লেখার তারিখঃ অগাস্ট ২৯, ২০১৬, ১০:৫৩ পি এম
আমি অবাক হয়ে দেখি মেয়েটা কত মিশে গেসে আমাদের বাসার সাথে। কেউ বলতেই পারবে না আমরা একসাথে থাকা শুরু করসি মাত্র ১৭ দিন। আমি অফিস থেইকা ফিরি যখন দেখি মেয়েটা ভিতরের রুম এর খাট এ পা উঠায় বইসা আড্ডা দিতাসে সবার সাথে। কখনো সবার মধ্যে বইসা জলজল করে, কখন জলজ লতা হয়া আমার বড় বোন এর গা জরায় বইসা থাকে। সবসময় মধ্যমনি না কিন্তু মনি তাতে কোন সন্দেহ নাই।
আমি কত টেনশন করতাম। অয় যদি মানাইতে না পারে। মানায় নেয়া ব্যাপারটার মধ্যে দুই পক্ষেরই তো এফোর্ট লাগে। বাসার লোকজন এর যদি সেই এফোর্ট টাই দিতে ইচ্ছা না করে। আমি কত দেখসি বউটা শ্বশুর বাড়ি তে আইসা কেমন বন্দি বন্দি ফিল করে। শশুর বাড়ির লোকজন বউটার সবকিছু নিয়া কত সমালোচনা করে। সেরম যদি হয়?
কিন্তু কিয়ের কি। আমার কত প্রাউড লাগে আমার বাসার লোকজন রে নিয়া। কি সুন্দর কইরা মেয়েটারে পরিবারের একজন কইরা ফালাইলো। আমার চেয়ে মনে হয় ওর আদর ই বেশি এখন। আর মেয়েটাও কত এমেজিং। কেমন বাড়ির বউ না হয়া বাড়ীর মেয়ে হয়া গেলো। আমাদের বাসার কথা যখন কাউকে বলে , কখনো বলে না ইথারদের বাসা, বলে আমাদের বাসা, আমাদের সিড়ি, আমাদের ছাদ। আমি শুইনা খুশি তে জরানি দিতে যাই আমার আমারে পাত্তাই দ্যায় না [কত দুক্কু 🙁 ]
টাকা পয়সা নিয়াও অনেক টেনশন এ ছিলাম। আমি জীবনেও বুইঝা শুইনা খরচ করি নাই। যখন যা শখ হইসে কিন্না লাইসি। তাই জমাইন্না টেকা টুকাও ছিলনা খুব একটা। অথচ বিয়ার অনুষ্ঠান, কত খরচাপাতি। কেম্নে সাম্লামু সব। আল্লাহর রহমতে সব সাম্লায়া কিছু সেভিংস ও হইসে। আমি তো কই ওর উসিলায় আল্লাহ বরকত দিসে। আমি অবাক হয়া দেখি প্রেম করার সময় যেই মেয়েটা লজ্জা লজ্জা চোখ কইরা কফি কাপ এর উলটা পাশ থেইকা লুকায় লুকায় তাকায় থাক্তো, সেই এখন কোমরে ওরনা জরায় বাসা গুছায়, ভাগ্নি গুলার সাথে গেমস খেলে, আম্মার সামনে আমি হাত ধরতে গেলে থতমত খায়া জিহবায় কামর দ্যায়। যখন মেয়ে তখন মেয়ে, যখন বউ তখন বউ। ক্যাম্নে পারে। কই শিখসে এগুলা। আমি তো ওদের বাসায় গেলে এখনো কেমন শক্ত শক্ত হয়া থাকি।
বউ রে নিয়া এত উচ্ছাস, এত আদেখলাপনা দেইখা হয়ত অনেকে ভুরু মুরু কুচকায় ফালাইসে এতক্ষণে। কিন্তু আমি শুধু দুঃখী দুঃখী নোট লিখব তা তো না। সুখের সময় গুলা যদি ফিল ই না করি তাইলে তো আল্লাহ বেজার হবেন। আমার দুনিয়া অনেক উত্তপ্ত ছিল। অস্থির ছিল। বউ আসার পর দুনিয়া ঠান্ডা হইসে। চারিদিকে কেমন সুখ সুখ মোমেন্ট দেখি।
দিন শেষে আমার বউ টার চাহিদা খুবি কম। অল্পতেই অনেক খুশি হয়। তাই বউটারে খুশি রাখার চেষ্টা করতাসি যত টা পারি। বউ খুশি। দুনিয়া ঠান্ডা। আলহামদুলিল্লাহ।