে আমার।

এই ছিল মুটামুটি সার সংক্ষেপ। বিস্তারিত পরবর্তি লেখায় ইনশাল্লাহ।

আজকের লেখার তথ্য সূত্রঃ

বইঃ Eagles Over Bangladesh. Written by: P.V.S Jagan Mohan and Samir Chopra

image

ইন্টারনেটঃ
বয়রার ম্যাপ ( https://www.google.com/maps/place/Boyra,+West+Bengal,+India/@23.1860444,88.9557591,12z/data=!4m5!3m4!1s0x39ff2520d01741e1:0x68af8d43afebae9!8m2!3d23.2152947!4d88.9772855)
Battle of Garibpur (https://en.wikipedia.org/wiki/Battle_of_Garibpur)
Battle of Boyra (https://en.wikipedia.org/wiki/Battle_of_Boyra)

২৯৪/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অগাস্ট ২৯, ২০১৬, ১০:৫৩ পি এম

আমি অবাক হয়ে দেখি মেয়েটা কত মিশে গেসে আমাদের বাসার সাথে। কেউ বলতেই পারবে না আমরা একসাথে থাকা শুরু করসি মাত্র ১৭ দিন। আমি অফিস থেইকা ফিরি যখন দেখি মেয়েটা ভিতরের রুম এর খাট এ পা উঠায় বইসা আড্ডা দিতাসে সবার সাথে। কখনো সবার মধ্যে বইসা জলজল করে, কখন জলজ লতা হয়া আমার বড় বোন এর গা জরায় বইসা থাকে। সবসময় মধ্যমনি না কিন্তু মনি তাতে কোন সন্দেহ নাই।

আমি কত টেনশন করতাম। অয় যদি মানাইতে না পারে। মানায় নেয়া ব্যাপারটার মধ্যে দুই পক্ষেরই তো এফোর্ট লাগে। বাসার লোকজন এর যদি সেই এফোর্ট টাই দিতে ইচ্ছা না করে। আমি কত দেখসি বউটা শ্বশুর বাড়ি তে আইসা কেমন বন্দি বন্দি ফিল করে। শশুর বাড়ির লোকজন বউটার সবকিছু নিয়া কত সমালোচনা করে। সেরম যদি হয়?

কিন্তু কিয়ের কি। আমার কত প্রাউড লাগে আমার বাসার লোকজন রে নিয়া। কি সুন্দর কইরা মেয়েটারে পরিবারের একজন কইরা ফালাইলো। আমার চেয়ে মনে হয় ওর আদর ই বেশি এখন। আর মেয়েটাও কত এমেজিং। কেমন বাড়ির বউ না হয়া বাড়ীর মেয়ে হয়া গেলো। আমাদের বাসার কথা যখন কাউকে বলে , কখনো বলে না ইথারদের বাসা, বলে আমাদের বাসা, আমাদের সিড়ি, আমাদের ছাদ। আমি শুইনা খুশি তে জরানি দিতে যাই আমার আমারে পাত্তাই দ্যায় না [কত দুক্কু 🙁 ]

টাকা পয়সা নিয়াও অনেক টেনশন এ ছিলাম। আমি জীবনেও বুইঝা শুইনা খরচ করি নাই। যখন যা শখ হইসে কিন্না লাইসি। তাই জমাইন্না টেকা টুকাও ছিলনা খুব একটা। অথচ বিয়ার অনুষ্ঠান, কত খরচাপাতি। কেম্নে সাম্লামু সব। আল্লাহর রহমতে সব সাম্লায়া কিছু সেভিংস ও হইসে। আমি তো কই ওর উসিলায় আল্লাহ বরকত দিসে। আমি অবাক হয়া দেখি প্রেম করার সময় যেই মেয়েটা লজ্জা লজ্জা চোখ কইরা কফি কাপ এর উলটা পাশ থেইকা লুকায় লুকায় তাকায় থাক্তো, সেই এখন কোমরে ওরনা জরায় বাসা গুছায়, ভাগ্নি গুলার সাথে গেমস খেলে, আম্মার সামনে আমি হাত ধরতে গেলে থতমত খায়া জিহবায় কামর দ্যায়। যখন মেয়ে তখন মেয়ে, যখন বউ তখন বউ। ক্যাম্নে পারে। কই শিখসে এগুলা। আমি তো ওদের বাসায় গেলে এখনো কেমন শক্ত শক্ত হয়া থাকি।

