৫১/৩৬৫

লেখার তারিখঃ এপ্রিল ১৯, ২০১৫ । ১০.৫৯ পি.এম

এই নোট লিখতাসি একটা বিয়া বাড়িতে বইসা বইসা। বিয়া বাড়ি একটা অদ্ভুত জায়গা। কত রকম মানুষ, কত রকম অনুভুতি, কত কত গল্প। রাইটার্স ব্লক এর সময় লেখকদের বাইরে কোথাউ ঘুরতে না গিয়া একটা বিয়া বাড়িতে ঢুইকা যাওয়া উচিত।

আমি আসছি একটু আগে। অফিস থিকা আইসা পরসি। খালাত ভাই এর বিয়া। হল ভরতি কোটি কোটি মানুষ। আমি ঢুইকা এক্টু হচকচায়া গেলাম। সব চক চকা জামা পড়া ঝক ঝকা লোকজন। আর আমি জিনিশের পেন্ট আর মেন্দা মারা কালারের হাতার বুতাম লাগানো শার্ট পইড়া আয়া পরসি।

আম্মা আর বাবা আগেই পৌছাইসিল। আমার মনে হইল আমি ভিড়ে হারায়া যাওয়া পিচ্চির মত আম্মা আম্মা বইলা চিক্কুর পারি। কিন্তু সেরম কিসু করি নাই। আস্তে আস্তে মেয়েদের অংশে গিয়া আম্মারে খুইজা বাইর করলাম। আম্মাও এত মানুষের মধ্যে আইসা কেমন জানি থতমত খায়া গেসে। আমারে দেইখা হাসি দিয়া হ্যান্ড শেক করল। তারপর শুরু করল পরিচয় করানি। খুবি বিব্রতকর অবস্থা। ভাবি, এইটা আমার ছেলে। ভাই, এই যে এইটা আমার ছেলে, অফিস থেইকা আসছে। সামনে দিয়া এই বিয়ার ফটোগ্রাফার যাইতাসিল, তারে ডাইকা বল্লো, এই ছেলে এই, এই দেখো এইটা আমার ছেলে। ও ও ফটোগ্রাফার। ছেলে গুলারে চিন্তাম আগে। ওরা তো আরে ইথার ভাইইইইই, এইসব লাগায় দিল। আর আম্মা খুশি তে শেষ।

এদিক সেদিক হুদাই মাইন্সের কনভারসেশন শুনলাম। জীবনেও চিনি না এরম এক আন্টি ডাক দিয়া কইল, আমাদের এক্টা সেল্ফি তুলে দেন তো। সবাই হাসি টাসি দিয়া রেডি। হা কইরা লোডিং…. লোডিং…. লুক দিয়া তাকায় থাকলাম আর আন্টি বিরক্ত হয়া আরেকজন রে বললো সেল্ফি তুইলা দিতে।

একটা সময় ছিল বিয়া তে যাইতে বিরক্ত লাগতো। হাজার দাওয়াত এও জাইতাম না। কি এক্টা বিরক্তিকর জিনিষ। রেডি হউ, যাউ, বোরড হউ। তার পর শুরু করলাম বিয়ার ফটোগ্রাফি। দিন এর পর দিন বিয়া বাড়িতে যাওয়া। তখন কাজ এর মধ্যে থাকতাম তাই কিছু লাগতো না। এখন আবার অই ফেজ টা ফেরত আসছে।

কাজিন রে দেখতে অনেক ভাল্লাগতাসে। বিয়ার খুশি তে ঝলমল করতাসে একদম। ভাবি কে দেখতে উপ্রের তালায় গেলাম। এজ ইউজুয়াল ভজগট লাগাইলাম একটা। কাজিন এর আম্মা পরিচয় করায় দিল, এই যে এইটা ছেলের ভাই। আমি সালাম দিসি আর দেখি উনিও সালাম দিসে। সালামে সালামে সংঘরষ। তারপর আবার দুইজন ই অয়ালাইকুম সালাম ভাব নিয়া মাথা লারাইলাম। আবারো ভঝগট অবস্থা।

হঠাত কইরা মনে হইল টেক্সাস এর এক অজ পাড়া গায়ে দাড়ায়া এক বিয়ার শাড়ি পড়া মহিলার সাথে ডুয়েল লরতাসি। মহিলা স্মার্ট আসে। উনি দ্রুত সাম্লায়া নিলেও আমি গুলি খায়া পালায়া আয়া পরসি।

আমার উপ্রে ভবিষ্যতে “ছোটদের আন সোশালিজম ও সোশাল অকওয়ারডনেস শিক্ষা” টাইপ বই লেখা হবে শিউর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *