১৭৮/৩৬৫

লেখার তারিখঃ আগস্ট ২৫, ২০১৫ । ১২.০০ এ এম

 

কিছু গাই টক করা যাক।

আমি আজকেও শুনসি “নাইস গাই হওয়া উচিত না”, কোন মেয়েই “নাইস গাই” কে বেশি দিন পছন্দ করে না। ব্যাপার টা নিয়া একসময় বেশ কিছু পড়ালেখাও করসিলাম। তখন জিনিষ টা নিয়া লিখি নাই কারন খুব অল্পই পড়সিলাম টপিক টা নিয়া। এখন মনে হইতেসে, কিছু কিছু কইরা লেখা শুরু করা উচিত। তাহলে অন দা ওয়ে তে আরো পড়ার তাগিদ টা আসবে।

“নাইস গাই” কনসেপ্ট তার আগে একটু খোলাসা কইরা বলি। আমরা এমন একটা ছেলেকে নিশ্চয়ই চিনি যে খুবি প্লেটোনিক ভাবে মেয়েটার সাথে থাকতো, তার সাথে শপিং এ যাইতো, মেয়েটা যখন লোনলি ফিল করতো তারে সংগ দিতে ফোন করত, মেয়েটা যখন তার গাধাছিদ্র বয় ফ্রেন্ড কেমনে তারে বান্দির মত ট্রিট করসে বইলা কাইন্দা ফোন এর নেটওয়ার্ক ভাসায়া দিত, তখনো ছেলেটা অনেক সময় নিয়া চুপচাপ পুরাটা শুনত, সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করত।

এরকম অন্তত একটা ছেলেকে আমরা চিনি যার কথা মেয়েটা তার বন্ধুদের কাছে হাসতে হাসতে বলত যে ছেলেটা তার পাপি ডগ, যে কিনা তার একটু এটেনশন পাওয়ার জন্য কত কিছু করত, যেমন দৌড় দিইয়া গিয়া নোট ফোটকপি কইরা আনা, বা মেয়েটা পানি খাইতে চাইলে পারলে মাটি খুইড়া পানি বাইর কইরা আনা।

আমরা ছেলেটা কে নিয়া হাসাহাসি করতাম, সে আসে পাসে আসলে মেয়েটারে বলতাম, ওই যে তোর নায়ক আসছে। ফাইজলামি বেশি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে মেয়েটা থামায় দিত এই বইলা যে ওরা “জাস্ট গুড ফ্রেন্ডস”। আর বলতো, আরে দোস্ত, ছেলেটা আমার টাইপ এরি না। সবসময় ই ছেলেটা হয় বেশি বাট্টু, নাইলে বেশি মোটা, নাইলে বেশি শুকনা, নাইলে বেশি খ্যাত। এক কথায় মেয়েটা যারে বয়ফ্রেন্ড দাবি করত, সেই বয়ফ্রেন্ড অনেক সহজে যা কিছু, ওই ছেলেটা অনেক চেষ্টার পরেও তার ধারে কাছে কিছু না।

এই গাধাছিদ্র বয়ফ্রেন্ড এর সাথে সম্পর্ক যত ঘনীভূত হয়, সেই ছেলেটা তত ফেড আউট হইতে থাকে। কারন “ওই ছেলেটা একটু উইয়ার্ড টাইপ”। তারপর আস্তে আস্তে আর যোগাযোগ ই থাকে না। দিন যায়, মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে ঝামেলা হয়, মেয়েটা রিয়ালাইজ করে বয়ফ্রেন্ড এর যে জিনিশ গুলা তার ভাল্লাগে সেইগুলা আসলে লং টার্ম রিলেশনশিপ এর জন্য উপযোগী কিছু না। মেয়েটা সিঙ্গেল হয়। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর যখন শুধুই শো অফ আর প্লেয়ার ছেলেদের দেইখা দেইখা মেয়েটার মনে “সব ছেলে লুইচ্চা” ধারনা আরো পাকাপোক্ত হয়, তখন মেয়েটা ভাবতে থাকে, “সব ছেলে এমন খারাপ ক্যান, সবাই খালি শারীরিক প্রেম চায়। একটা ভাল , নাইস গাই পাওয়া এত টাফ, ভাল মানুষ গুলা কই মরসে সব”।

মনে হয় এতক্ষণে “নাইস গাই” এর কনসেপ্ট টা ক্লিয়ার করতে পারসি। আমরা মোটামুটি জানি এই ছেলে গুলা কারা। এরা সব সময়ই বইলা আসে “আরে ও তো আমার “বন্ধু”, কিন্তু মনে মনে আশা কইরা যায় মেয়েটা একদিন “ওয়াও, ছেলেটা কত অসাম” বইলা আগায় আইসা প্রথম পদক্ষেপ টা নিবে। কিন্তু ছেলেটার জায়গা হয় শেষ মেশ ফ্রেন্ডজোন বা বন্ধুস্থান নামক নির্বাসনে।

এই যদি অবস্থা হয়, তাইলে আমি বলবো, এই অবস্থা ছেলেটার নিজেরই তৈরি। এবং তার এরম কষ্টই পাওয়া উচিত। অনেস্টলি বলতে এই নাইস গাই ছেলেটা ইভেন ফ্রেন্ড ও না মেয়েটার। সে একটা অরবিটার। একটা উপগ্রহ। সে সারাজীবন চারপাশেই ঘুরবে, আসল সংস্পর্শে আসার সাহস করবে না। নাইস গাই দের নিয়া আমার ব্যাক্তিগত অভিমত হইল,

Nice guys are passive.
Nice guys are clingy.
Nice guys are predictable.
Nice guys are boring.

এর মানে এই না যে আমি বলতে চাইতাসি মেয়েদের নেগ্লেক্টেড হইতে ভাল্লাগে অথবা গাধাছিদ্র দের দারা ইমোশনালি আর ফিজিকালি এবিউজড হইতে মেয়েদের ফেভারিট। ঘটনা তা না। It’s all about behavior and attitudes.

একটা ব্যাড বয় এর মধ্যে কি এমন থাকে যা একটা নাইস গাই এর মধ্যে থাকে না সেইটা লয়া আগামী লেখায় বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা রাখি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *