লেখার তারিখঃ নভেম্বর ১৪, ২০১৫, ১১.৪৮ পি এম
মন্দির চুপচাপ
মসজিদ ও নিশ্চুপ
গির্জায়, প্যাগোডায়
নিরব ধোয়া ধুপ
কেউ তো কোথাউ নেই
সবার সবাইকে মারা শেষ
ধর্ম যে কার জিতেছিল
জানে মৃত চোখ অনিমেষ
আমি নোট লিখতে বসছিলাম কিন্তু এই কবিতা টা ছাড়া আর কিছুই লিখতে পারলাম না। এই যে ধর্মের নামে প্রত্যেকদিন এত মানুষ মাইরা ফালাইতাসে প্রতিদিন এই টা থামানো তো আমাদের জন্য কোন ব্যাপার হওয়ার কথা না। তবু আমরা অপেক্ষা কইরা আছি , একদিন থাইমা যাবে এই সব ‘গন্ডগোল’। কেউ একজন লাল বিছানার চাদ্দর পিছনে ঝুলায়া আইসা সব থামায় দিবে। কিন্তু তা কখণোই হয় না আর এই সব হত্যা কান্ড একটা “হইবই তো, আমার কি” ব্যাপারে পরিনিত হয়।
আমার কিছু না আসলে। আমি ঠিক ই ফোক ফেস্ট এ যাবো, বাসায় আইসা খায়া দায়া ঘুমায় যাবো, কালকে অফিসে যাবো, কলিগ এর সাথে আমি কত আপডেটেড প্রমান করার জন্য বলবো , দেখসেন প্যারিস এ কত মানুষ মাইরা ফালাইল। তারপর মাথা নারাবো। কারন এই মাথা নারায়াই আমি নিজেরে ফিল করাবো, আমি দুনিয়াতে আমার পার্ট টুকু কইরা ফালাইসি, আর কিছু করার নাই আমার। আমি চিনি না জানি না ফরাসি লোকজন এর জন্য মাথা নারাইসি ! অফ ম্যান, আমি তো কুল !
তারপর ফেসবুকে দেখবো এই ঘটনা নিয়া কে কি বলতাসে। দেখবো এই ঘটনায় কি সুন্দর আমাদের একদল চুক চুক শব্দ কইরা মাথা নারাইতাসে, এক দল “কই সিরিয়ার সময় তো চুক চুক শব্দ শুনলাম না” বইলা চশমা নাকের উপর তুলতাসে, আর একদল আরে অশিক্ষিত লোকজন, ফ্রান্স এর পতাকা যে প্রোফাইলে দিলি, বুইঝা দিসস? বইলা পারার মোড়ল এর দায়ীত্ব পালন করতে মাঠে নাইমা পরসে।
আমার খুব ইচ্ছা করতাসে ফেসবুক যেই প্যারিস এটাকের পর আমি সেফ আসি বলার এপ টা চালু করসে ওইটাতে নিজেরে সেফ বইলা ঘোসনা দেই । ফয়সাল আকরাম ইথার ইজ সেফ ফ্রম থে প্যারিস এটাক। ফয়সাল আকরাম ইথারের অনেক মন খারাপ হইসে কিন্তু সে সেফ আসে। সে সুখী, সুন্দর, সম্ভ্রান্ত মুস্লিম পরিবারের আস্তিক, নিরাপদ, নির্বোধ জীবন যাপন করতাসে।