২৮১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ এপ্রিল ২, ২০১৬, ০৯:০৮ এ এম

বুক রিভিউঃ Prelude to Foundation by Isaac Asimov

দুই টা বই টা পড়া শেষ করসি গত ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু রিভিউ লেখা হয় নাই বইলা GoodReads এ ডান দিতে পারতাসিলাম না। কিরম একটা অস্বস্তি মূলক অনুভুতি। তাই এই ধাক্কায় দুই দিনে দুইটা রিভিউ লিখখা সব কিলিয়ার কইরা লামু।

প্রিলুড টু ফাউন্ডেশন আমার পরা আইসাক আসিমভ এর প্রথম বই। অনেক দিন থেইকাই মাথায় ছিল যে আসিমভ এর কালজয়ী ফাউন্ডেশন সিরিজ টা পরন লাগব। কিন্তু যুইত করতে পারতাসিলাম না, কেম্নে শুরু করুম, কুন্টা আগে কুন্টা পরে। সমাধান দিল গুডরিডস, টরেন্ট আর মাই পকেট বুক এপ। প্রথমে এই লিঙ্ক https://www.goodreads.com/series/43939-foundation-chronological-order এ গিয়া বাইর করলাম পুরা সিকোয়েন্স টা। তারপর বই গুলা টরেন্ট থেইকা নামায় ফেললাম। এখন মাই পকেট বুক এপ দিয়া পড়তাসি একটা একটা কইরা। “মাই পকেট বুক” এন্ড্রয়েড এর জন্য একটা অসাধারন ই বুক রিডিং সফটয়ার। এইটা দিয়াই অফিসে নাস্তা আর লাঞ্চ টাইম এ একটু একটু কইরা পইড়া পাঠক মন রে বাঁচায় রাখসি।

Prelude to Foundation আইসাক আসিমভ এর ফাউন্ডেশন সিরিজ এর প্রথম বই। এইটা একটা সাইন্স ফিকশন এবং যে সময় এ এইটা লেখা হইসে (১৯৮৮) সে সময়ের তুলনায় অনেক অনেক আধুনিক একটা বই। ৪৬৪ পৃষ্ঠার এই বিশাল বই এ মুল চরিত্রের সাথে সাথে লেখক পাঠকদের কে নিয়া যান এক জগত থেইকা অন্য জগতে। কারন মুল চরিত্র হ্যারি স্যাল্ডন এক জগত থেইকা আরেক জগতে পালায় বেড়াইতাসিল আত্মরক্ষার্তে। বইটা এত ডিটেইল এ লেখা যে আমার একটু পর পর অবাক হইতাসিলাম যে আসিমভ কি আসলেই লেখক নাকি বিজ্ঞানী?

ট্র্যান্টর। অগনিত গ্রহ, ৪০ বিলিয়ন লোক, কল্পনার বাইরে সব টেকনোলজি আর অদ্ভুত সব জাতি নিয়া তৈরি এক মহাজাগতিক সাম্রাজ্য ট্র্যান্টর। এই সাম্রাজ্যের সম্রাট ক্লিয়ন ১। তিনি জানতে পারেন গণিতবিদ দের এক সম্মেলন এ হ্যারি সেল্ডন নাম এর একজন অখ্যাত গনিতবিদ একটি পেপার পাব্লিশ করেছেন যার মুল প্রতিপাদ্য বিষয় “গানিতিক ফর্মুলার মাধ্যমে ভবিষ্যত বলা সম্ভব”। তিনি এই বিদ্যার নাম দিয়েছেন সাইকোহিস্টরি।

সাইকোহিস্টরির কথা শুইনা সম্রাটের মাথা মুতা খারাপ হয়া গেল। তিনি তার ডাইন হাত এতো ডেমজেল কে ডাইকা কইলেন যেম্নেই হউক এই জিনিষ আমার লাগব। এই জিনিষ পাইলে আর কেউ আমার লগে টাল্টি বাল্টি করতে সাহস পাইব না। হ্যারি স্যল্ডন রে খবর দেও। আমি ওর লগে কথা কমু। কিন্তু হ্যারি স্যাল্ডন ত সম্রাট এর প্রাসাদে আইসা বিশাল টাশকি খায়া গেল। হে যতই বুঝায় যে মহারাজ আমার এই টা এখন থিওরি পর্যায়ে আসে প্র্যাক্টিকাল স্টেজ এ যায় নাই, ততই সম্রাট এর জিদ উটে। সম্রাট তারে থ্রেট দ্যায়, দ্যাহো, এই সব ভুগি চুগি আমারে বুঝায়ো না। বাসায় যাও, চিন্তা কর আর তারপর ক্যাম্নে আমি ভবিষ্যৎ দেখতে পারুম হেইডা কউ, নাইলে তুমার খবর আসে।

হ্যারি সেল্ডন এমুন ডরান ডরাইল যে যখন রাস্তায় পরিচিত হওয়া “চেটার হামিন” এক ব্যাডায় যহন তারে প্রস্তাব দিল লউ ভাইগা যাই, হ্যারি সেল্ডন রাজি হয়া গেল। পুরা বইডা এই হ্যারি সেল্ডন আর তার নায়িকা “ডরস ভেনাবিলি” এর দৌড়াদৌড়ি দিয়াই ভরপুর। সংক্ষেপে বলতে গেলে চেটার হামিন অনেক কষ্ট কইরা সেল্ডন আর ডরস রে একটা জায়গায় সেট করে। সেল্ডন তার ছোক ছোক স্বভাব দিয়া একটা কিছু পেচ লাগায়। তারপর হামিন আইসা তাগোরে উধধার কইরা আরেক গ্রহে দিয়া আহে। সেই গ্রহে আবার পেস পুস লাগে। এম্নেই পুরা বই শেষ। তয় এক্কেরে শেষে গিয়া একটা বিশাল চমক আসে। যা আমি আইলশা লুকজন যারা বই না পইড়া রিভিউ দিয়া শর্টকাট মারতে চায়, তাগো স্বার্থে কমুনা।

এই বই এ আমারে সবচেয়ে যেইটা মুগ্ধ করসে তা হইসে টেকনলজি গুলা যে আন্সে সেগুলা ১৯৮৮ সালে কেউ নাম শুন্সে বইলা মনে হয় না। অনেক গুলা টেকনোলজি এখন এক্সিস্ট করে আর অনেক গুলা টেকনোলজি একদম রিসেন্টলি গবেষনা শুরু হইসে। যেমন একটার কথা কই। এই বই এর শুরুর দিকে হ্যারি সেল্ডন আর চেটার হামিন এক জায়গা থেইকা দূর এর আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য এক ধরনের টানেল ব্যবহার করে। আমরা যারা রিয়েল আইরন ম্যান “ইলন মাস্ক” রে ফলো করি তারা জানি যে উনি “HyperLoop” নামে একটা কম্পানি খুলসেন যারা সেম টাইপ এর একটা টেকনলজি নিয়া আসতাসেন।

আমি ফাউন্ডেশন সিরিজ এর সেকেন্ড বই Forward the Foundation পড়তাসি এখন। আর আমার উপদেশ হইল ফাউন্ডেশন সিরিজ পুড়াটা কেউ পড়তে চাইলে অবশ্যই সিকোয়েন্স মাইনা পড়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *