১২৭/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুলাই ৪, ২০১৫ । ১১.৫৫ পি.এম

 

আমার একটা বড় নোট লেখার কথা ছিল। কিন্তু গত দুই ঘন্টা ধইরা আমাদের কারেন্ট নাই আর কখন আসবে তাও জানিনা। তাই মোবাইলেই নোট লেখা শুরু করসি।

আজকে আমরা একটা কাজ করসি। আজকে আমরা ভইন দা পেইন কেংগারু খামারি মইম্যা রে ঈদ পাঠাইসি পেকেট কইরা। আম্মা কয়দিন ধইরা ভাগ্নি গুলার জন্য মেচিং মেচিং জামা কিন্সে, দুলাভাই এর জন্য পাঞ্জাবি কিন্সে, মইম্যার জন্য পাপুশ, প্লাস্টিকের বাটিবুটি, টেবিল ক্লথ, পরদার কাপর কিন্সে। এইসব হাবি জাবি নিয়া আমরা গুলশান গেসিলাম ডি এইচ এল এর অফিসে। আমার কাসে ডি এইচ এল এর অপিশ ভাল্লাগসে। ইয়াব্বড় একটা ছবি আসে, পেলেন অলা। কত গুলা বোয়িং সেভেন ফাইভ সেভেন দাড়ায়া আসে।

মজা হইসে আম্রা ডি এইচ এল অফিসে গেসি সপরিবারে। আমি, বাবা,আম্মা আর বড়মামা। দুই সি এন জি ভরতি কইরা গেসি। বাড়ির মেয়ের দেশের বাইরে প্রথম ঈদ। আর তার জন্য পাঠানো হইতাসে ঈদ এর জামা। এইটা তো এক্টা উৎসব এর ব্যাপার। ডি এইচ এল এর লোক্টা হেভি মজা পাইসে এরম দলবল নিয়া গেসি দেইখা। আর যেখানে আমার আম্মা আছে সেইখানে ফ্রেন্ডশীপ আছে।

আমার আম্মা যেইখানেই যায় ফ্রেন্ড বানায় ফালায়। এই যে বাসাবো থেইকা সি এন জি দিয়া গুলশান ১ অফিস গেলাম, ওই অফিস টা বন্ধ থাকায় আবার গুলশান ২ অফিস গেলাম, তারপর টেক্সি দিয়া বাসাবো আইসা পড়লাম, এইটুক এর মধ্যে উনি সি এন জি অলা, ডি এইচ এল এর দুই অফিসের সিকিউরিটি গার্ড, মেনেজার এবং টেক্সি ক্যাব অলার সাথে বিশাল খাতির কইরা ফালাইসেন। সবাইকে বাবা কি নাম তোমার, বাসা কই, দেশের বাড়ি কই, কয় ভাই বোন, ঈদ কই করবা জিজ্ঞেস করা শেষ। আর উনি ডি এইচ এল এর ম্যানেজার রে জিজ্ঞেস করসে ডি এইচ এল এর পুরা ফরম কি? ম্যানেজার বলাতে আমি জীবনে প্রথম বার এর মত জানতে পারসি, DHL are the initials of the company’s founders Adrian Dalsey, Larry Hillblom and Robert Lynn.

এই মহিলা আনবিলিভেবল। আমি চাই উনার উপর রাগ করতে অনেক। কিন্তু দিন শেষে সারাজীবন মনে হয় আমিই ভুল, উনি ঠিক। আমার এই রকম দুর্বল মন এর অধিকারি হউনের পিছনে উনার বিশাল অবদান আছে। বেরাইতে আসা শয়তান পুলাপান যখন আমার কমিক্স ছিরত আর খেলনা দুই টুক্রা করতো তখন আমি আম্মার দিকে তাকাইতাম। এক্টা ইশারা পাইলেই অগোরে পারামু ফ্লোর এ ফালায়া। কিন্তু আম্মা বলত, থাক ওরা বেরাইতে আসছে। গজ গজ করতে মনে মনে ভাবতাম, খারা, তগো বাসায় যামু না? তখন সব কিছুর পরতিশোধ লমু।

অবশেষে আসতো সেই প্রতিক্ষিত মুহুরত। অদের বাসায় যাইতাম বেরাইতে। যখন টারগেট সেট কইরা ঝাপায় পরতে যামু অদের খেলনার উপর, ঠিক তখনি আমার ইন্টেনশন বুঝতে পাইরা দৈববাণী এর মত আম্মাবানী হইত, ” না ইথার, আমরা বেড়াইতে আসছি”.

এ কেমুন ইনঝাস্টিস 🙁

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *