৩৩/৩৬৫

লেখার তারিখঃ এপ্রিল ১, ২০১৫ । ১১.৫৯ পি.এম

একটা ভুল দিন এর জন্য একটা ঠিক ওয়েদার হয়া কি লাব টা হইল। বসুন্ধরার গেট এ নাস্তা উস্তা খায়া অপিশের দিকে হাটা দিসি আর দেখি কি সুন্দর কাল কাল মেঘ। আমি মনে মনে কইলাম হপ ব্যাটা, আইজকা আইসস কিত্তে, আইজকা তো তোগো দেখনের টাইম নাই। আমাদের অফিস থিকা বৃষ্টি দেখন টা মজার। কাচের দেওয়াল তো। বেশ ওয়াইড এঙ্গেল ভিউ পাওন যায়। আমি যখন সকাল বেলার কাজ এ আস্তে আস্তে গলা ডুবাইতাসিলাম তখন দেখলাম চারপাশ অন্ধকার হয়া আসতাসে। বৃষ্টি আসনের এই আগের মুহূর্ত টা বৃষ্টি থেইকা বেশি সুন্দর লাগে। মনে হয় আল্লাহ দিন দেখতে দেখতে বিরক্ত। হঠাত মনে হইল ধুর, সন্ধ্যা কত দেরি, আমার এক্ষন সন্ধ্যা লাগবো। বইলা ফু দিয়া সূর্য টারে এট্টূ ডিম কইরা দিল। আর সকাল ১০ টায় হয়া গেল সন্ধ্যা ৭ টার আলো।

এক দিকে কাজ অন্য দিক এ কাচ। কাচ এর ওইপারে বৃষ্টি। বৃষ্টি খাইতে মজা হইলেও বৃষ্টি খায়া প্যাট ভরবে না তাই কাজ এই ফেরত যাওয়া। মনে মনে বৃষ্টির পানি তে পা নামায়া শব্দ করি আর সাম্নের কলিগ হঠাত লাত্তি খায়া সরি সরি চোখ এ তাকায়। আমি তারে সরি কই। সরি, বাইরে বৃষ্টি আর আমরা অফিস করতাসি। সরি।

সকালের বৃষ্টি টা অভিমানি প্রেমিকার অনুনয় এর মত হইলেও সন্ধ্যা বেলা একদম কোপানি প্রেমিকা হয়া গেসিল। দেখলাম ধুমায়া শিলা বৃষ্টি হইল। মানুষ আর গাড়ী গুড়ির মধ্যে দৌড়া দৌড়ি পইরা গেল। অফিসের লোক জন ও শিলা বৃষ্টি দেখতে আইসা পরসিল কাচের কাছে। একজন বেশ উৎসাহ নিয়া কইল, উয়াউ। শিলা বৃষ্টি হচ্চে ভচ। আমি কইলাম, হ, শিল পরতাছে। তার উৎসাহ তাতেও কমে না। সে জিগাইল, আচ্ছা ভচ, শীলা কখন পরে? আমি কইলাম, পরীক্ষা আসলেই পড়ে। উনি আর কিছু জিগানির সাহস করে নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *