১৩৭/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ১৪, ২০১৫ । ১১.৩৪ পি.এম

 

গতকাল আমি লেখা শুরু করসিলাম লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দিতে সাহায্য করে এরম ৫ তরিকা (ছবি সহ না, ভিডিও তো দূর এর কথা) নিয়া। যার মধ্যে ২ লম্বর তরিকা আসিল এই রকম

২। ইচ্ছাশক্তির চর্চা

ইচ্ছা শক্তি একটা মজার জিনিশ। এই শক্তি পাইতে হইলে ব্ল্যাক হর্স খাওন লাগে না। যখন লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দেওনের প্রশ্ন আসে তখন মাথায় রাখতে হইব যে, ভাল্লাগে না করতে এরম অনেক কাজ রে করতে নিজেরে বাধ্য করা লাগবো। যদি করতে করতে ভাল্লাগে, চেঞ্জ গুলা খুবি ভিজিবল হয়, তাইলে ঠিক আসে। আর ভাল না লাগলে নাই, মুভ অন টু দা নেক্সট থিং। জীবনের মজা টাই তো এইটা। দেয়ার ইজ অলঅয়েজ দিস নেক্ট থিং কামিং আপ।

সমস্যা হইল আমাদের মনে থাকে না ইচ্ছাশক্তি একটা লিমিটেড রিসোর্স। আর যখন ইচ্ছাশক্তি যখন শেষ হয়া যায় তখন আমাদের গোটা শহর বাতি জেলে সতর্ক, পায়ে পায়ে পালাবার জায়গা খুঁজে মরি। হয়তো অনেক উৎসাহ নিয়া কোন কাজ করা শুরু করসি, পুরা মনোযোগ ঢাইল্লা দিসি, এই কইরা লামু ওই কইরা লামু চিন্তা কইরা লাইসি, তখন ইচ্ছা শক্তি গেল শ্যাশ হয়া। আমার মনে হইল, অনেক কাজ করসি। এখন একটু বিরতি তো আমার অধিকার। এইভাবে একটু বিকামস একদিন আর একদিন বিকামস কয়েক মাস। তারপর কাজটার প্রতি আগ্রহ ই জায় গিয়া। প্রথম প্রথম কয়দিন নিজের সাথে যুদ্ধ চলে, আর তারপর সব কিছু ভেঙ্গে পরে।

কিন্তু আর হতাশা নয়। যুবক ও বিবাহিত ভাইবোন দের সুখবর। ইচ্ছা শক্তি যদিও একটা লিমিটেড রিসোর্স, তারপর ও আমার কতটুক ইচ্ছা শক্তি থাকবে সেইটা আমি নিজেই ঠিক কইরা নিতে পারি। এইটা একদিন এ হয় না। দিন এর পর দিন এইটার জন্য চর্চা করা লাগে।

পালুয়ান গো শৈল্লে যে অত মাছল থাকে, কেন থাকে? কারন তারা শরীর চর্চা করে। অমনে ইচ্ছা শক্তিরও চর্চার দরকার আসে। যত বেশি আমরা ইচ্ছা শক্তির চর্চা করুম তত বেশি আমাগো ইচ্ছা শক্তি বাড়বো পরের বার এর জন্য।

এই টা একদম ঘুম থেইকা উঠা থেইকা শুরু হইতে পারে। লাইক ঠিক করলাম আজকে যতই ঘুম পাক, আমি ভোর বেলা বিছানায় আর থাকুম না। দিনের প্রথম বিজয় টা কিন্তু শুয়া শুয়াই পায়া যাই।

সব সময় যে ইচ্ছা শক্তির জয় হবে তা না। অনেক “ইচ্ছা করতাসে না” মোমেন্ট ও থাকবে। কিন্তু তখন মনে করতে হবে, ডিপ ডাউন, মনের একটা অংশ চাইতাসে আমি কাজ টা করি। এই সব সময় এ আমি একটা কাজ করি। আমি মনে মনে বলি আমি বুঝতাসি যে কাজ টা করতে আমার ইচ্ছা করতাসে না। কিন্তু কাজ টা করা দরকার। এই যে মোবাইল এ এক ঘণ্টা টাইমার সেট করলাম। নেক্সট এক ঘণ্টা আমি খালি এইটাই করব। আর কিচ্ছু করুম না। এখন যেই আরামটা করতে ইচ্ছা করতাসে ওইটা এই একঘণ্টা পরে করুম নে। আর এক বার কাজ এ নাইমা পরলে দেখবেন এক ঘণ্টা পরে কত্ত কাজ হইসে। পরের বার দেড় ঘণ্টা টাইমার সেট করলেও খারাপ লাগবো না। এমনে ইচ্ছা শক্তির চর্চা করন যায়।

মনে আসে আগের লেখায় এক নম্বর পয়েন্ট এ ঘর এর জঞ্জাল, ডিজিইটাল জঞ্জাল দূর করার কথা কইসিলাম? ইচ্ছা শক্তির চর্চা টা ওই টা করতে গেলে খুব কাজে লাগে।

Procrastination এর জয় হোক। কে পার্সে তার বিরদ্ধে জিততে। কিন্তু তার সাথে ইচ্ছা শক্তির ও জয় হোক। ও আর একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গে বলতে চাই, হেলো প্লুটো। ইউ লুক গুড ইন দোজ পিকচারস 🙂

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *