১০৯/৩৬৫

লেখার তারিখঃ জুন ১৬, ২০১৫ । ১১.২৩ পি.এম

প্যারিস এর Le Bouret এ গতকাল থিকা শুরু হইসে International Paris Air Show 2015 এই শো চলব এই মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত। মজার জিনিষ হইল এই প্যারিস এয়ার শো এর সাথে Airbus কোম্পানি ফর্ম হওয়ার একটা বড় সম্পর্ক আসে। আগের লেখা গুলায় আমি বোয়িং এর ইতিহাস এর গল্প বলসি। বোয়িং এর একটা প্লেন, বোয়িং ট্রিপল সেভেন নিয়াও বলসি। মার্কেটের ২য় প্লেয়ার এয়ারবাস নিয়াও বলা দরকার মনে করতাসি। তাইলে তারপর এয়ারবাস এর প্লেন গুলা নিয়া নিয়াও একে একে লেখা যাবে।

এয়ারবাস এর ইতিহাস বলা শুরু করার আগে একটা সাধারণ কনফিউশন দূর করা ভাল। অনেকে মনে করেন এয়ারবাস একটা এয়াক্রাফট এর টাইপ। বিদেশ ফেরত একজন কে জিজ্ঞেস করসিলাম, সে কোন এয়ারক্র্যাফট এ দেশে আসছে? উনি বলসিলেন, কি জানি, বাস এর মত সিট, এয়ারবাস? আমি তারপর আরো কিছু টুক টাক প্রশ্ন কইরা বাইর করসি যদিও কোন এয়ারক্র্যাফট কিন্তু ঘটনা টা মনে রাখসি। উনি পারে নাই দেইখা আমার বিন্দুমাত্র উপহাস আসে নাই উনার প্রতি। এইটা খুবি স্বাভাবিক। নীলক্ষেত এ ফিসিক্স এর বই বেঁচে এরম কাউরে যদি আমি জিগাই, আচ্ছা বলেন তো CERN এর Large Hadron Collider এর কাজ কি? আর উনি যদি না পারে তাইলে বেকুব কে? উনি না আমি? তাই এয়ারবাস বিষয়ক কনফিউশন দূর করা আমার পবিত্র দায়িত্ব। এইটা পইড়া কারো কনফিউশন দূর না হইলে সেই দোষ পুরাপুরি আমার লেখার।

যাই হোক, এয়ার বাস হইল ইউরোপের কয়েকটা বড় বড় প্লেন বানানোর কোম্পানির একটা কনসরটিয়াম। মানে হইল গিয়া ইউরোপ এর কিছু কোম্পানি এক সাথে হয়া টেকা টুকা ইনভেস্ট কইরা একটা সমিতি মত কইরা বিরাট বিরাট কিছু প্রজেক্ট রান করায়া বিরাট কিছু প্লেন তৈরি করসে, যা কিনা একা তৈরি করার মত সামরথ ছিল না কারো। এই সমিতি বা ভদ্র ভাষায় কনসরটিয়াম এর নাম ই “Airbus Company”

১৯৫৯ সালের দিকে Hawker Siddeley নামের একটা কোম্পানি একটা যাত্রীবাহী বিমান এর ডিজাইন প্রস্তাব করে। বিমান এর নাম মাশাল্লাহ বিশাল। Armstrong Whitworth AW.660 Argosy। বোয়িং ৭৪৭ এর সাথে ককপিট টার মিল আসে কিন্তু। এইডা মূলত মিলিটারির অনুরধে ট্রান্সপোর্ট প্লেন হিসাবে ডিজাইন করা হইলেও Hawker Siddeley একটা ডিজাইন প্রেসেন্টেশন কইরা দেখান যে যদি কয়েকটা কোম্পানি এক হয়া এইটারে একতা যাত্রীবাহী বিমান হিসাবে বানায় তাইল এইখানে ব্যাবসা আসে।

১৯৬৫ সালে প্যারিস এয়ার শো চলাকালীন সময়ে বিমান প্রস্তুতকারক কোম্পানি গুলা ইনফরমালি আলোচনা শুরু করে কিভাবে প্রায় ১০০ যাত্রী বহন করতে পারে এমন বিমান লো কষ্ট এ বানানো যায়।

১৯৬৬ সালে কয়েকটা কোম্পানি এই লক্ষ্যে এক সাথে কাজ শুরু করে। কোম্পানি গুলা হইল, Sud Aviation, later Aérospatiale (France), Arbeitsgemeinschaft Airbus, later Deutsche Airbus (Germany) আর Hawker Siddeley (UK) । তিনটা দেশ এর ফান্ডিং পাওয়ার পর শুরু হয় গবেষণা।

১৯৬৯ সালে ব্রিটিশ রা মনে করে এই প্রজেক্ট এ থাইকা আমাগো ফায়দা নাই। তাই তারা এই বছর ই বাইর হয়া যায়। তাদের শেয়ার গুলা সব কিনা ন্যায় জার্মানি।

১৮ই ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে এয়ারবাস কোম্পানি অফিসিয়ালি তার যাত্রা শুরু করে।এর পিছনে চালিকা শক্তি হিসাবে ছিল তিন টা দেশের সরকার। ফ্রান্স, জার্মানি আর ইউ কে। এয়ারবাস তখন একটা নন অফিশিয়াল টার্ম ছিল, যা কিনা তখন কার লোকেরা ছোট ছোট প্লেন বুঝাইতে হেল্প করত।

এয়ারবাস এর প্লেনগুলার মডেল গুলা সব শুরু হয়া 3 দিয়া। A300. A310, A319, A320, A321, A330, A340, A380. এর মধ্যে এয়ারবাস কোম্পানির সব চেয়ে প্রথম প্রজেক্ট ছিল Airbus A300. সেই গল্প আরেকদিন বলব নে।

নেক্সট যেদিন পেলেন নিয়া লিখব সেদিন Airbus er কোন এর প্লেন নিয়া লিখব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *