৬৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মে ১, ২০১৫ । ১১.২৫ পি.এম

বাসায় বইসা বোরড হইতে হইতে তক্তা হয়া যাইতাসিলাম, তাই রাইত ৮ টার দিকে বাইর হইলাম খাইতে। হুটেলে খাইয়া দায়া ফিরতাসি, হঠাত পাশে পড়লো একটা চুলার দুকান। বাইরে বিভিন্ন সাইজ এর চুলা সাজানি। এক বুইরা ব্যাটা বইসা খুবি উদাস মুখে কান চুল্কাইতাসিল। আমি জিগাইলাম আঙ্কেল চুলা কত? উনি ততধিক উদাস গলায় বললেন, কুনটা? ধরেন। আমি কইতাসি। আমি হালিম এর বাটি এর মত একটা একটা কইরা চুলা ধইরা এইডা কত এইডা কত কইলাম আর উনি দাম মনে করার ট্রাই করতে থাকলেন। একটারও কইতে পারলেন না। বুইরা পুরা হুদাই।

পরে উনার ছেলে আইসা উদ্ধার করল। আমারে একটা ক্যাটালগ ধরায়া দিয়া কইল “সবি দেইকা মডেল চয়েস করেন”। আমি তো মডেল এর ক্যাটালগ শুইনা খুশি হয়া গেসিলাম। আমি ভাবসি না জানি কত সেক্সি মঠেল বিতরে পোজ দিয়া ছবি তুলসে। কিয়ের কি। খালি আখাস্তা চুলার ছবি আর মডেল নাম্বার।

বিমর্শ মনে একটা মুটামুটি দেখতে চুলা চয়েস করলাম। জিগাইলাম, এইডা লাগাইতে কি মেস্তুরি লাগবো? ব্যাডা আমারে কইল, “আপনি কি বাইরে থাকতেন আগে?” আমি তো থতমত। জি না। বাইরে তো থাকতাম না। ভিত্রেই থাকতাম। ব্যাডা কইল, না বাইরে মানে বিদেশে থাকতেন? আমি কইলাম, নাহ দেশেই। উনি কইল, তাইলে একাই পারবেন। আর কুনু অসুবিধা হইলে, এই যে ইঞ্জিনিয়ার এর নাম্বার, এরে ফুন্দিবেন।

চুলার মেস্তুরিও ইঞ্জিনিয়ার, আমিও ইঞ্জিনিয়ার। খুবি মে দিবস পালন করা হইসে। এখন নিজের চুলা নিজেই লাগাইতাসি। বেশ পরিশ্রম হইতাসে। চুলার লগে সেলফি ও তুলসি। দুজনেই ঘেমে অস্থির স্টাইল এর সেলফি। লাগানি শেষ হইলে “ছোটদের চুলা লাগানি শিক্ষা” এল্বাম আপলোড করা হবে (ছবি সহ)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *