লেখার তারিখঃ আগস্ট ২২, ২০১৫ । ১১.৩৭ পি এম
আমরা আজকে ঈশ্বরদি এয়ারপোর্ট গেসিলাম। ঈশ্বরদী এয়ারপোর্ট এর ইতিহাস অনেক পুরোনো। ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময় এইটার নাম ছিল হিজলি এয়ারবেস (Hijli Base Area)। অপারেশন মেটারহর্ন এর একটা গুরুত্বপূর্ণ বেজ ছিল এই ঈশ্বরদি। কথা যখন উঠলই একটু অপারেশন মেটারহর্ন (Operation Matterhorn) নিয়া বলি।
২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউ এস আর্মি জাপান, চায়না আর বার্মার উপর বোমা ফালানোর জন্য একটা অপারেশন এর পরিকল্পনা করে। এইটা একটা স্ট্রেটেজিক বোম্বিং অপারেশন আর ব্যাবহার করা হবে বি টুয়েন্টি নাইন (B-29 Superfortresses) বোমারু বিমান। এই কাজ এর দায়িত্ব দেয়া হইল আমেরিকার টুয়েন্টিএথ এয়ারফোর্স কে। এরাই হিরোশিমা তে আনবিক বোমা ফালানোর দায়ীত্বে ছিল। তাদের একটা উইং হইল ফিফটি এইঠথ বোম্বারমেন্ট ইউনিট। এরা ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশে কিছু বেজ বানাইলো এই কাজ এর জন্য। এর মধ্যে একটা বেজ ছিল ঈশ্বরদি। আর অপারেশনটার নাম ছিল অপারেশন মেটারহর্ন।
আমার কাছে ঈশ্বরদী এয়ারপোর্ট অনেক ভাল্লাগসে। ছোট্ট কিউট একটা এয়ারপোর্ট। ৪৭০০ ফিট রানওয়ে। শেষ বিমান নামসিল ২০১৪ এর অগাস্ট এ। তারপর থেইকা আর কোন অপারেশন নাই এইখানে। আমরা রানওয়েতে হাইটা বেরাইসি। বইসা, লাফায়া ছবি টবি তুলসি। বেশ ফিলিংস এর বেপার সেপার হইসে।
কালকে ঢাকা ফেরত আসবো ইনশাল্লাহ। আমাদের বাস ভোর চারটা দশ এ। জোম্বির মত গিয়া বাস এ উঠব। তারপর ঢাকা নাইমা অফিসে ঢুইকা যাবো। ভাবতাসি আজকে রাতে আর ঘুমাবো নাকি সারা রাত গান বাজনা আর আড্ডা উড্ডা মাইরা কাটায় দিব।
আজকে আরেকটা ছোটখাট মজা হইসে। তামিম ভাই এর শালা অনেক সহজ সরল তাই সারাক্ষনই শালা-দুলাভাই এর মধ্যে লেগ পুলিং চলে। আমি বইসা বইসা মজা দেখি। আজকে তামিম ভাই ওর মোবাইল নিয়া কোন মেয়েরে লাভ সাইন পাঠায় দিসে, আর শালাবাবু (উনি শর্ত দিসে নাম প্রকাশ করা যাবে না) তো বিরাট লজ্জা টজ্জা পায়া শেষ। সে তারাতারি তার বান্ধবি রে ফোন দিসে, আর বলসে, শুনো, ওইটা আমি না, আমার দুলাভাই পাঠাইসে। ওই মেয়ে অইপাশ থেকে বলসে, তোমার দুলাভাই তো অনেক কিউট। আর শালাবাবু বেচারা উত্তেজিত হয়া তারাতারি বলসে, “শুন, আমার দুলাভাই এর সাথে লাইন মারতে আইসো না, উনি কিন্তু ম্যারিড, তাও আমার বোন এর সাথে”। আমরা এদিকে হাসতে হাসতে শেষ।
তামিম ভাই আবার দেশে আসবে আগামি বছর। এর আগে তো আর আসা হবে না পাবনা। পাবনা শহরও আমার অনেক ভাল্লাগসে। ইছামতি আর পদ্মার পারে ছোট খাটো ছিমছাম শহর। ভাল মানুষ এর শহরে আসলে একটা শান্তি শান্তি ভাইব পাওয়া যায়। যেইটা আমি এইখানে পাইসি। যার পুরা কৃতিত্বই তামিম ভাই এর।
প্রিয় তামিম ভাই আর উনার অসামেস্ট পরিবার, আমাকে এই তিন দিন সহ্য করার জন্য ধন্যবাদ। বিদায়। আবার দেখা হবে।