লেখার তারিখঃ এপ্রিল ২১, ২০১৫ । ১০.০৭ পি.এম
আবারো বিয়া বাড়ি নোট। অল মোস্ট সিমিলার অবস্থা। অইদিন বিয়া ছিল। আজকে বৌভাত। অফিস থিকা আসছি। আম্মা আমার জন্য পাঞ্জাবি নিয়া আসছিল। অনেক কষ্টে ওই টা পরা ঠেকানো গেসে। যেই কাজিন এর বিয়া উনি তাব্লিগ করেন। উনার সাথি ভাই দিয়া ভরপুর সেন্টার। আমাদের কিছু করা লাগতাসে না। ইনারাই সব দায়িত্ব নিয়া করতাসেন।
এই কাজিন পাঞ্জাবি পায়জামা পরসেন। আর গেস্ট দের মধ্যে এক বেকুব এই গরমের মধ্যে থ্রি পিস স্যুট পিন্দা আসছে। হেরে দেইখা আমারি গরম লাগতাছে। লুকজন ঢুইক্কা কনফিউজ হয়া যাইতাসে কুন্টা আসলে জামাই। কিছু লোকজন হে হে করতে করতে গিয়া অই স্যুট আলার লগে হেন্ডশেক কইরা ডজ খাইতাসে।
স্পিকিং অফ দা ডেভিল, স্যুট অলা আইসিল এক্টু আগে আমার কাছে। আইসা বল্ল ব্রো কি বিয়া তে আসছেন? আমি হাসি হাসি মুখ কইরা বল্লাম জি না। সে আবার জিগাইল আপ্নি কি মেয়ে পক্ষের? আমি আবারো কইলাম জি না। এইবার সে এক্টু ডিফেন্স এ গেল আমি ঝামেলা বাজ কিনা। কইল ব্রো তাইলে আপ্নাকে তো ঠিক চিন্তে পারলাম না। আমি বলসি, আমিও না। স্যুটমারানি ব্রো আর ঝামেলা করে নাই। টাই ঠিক করতে করতে গেসে গা।
আজকে ছেলে পক্ষের অনুষ্ঠান হওয়াতে আমাদের সাইড এর অনেক আত্মিয় সজন আসছে। এদের কয়েকজন আইসা আমারে ইথুউউ কেরম আসো? আমারে চিনসোওওও? ছোটবেলা কত কোলে নিসি তোমারে বইলা গেসেন। আমি কাউরেই হতাশ করি নাই। হ্যা হ্যা চিন্সি তো, আপ্নি আগের মতই আছেন বলসি। ওরা খুশি হয়া গেসে। একবার ইচ্ছা হইসিল বলি, আবার কোলে নিবেন? পরে ভাবলাম। থাক। রাজি হয়া গেলে আবার সমস্যা।
কেরফা লাগাইসে বড় মামা। আমারে এক্লা এক্লা বইসা থাক্তে দেইখা ঝাপ দিয়া পড়ল উনার ব্যারিটোন ভয়েস নিয়া।
“ওই তুই একলা একলা বয়া কি করস!”।
কিছু করি না মামা।
“খালি হারাদিন মুবাইল টিপাটিপি, খাইসস?”
না মামা পড়ে খাব।
“তাইলে এই যে আত্মিয় সজন রা খাইতাসে এগো ছবি তুল”
মামা খাওয়ার ছবি তুলবো?
“আরে এইটাই তো স্মৃতি, তুল তুল”
রান চিবানির স্মৃতি তুলতে ইচ্ছা করতাসে না।