লেখার তারিখঃ জুন ১০, ২০১৫ । ১০.৪১ পি.এম
বিমান বন্দর আমার খুব প্রিয় জায়গা। কারন প্লেন দেখা যায়। আমার ছোট বড় মাঝারি সব বিমান বন্দর ভাল্লাগে। এমন কি খালি বিমান বন্দর ও একটা খুবি এক্সাইটিং প্লেস কারন কখন কি সারপ্রাইজ আসে বলা যায় না। আর আপনি যখন একজন প্লেন স্পটার, তখন সারপ্রাইজ আপনার কাছে একটা রেগুলার ব্যাপার। এই সারপ্রাইজড হওয়াটা তখন নেশার মত হয়া যায়। সব দিন সারপ্রাইজ আসে না। কিন্তু যখন আসে, তার রেশ টা সাইস্টেইন করে পরের বার সারপ্রাইজড হওয়ার আগ পর্যন্ত।
ঢাকায় বিমানবন্দর আছে দুই টা। তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দর যার ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন কোড (ICAO Code) VGTJ আর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যার ICAO Code হইল VGHS । আমি ইচ্ছা কইরা এই আইকাও কোড এর কথাডা ফার্স্ট এ কইসি, যাতে পরে দিয়া খালি VGTJ বা VGHS কয়া চালাইয়া দিতে পারি। কোন এয়ারপোর্ট যদি ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অরগানাইজেশন দিয়া স্বীকৃত হয় তইলে তার একটা ICAO কোড থাকে।
২০১২ এর প্লেন এর ছবি তুলা শুরু করার পর আমি একটা বিরাট এমাউন্ট অফ সময় এই VGHS এর আশে পাশে দিয়া কাটাইসি। তাই এখন আমার কাশে জায়গাটা অনেক বাসা বাসা লাগে। কুরিল ফ্লাই ওভার এ উঠলে আমি সারাক্ষণ এয়ার পোর্ট এর দিকের আকাশেই তাকায় থাকি। আজ পর্যন্ত জানিনা উলটা পাশটায় কি আসে। কারন জীবনে ওইদিকে তাকাই ও নাই।
VGHS ছাড়া আমি বাংলাদেশের আর তিনটা এয়ারপোর্ট এ গেসি। যশোর বিমান বন্দর (VGJR ), চিটাগাং এয়ার পোর্ট (VGEG) আর কক্সবাজার এয়ারপোর্ট (VGCB). বাকি এয়ারপোর্ট গুলাতেও যাওনের ইচ্ছা আসে। দেখা যাউক যাইতে পারি কিনা।
VGHS নিয়া ভালবাসার কারণে মনে হইল এইটার ইতিহাস টা জানা দরকার। ইন্টারনেট এ এত ইনফরমেশন কিন্তু কোনটা ঠিক কমপ্লিট না। সুজা কইরা লেখাও না। পড়তে গিয়া মনে হইসে এই বিমানবন্দর এর ইতিহাস বাংলায় লিখা রাইখা যাওয়া খুবি দরকার।
তাই আমি VGHS এর ইতিহাস নিয়া পড়ালেখা আরম্ভ করসি আজকে থেইকা। কেমনে কি হইল, কেমনে শুরু হইল, এই সব। এই রিসার্চ এ আমার ৯০ ভাগ কাজ কইরা দিতাসেন মহান কারিব ভাই। উনি না থাকলে আমি “এ এ এয়ারপোর্ট মানে বিমান বন্দর। উউউ বিমাআআন” এই টুকু তেই শেষ হয়া যাইত । সব তথ্য আর গবেষণা উনারই করা। আমি শুদু কেমনে সুজা কইরা লেখন যায় এবং বাংলায় সেই কাজ করতাসি।
ইনশাল্লাহ আগামী কোন লেখায় VGHS এর ইতিহাস নিয়া লেখা শুরু করতে পারব। চরম মজা পাইতাসি এই ইতিহাস পইড়া।