লেখার তারিখঃ এপ্রিল ৬, ২০১৫ । ১১.১৪ পি.এম
ঘুম ব্যাপারটা খুবি অদ্ভুত। ছোট বেলায় ঘুমানো ব্যাপারটা অনেক এক্সাইটিং ছিল। ঘুমানোর চেয়ে ঘুমাইতে যাওয়া একটা উৎসব উৎসব ব্যাপার ছিল। ঘুমাইতে যাওয়া মানে পড়ালেখা আজকের মত শেষ। ঘুমাইতে যাওয়া মানে স্বপ্ন দেখা যাবে। কি জানি দেখবো আজকে। একটা সময় একটা নোট খাতায় ঘুম থেইকা উঠার পর স্বপ্ন লেখা শুরু করসিলাম। কয়দিন পর কেডায় যানি মাইরা দিসিল না আম্মা ফালায় দিসিল ওইডা কে জানে।
বয়স বাড়ার পর স্বপ্ন ক্যান জানি আর মনে রাখতে পারি না। সকালে ঘুম থেইকা উঠার পর স্বপ্নের কথা মনেও আসে না একবারো। খালি মনে হয়, আইচ্চা আইজকা অপিশে কি দেরি হইব যাইতে? বেশি ঘুমায়ালাইসি? এডি ভাব্লে আর স্বপ্ন কই থিকা মনে থাকবো।
আমার ক্যান জানি ঘুমের প্রব্লেম জীবনেও হয় নাই। যা ইচ্ছা হোক ঘুম ঠিক ই আইবো। অনেক টা ইচ্ছাঘুম টাইপ এর। ঘুমাইতে শুইলাম আর ঠুস। ঘুমায় গেসি। মানুষ দেহি অনেক ঘুমের অসুধ টষুধ খায় ঘুমের লাইগা। আমার এডি লাগে নাই কখনো। ইচ্ছা হয় নাই তো ভোর ৫ টা পর্যন্ত জাইগা আসি আবার ইচ্ছা হয়সে তাই ৮ টা বাজেই ঘুমায় গেসি। এই যেমন এখন লিখতে লিখতে বিরাট ঢুলু ঢুলু আইতাসে। কি যে লিখতাসি, আল্লায় জানে।
ঘুম, স্বপ্ন এইগুলা আইজকা সন্ধ্যা থিকা মাথায় ঘুর ঘুর করতাসে। এরম হওয়ার কারন হইল আমি আইজকা রবীন্দ্রনাথ এর “হিং টিং ছট” কবিতাডা পড়সি আর অনেক মুভড হইসি। বিশেষ কইরা এই লাইন চাইরটাঃ
এসো ভাই, তোল হাই, শুয়ে পড়ো চিত,
অনিশ্চিত এ সংসারে এ কথা নিশ্চিত—
জগতে সকলেই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়
কবি উস্তাদ কইছে, স্বপ্ন ই হাছা, বাকি সব মিছা কথা। মাগার আমার তো হালার স্বপ্ন মনেই থাকে না। মনে হয় স্বপ্ন ই দেখি না । আল্লাহ ব্ল্যাঙ্ক ডিভিডি চালায় থয়। ঘুম পাইরাই কুল পাই না, মুনে লয় আরেট্টু ঘুমাই, আবার স্বপ্ন। এহ আইসে। আদার ব্যাপারি আবার প্লেন স্পটার। জাহাজ ই দ্যাখে নাই জীবনে, উড়াজাহাজের খবর লয়।