বউ রে নিয়া এত উচ্ছাস, এত আদেখলাপনা দেইখা হয়ত অনেকে ভুরু মুরু কুচকায় ফালাইসে এতক্ষণে। কিন্তু আমি শুধু দুঃখী দুঃখী নোট লিখব তা তো না। সুখের সময় গুলা যদি ফিল ই না করি তাইলে তো আল্লাহ বেজার হবেন। আমার দুনিয়া অনেক উত্তপ্ত ছিল। অস্থির ছিল। বউ আসার পর দুনিয়া ঠান্ডা হইসে। চারিদিকে কেমন সুখ সুখ মোমেন্ট দেখি।

দিন শেষে আমার বউ টার চাহিদা খুবি কম। অল্পতেই অনেক খুশি হয়। তাই বউটারে খুশি রাখার চেষ্টা করতাসি যত টা পারি। বউ খুশি। দুনিয়া ঠান্ডা। আলহামদুলিল্লাহ।

২৯৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ অগাস্ট ৯, ২০১৬, ১০:৫২ পি এম

একটা উৎসব হবে। তার জন্য প্রস্তুতি চলছে দুই মাস ধরে। উদ্বোধন হয়ে গেছে, এখন ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হবে। এই স্থাপন টা যারা করবেন তারা ভিত্তি টা পর্যন্ত করে দিয়ে বাকিটা ছেড়ে দেবেন আমাদের উপর। আমাদের একটা স্বপ্ন কে, একটা জীবন কে দাড় করাতে হবে তাদের করা ভিত্তির উপর।

মোটামুটি প্ল্যানিং আর রিসোর্স এলোকেটিং শেষ। এখন শুধু পর্দা ওঠার অপেক্ষা। আর দুটো দিন, তারপর “গ্রেটেস্ট শো অফ আওয়ার লাইফ সো ফার” শুরু হবে। ভয় লাগছে কোন ঝামেলা লাগবে না তো? টেনশন লাগছে সবাইকে আপ্যায়িত করতে পারবো তো ঠিক মত? আয়জন পছন্দ হবে তো ওদের? আবার অনেক ভালও লাগছে। মনে হচ্ছে আমরা একটা প্লেন। আস্তে আস্তে ট্যাক্সিং করে আগাচ্ছি রানওয়ের দিকে। তারপর চুপচাপ রানওয়েতে উঠে দাঁড়িয়ে থাকবো। টাওয়ার এর অনুমুতি পেলেই, দে ছুট। চল চল উড়ে যাই, হুশশ।

আর দুই দিন। কাল ১০ই আগস্ট। তারপর ১১। তারপর ড্রাম রোল আর চলে আসবে ১২ই আগস্ট। আমার বউটাকে আমরা বরন করে আনতে যাবো সবাইকে নিয়ে।

অদিতি আর আমার ওয়েডিং রিসিপশন। সবার মনের গভীর থেকে করা শুদ্ধতম দোয়া ছাড়া সংসার নাম এর এই “দূর্গম গিড়ি, কান্তার মরু, দুস্তর পারাবার” পারি দেয়ার সাহস আমরা করতে পারি না।

তাই আমরা আপনার কাছে, যিনি এই লেখাটার শেষ পর্যন্ত পড়লেন তার কাছে, দোয়া প্রার্থি আমাদের সামনের দিনগুলোর জন্য।

শুভেচ্ছা সহ
অদিতি এবং ইথার

[এই লেখাটা পাব্লিশ করার কথা ভাবসিলাম আরো পরে, কিন্তু আগামি দুই দিন কারন ছাড়াই হট মাথায় প্যানিকড অবস্থায় পরনের পেন্ট নাইলে লুংগি মাথায় বাইন্ধা দৌড়াদৌড়ি করার চান্স আসে, লেখা লেখির মুড ই যদি না আশে? তাই আজকেই মাইরা দিলাম পোস্ট]

২৯২/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১৯, ২০১৬, ১১:১০ এ এম

আমার পেলেন ওয়ালা সিনেমার কালেকশন – ২১ থেকে ৩০
My Aviation Movie Collection – 21 to 30

আমি খুইজা খুইজা পেলেন এর সাথে সম্পর্ক আসে এরকম সিনেমা কালেক্ট করতাসি। এর মধ্যে অনেক দূষ্প্রাপ্য সিনেমাও আছে। প্রতি ১০ টা সিনেমা দেখা শেষ হওয়ার পর একটা পোস্ট করুম ঠিক করসি। এই লিস্ট কোন টপ টেন মার্কা লিস্ট না। জাস্ট আমি যেই সিরিয়ালে সিনেমা গুলা দেখতাসি সেই সিরিয়ালে পোস্ট করা হইল। This list is not in any particular order, just the sequence in which I am watching them

21. United 93 (2006)

image

22. Piece of Cake (1988)

image

23. Dark Blue World (2001)

image

24. Independence Day (1996)

image

25. Operation Crossbow (1965)

image

26. Midway (1976)

image

27. Flight 93 (2006)

image

28. The Best Years of Our Lives (1946)

image

29. The Legend of Pancho Barnes and the Happy Bottom Riding Club (2009)

image

30. Porco Rosso (1992)

image

১-১০ 1-10 : https://www.facebook.com/notes/faisal-akram-ether/%E0%A7%A8%E0%A7%AE%E0%A7%AE%E0%A7%A9%E0%A7%AC%E0%A7%AB/10153636500386270

১১-২০ 11-20 : https://www.facebook.com/notes/faisal-akram-ether/%E0%A7%A8%E0%A7%AF%E0%A7%A7%E0%A7%A9%E0%A7%AC%E0%A7%AB/10153726755256270

২৯১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুন ১৪, ২০১৬, ৩:৪১ পি এম

আমার পেলেন ওয়ালা সিনেমার কালেকশন – ১১ থেকে ২০
My Aviation Movie Collection – 11 to 20

আমি খুইজা খুইজা পেলেন এর সাথে সম্পর্ক আসে এরকম সিনেমা কালেক্ট করতাসি। এর মধ্যে অনেক দূষ্প্রাপ্য সিনেমাও আছে। প্রতি ১০ টা সিনেমা দেখা শেষ হওয়ার পর একটা পোস্ট করুম ঠিক করসি। এই লিস্ট কোন টপ টেন মার্কা লিস্ট না। জাস্ট আমি যেই সিরিয়ালে সিনেমা গুলা দেখতাসি সেই সিরিয়ালে পোস্ট করা হইল। This list is not in any particular order, just the sequence in which I am watching them


11. The Great Waldo Pepper (1975)

image

12. Amelia (2009)

image

13. Baggage Claim (2013)

image


14. Red Eye (2005)

image

15. One Six Right (2005 Documentary)

image

16. Into the White (2012)

image

17. Dr. Strangelove or: How I Learned to Stop Worrying and Love the Bomb (1964)

image


18. Top Gun (1986)

image

19. The Aviator (2004)

image

20. The Flyboys (2008)

image

২৯০/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুন ৮, ২০১৬, ১:৩৮ পি এম

এই নোট গুলা যখন লিখা শুরু করসিলাম তখন আবিয়াইত্তা , আগার্লফ্রেইন্ডা আসিলাম। এখন আমার একটা বউ আছে। নোট আমাকে দিয়েছে গার্লফ্রেন্ড, দিয়েছে বউ। মু হা হা। এখন আমি হুদাই উপদেশ বিতরন এর জন্য এলিজেবল।আমাদের জন্য দু আ করভেন। আমাগো রিচিপশন এখনো হয় নাই। আবার রুজা শুরু হইসে। আমরা বড়ই মনঃ কষ্টে আসি।


যাউকগা, আমার বাপ আমারে কইসে “এইসব ফটোকপি কইরা দিন যাইব না, এইবার সংসারে মন দাও”। আমি মনে মনে ভাবলাম, আমি যহন ক্যামেরা থিকা হার্ডডিস্ক এ ছবি নামাই তখন তো আসলে “ফটো কপি” ই করি 😀 জাউকগা, কি কইতে আইসিলাম আর কি কইতাসি। আসল কথায় আসি।

