লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
আমার ঈদ এর ছুটি শেষ। কালকে থেইকা অফিস আবার। আবারো রুটিন করে মন খারাপ হওয়া। রুটিন করে মন ভাল হওয়া। চার পাশে বৃত্ত এঁকে দেয়া অসীম এর মধ্যে খুব ভাল আছি ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়া অগভীর রাতেই। সবাই হয়তো কাল্কেই ফিরবে না। প্রথম প্রথম কাজ কর্ম ও কম থাকবে। তারপর একদিন মনে হবে, নাহ, অনেক ছুটি হোলো, এইবার কাজ শুরু করা যাক। তখন আমার মনে হবে, ভ্যাকেশন এ যাওয়া দরকার। কত দিন যাই না।
বাসাবো বাসা থেইকা আসার পর সব কিছু ক্যামন জানি চুপ চাপ লাগতাসে। বাসাবো বাসায় এমন কোণ চিল্লা চিল্লি এর মধ্যে ছিলাম না। পুরা বাসায় সব মিলায়া ৪ জন মানুষ। ৪ জন মানুষ মিল্লা আর কতই বা নয়েজ করবে। কিন্তু তবু মনে হইতাসে চারিদিকে চুপ চাপ। এইটা ফাঁকা ঢাকার জন্যও হইতে পারে ।রাত্রে খাইতে গেলাম যখন হোটেলে, রাস্তা দিয়া হাটতে হাটতে দেখলাম আর বুঝলাম চাদের আলোর চেয়ে সোডিয়াম আলোর ক্ষমতা বেশি । জোঝনা খুব বেশি পাত্তা পুত্তা পাইতাসে না শহর এর কাছে।
ক্যাসপার কেও নিয়া আসছি বাসায়। জান্নাত প্রিয়ম ওকে গোসল টোসল করায়া দিসে। আবার গলায় একটা ঘন্টি ও বাইন্ধা দিসে। ক্যাস্পার যেখাই যাক, টুন টুন আওয়াজ হয়। ক্যাস্পার এখণো বাবু তো, ওর গলায় হইতাসিল না ঘন্টি টা। তাই পেটে বাইন্ধা রাখা হইসে আপাতত। ও যে কি আল্লাদি হইতাসে দিন দিন। গুটি গুটি পা এ হাইটা আসে তারপর ঢুশ কইরা ঘুমায় যায় হাত পা ছড়ায়া আমার বুকের ওপরে।
আজকে বলার মত আর কিছু ঘটে নাই।