লেখার তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫ । ১১.২৮ পি এম
একদিন মনে হবে এসব ই ঠিক ছিল। সব কিছু সৃষ্টিকর্তার বিশাল কোন প্ল্যান এর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ ছিল। যার পুরোটা বোঝা কারো পক্ষে সম্ভব হয় নি কোনদিন। যখন হারিয়ে যাওয়া ধাঁধার অংশ গুলো শূন্য থেকে এসে বসে যাবে ঠিক ঠাক জায়গায়, তখন মনে হবে, এমন ই তো হওয়ার কথা। এটাই তো ঠিক।
একদিন মনে হবে যা হয়েছে ভালর জন্যই। এই কথা গুলো শোনা দরকার ছিল, সেই ধাক্কা খাওয়াটা জরুরী ছিল। আবেগে বলা কথা গুলো , উত্তেজনায় লেখা বাক্যগুলো, ভাল লাগা থেকে কেনা জিনিষ গুলো যখন গায়ে ধুলো মেখে ভেঙচি কাটবে তখন মনে হবে এগুলো তো অপচয় হয়নি। ঠিকানাটা ঠিকই ছিল। শুধু চিঠিটা পৌঁছানোর আগেই প্রেরক আর প্রাপক ঠিকানা পালটে ফেলেছেন। তাই চিঠিটার এখন কোথাউ যাবার নেই।
একদিন মনে হবে ওরা কি অমর হতে চায়? তা না হলে কবি কে কষ্ট দিয়ে গেল কেন? সুখী মানুষ তো কবিতা লেখে না। গলা ছেড়ে গান গায় বড়জোর। সুখে থাকলে কবিতার কিল খাবার কথা শুনেছে কেউ। সুখী কবিতা খুবি ভয়ঙ্কর ব্যাপার। সুখী কবিতা কে ঠিক বিশ্বাস করা যায় না।
একদিন মনে হবে অনেক দূর এলাম। এবার থামা যাক। বেঁচে থাকা ক্লান্তি আনে। কষ্ট পেতে পেতে মন এর ক্ষয় হয়। মনে হবে থাক, দেখলাম তো অনেক। সেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শেষ মেষ একই ভাবে হেরে যাওয়া। একটা জীবনে আর কত হারা যায়। লজ্জা শরম বোধহয় কম আমার। এই বার যারা খেলছে খেলুক। আমি বাড়ি যাই।