২১১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫

 

কারো মন খারাপ থাকলে সেই মন খারাপ কেম্নে ভাল করে তা এক বিরাট রহস্যময় এবং “দুইন্যার কডিন” কাজ। আমার নিজের মন খারাপ এর অবস্থা আমি বুঝি। নিজে নিজে নিজের মন কেম্নে ভাল করতে হইব তা না বুঝলেও মন খারাপ কেম্নে ম্যানেজ করুম তা এত দিনে জানি। সেইটা তেমন কঠিন কিছুও না। নিজেরে আইসোলেটেড কইরা ফালাইতে হইব। চুপচাপ সুভাস্তুর বাসায় ঢুইকা গিয়া বড় বড় শ্বাস ফালাইতে হইব, ওই সময় ফোন আসলে চরম বিরক্তি নিয়া ফোন এর দিকে তাকাইতে হইব এবং ফোন ধরুম না। হয়তো দুই এক লাইন কবিতা লেখা হবে। তারপর কয়েকদিন রাস্তার পিচ দেখতে দেখতে অফিসে যাওয়া আর আকাশ দেখতে দেখতে অফিস থেইকা ফেরা হবে। তারপর কোন কারণ ছাড়াই মন খারাপ টা কাইটা যাবে।
এখন এই ওশুধ তো আর আমি অন্য কাউরে দিতে পারি না। আমার যা ইচ্ছা তাই লেখা লেখি পইড়া অনেকে কেম্নে কেম্নে যানি ইন্সপায়ার্ড ফিল করে। আমি মেসেজ পাই, “ভাইয়া, আপনার লেখা পড়ি। ভাল লাগে। আজকে মন টা খুব খারাপ। একটু বলেন কি করব”। আমার এমন অসহায় লাগে নিজেরে তখন। নারী পুরুষ (নারীদের বেশি) নির্বিশেষে সবাইরে আয় ভাবুল বুকে আয় বইলা হাগ করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু পোলাপান এখনো এত প্লেটনিক পর্যায়ে যায় নাই বইলা কিছু বলতে পারি না। এইটা ওইটা বইলা ভুজুং দেওয়ার ট্রাই করি। যেমন বলি, ক্যান কি হইসে? আমাকে বলা যাবে? এজ ইফ আমি শুনা মাত্রই, মিসির আলির মত রুল টানা ফুল স্কেপ কাগজে ঘটনার সাথে জরিতদের চরিত্র এনালাইসিস করতে বইসা যাবো। সব কথা শুনা হইলে বলব,হুমমম। আমার মনে হয় সব দোষ অবচেতন মনের।
আমি কিছুই পারি না। মন খারাপওয়ালার মন আরো খারাপ হয়। শেষ মেশ “আচ্ছা ভাইয়া, যাই, ভাল্লাগতাসে না” বইয়া যায় গিয়া। এই কথা শুনা মানেই গেম ওভার। এই কথা বলা মানেই, ধুর , আপ্নের এইসব বাল সাল কথা শুনার সময় নাই। আই রিয়েলি উইশ আমার কাছে যারা মন খারাপ এর কথা বলে তাদের সাথে কথা বলতে বলতে এক সময় দে উইল ফিল গুড। মন খারাপ দূর না হইলেও হাল্কা ফিল করবে একটু।
এই সব সময়ে আমার আসলেই মনে হয় আমি এক্টূ চালু হইলে ভাল হইত। ঐ যে আছে না অনেক কথা বার্তা পারে। ঠুস ঠাস মুখে মুখে জবাব দিতে পারে সেইটা যত আহাম্মক ই শোনাক। বলে তো কিছু। আমি তো “ ও অকে” “আয় হায় তারপর?” আর “থাক কিছু হবে না” “ঠিক হয়ে যাবে” এই ভোকাবুলারির বাইরে যাইতেই পারি না।
আমি অভিজ্ঞতা থেইকা পাওয়া খুবি ছোট খাট কিছু জিনিষ ট্রাই করি। তার কথা গুলা মনোযোগ দিয়া শুনি। তার মধ্যে কোন ধরনের আশা , তা যত ছোটই হোক জাগানোর ট্রাই করি। আশার শক্তি অনেক। তারে নিজের সম্পর্কে ধারনা টা পাল্টানোর ট্রাই করি। যদিও এইটা বেশির ভাগ জায়গাতেই ধমক খাওয়া লাগে। যেমন একটা ছেলের হয়তো মন খারাপ তার চাকরি হইতাসে না কোথাউ। তারে আমি বলতে গেলাম দেখেন ভাই দুনিয়ায় টাকা পয়সার দরকার আছে সত্য, কিন্তু প্রথমে বুঝতে হবে আমার টাকার প্রোয়োজন্টা বেশি না লোভটা বেশি। যা আছে তার উপর সন্তুষ্টি আনা টা খুব জরুরি। এবং আরো কিছু ব্লা ব্লা ব্লুশ। ওই ছেলে শিউর আমারে বলবে, আরে মিয়া এম্নেই আব্বা একটু আগে টাকা পয়সা নিয়া লেকচার দিয়া গেল আর আপ্নে আইসেন টাকা পয়সা বেপার না বুঝাইতে। আপ্নেরে বলাই ভুল হইসে। বাই।
অথবা একটা মেয়ে ফ্রেন্ড হয়তো তার ডুশব্যাগ বয়ফ্রেন্ড এর পুরুষগিরিময় শাষন এ অতিষ্ঠ। ক্যান অমুক টা করার আগে পারমিশন ন্যায় নাই টাইপ ঝারি খায়া মন টন খারাপ। আমারে বলসে, আর তারে আমি বুঝাইতে গেসি, দেখ, তুমি এগুলা নিয়া মন খারাপ কর ক্যান। তুমি একটা স্ট্রং ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইমেন, তুমি ব্লা তুমি ব্লা ব্লা ইত্যাদি, শুভেচ্ছা, অনির্বান, আনন্দমেলা। ঐ মেয়ে আমারে শিউর ঝারি দিয়া বলবে, আরে রাখেন, আমি আসি আমার জালায় আর আপ্নে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওমেন ফালাইতে আসছেন। ফাইজলামি করেন? টেক কেয়ার। বাই।
কারো মন ই ভাল করতে পারি না আসলে। খালি কষ্ট লাগে ক্যান পারলাম না। আই ওয়ান্ট টূ। আই সো ওয়ান্ট টু।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *