লেখার তারিখঃ ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
আমি কালকে নোট লিখি নাই। আগের দিন রাইতে ভাবসি সকালে লিখুম। সকালে ভাবসি রাইতে লিখুম নে। রাইতে বালিশে খালি মাথা ডা রাখসি এক মিনিট এর লাইগা আর ঢুশ কইরা ডুইবা গেসি ঘুমে।
শুক্রবার সকালে ভোর সাতটায় মহান রাশা ফুন্দিয়া কইসে আব্বে তুই এহনো ঘুমাস, শুক্রবার ভোর বেলা কেউ ঘুমায়? আয় আয় ঢাকা হোটেল এ আয়। চা চু খাই। বৃহস্পতিবার অফিসেত্তে বাইরইসি রাইত ১১ টায়। শুক্রবার ও অফিসে যাওনের কথা ৯ টায়। তাই ভোর বেলা ঘুম ভাঙ্গাইলে এই কে আছিস, আমার কামান্টা নিয়ে আয় মুড এ থাকনের কথা ছিল আমার। কিন্তু যার সকাল হয় দুপুর এক্টায় সেই রাশা ভোর বেলা আয়া পরসে এই ঘটনায় আমি এতই অবাক হইসি যে তাত্তারি উইটঠা দোউড় দিসি হোটেল এ। গিয়া দেখি হে বেশ উড়া ধুরা চুল লয়া নুরানি হাসি দিয়া বয়া রইসে টেবিল এ।
আমরা রুডী, ছ্যুপ, কলিজা, চা খায়া উড়ায়া দিলাম। তারপর বাসায় আইসা রেডি রুডি হয়া গেলাম অফিসে। গিয়া দেখি মোটামুটী সবাই ই আইসা পরসে। আমাদের একটা অনেক বড় কাজ আসছে। সবার ছুটি ক্যান্সেল করা হইসে। নেক্সট অনতত সাত দিন এম্নেই যাইবো। যাক গা কি আর করা। এই সব সময় বুঝা যায় কে কত স্ট্রেস নিতে পারে আর চাপ এর মধ্যে কে কত ভাল কাজ করতে পারে। আমরা সবাই ই সিভি তে লিখি Can work under pressure, hard working ইত্যাদি। কেডা যে সত্যিই সেইটা এই সব সময় সেইটা বাইর হয়। বুঝা যায় কে যে Working Hard আর কে যে Hardly Working. অনেক স্বার্থপর চিন্তা ভাবনাও আসে এই সময় ঘাড় গুইজা কাজ করতে করতে। যারা ছুটিতে আছেন সেই সব কলিগ দের উপর অনেক অভিমান হয়। যদিও জানি তাদের অনেক কারন আছে থাকতে না পারার। কিন্তু তবু যুদ্ধের সময় ছুটিতে নাচতে নাচতে দেশের বাড়িতে যাওয়া সৈনিক টার দিকে তার ফেলো সোলজার রা যেভাবে তাকায়, তাদের দিকে আমরা অম্নেই তাকাই। মুখে কিছু বলি না। থাক। লেটস বি রেস্পেক্টফুল।
বছর টা অনেক ল্যাটকায়ে গড়া গড়ি কইরা শেষ করার ইচ্ছা ছিল। জানি না সেইটা কতটুক করা যাবে। ডিসেম্বর মাস টারে শুক্রবার শুক্রবার লাগে। একটা নিয়ম থাকলে ভাল হইত। ডিসেমবর এর ১৫ তারিখ এর পর থেইকা ৩১ তারিখ পর্যন্ত সব অফিস বন্ধ রাখতে হবে। হারা বছর কাম ত করসেই, বছরের শেষ টা একটু আরাম করুক মানুষ। বিশাল ছুটি শুরু হইত বিজয় দিবস দিয়া। কি দারুন হইতো ব্যাপার টা। অফিসের কাজ করতে করতে বিদেশি গো হেপি হলিডেজ গ্রিটিংস দেইখা আর তাগো দিকে ল্যাপ্টপ (অয়ারল্যাস মাউস সহ) ছুইড়া মারতে ইচ্ছা করতো না।