লেখার তারিখঃ জুলাই ১৩, ২০১৫ । ১১.৫৯ পি.এম
আমার মাঝেই মাঝেই মনে হয় আমার লাইফ খুবি ঝিমায় গেসে । কুনো দিকে যাইতাসেনা। আমি একি জায়গায় ঘুরপাক খাইতাসি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার এত মন খারাপ হয়, এত ডিপ্রেশন আসে যে আমি চুপ চাপ হাসি মুখে সবাইরে বাই টাই বইলা আইসা সুভাস্তুর বাসায় বইসা থাকি। ফোন ধরতে ইচ্ছা করে না। কেউ ফোন করলে বিরক্ত লাগে যদিও আজ পর্যন্ত কেউ কইতে পারবো না যে ফোন এ কথা কয়া বুঝতে পার্সে আমার এমন বেহাল দশা। একটা সময় আমার মনে হয় লাইফ টারে একটা রিস্টার্ট দেওয়ার টাইম হইসে।
আমি লাইফ রিস্টার্ট দেই আমার নিজের নিয়মে। এক দুইটা কইরা উপায় ট্রাই করতে করতে অনেক গুলা উপায় হয়া গেসে। যেগুলার একটা না একটা কাজ এ লাইগা যায় ঠিক ই । আর না লাগলে তো সব চেয়ে ভালা উপায় আসেই, দা ঘুম । আমার ঘুম বিষয়ক সুপার পাওয়ার আছে। আমি যে কোন জায়গায় যে কোন মানসিক অবস্থায় ইচ্ছা হইলেই ঘুমায় যাইতে পারি। ঘুম এর সুবিধা হইল ঘুম কোন উত্তর দিতে না পারলেও প্রশ্ন গুলাই ভুলায় দিতে পারে।
ডিপ্রেশন কাটাইতে আর লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দিতে কি করি সেইটা কখনো গুছায় লেখা হয় নাই কোথাউ। এই প্রথম লিখতে গিয়া অনেক কাটা কুটি করতে হইসে। তারপর অনেক গুলারে একি রকম বিধায় সেম ক্যাটাগরি তে নিয়া আস্তে হইসে। এই রকম ভাবে আমি পাঁচ টা ব্রড ওয়ে বাইর করসি যেগুলা করলে থাইমা থাকা লাইফ রে রিস্টার্ট দিয়া লাইফ এ পজিটিভ এনার্জি আনা সম্ভব। এগুলা সব নিয়া আজকে বিস্তারিত লেখার মুড নাই। আস্তে আস্তে লিখি, তাইলে ভাল মত লিখতে পারুম।
লাইফ রে জাম্প স্টার্ট দিতে সাহায্য করে এরম ৫ তরিকা হইল (ছবি সহ না, ভিডিও তো দূর এর কথা)
১। ঘর গুছানি ওরফে জীবন থেইকা জঞ্জাল দূর করা
২। ইচ্ছাশক্তির চর্চা
৩। “আমি নিজের বেস্ট টা করসি” মনে করা বন্ধ করা
৪। জীবনের নেগেটিভ জিনিষ গুলারে নেগেটিভ হিসাবে স্বীকার করা
৫। নিজেরে মাইন্ড রিডার হিসাবে মনে করা বন্ধ করা
আইজকা শুধু ১ লম্বর নিয়া লিখি।
১। ঘর গুছানি ওরফে জীবন থেইকা জঞ্জাল দূর করা
আমি আমার চারপাশে তাকাইলে এক হাজার এক টা জিনিশ দেখতে পাই যারা আমার মনোযোগ পাওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতাসে। এমন সব জিনিশ যার প্রত্যেকটার পিছনে আমার আলাদা আলাদা টাইম দেওয়ার কথা আর এই গুলা আমার স্ট্রেস অনেক বাড়ায়া দিতাসে। এই টা দূর করতে দরকার, ফোকাস।
ঘর আউলা ঝাউলা থাকলে মন এর উপর চাপ পরে। এইটা আমার জন্য অনেক সত্য । যদিও আমাদের সবার লাইফ স্টাইল এখন এমন পর্যায়ে গেসে যে আমাদের এত জিনিষ হইসে লাইফ এ যেগুলা প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা কইরা আমাদের মনোযোগ টা ভাগ কইরা নিতে চায়। আমি আসলে হয়তো একটা কাজ করার কথা চিন্তা করতাসি, কোন একটা আইডিয়া মাত্র আসি আসি করতাসে হঠাত চোখ গেল টেবিল এর দিকে আর মনে হইল টেবিল টা গুছানই দরকার, ও আচ্ছা ওই জিনিষটা তো এই জন্য টেবিল এ ঐ জন্য রাখসিলাম, অমুক টা তো করার কথা ছিল। ব্যাস গেলো মনোযোগ ভাগ হয়া। আমি একটা নিউরোলজিকাল আর্টিকেল এ পড়লাম যে শুধু আউলা ঝাউলা রুম না, ফেসবুক এর নোটিফিকেশন এর আওয়াজ, হোয়াটস এপ এর মেসেজ এর আওয়াজ এগুলা আমাদের ব্রেন কেন সব সময় ই স্টিমুলেট করে। ফলে আস্তে আস্তে আমাগো মাথা মুথা ওভার স্টীমুলেটেড হয়া যায়।
যে সব জায়গা মনোযোগ স্থির করতে ব্যবহার হয় সেসব জায়গার কথা একটু চিন্তা করি। ইয়গা ক্লাস, স্পা, মেডিটেশন রুম, পরীক্ষার হল ইত্যাদি জায়গা এমন ভাবেই রাখা হয় যাতে আমাদের এটেনশন গুলা চারপাশে দৌড়াদৌড়ি না করে। নিজের ঘর এর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। আমি কইতাসি না নিজের রুম রে ইয়গো আশ্রম বানায়া রাখতে হইব। আমি কইতাসি যখন মন স্থির করার দরকার হয় তখন রুম গুছাইলে এই সব এটেনশন ডিভাইড হওয়া বন্ধ হয় আর শান্তি শান্তি লাগে।
আমরা ভারচুয়ালই আর ফিজিক্যাল লাইফ এ এত বেশি জাঙ্ক জমাই যে পরে আমরা নিজেরাই থই পাই না , কি রাখুম আর কি ফালামু। এই ক্ষেত্রে আমি যেই জিনিইষ টা ফলো করি, তা হইল , এইটা কি গত এক বছরে আমার লাগসে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাইলে এইটা থাকবে, আর নাইলে এইটারে বিদায় জানানোর টাইম হইসে। অনেক ক্লাটার দূর কইরা ফালানো যায় এমনে।
বাকি তরিকা গুলা আস্তে আস্তে আগামী লেখায়।