১৪৫/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ২২, ২০১৫ । ১১.৫৩ পি.এম

 

দিন টা হঠাত ইন্টারেস্টিং হয়া শেষ হইতাসে। মজা লাগতাসে অনেক। আমি রুম এ শুয়া শুয়া ফেবু গুতাইতাসিলাম। রাশা নিচে গেসিল হাটাহাটি করতে। হঠাত দেখি খাট দোল খায়। বুঝলাম ভুমিকম্প। আমি জানি রাশা নাই রুমে তারপরও ডাকা ডাকি শুরু করলাম রাশা রাশা এই রাশা। তারপর খেয়াল হইল, আরে অয় ত নাই। তারপর ভাব্লাম আচ্ছা এখন যদি নিচে যাই তাইলে তো রাশা আইসা খুজবে। এর চেয়ে থাকি। আর কি কি নিয়া নামুম চিন্তা করি। একটু পরে রাশা নিচে থেইকা ফোন দিল, অয় আসত না হাটফেল করসত? নিচে আয়।

নিচে গিয়া দেখি সবাই বইসা আসে লবি তে। বিদেশি আপারা ভয় পাইসে বেশ। কাপ্তাসিল পুরা হাত পা অগোর। আলাপ সালাপ করলাম। রাশা সবাইকে জিজ্ঞেস করল, যদি কখনো শুধু একটা জিনিশ নিয়া বাইর হইতে হয় তাইলে কি নিয়া বাইর হবেন? আমি এবং বিদেশি আপারা বলল, মোবাইল। আপারা রাশা রে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি নিয়া বাইর হবা? রাশা বলসে আমি এক হাতে আমার ফেন্ডার গিটার আর আরেক হাতে আমার লেস পল গিটার নিয়া বাইর হব।

তারপর জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা যদি সেকেন্ড আর একটা জিনিষ নিয়া বাইর হইতে বলা হয়, তাইলে কি নিবা? আমি একটা নিরীহ সরল উত্তর দিলাম, “আমম, ফোন এর চার্জার নিয়া দৌড় দিমু?” আর সবাই ঘর কাপায়া হাইসা উঠল হুদাই। হাসা হাসির কারনে টেন্সড ভাইব টা অনেক কমল রুম এর। বাংলাদেশ মাত্র এক ঘন্টা বিশ মিনিট লাগে যাইতে শুইনা হেরা বেশ জেলাস হইল।

ভুমিকম্প টা ছিল ৫.১ রিক্টার স্কেল এর। আর এপিসেন্টারটা ছিল আমরা এখন যেখানে আসি তার থেইকা কাছেই, কাঠমান্ডু ভ্যালি তে। আমার ক্যান জানি ভয় লাগতাসে না কোনো। মজা লাগতাসে। আমার ঝড় এর সময় ও মজা লাগে। ঠাডা পরার সময়ও মজা লাগে। হোয়াটস রঙ উইথ মি।

আজকে উঠসি অনেক ভোর এ। পাচ টার সময়। কালকে রাত্রে নাগরকোট এ অনেক ঝড় বৃষ্টি হইসে। কারেন্ট ছিল না। জেনারেটর ও ছারে নাই। ওয়াই ফাই ও ছিল না। ভাবতেসিলাম যেহেতু রাত্রে বৃষ্টি হইসে, সকালে আকাশ পরীষ্কার থাকার কথা। হয়তো সান রাইজ দেখা যাইতেও পারে।

সান রাইজ দেখা যায় নাই। মেঘ ছিল অনেক। কিন্তু দিগন্তের একটা দিকে তাকায় পুরা ফ্রিজ হয়া গেলাম। পাহাড়ের চুড়া দেখা যাইতেসে। বিশাল বিশাল চুড়া। বরফ মাখা মাথা এক একটা। মাত্র পাচ মিনিট এর জন্য ছিল, তারপরি মেঘ আইসা গিল্লা ফেল্লো সব।

আজকে দুপুর এ কাঠমান্ডু তে আইসা পরসি। বিকালে হোটেল এর ছাদে গেসিলাম। যেদিকেই তাকাই দিগন্তে খালি পাহাড় আর পাহাড়। কি সুন্দর মাশাল্লাহ। পাহাড় গুলার দিকে তাকায় থাকলে দেখা যায় মেঘ গুলা কেমন ডাইভ দিয়া ডাইভ দিয়া পার হয়। কালকে ভোর এ উইঠা যাবো আবার ছাদ এ। যদি ছবি পাই দু একটা।

ব্যাগ বুগ আজকে আর গুছাইতে ইচ্ছা করতাসে না। কালকে ফ্লাইট এর আগে তারাহুরা কইরা গুছাবো নে। মজা হবে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *