লেখার তারিখঃ জুলাই ১১, ২০১৫ । ১১.২৬ পি.এম
তামিম ভাই এর বাসায় বয়া বয়া নোট লিখতাসি। আমরা এক্টু পড়ে খাইতে যাব। কাইন্ড অফ প্রি সেহ্রি খাওয়া দাওয়া। গুলশান এর নান্দোজ এ জামু। আরো বন্ধু রা আইব। আহনের সময় সুভাস্তু নাইম্মা যাবো। তারপর কাল্কে সকালে অফিস। ঢাকা শহর এ ঘুরাঘুরির জন্য এইটাই আমার সব চেয়ে ভালা টাইম মনে হয়। জ্যাম জুম নাই। বিশ মিনিট লাগে রাম্পুরা থিকা গুলশান জাইতে।
ইফতারির পর থিকা অনেক দৌড়ের উপর আসি। ফেরদুস ফুন্দিয়া কইল, ইথার বাই আন্নে কনে। নর্থ এন্ড আহেন, আপ্নেরে কত দিন দেহি না। আমি বাসা থিকা গাট্টি বোচকা নিয়া বাইরইতে যামু, আম্মা দেখি ভাত বারে। বেচারি আমার জন্য কলিজা রান্না করসে। না খায়া কেম্নে আসি। তাই ফেরদুস রে কইলাম এই যে আমি বাইর হইসি, এই যে প্রায় আইসা পরসি। বইলা টইলা খাইতে বস্লাম। আর দুই গাম্লা ভাত খায়া লাইলাম কলিজা দিয়া। মমমম কলিজা।
খায়া দায়া ভুরিটা এক হাতে আল্গায়া সি এন জি তে বইসা দৌড়াইতে দৌড়াইতে আইসা পরসি নর্থ এন্ড। আহা। এই জায়গাটার স্মেল টা এত ভাল্লাগে। আইসা দেখি ওরা অল্রেডি আইসা বইসা আসে। ফেরদুস, লরা আর মুগ্ধ। আম্রা বইসা আড্ডা উড্ডা দিলাম। দুইজন ই খুশি তে ঝল ঝল করতাসিল। কয়দিন পর ইনাদের বিয়া। এইটাইম টা কেমন খুশি, ভয়, টেনশন, দুখখ মিশাইন্যা এক্টা টাইম। দেখতে ভাল্লাগতাসিল। বেস্ট ফ্রেন্ড গুলার যখন বিয়া হয়, গ্রুপ এর সিংগেল মেম্বার টার মনে আসবই, হয়াট আই এম ডুইং উইথ মাই লাইফ? আমারো মনে হইতাসে। চিন্তা টা ঠিক ডিপ্রেসিং কিছু না। কেমন যানি এক্টা অনুভুতি। নিজেরে খুবি “টেড মোসবি” আর “বারনি স্টিনসন” এর মিক্স মনে হইতাসে।
নোট লেখা শেষ করা উচিত। এখন আমি আর তামিম ভাই উকুলেলে বাজামু। আমাদের মাঝখানে আইসা টিয়ারাও বসছে। ওকে তামিম ভাই উকুলেলে তে সি কর্ড ধরা শিখাইসে। হাউ কুল ইজ দ্যাট। এট্টুক এক্টা পিচ্চি লজ্জা লজ্জা মুখ কইরা উকুলেলে বাজাইতাসে। ভাল্লাগতাসে দেখতে অনেক।