লেখার তারিখঃ জুলাই ২৫, ২০১৫ । ১১.৩৬ পি.এম
দীর্ঘ ঈদ এর ছুটির পর আবার সুভাস্তুর বাসায় ফেরত আসছি। সেই লাস্ট ১৬ তারিখে গাট্টি বুচকা বাইন্ধা বাসাবো গেসিলাম। সেইখান থেইকা নেপাল। এখন আবার বাসাবো হয়া, জিকো ভাই এর বাসায় খিচুরি ডিম্ভাজি খায়া সুভাস্তুর বাসায় আইসা পরসি। আমার ঈদের ছুটি এখনো শেষ হয় নাই। কালকে ভোর বেলা ৭ টার ফ্লাইট এ সিডাং যামু, কালকে পরশু থাকুম। দেন মঙ্গলবার সকালের ফ্লাইটে ঢাকায় আইসা অফিসে ঢুকুম। তারপর শুরু হইব কাজ আর কাজ। তার আগে বাইচা লই একটু।
বাসায় ঢুইকা আমি সবাইকে হেলো বলসি। হেলো বাসা। হেলো আমার বুকশেলফ, হেলো আমার মডেল প্লেন গুলা, হেলো ফ্রিজ, হেলো আমার বিছানা। ওরা আমাকে দেইখা খুব খুশি হইসে। খালি লেজ নাই বইলা নাড়াইতে পারতাসে না। ভাবতে কেমন অদ্ভুত লাগে। এই ইট আর কংক্রিট এর ভীষণ অরণ্যে আমার একটা গুহা আছে। আমি রাত নামলে এইখানে আইসা ঢুকতে পারি। আগুন জ্বালাইয়া মাংস পুড়ায়া খাইতে পারি। হু হা হু হা করতে করতে দুই হাত দিয়া বুকে কিল দিতে দিতে লিটারেলি উদ্দাম নৃত্ত করতে পারি। নিজের সৌভাগ্য গুলা বুঝতে পারলে জীবন অনেক সুখের লাগে।
কালকে আমার অনেক সকালে উঠতে হবে। গাড়ি আসবে সাড়ে পাঁচ টায়, তারপর ফেরদৌস কে উঠাইতে হবে তারপর এয়ারপোর্ট যাইতে হবে। ওয়েদার নিয়া একটু চিন্তায় আছি। কিন্তু প্লেনে উঠার এক্সাইটমেনট এ চিন্তা গেসে গা। কালকে যাওয়ার সময় আবারো Dash-8 Q400 পাবো। আর ফেরার সময় A310. ইচ্ছা কইরা A310 এর সময়ে টিকেট কাটসি কারন গতবার ফেরার সময় 777 পাইসিলাম 😀 আই হোপ বিমান ওইদিন S2-ADF টারে পাঠায় কারন এই টা এখন একমাত্র প্লেন যেইটায় এখনো বিমানের পুরানা লিভারি টা আছে।
লিভারি হইল একটা প্লেন এর পেইন্ট স্কিম। বডি তে করা লোগো,লেখা আর আর্টওয়ারক মিলাইয়া পুরা ডিজাইনটাকেই বলে হয় লিভারি। বিমান এ একজন তিন রকম লিভারি আছে। ছয়টা 777, দুইটা Dash-8 আর একটা A310 (S2-ADK) একটা লিভারি তে যেইটা কিনা লাল সবুজ রিবন এর লিভারি, দুইটা 737 আছে সবুজ লিভারি তে যেইটা স্বয়ং বোয়িং এর ডিজাইন কইরা দেওয়া, আর বিমান এর পুরানা কালার স্কিম এ আছে একটা A310 (S2-ADF) . আমি চাই এইটাকে। পুরান লিভারি টাকে। শুন্তাসি চিটাগাং এ নাকি ব্যাপক বৃষ্টি হইতাসে। আই হোপ আমরা ল্যান্ড করতে পারবো কালকে। পাইলট ইজিপশিয়ান না হইলে বাংলায় কইতাম, উস্তাদ, সি প্লেনের থন খুইলা চাক্কার তোলে ফ্লোট লাগায় লন, জামাই লয়া বর যাত্রী যাইতাসি, ইজ্জত এর কুশ্চেন।
ফেরদুস-লরার বিয়া নিয়া গত কয়েক মাস ব্যাপী ব্যাপক জল্পনা কল্পনা আর পরি-কল্পনা হইতাসে। আমাদের একটা গুপন চ্যাট আসে যেইটার আমি নাম দিসি দৈনিক সিডাং। ওই খানে খাওন দাওন, লোরার সুন্দরি বান্ধবিরা, মরার বৃষ্টি কেন থামেনা ইত্যাদি জনগুরুত্ত পূর্ণ বিষয়াদি নিয়া আলাপ আলুচনা হইতাসে। ফেরদুইচ্চা ঘোষণা দিসে বৃষ্টি না থামলে অয় নৌকা দিয়া হইলেও বিয়া করতে যাইব। দুনিয়ার পরথম পাঞ্জাবি এর লগে লুঙ্গি কাছা মারা বরযাত্রী হিসাবে যাউন যায় কিনা সেইটা নিয়া একটা যুগান্তরকারি আইডিয়া দিসিলাম। কিন্তু লোরা হুমকি দিসে লুঙ্গি পইরা গেলে বিয়া তে ঢুকতে দিব না। আফসুস। আপাতত বেশি ফুটা ওলা বেল্ট লওয়া যাইতাসি। খাইতে খাইতে এডঝাসট করা হবে। লোরার বাপ বিশাল মেজবানি খাবার দাবার এর আয়োজন করসে বইলা প্রকাশ্য সূত্রে খবর পাওয়া গেসে।
আমার মনে হয় একটা বিয়া তে অভারল মুড সেট করার ব্যাপারে জামাই বউ এর বিশাল ভূমিকা থাকে। আমি খালি লোরা আর ফেরদুইচ্চার খুশি দেখি আর আমার ডাবল খুশি লাগে। দুইটা মনে হইতাসে বিয়াতে এমন গ্লো করব যে ফটো তুলতে হইলে ফটোগ্রাফার গো আন্ডার এক্সপোজ কইরা তুলতে হইব। আর আমি বুক ফুলাইয়া পাঞ্জাবির বুতাম ছিরা লামু আর কমু আমি না থাকলে তো এই দুইজন এর দেখাই হইত না। আই এম দা লিঙ্ক। আই এম দা ঘোটক পেলেন ভাই 😀