২৮২/৩৬৫

লেখার তারিখঃ এপ্রিল ৩, ২০১৬, ০৭:২৩ এ এম

“যতটুকু চাই, দিতে হবে”
বলে,
আকাশের দিকে
হাত উঠাই
হাত মুঠো করে
ফুল হাতা শার্ট
মনে মনে রাগ
হাত গুটাই।

উনি হেসে ফেলে
হাতে এনে দেন
এক ফোটা জল,
রাখ্।
চোখ মাটি মাখে,
মন ভিজে মেঘ;
অনেক পেয়েছি
থাক্।

সব ইচ্ছা গুলো পুরন করা হবে না। সব স্বপ্ন গুলো সকাল দেখবে না। তাই বলে কি সব থেমে যাবে? কত বড় ইচ্ছার কাছে ছোট ছোট ইচ্ছা হেরে যায় প্রতিদিন। কত কিছু হাতে নিয়েও রেখে দিতে হয় আবার শেল্ফ এ। কি হবে পেয়ে। আমার মনে হয় না কোন ইচ্ছে কখনো মরে। শুধু অভিমানে ডুব দ্যায় মন এর নিচের দিকে। ঠান্ডা তলানী তে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকে।

তারপর কোন কোন দিন বড় ইচ্ছা, এর ইচ্ছা, ওর ইচ্ছার ফাঁক দিয়ে উকি দ্যায় সাহস করে। আচ্ছা পুরন করেই ফেলি না। এত ভেবে কি হবে। কিছু ইচ্ছাকে তখনো উঠিয়ে আনতে পারি না। হাত বাড়াই, হাত সরিয়ে নেই। অভিমানি ইচ্ছে টা আবারো রওনা দ্যায় গভীরের দিকে। তার দিকে দ্বীর্ঘশ্বাস পাঠিয়ে ভাবি, একদিন, কোন একদিন।

আমি নিজেকে বোঝাই, আল্লাহ কারো ইচ্ছাকেই “না” বলেন না। কাউকে সাথে সাথে “হ্যা” বলে দেন, কাউকে বলেন “হ্যা, কিন্তু এখন না’ আর কাউকে বলেন, “আরে পাগলা, তোর জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু রেডী কইরা রাখসি”।

আমার মনে হয় ঈমান মানে এইটাই। সর্বক্ষেত্রে তার উপর বিশ্বাস। যদি তিনি আছেন বইলা মানি, তাইলে তিনি যে আমার জন্য কোনটা ভাল, তা আমার চেয়েও ভাল জানেন সেইটাতেও বিশ্বাস রাখি।

এখন যাই, সকালের সাথে মিশে যাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *