লেখার তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০১৫
আজ শুক্রবার। ফেসবুক ছাড়া ৩য় দিন কাটাইলাম। স্টিল ভাল লাগা যায় নাই। এইটা যে কি দরকার ছিল। শান্তি লাগতাসে। এইটা একটা সময়পযোগি ঘটনা হইসে। আমার জন্য এই ব্রেক টা খুবি দরকার ছিল। নিজে থেইকা তো আইডি ডিএক্টিভেট করার মত কারন ছিল না। আবার ৩৬৫ প্রজেক্ট এর কারণে ফেসবুক এ না আইসাও পারা যাইতো না। তাই এইরম সরকার কর্তৃক ফেসবুক বন্ধ কইরা দেওয়া তে আমি যারপরনাই আহলাদিত, উচ্ছসিত এবং প্রফুল্লিত।
আজকে আমি আর অ ঢাকা লিট ফেস্টিভাল এ গেসিলাম। কিন্তু ঢুক্তে পারি নাই। গেটের বাইরে রেজিস্ট্রেশন কইরা ঢুকা লাগে। অইটা ৬ টায় বন্ধ হয়া যায়। থাক গা। বাইরে থেইকা লাইট লুইট দেইখা চইলা আসছি। এইটার গতবার এর নাম ছিল হে ফেস্টিভাল। তখন গেসিলাম রাশার লগে। তহন রেজিস্ট্রেশন লাগে নাই। বেশ একটা কন্সার্ট কন্সার্ট ফিল হইসে। রেজিস্ট্রেশন কইরা টিকিট লয়া ঢুকুম বই মেলা দেখতে যার বেশির ভাগ বই ই আমি পড়ি নাই। থাক, ধইরা নিলাম নিরাপত্তার খাতিরে এইটা দরকার আসে। আমি আসলে ইংলিশ বই অত বেশি পড়ি নাই তো, তাই আমারে ঢুক্তে দ্যায় নাই দেইখা অত খারাপ লাগে নাই। একুশে বই মেলায় এরম করলে মইরাই যাইতাম দুঃখখে।
আজকে ফেরদুইচ্চার বাসায় ডিনার এর দাওয়াত ছিল। খাইয়া ফাটায়া লাইসি। ফেরদৌস যা জোস রান্তে পারে। পুরাই ফিংগার লিকিং গুড। ফেরদুস কইসিল রাতে থাইকা যাইতে , কিন্ত ওর বাসা ভর্তি অপরিচিত লুকজন, তাই আইসা পরসি বাসায়।
আমি একটা অনেক ভাল ইবুক এপ পাইসি আজকে। নাম PocketBook. বই পড়তে ইচ্ছা না করলে বই পইড়া শুনায়। পিডিএফ/ইপাব/মোবি সব ফরমেট সাপোর্ট করে। শব্দের অর্থ না বুঝলে হাইলাইট কইরা সার্চ দেয়া যায়। আবার পছন্দের অংশ সেভ কইরা রাখা যায়। আমি প্রত্যেক শুক্র আর শনিবার অনেক এপ নামাই আর ঘাটাঘাটি কইরা দেখি কেমন লাগে। ভাবতাসি এগুলা নিয়া একটা লেখা লিখবো কিনা।