লেখার তারিখঃ জুন ১৫, ২০১৫ । ৯.৪৮ পি.এম
আমার শীত কাল পছন্দ না। কন কনে ঠাণ্ডা আমি সহ্য করতে পারি না। শীতকাল শুরুর আগে সন্ধ্যা বেলা যেই ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বাতাস টা শুরু হয় ওইটার গন্ধ আমার ভিতরে কেমন খালি খালি কইরা দিয়া যায়। মনে হয় এখনি বাসায় যাইতে হবে এখনি। শীতকালের শীত বাদে বাকি এলিমেন্ট আবার আমার ব্যাপক পছন্দ। মুখ দিয়া ধুয়া বাইর হওয়া। সিগারেট খাইতাছি ভাব নিলেও কেউ পাত্তা পুত্তা দ্যায় না যদিও। জানে যে আমি খাই না। তারপর কম্বল। আহা কম্বল। শীতকাল গেলেগাও কম্বল এর প্রতি ভালবাসা শেষ হয় না।
আমার পছন্দ বর্ষা। সবচেয়ে পছন্দ বর্ষা। আমার জন্ম হইসে বর্ষা কালে। তখন আষাঢ় মাস ছিল। আমি যেই রাশি (কর্কট) সেইটা একটা ওয়াটার সাইন। তাই বর্ষা ঋতুর সাথে আমার হাত ধরা ধরি ছোট বেলা থেইকাই। বৃষ্টি নামলে আমার কেমন পাগল পাগল লাগে। আমি আকাশের দিকে হাত বাড়াই, আর আকাশ আমার দিকে মেঘ বাড়ায়।
আজকে পহেলা আষাঢ়। আষাঢ় কে স্বাগত জানানোর মত কিছু করতে পারি নাই। ভাবসিলাম কবি গুরু যেহেতু বলসেন মেঘ নীল বেশ পরা যাক। আলমারি ঘাইটা দেখি সব হয় কালা গেঞ্জি নাইলে লাল গেঞ্জি। আর কুনু কালার এর গেঞ্জি নাই। ডুবুরির মত মাথা ডা চুবাইয়া দিয়া হাত দিয়া সরায় সরায় তলা থিকা একটা নীল মত গেঞ্জি বাইর করলাম। ওইটা পরার পর দেখি উপরে দিয়া সুন্দর ফিট হইলেও মহান গেঞ্জি বুকের নিচে নাইমা শেষ হয়া গেসে। আর আমার সুগোল ভুড়িডা ভারটিকাল গম্বুজ এর অনবদ্য নিদ্রশন সরূপ সামনের দিকে সগর্বে বাইর হয়া রইসে। এই সুডু বেলার গেঞ্জি এই খানে কেমনে আসলো সে এক বিরাট রহস্য। এই ভাবে ত আর অফিস যাওন যায় না। আজকে তাই অফিস যাই নাই। বেক পেইন ছিল। সুজা হয়া বয়া থাকতে পারতামও না অফিস গেলে। তাই ছুটি নিসি।
আষাঢ় মাসের প্রথম দিন ভাল গেসে। হঠাত আষাঢ় মাসটাকে বেশ আশার মাস মনে হইতাসে। যিনি দুয়া করসিলেন, “ভালবাসা তোমার ঘরে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসুক” তার দুয়া কবুল হইসে। আমি নামাজ পরা শুরু করসি। উনি তো আমার উপর রহমত কম করেন নাই। উনার কাছে এইবার ফেরত যাই একটু।
পারে লয়ে যাও আমায়…