আম্রা সবাই ফটোগ্রাফার হইতে চাই। কিন্তু ফটোগ্রাফি ব্যাপারটা দুনিয়াতে এখন এত আগায় গেসে যে, এই শিল্পটার সাথে জড়িত আরো অনেক গুলা পেশা তইরি হইসে যেগুলাতে “ফটোগ্রাফার” না হয়াও ফোটগ্রাফির মত সমান মজা, মর্যাদা আর টিয়া ফুইশা ইনকাম করন যায়। আমি কইতাসি না যে ফটোগ্রাফার হয়েন না, কিন্তু ফুটবল খেলার সময় ১১ জন ই জেমুন গোল দ্যায় না, কন্সারট এ সব ব্যান্ড মেম্বার রাও জেমুন গিটার বাজায় না, তেমুন আমাগোর দেশেও এখন হাই টাইম যে আমরা ফটোগ্রাফার এর পাশা পাশি কিছু এই সব লুকজন ও তৈরি করি। এইটা ফটোগ্রাফি গ্রুপ গুলা এই সব স্পেশালিস্ট তৈরি করতে পারে। আবার শুধু এই কাজ গুলার জন্য আলাদা আলাদা কম্পানি হইতে পারে।



ফটো রিটাচার

আপ্নে ফোটশপ খুব ভালা পারেন? আপ্নের মাউসের গুতায় সাধারন ছবিও অসাধারন হয়া যায়? তইলে আপ্নে একটা প্রফেশনাল ফটো রিটাচিং সার্ভিস চালু করেন না কেন? আমরা যারা ফটোশপ অই রম হাই ফাই লেভেলে পারি না, তারা ঠেকায় পরলে আপ্নের সার্ভিস নিলাম। আপ্নে ফটোর ধরন, সংখ্যা, পোস্ট প্রসেস এর মাত্রা ইত্যাদি বিবেচনা কইরা একটা রেট করলেন। কিছু বান্ধা কাস্টমার হইলে কাজ আরও ভাল হইব কারন ততদিন এ আপ্নে জানেন কার কেমন ছবির টেস্ট। অনেকেই আসে যারা বিয়ার ছবি তুইলা আইনা আর অইডি লয়া বইতে মুঞ্চায় না 😛 হেরা ত আপ্নেরে পাইলে চুম্মা দিয়া লয়া লইব। এমুন ও হইতে পারে একটা ট্রেন্ড দারায় যাইব যে “আমি অমুক ভাই রে দিয়া ফটো রিটাচ করাইসি, তুই কারে দিয়া করাইসস?”

ফটো এডিটর

অনেক ছবি তুইলা আন্সেন কিন্তু কুন্টা রাখবেন আর কুন্টা ফালায় দিবেন বুঝতাসেন না? আপনার দরকার ওমুক ফটো এডিটিং কম্পানির হেল্প। এখানে সুল্ভ মুল্যে ভালা ছবি বাছাই কইরা দেওয়া হয় 😛

আশা করি বুঝতাসেন ফটো এডিটর এর কাজ টা কি। বেশির ভাগ ফটোগ্রাফার নিজের ছবি নিজেই বাছাই বা এডিট করে। কিন্তু অনেক সময় এরম দরকার পরে যে বাছাই করার টাইম নাই অথবা বাছাই করার জ্ঞ্যান নাই। তখন ফটো এডিটর এর শরণাপন্ন হইতে পারি। খালি পত্রিকা অপিশেই কেন ফটো এডিটর থাকব? এর বাইরেও থাকতে পারে।

লোকেশন ফাইন্ডার

ইনারা ঘুরতে খুব পছন্দ করেন কিন্তু ফটো লয়া তত মাথা ব্যাথা নাই। এরম কিছু ফ্রেণ্ড আমাদের থাকেই। হয়াই নট আমরা তারে কই যে ভাই, তুমি আইজকা থিকা আমার লোকেশন ফাইন্ডার। তুমার ঘুরাঘুরির খরচা আমি দিমু, তুমি আমারে লোকেশন এর খোজ দা সারচ দিবা। দুইজন এর উপকার হইল।

ফোটো ক্রিটিক

এইটা লয়া কউনের খুব বেশি কিছু নাই। আপ্নে ছবি তুলতে অতো টা আগ্রহি না কিন্তু আপ্নে ফোটো খুব ভাল পড়তে পারেন। আরট, আরট এর হিস্ট্রি এই সব নিয়া আপ্নের জ্ঞ্যান অনেক। একটা ছবি দেইখা আমরা যখন ওয়াও আর জূষ ছাড়া আর কিছু কইতারি না আপ্নে তখন এইটা “মিনিমিলাস্টিক কম্পোজিশন” হইসে না “সুরিএল কালার” হইসে সেইটা চিন্তা করেন… তইলে প্লিজ এই মাসুম (!!) পোলাপান গুলারে একটু দয়া করেন। আপ্নে ওয়ার্কশপ এ আইসা আমাদের “Portfolio Review” কইরা দিয়া জান। আপ্নেরে যথাসাধ্য সম্মানি দেয়া হবে।

