১৪/৩৬৫

লেখার তারিখঃ মার্চ ১৩, ২০১৫

Waking up at 4 am in the morning.and trying to write something meaningful is probably not what humans are designed for. Like now, all I can feel is regret. Regret of falling asleep way early than the usual time. Regret of missing all those whatsapp messages. May be life would be the same without me falling asleep early on a night before weekend, but may be the night wouldn’t be, “If I stay”, If only I would stay awake.

In some previous episodes of this mega serial called life, I’ve seen myself not sleeping at all because tomorrow is Friday. Strangely enough, my mind used to get hyperactive after 3 am. Every status update I see after 3 am on facebook, I feel like I have something to say about it. Be it a relationship issue or a political one, I felt like contributing my pointless wisdom to it.

জীবন দেখতে মজা। একটা পর্যায় গিয়া দুঃখ গুলা এতই অবশ্যি প্রাপ্য মনে হয় যে তখন উল্টা হাসি হাসে। মনে হয়, হালার লাইফ…. আবারো? আমার আর শিক্ষা হইল না, হি হি। এই হি,হি ব্যাপারটা আসা খুব জরুরী। নাইলে তখন মানুষ মনে করে জীবন মনে হয় এইখানেই শেষ, আর কত। কিন্তু জীবন তো এত সহজে শেষ হউনের মত জিনিষ না।

আমি আজকে বাসাবো আসছি। তিন সপ্তাহ পর। আসার পরপরি ভাগ্নিগুলা এটাক করসে। এক্টা পেটের উপর আরেক্টা কোলের উপর উইঠা বসছে। দুইটাই একসাথে সব রিসেন্ট এক্সাইটেড ঘটনার বিস্তারিত বর্ননা দেওয়া শুরু করসে।

: পেক পেক মামা, জানো, আমি মার ভার্সিটি তে গিয়েছিলাম
: তাই? কি শিখেছো ওখানে?
: লাইন কারেন্ট আর ফেজ কারেন্ট
: অরে আল্লাহ.. জোসস

: পেক পেক মামা, দেখো আমি রং করেছি
: খুব সুন্দর হইসে মামা। সবুজ রং এর বাঘটা ত হেব্বি হইসে
: হুউউউ, ও ভেজিটেবল খায় তাই সবুজ।

: পেক পেক মামা, আমি প্রজাপতি দেখেছি। প্রজাপতি মধু খায়। আমি রুটি দিয়ে মধু খাই
: তুমিও তো তাহলে এক্টা প্রজাপতি
: (চোখ বড় বড়) আমি প্রজাপতি? আমার এরকম এরকম পাখা হবে?
: হবে তো মামা। সুন্দর দুইটা কালার পাখা হবে। আসো তোমাকে প্রজাপতি আঁকা শিখায় দেই।
: মা, আমার কি কালার এর পাখা হবে?

আমি অগো লগে কথা কইতে কইতে চিন্তা করতাসিলাম, আমরা এতো আর্টলেস হয়া বড় হইসি যে এখন কেমন খাপছাড়া লাগে নিজেরে। কত কিছু জানিনা, কত গান শুনি নাই, কত বই পড়ি নাই, কত সিনেমা দেখি নাই, কত পেইন্টিং দেইখা হা কইরা তাকায় থাকি নাই। এই সব চিন্তা করতে এক্টা আইডিয়া আসছে মাথায়।

একটা স্টাডি সারকেল করব। বেশি না ৫ জন এর। সারকেল এর একজন সারকেল মডারেটর, ৪ জন সারকেল মেম্বার। মডারেটর এর কাজ হবে ৪ জন এর জন্য ৪ টা স্টাডি এসাইন্মেন্ট দেওয়া আর ফলো আপ করা। তার আর কোন কাজ নাই। এইবার আসি এসাইন্মেন্ট গুলা কেমন হবে।

প্রথমে মডারেটর এই সপ্তাহের জন্য থিম ঠিক করবে। ধরা যাক এই সপ্তাহের থিম ফটোগ্রাফি। মডারেটর ৪ জন কে ৪ টা বিখ্যাত ফটোগ্রাফার এর নাম বইলা বলবে, এদের ব্যাপারে নেক্সট সপ্তাহে ৫ মিনিট এর এক্টা স্পিচ দিতে হবে।

এক সপ্তাহ পর সবাই যখন সবার স্পিচ শেয়ার করবে, তখন বাকিদেরও ওই ফটোগ্রাফার নিয়া আইডিয়া হয়া যাবে। এই প্রত্যেক সপ্তাহে বসার ব্যাপারটা অনলাইনে করা যাবে না। অফলাইন এ মুখোমুখি করতে হবে। তাইলে প্রেজেন্টেশন স্কিল ও বাড়বে সবার।

সাপ্তাহিক থিম গুলা অনেক এক্সাইটিং হবে। বই, সিনেমা, পেইন্টিং, এভিয়েশন, ফ্যাশন, এডুকেশন, পলিটিক্স যা ইচ্ছা তাই হইতে পারে। কিন্তু উদ্দ্যেশ্য একটাই। নিজে এমন ভাবে জানতে হবে যাতে অন্যরে গল্পটা বলতে পারি।

প্রতি তিন মাস পর আমি সারকেল মেম্বার দের অন্য সারকেল এর মডারেটর বানায় দিব। কারন তারা ততদিন এ বুইঝা যাবে কি করতে হবে।

আপ্নি যদি ইন্টারেস্টেড হন তাইলে এই খানে কমেন্ট এ নাম লেখান। আমরা প্রত্যেক শুক্র আর শনিবার বসবো। টাইম ঠিক করা হবে পরে।

চলেন শুরু করি। মজা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *