লেখার তারিখঃ জুলাই ১২, ২০১৫ । ৯.৫৯ পি.এম
আমি ছোট বেলায় স্টেডিয়াম যাইতাম বাবার সাথে। ফুটবল খেলা দেখতে। বাবা চিনাইত এইটা মুন্না, এইটা কায়সার হামিদ, এইটা গোলকিপার কাঞ্চন। কিছু তো চিনতাম না, বাবাকে জিজ্ঞেশ করতাম, বাবা আম্রা কুন দল? বাবা বলতো মোহামাডান, অবশ্যই মোহামাডান।
ক্লাস সিক্স এ পড়ার সময় ভরতি করায় দিল বি সি সিবির ক্রিকেট কোচিং এ। ভোর ছয়টায় ঢাকা স্টেডিয়াম এ গিয়া পাচটা চক্কর খায়া জিব্লা বাইর কইরা শুইয়া পরতাম মাঠেই। তারপর উইঠা কাঠের বল এ ক্যাচ প্রেক্টিস। হাতে পড়ত কম। আংগুলে লাগতো বেশি। আন্ডার সিক্সটিন টিম এ খেলা যাইতো যদি লাইগা থাকতাম। লাইগা থাকি নাই।
এশিয়া কাপের খেলা হইতাসিল ঢাকায়। পাকিস্তান বনাম ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া ফিল্ডিং করতাসে। গ্যালারি তে যেখানে বসছি সেইখানে কাটাতারের ওই পাশে দাড়াইসিল টেন্ডুল্কার। এক্টু পর আইসা অটোগ্রাফ দিয়া যাইতাসিল দর্শক দের। বাবা আমারে কলা কিন্না দিসিল খাইতে। আমি তো অটোগ্রাফ এর খাতা আনি নাই। আমি কলা ডাই বারায় দিলাম উনার দিকে। উনি এক্টা হাসি দয়া কলা টা নিল। নিয়া সাইড লাইন এ রাইখা মাঠে নাইমা গেল আবার। পরে খাইসিল কিনা জানি না।
ওই খেলারি সেকেন্ড ইনিংস এ যেখানে বসছি তার ডান পাশের লুকজন হঠাত চিল্লানি শুরু করল, ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া। এক্টু পর বাম পাশের লুকজন চিল্লানি শুরু করল, পাকিস্তান পাকিস্তান। আম্রা মাঝখানের লুকেরা এক্টু বিপদে পরলাম। এক্টা পোলা হঠাৎ দারায়া স্লোগান দেওয়া শুরু করল, ব্রাজিল ব্রাজিল। আর আমরাও তখন বাম পাশ, ডাইন পাশ মাঝখানের পাশের সবাই দাড়ায়া ইন্ডিয়া-পাকিস্তান এর ম্যাচ এ গলা ফাটায়া চিক্কুর শুরু করলাম,
ব্রাজিল! ব্রাজিল!! ব্রাজিল!!!