লেখার তারিখঃ জানুয়ারী ২৪, ২০১৬, ৬ঃ৩১ পি এম
“পালকি” চড়ে “অরুণ আলো” আসে
দিনান্তে “আকাশ প্রদীপ” জ্বলে,
“রাঙা প্রভাত” ছড়িয়ে পড়ে হেসে
মা, মাটি আর মানুষ ভালবেসে,
নীলাকাশে “মেঘদূত” ঋজুরেখা আঁকে
“ময়ূরপঙ্খী” নোঙর ফেলে অস্তাচলের বাঁকে
এই কবিতাটা বাংলাদেশ বিমানের প্রত্যেক্টা বিমান (যেগুলা নিজের টাকায় কেনা, লিজ নেওয়া না) সেগুলার ভিতর গোল্ড প্লেট এর উপর বসানো হইসে। আমি ইনভারটেড কমার ভিতর যে নাম গুলা লিখসি সেগুলা বাংলাদেশ বিমান এর এক একটা এয়ারক্র্যাফট এর নাম। মজার জিনিশ হইল এই সিকোয়েন্স এই বিমান গুলার কমিশনিং হইসে ফ্লিট এ।
এইখানে নাম, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার আর ফ্লিট জয়েন করার মাস এবং বছর দিয়া দিলাম। এই সব গুলা ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট। সেকেন্ড হ্যান্ড না। বিমান আরো ৪ টা Boeing 777-300ER, ২ টা বোয়িং 737-800 আর ৪ টা Boeing 787 Dreamliner ওর্ডার করসে বোয়িং এর কাছে যেগুলা ২০১৯ এবং ২০২০ এ ফ্লিট এ যোগ হবে।
“পালকি”
S2-AFO
Boeing 777-300ER
October 2011
“অরুণ আলো”
S2-AFP
Boeing 777-300ER
November 2011
“আকাশ প্রদীপ”
S2-AHM
Boeing 777-300ER
February 2014
“রাঙা প্রভাত”
S2-AHN
Boeing 777-300ER
March 2014
“মেঘদূত”
S2-AHO
Boeing 737-800
November 2015
“ময়ূরপঙ্খী”
S2-AHV
Boeing 737-800
December 2015
এত কিছু লেখার এক্টাই কারন। আজকে আমার কানে আসছে একজন বলতেসিল, “বাংলাদেশ বিমান এ যামু না। বাংলাদেশ বিমান এর আছে কি? ভাঙ্গাচুরা কয়ডা বিমান” কথাটা ঠাশ কইরা আমার গায়ে চড় এর মত লাগসে। আমি অই অপরিচিত লোক রে বলসি, আপনার কথা টা ঠিক না। আপনি ভুল তথ্য ছড়াইতেসেন। ভুল তথ্য ছড়ানো একটা অপরাধ এর সমান কাজ।
বিমান রে নিয়া কেউ কিছু বললে আমার খুব গায়ে লাগে। নিজের দেশের এয়ারলাইন্স নিয়াই যদি আমরা এমন করি, তাইলে ক্যাম্নে হবে। বুঝলাম অনেক সমস্যা আছে, কিন্তু তাই বইলা হাল ছাইড়া দিয়া বদনাম করলে তো কিছু সমাধান হবে না। জিনিষ টাকে নিজের বইলা মনে করতে হবে। তাইলেই আমার দায়িত্ব টুক আমি পালন করতে পারব ঠিক মত।
নিজের দেশের এয়ারলাইন্স সম্পর্কে জানেন। বাংলাদেশ বিমান এর জন্য ভালবাসা।