লেখার তারিখঃ অক্টোবর ১৭, ২০১৫
গতকাল রাতে লেখা নোট। নেটওয়ার্ক ছিল না তাই আজকে পোস্ট করতাসি।
একটা ছোট রুমে গাদা গাদি করে শোয়ার ব্যাবস্থা করা হইসে ৮ জন এর। আমি অভ্যাস মত একেবারের কর্নার এর জায়গাটা দখল করসি। সুবিধা হইল আমার মাথার কাছে দুইটা সকেট। দুইটা তে মাল্টিপ্লাগ দিয়া মোট আট্টা ডিভাইস লাগানো হইসে। এর মধ্যে আমার ক্যামেরার ব্যাটারি আরর ফোন ও আছে। আমাদের ডিনার তৈরি হইতেসে এখন। তাই জেনারেটর চালু আছে। বন্ধ হইলেই সবার আত্মার চার্জ ছুইটা যাইবো।
আজকে দিন টা ভালই গেসে। এস ওলয়েজ, দা জার্নি ওয়াস মোর এক্সাইটিং দ্যান দা ডেস্টিনেশন। কারন এইখানে আইসা বুঝলাম সাজেক সাক্স। আই রিপিট সাজেক সাক্স। এত দূর এর পথ পারি দিয়া আইসা শুধু দেখা যাবে কিছু কৃত্তিমতা। পাহাড় এর ভিউ ইজ ওকে। কিন্তু ফুটপাথ অলা পাকা রাস্তায় দাড়ায়া বড় বড় ঘাস এর উপর দিয়া হেইজি পাহাড় এর লেয়ার দেখা জীবনে প্রথম পাহাড় দেখা মানুষের কাছে এক্সাইটিং হইতে পারে। আমার কাছে না।
তাই সাজেক নিয়া কোন গল্প করার আজকে এট লিস্ট আমি কোন ইন্টারেস্ট পাইতাসি না। কালকে ভোর এ উইঠা সবাই মেঘ আর সান রাইজ দেখতে যাওয়ার কথা। সেইটা হয়ত ভাল লাগ্লেও লাগতে পারে। কিন্তু আমি কেউকারাডং এর চুড়ায় রাত্রে থাক্সি, নাগোরকোট এও দুই রাত থাক্সি। এই কৃত্তিম পিকনিক স্পট এর অকৃত্তিম মেঘ আমার কত টা ভাল লাগবে বুঝতাসি না।
এর চেয়ে আসার পথে মজা হইসে বেশি। আমি আসছি একটা ৩৪ জন এর দল এর সাথে যার মধ্যে আমি বাদে তিন জন আমার কলিগ আর তাদের ফেমিলি আরো ২ জন। আর বাকি ২৯ জন রেই চিনি না। অপিরিচিয় সার্কেল এ আমি প্রথমেই কম্ফোরটেবল হইতে পারি না। সময় লাগে। এই সময়টা আমি চুপ চাপ মুচকি মুচকি হাইসা জবাব দেওয়া ছাড়া আর কিছু পারিও না।
আসার সময় আমাদের জন্য দুইটা চান্দের গাড়ি ভাড়া করা হইসে। আমি যে গাড়ি তে দেখলাম চাউলের বস্তা উঠসে সেই গাড়ীর ছাদে গিয়া বইলাম। বেশ হেলান দিয়া বসা যাবে। আর চাউলের বস্থা আমার পিঠ এর সাথে বেশ আরগোনমিকালি কমপেটিবল। একটু পরে সাথের লোকজন আইল। তারাও বেশ এক্সাইটেড উইঠা পাও ঝুলায়া বয়া পরল। ড্রাইভার আইসা সব গুলারে পা উপ্রে উঠাইতে বলল। সাম্নের কিছু দেখাই যাইতাসিল না ইনাদের পা এর জন্য।
গাড়ী ছাড়ার পর শুরু হইল আসল মজা। সব চেয়ে কোনায় যে বসছিল সে শহরের ভিতরে থাক্তেই চিল্লা চিল্লা লাগায় দিল। “আমার ডর করতাছে। আমি পইড়া যামু গা। আমি নিচে যামু”। আবার গাড়ী থামায়া তারে নিচে পাঠায়া আরেকজন রে উপরে আনা হইল।
ছাদে আমার পাশে যিনি বসছিলেন তিনি আরো ইন্টারেস্টিং। উনি আমার সাথে নন্সটপ আলাপ জমানর ট্রাই কইরা গেলেন কিন্তু লাভ হইল না। রাস্তায় এমন কোন জিনিশ নাই যা নিয়া উনি কথা বলে নাই। সব রোড সাইন উনি জোড়ে জোড়ে পইড়া শুনাইসে। হুমমম সামনে স্কুল, হুমমম বামে মোড়, হুমমম স্বাগতম দিঘিনালা উপজলা হুমম।
রাস্তার পাশে ছাগল শুইয়া ছিল। উনি সবাইরে ডাইকা বলসে এই গুলা থেইকা একটা নিয়া যাওয়া যায় কিনা, তাইলে বার বি কিউ করা যাইতো। রাস্তায় যখন আমরা ব্রেক নিতে থামসিলাম, তখন উনি সাথের এক লোকের পিচ্চি রে কোলে নিয়া হাটাহাটি করতেসিল আর গরু দেখায়া বলতাসিল “দেখ বাবু হরিণ, হরিণ”.
উনার সব চেয়ে ডেঞ্জেরাস কাজ ছিল, আর্মি কে কোয়েশ্চান করা। সব চান্দের গাড়ী কেই চেকপোস্ট এ থামতে হয়। আমাদের গাড়ীও থামসিল। উনি এক্সাইটমেন্ট এর চোটে গেসে আর্মির সাথে আলাপ করতে। আমারেও বলসিল, “চলেন ভাই, সেনাবাহিনীর সাথে আলাফ কইরা আসি” আমি সবিনিয় এ প্রত্বাখ্যান করসি।
উনি গিয়া হা কইরা আগে মিলিটারি দেক্সে। তারপর জিজ্ঞেশ করসে এইখানে মিলিটারি ক্যান দরকার। মিলিটারি সৈনিক টা রে বলসে ” আমরা বিভিন্ন অবইধ কাজ প্রতিরোধ করি”. সেই লোক জিজ্ঞেস করসে, ও বুঝসি তাইলে আপ্নারা এইকানে কি অবইদ কাজ করেন? আর্মির লোক যেই লুক দিল।
উনি একটু পর পর আমারে বলসে পিছের ছিনারি যাতে পুরাটা কিলিয়ার আসে অম্নে উনার কয়েকটা স্নেপ তুইলা দিতে। আর জিজ্ঞেস করসে আমার ক্যামেরা ডিজিটাল কিনা