লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫ । ১১.৪৪ পি এম
আমার মন খারাপ থাকলে আমি ট্রাই করি রিয়ালিটি রে বেন্ড করতে। হয়তো কোন ঘটনা ঘটেনাই কিন্তু ঘটতে পারলে অসাম হইতো, এরকম কিছু কল্পনা কইরা নেই। এগুলা সংখ্যায় অনেক। সময়ের সাথে সাথে এগুলা পালটায়, ম্যাচিউড়ড হয়, কিউট হয়, মাঝে অশ্লিলও হয়। এগুলা কখনো শেয়ার করা হয় নাই কারো সাথেই। আজকে মনে হইতাসে দুই একটা লিখে রাখা দরকার। এগুলা ঠিক ছোট গল্প না, কল্প দৃশ্য বলা যেতে পারে
কল্প দৃশ্য ১
ব্যাংক এ ক্রেডিট কার্ড এর বিল দিতে লাইনে দাঁড়ায় আসি। আনমনেই গুন গুন কইরা উঠলাম, “সেই তুমি কেন এর অচেনা হলে”। সাম্নের লোক ঘুইরা তাকাইলো আমার দিকে। আমি ভাব্লাম ঝারি লাগাবে এখনি। সে খুবি গম্ভির মুখে বলল “সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম।” তার সাম্নের লোক ও ঘুইরা দারায়া বলল, “কেমন করে এত অচেনা হলে তুমি”। দুই মিনিটের মধ্যে সোনা গেল পুরা ব্যাংক এর লোকজন কোরাসে গাইতাসে, তুমি ক্যান বোঝনা তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়…
কল্প দৃশ্য ২
একটা পিচ্চির হাত থেইকা বেলুন ছুইটা আসে। পিচ্চিটা ঠোট উল্টায়ে আকাশের দিকে তাকায় আসে। যেন সব দোষ আকাশের। বেলুন্টা যাইতে যাইতে একবার পিচ্চিটার দিকে তাকাইল। তারপর আকাশের দিকে তাকাইলো। তারপর রউনা দিলো নিচের দিকে। পিচ্চিটার কাছে গিয়া গাল ঘষা ঘষি শুরু করলো। নিঃসংগ বিশালতার চেয়ে কারো কারো কাছে সামাজিক ক্ষুদ্রতাও অনেক প্রিয় যে।
কল্প দৃশ্য ৩
ছেলেটা নিজেই ড্রাইভ করছিল। এই এপার্টমেন্ট টা অদ্ভুত। ঢুক্তে হয় বেজমেন্ট দিয়ে। গাড়ি নিয়ে তো সমস্যা হয় না। সাই সাই করে ঢালু বেজমেন্ট এর ঢাল বেয়ে উপরে উঠে যাওয়া যায়। সমস্যা হয় গাড়ি ছাড়া হেটে উঠতে গেলে। এসব ভাবতে ভাবতে ছেলেটা আগাচ্ছিল বেস্মেন্ট থেকে বেরোনোর জন্য। হঠাত দেখলো সেই মেয়েটা। যাকে দেখলে ছেলেটার হারটবিট ডাবল বিট হয়ে যায়।সেই মেয়েটা দুইটা ক্রাচ এ ভর দিয়ে এগুচ্ছে বেজমেন্ট এর ঢাল্টার দিকে। এক পায়ে ব্যান্ডেজ। কিইইইচ করে ব্রেক কশ্লো মেয়েটার পাশে। অফার করলো, আসেন আপনাকে পৌছে দেই। মেয়েটা না শোনার ভান করে আগায় গেল। ছেলেটা আবারো মেয়েটার পাশে গাড়িটা ব্রেক করে গিয়ে বলল, সারা রাস্তা আপনাকে বিরক্ত করবো না। শুধু বেজমেন্ট এর উপর পর্যন্ত। মেয়েটা এই আইডিয়াতে এতই হচকচায় গেল যে একটা কাঠ কাঠ হাসি হেসে গাড়িতে উঠে পরলো। ছেলেটা ঢালের উপর গিয়ে নামায় দিল মেয়েটাকে তারপর হুশ করে চলে গেল। মেয়েটা খুবি অবাক হয়ে গাড়ীর চলে যাওয়া দেখছিলো। গাড়ি থেকে কেন নেমে গেল এটা ভেবে হঠাত হয়ে গেল মন খারাপ। দু’জনেরি।