লেখার তারিখঃ আগস্ট ২০, ২০১৫ । ১১.৩৩ পি এম
পাবনায় বইসা নোট লিখতাসি। একটু আগে আম্মা ফোন করসিল। ফোন কইরা বলসে, তোর আর ঢাকায় আসার দরকার নাই। তামিম রে বল তোরে ভরতি কইরা দিতে। আমি বলসি জি আচ্ছা আম্মা। বলতাসি এখনি। আম্মা রাইগা মাইগা রাইখা দিসে।
ঘটনা হইল, তামিম ভাই কালকে গভির রাত্রে (রাইত শুয়া এগারোটা) ঘুমের মধ্যে ফুন্দিয়া কইল, ইথার বাই, লন পাবনা যাই। আমি ঘুমের মধ্যেই কইলাম, লঞ্জাই। এহন আমু? তামিম ভাই কইল, না অখন্না, কালকে সকালে। আট্টায় বাস। আমি আইচ্ছা বইলা আবার ঘুমায় গেলাম।
ভোর পাচটায় উইঠা চিন্তা করতাসি, আইচ্চা, সপ্নে দেখসি? না হাচাই? থাউক বেগবুগ গুছায় রাখি। সাব্ধানের মাইর নাই। ঠিক ৬ টায় তামিম্বাই ফুন্দিয়া কইল, উঠসেন? আমি কইলাম উইট্টা রেডি হয়া বয়া আসি। উনি কইল তইলে আয়া পরেন। আমি লোউর পাইরা বাসাত্তে বাইর হইলাম। তারপর সিঞ্জি তে বইসা দৌড়াইতে দোউড়াইতে তামিম্বাইগো বাসায় আয়া পড়লাম।
সেইখান থিকা বাসস্টান্ড, তারপর বাসে বইসা কম্বল মুড়ি দিয়া হা কইরা ঘুমায় গেলাম। লুলে লুলে কম্বল ভাসায় দিয়া উঠনের পর দেখলাম ফুড ভিলেজ নামে এক জায়গায় বাস থামসে। অই খানে মাত্র তিন্ডা রুডি, একবাটি মাংস আর একটা ডিম্ভাজি আর চা দিয়া হাল্কা নাস্তা খায়া আবার বাস এ উঠলাম।
বাস এ উইঠা এট্টু পরে তামিম ভাই এর আম্মা, দা কুলেস্ট আন্টি, জুস খাইতে চাইল। জুস টা আমার পায়ের কাছে রাখসিলাম। তাকায়া দেহি নাই। গরায়া কই যানি গেসে গা। পরে বহুত কাহিনি কইরা জুস উদ্ধার করা গেলেও একটু পরে জুস মুখখা গেল গা হাত থেইকা পইরা সাম্নের সিটের মহিলার নিচে আবার। এখন আমি তো আর কইতে পারি না, আপা, আপ্নের নিচে আমার মুখখা।
তাই মুখখার মায়া ত্যাগ কইরা ওই বিস্রি জরের অসুধ ফ্লেভারড জুস খানা তামিম ভাই এর শালা আদন রে ভুলায় ভালায় পুরাডা খাওয়ায় দিলাম।
পাবনা আসছি আসলে আরাম করতে। গত দুই সপ্তাহ উইকেন্ড এও অফিস কইরা কেমন জানি হাস ফাস লাগতাসিল। তাই এইখানে আইসা পরসি। উকুলেলেও নিয়া আসছি। আমি আর তামিম ভাই একটা রবীন্দ্রসংগীত উঠাইতাসি। হইলে ভিডু কইরা আপ্লোডামু।
আজকে একটা মজা হইসে। আমরা বিকালে পাবনা শহর হাটতে গেসিলাম। তখন এক্টা ছেলে ফোন দিসে। আমার সাথে দেখা করতে চায়। আমি হাইটা হুইটা আইসা তামিম ভাই রে নিয়া গেলাম দেখা করতে। গিয়া দেখি ছেলেটা তার আরো দুইজন ফ্রেন্ড কে নিয়া দাড়ায়া আসে গত একঘন্টা ধইরা। আমাদের ধইরা মিষ্টির দুকানের ভিতরে নিয়া গেল মিষ্টি খাওয়াতে। তামিম ভাই অথবা হাল্কের থাবা সাইজের রাজভোগ প্লাস মিশটি খাইতে হইসে ওদের অনুরোধে।
এখন ধুমায়া বৃষ্টি হইতাসে বাইরে। আমি আর তামিম্বাই উকু বাজায়া মিনার এর “আহারে আহারে” গাই। ভিতরটাও আহারে আহারে করতাসে। যাই গা।