ফটো স্কাউট

এদের কাজ হবে দেশের সম্ভাবনাময় ফোটগ্রাফার দের উঠায় নিয়া আসা। তাদের উপযুক্ত গাইড দেওয়া জাতে তারা হতাশ না হয়া ফটোগ্রাফির চর্চা টা বজায় রাখে। অনেকে আসে যারা খুব ভাল ফটো তুলে কিন্তু নিজের কেমেরা নাই। আবার এমন লোক আসে যাদের ক্যামেরা আসে একটা, কিন্সিল খুব শখ কইরা কিন্তু ছবি তুলার টাইম পাইতাসে না। ফটো স্কাউট গো কাজ হইব এই দুই গ্রুপ এর মধ্যে একটা বিশ্বাস এর ক্ষেত্র তৈরি করা। কারন দামি ইকুইপমেন্ট এর ব্যাপার আসে এইখানে।

আমি তো খালি ৫ টা কইলাম। চিন্তা করলে এরুম বহুত বাইর করন যাইব। লাইট ডিজাইনার, কোরিওগ্রাফার, প্রিন্ট স্পেশালিষ্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই খালি ফটো কপি না কইরা এগুলাও এট্টু হন, বহুত মাইন্সের দুয়া পাইবেন, টেকাটুকা তো আসেই।

২৮৯/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মে ১৮, ২০১৬, ৯:০৭ পি এম

হয়তো একটি রিভিউ

বুক রিভিউঃ হয়তো একটি প্রেমের উপন্যাস – মারুফ রেহমান।

বইটা পড়া শেষ হইসে অনেক আগেই কিন্তু রিভিউ লিখব লিখব বইলা আর লেখা হয় নাই। ইন ফ্যাক্ট অনেক বার লিখতে বসছি। “নাহ, কিছুই হইতাসে না” বইলা বন্ধ কইরা দিসি। আজকে আমার সীমাহীন আইলসামির মাঝখান দিয়া একটু লেখা লেখির মুড আসছে। তাই ভাব্লাম এক টানে নামায় দেই রিভিউ টা।

বলতে লজ্জা লাগতাসে কিন্তু এইটা আমার পড়া মারুফ ভাই প্রথম বই। এর আগের গুলা কিন্সি কিন্তু “আসেই তো, পড়ুম নে” বইলা বই এর স্ট্যাক এ জমা হইসে, তার পর অন্য বই এর নিচে চুপ চাপ হারায় গেসে। কিন্তু এই বইটা ঠিক রাইখা দেওয়ার মত না। নাম এর মধ্যেই একটা রহস্য আছে। “হয়তো একটি প্রেম এর উপন্যাস” ক্যান? “অবশ্যই একটি প্রেমের উপন্যাস” না ক্যান এইসব ভাবসি। ভাবতে ভাবতে কয়েকদিন ব্যাগ এ নিয়া ঘুরসি। তারপর কোন এক ফজর নামাজ এর পর পড়া শুরু করসি আর পড়া শেষ করসি তিন দিন পর।

এই বইটার গল্পটা ঠিক নাটকে দেখা প্রেম এর গল্প এর মত স্মুথ না। সারাক্ষন ই কেমন একটা অসস্তি লাগে পড়তে পড়তে আবার ঠিক পড়া বাদ দিয়া যাওয়াও যায় না। এর একটা কারন এর চরিত্র গুলা অনেক বেশি বাস্তব। নায়ক টা জোর কইরা চাপায় দেয়া ব্যাড বয় ইমেজ মার্কা না আবার নাইকাটা অনিন্দ্য সুন্দরি জাতীয় ক্রাশ মার্কাও না। ইনফ্যাক্ট নায়ক নাইকা টাইপ ব্যাপার গুলা এদের মধ্যে হইতে হইতেও হয় না। এরা দোষ গুন মিলায় থাকা দুই টা চরিত্র। যাদের মনে হয় আমাদের পরিচিত সার্কেল এরি কেউ।

কাহিনির প্রয়োজনে বেশ কিছু পার্শ্ব চরিত্র আসছে। লেখক খুব কারিশ্মা দিয়া এদের একে একে আন্সেন গল্পের মধ্যে। যদিও বেশ ডার্ক টাইপ এর চরিত্র এক একটা। একটা জমাট উপন্যাস পড়ার সময় মানুষ খুব তাড়াতাড়ি কোনও একটা চরিত্রের মধ্যে নিজেকে খুইজা পায় আর সেই চরিত্রের সাথে মিশা গিয়া আগাইতে থাকে। তার হাসি কান্নায় হাসে কাদে , তার মৃত্যু তে হাহাকার করে।

কিন্তু এই বই পড়তে গিয়া আমি বার বার আইডেন্টি ক্রাইসিস এ পড়সি। যখনি আমার মনে হওয়া শুরু হইসে আরে এতো আমার মত পুরা, তখনি কাহিনী পল্টি খাইসে আর আমি “দুরু, এরম করলো ক্যান” মনে কইরা অন্য চরিত্রের দিকে মনোযোগ দিসি। আমার মনে হয় এইটা মারুফ ভাই ইচ্ছা কইরা করসে। যাতে কোন একটা চরিত্রের প্রতি আমরা স্বার্থপর না হয়া যাই আর সেই চরিত্রের আমাদের ইচ্ছা মত কিছু না করতে পারার ব্যার্থতায় উপন্যাস টাই যাতে ব্যার্থ না হয়া যায়।

এই বই এর যে জিনিষ টা খারাপ লাগসে তা হইসে এর শেষটার আগের যায়গাটা। যেইখানে সাধারনত লেখকরা সব পাকানো জট ছাড়ায় দিয়া পাঠক কে সব প্রশ্নের উত্তর দ্যান এবং তারপর উপন্যাস ধাবিত হয় তার নাটকিয় একজিট এর দিকে। কিন্তু এই উপন্যাস এর শেষ এর দিকে আইসা আমার মনে হইসে মারুফ ভাই অনেক তাড়াহুড়া কইরা শেষ কইরা দিসেন। এই শেষ টা আরেকটু লজিকাল, আরেকটু মাখায় মাখায় শেষ করলে মনে হয় আরো ভাল লাগতো।

সব মিলায় ইহা একটি ভাল উপন্যাস। এইটা পইড়া লেখকের বাকি বই গুলাও পড়নের ইচ্ছা হইসে। দেখি শইল্ডারে বুব থুক্কু বুক শেলফ এর দিকে নিতে পারি কিনা।

২৮৮/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মে ২, ২০১৬, ৬:৩৪ পি এম

আমার পেলেন ওয়ালা সিনেমার কালেকশন – ১ থেকে ১০
My Aviation Movie Collection – 1 to 10

আমি খুইজা খুইজা পেলেন এর সাথে সম্পর্ক আসে এরকম সিনেমা কালেক্ট করতাসি। এর মধ্যে অনেক দূষ্প্রাপ্য সিনেমাও আছে। প্রতি ১০ টা সিনেমা দেখা শেষ হওয়ার পর একটা পোস্ট করুম ঠিক করসি। এই লিস্ট কোন টপ টেন মার্কা লিস্ট না। জাস্ট আমি যেই সিরিয়ালে সিনেমা গুলা দেখতাসি সেই সিরিয়ালে পোস্ট করা হইল।

This list is not in any particular order, just the sequence in which I am watching them

1. Flightplan (2005)

image

আমার রেটিংঃ ১০ এ ৫

2. Flyboys (2006)

image

আমার রেটিংঃ ১০ এ ৫

3. Flight (2012)

image

আমার রেটিংঃ ১০ এ ১০

4. Battle of Britain (1969)

image

আমার রেটিংঃ ১০ এ ১

5. The Spirit of St. Louis (1957)

image

আমার রেটিংঃ ১০ এ ৫


6. Hell’s Angels (1930)

image

আমার রেটিংঃ ১০ এ ৫


7. Zero Hour! (1957)

image

আমার রেটিংঃ ১০ এ ৫

8. Airplane! (1980)

image

আমার রেটিংঃ ১০ এ ১০

9. Red Tails (2012)

image

আমার রেটিংঃ ১০ এ ১০

10. Band of Brothers (2001 Mini-Series)

image

আমার রেটিংঃ ১০ এ ১০