লেখার তারিখঃ এপ্রিল ২৩, ২০১৫ । ১১.৩৭ পি.এম
আমি ভাবসিলাম আজকে লিখুম ইম্প্রেশনিজম নিয়া। কিন্তু এই বিষয়ে আমার পড়া লেখা ডা ঠিক যুইতের লাগতাসে না। আরো পড়তে হইব, ভীডু দেখতে হইব, পেইন্টিং এর দিকে হা কইরা তাকায় থাইকা লুল ফালায় ল্যাপটপ এর কি বোর্ড ভাসায়া লাইতে হইব। খালি দিন এর কোটা পুরণের জন্য লিখলে এইডা একটা চানাচুর মার্কা লেখা হইব। এর চেয়ে আরেকটু ঘাটাঘাটনি (খাটা খাটনি + ঘাটা ঘাটি) করি। নাইলে শান্তি পামু না লিখখা।
আমার একটা জিনিষ মনে হয়। যদিও শিক্ষক সম্প্রদায় এই ধারনার বিরুদ্ধে এক যোগে প্রতিবাদ করতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় আমরা আমাদের স্কুলিং এ যেভাবে শিখি তার মধ্যে বিশাল একটা ঘাপলা আসে। আমাদের একটা কিছু শিখানোর সময় জিনিষটার ডিটেইল এত কিছু বলা হয় যে এই সব ডিটেইল শিখতে শিখতে আমরা যখন মুল বিষয় টা শিখতে পারি ততক্ষণে আমাদের মুল বিষয়টার প্রতি ইন্টারেস্ট গেসে গা। এক্টু খুইলা কই ( উইথ ক্লোদস অন 😛 )
জিনিষটা এমন যে আমাদের বলা হইল তোমাকে A থেইকা B তে যাওয়া শিখতে হইব। এ থিকা বি পর্যন্ত একটা হাই ওয়ে আসে ডাইরেক্ট। আর প্রতি ২ কিলো পর পর একটা সাইড গলি আসে। ওই গলির আরো শাখা প্রশাখা আসে। আমরা যেভাবে শিখি তা হইতাসে এ থিকা বিশাল এন্থুজিয়াজম নিয়া হাটা শুরু করি। মনে খুব আনন্দ বি তে যামু। দুই কিলো যাওয়ার পর আমাগো সিস্টেম আমাদের ঘার ধইরা গলি তে ঢুকায়া দ্যায়। আরে এই গলি না চিনলে তো কিছুই চিনলা না মিয়া । আমরা গলি, পাতি গলি, উপ গলি ঘুইরা ঘুইরা আবার হাইওয়ে তে ফিরা আসি। আবার মনে আনন্দ, আহা বি তে যামু। ২ কিলো পর আবার গলি, আবার ঢুকো, আবার কাহিল হউ। এই ভাবে গলিতে গলিতে গলিত হয়া আমরা যখন বি তে পৌছাই তখন আর আমাগো এ থিকা বি তে আসার রাস্তা শিখার কোন আগ্রহ থাকে না। বি তে পৌছাইসি এই বেশি। ফলাফল চাকরি তে ঢুকতে ঢুকতে বা ভার্সিটি পাস দিতে দিতে আমাদের পড়ালেখার ছোট খাট গলি যেমন কিছু কিছু সূত্র যা মুখস্ত করসিলাম, অমুক টার্ম টা , অমুক বই এ এইটা লেখা ছিল এই টাইপ এর জিনিষ মনে থাকে কিন্তু আসল জিনিষের খবর ই নাই।
কিন্তু এমনটা হওয়ার উচিত ছিল না। আমার মনে হয় উচিত ছিল প্রথমেই হাইওয়ে ধইরা এ থিকা বি তে পৌঁছানো। অনেক কিছু হয়ত ক্লিয়ার হবে না, অনেক গলি তে ক্যান ঢুকলাম না আফসোস থাইকা যাবে। তাদের কে মধুসদন দত্তের মত বলতে হবে, “তিষ্ট ক্ষণকাল”। এইভাবে একটা ক্লাস এর সবাই এট লিস্ট মুল ব্যাপার টা জানবে । তারপর সবাইকে বলা হবে এই বার আমরা আবার এ তে যাবো এবং প্রথম গলিতে ঢুকবো, তারপর আবার বি তে চইলা আসবো। কিছু স্টুডেন্টের কাছে এই গলিটাও অনেক কঠিন লাগবে। তারা বি তেই থাকলো। যারা দেখতে চায় প্রথম গলি তে কি আছে তারা গেলো। ২য় গলির ক্ষেত্রেও সেম। দেখা যাবে ১ম গলির মুখে কিছু পোলাপান দাড়ায় আসে। এরা অদ্দুরি জানতে চায়। এরা ওই খানে থাকুক। আমরা বাকি দের নিয়া বাকি গলি তে ঢুকি।
এই ভাবে শেষ গলি থেইকা হাসি মুখ নিয়া বাইর হবে তারাই যারা আসলেই জানতে চাইসে কি আসে ভিতরে। কিন্তু না। আমরা সবাইকে সব গলি শিখাইতে চাই। যারা সব গলি ঘুইরা বি তে আইসা পুরা রাস্তার ধুলা বমি করতে পারে তারা ফার্স্ট। আর বাকিরা, মেএহ, চলে আরকি। এই ধারনার পরিবর্তন করতে হবে আমাদের কেই। আমাদের শিক্ষক দের কে বলতে হবে, স্যার, চিনির অণু বিশ্লেষণ এ পরে ঢুইকেন, আগে চা বানানো শেখানো শেষ কইরা লন।
আর্ট এর হিস্টোরি, ইজম, মুভমেন্ট ইত্যাদি নিয়া পড়তে গিয়া আমার মনে হইসে অনেক অনেক গলি আস্তাসে। আর খুবি আকর্ষণীয় সব গলি। ঢুকলে অনেক গভীর পর্যন্ত ঢুকা যায়। কিন্তু আমি চাইতাসি আগে রাজপথে হাইটা গলি গুলার প্রবেশ পথ গুলা চিন্না রাখি। পরের বার আইসা একটা একটা কইরা ভিতরে ঢুকবো নে।