২৫০/৩৬৫

লেখার তারিখঃ নভেম্বর ৫, ২০১৫

আম্মার শরীর টা অনেক খারাপ করসিল সন্ধ্যা বেলা। কয়েকদিন আগে হার্ট এ ছোট একটা ব্লক পাওয়া গেসে তাই সারাক্ষণ অনেক টেনশন এ থাকতে হয়। বাসায় শুধু ছোট খালা ছাড়া কেউ ছিল না। বাবা নামাজে গেসিল। আমি অফিস থেইকা এম্বুল্যান্স নিয়া যাইতে যাইতে যদি দেরি হইয়া যায়? তাই ওদের কে যত তাড়াতাড়ি পারে একটা ট্যাক্সি/সি এন জি কইরা আইসা পরতে বললাম এপোলো তে।

এপলো তে ইমারজেন্সি তে ভর্তি করসি আমরা তাড়াতাড়ি। ইমারজেন্সি এত অদ্ভুত একটা জায়গা। সবার মুখ থম্থমে তারমধ্যে ডাক্তার আর নার্স দের প্রফেসনাল ট্রেনিং এর কারণে শান্ত থাকা কেমন ভয় লাগ ভিতরে। আম্মার পাশের বেড এ একটা লোক আসলো সাথে তার ওয়াইফ। বিকালে হাটতে গিয়া সেন্সলেন্স হওয়া গেসে, এখন পালস পাওয়া যাইতাসে না। দাড়ায়া দাড়ায়া দেখলাম কিভাবে মেশিন দিয়া পাম্প কইরা, হাত দিয়া পাম্প কইরা ডাক্তার রা একটা মানুষের বাঁচার জন্য যুদ্ধ করতাসে। লোক্টা মারা গেল একদম চোখের সামনে আমার।

তারপর থেইকা আম্মার পাশ থেইকা একইঞ্চি নরি নাই। এখন আম্মার অবস্থা স্টেবল। উনাকে ইমারজেন্সি বিভাগ থেইকা রিলিজ দিয়া দিসে।এখন সি সি ইউ তে আছেন। ডাক্তার বলসে ভয় এর কিছু নাই আজকে অব্জার্বেশন এ রাইখা কালকে ছাইরা দিবে ইনশাল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *