লেখার তারিখঃ অক্টোবর ১২, ২০১৫
আমি সাধারনত অফিসে যাই রিকশা দিয়া । কানে হেড ফুন ডা গুইজা দিয়া মাথা লারাইতে লারাইতে গিয়া বসুন্ধরার গেট এ নামি। তারপর হাইটা অফিসে যাই গিয়া। কিন্তু আজকে কি জানি হইসে। একটা রিকশাও যাইতে রাজি হইল না। মনে হয় জ্যাম এর কারনে। আমি যখন দেখলাম যে দেরি হয়া যাইতেসে , রিকশা পাইতাসিনা, তখন তুরাগ বাস এ উইঠা গেলাম একটা।
বাস এ সিট পাওয়ার প্রশ্নই আসে না তাই গেট এর কাছে দাডায় থাকলাম কোন মতে। বাস বসুন্ধরায় আসলে নামতে যাব, আমার সামনে একজন বুড়া মত লোক নামতেসিল। তাই আমি চেষ্টা করতেসিলাম পিছন থেইকা আসা ধাক্কা গুলা যত টা পারা যায় এবজোর্ব করতে।
নামার উপর উনি খুবি যত্ন নিয়া আমার দিকে না তাকায়া রাস্তার ওই পারের দিকে তাকাইতে তাকাইতে আমার হাত ধইরা হাটা দিল। আমি একটু অবাক হইসি আমার উচিত বুড়া চাচা রে পার করায়ে দেওয়া আর চাচা কিনা আমারে পার করায় দিতাসে। বাস ওলা গুলা কেমন শয়তান। থামাইসে রাস্তার মাঝখানে।
যাই হোক উনি আমাকে হাত ধইরা রাস্তা পার করলেন। তারপর ঘুইরা তাকাইতেই, বজ্রাহতের মত আমার দিকে তাকায় থাক্লেন। তারপর অনেক আবেগ গলায় নিয়া বললন, “আফনে ক্যাডা? জুএলের মা কই? “
আমি একটু ভ্যাবা চ্যাকা খায়া গেলাম। আমি বলতে নিসিলাম না মানে ইয়ে আংকেল ঈমানে কইতাছি আমি জুয়েলের মা রে জীবনে দেখিও নাই। আমি আর চাচা দুই জন দুই জন এর দিকে পৃথিবীর সবচেয়ে কনফিউজড লুক দিয়া আরো কিচুখন থাকতাম যদি না জুয়েলের মা আইসা চিল্লা চিল্লি লাগায়া দিত,
“ ওই জুয়েলের বাপ। এ কারে হাত ধইরা রাস্তা পার করসো তুমি? আমি তো আরো তুমারে বিসরাই। রাস্তার মদ্যে নামায় দিসে। কই আমারে একটু পার করবা তা না, এই ব্যাডার হাত ধইরা হাটা দিস”
আমার হাত রে ক্যান যে চাচার জুয়েলের মার হাত মনে হইল, এহনো বুঝতেই পারলাম না।