লেখার তারিখঃ ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫, ১২ঃ১৩ এ এম
অনেকদিন পর ধুলা ঝাইরা নোট লিখতে বসলাম। আমি অনেক ব্যাস্ত ছিলাম অফিস নিয়া। একটা বড় কাজ আসছিল এই বৃহস্পতি বার এর আগের বৃহস্পতিবার । ওই দিন অফিস থেইকা বাইর হইসি ১১ টায়। পরের শুক্র শনি কাজ করসি ১০ টা থেইকা রাত আট টা। তার পর সারা সপ্তায় কাজ করসি প্রত্যেকদিন রাত ৮ টা/৯ টা পর্যন্ত। শেষে এই শনিবার কাজ করসি রাত ১১ টা পর্যন্ত তারপর গিয়া শেষ হইসে। বাসায় আসার পর ঘুমায়া যাওয়া ছাড়া আর কিছু করার শক্তি থাক্তো না গায়ে।
আমার ইউনিভারসিটি পাস দিসি ৯ বছর হইসে আর চাকরীর অভিজ্ঞতা ১১ বছর। কারন থার্ড ইয়ার এ পড়ার সময় থেইকাই বাসা থেইকা টেকা টুকা নেওয়া অফ কইরা দিসিলাম। এইটা শো অফ করার জন্য লিখি নাই। এখন যেই কথা বার্তা গুলা লিখবো তা বলার আগে নিজের ক্রেডিবিলিটির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করলাম। এখন যা কমু তাইলে তা মানুষ বুঝব যে হাওয়া থেইকা কইতাসি না। যে কোন জায়গায় নিজের প্রডাক্ট খাওয়াইতে হইলে আগে ক্রেডিবিলিটি টা এস্টিব্লিশ করা খুব জরুরি। যেমন একজন যদি অনেক ফটোশপ এ মেনুপুলেশন করা ছবি প্রকাশ করতে থাকে, তাইলে সে কোনদিন কোণ পোস্ট প্রসেস ছাড়া সুন্দর ছবি দিলেও মানুষ কইব “এহ ফটোশপ”।
যাউক গা, কামের কথায় আহি। চাকরির ক্ষেত্রে আমি দেখসি যে যখন একটা বড় কাজ আসে তখন সব জায়গায় কিছু কমন টাইপ এর মানুষ দেখা যায়। কাজ টা হয়তো প্রত্যেক ক্ষেত্রে আলাদা কিন্তু মানুষ গুলা এই টাইপ এর মধ্যেই পইড়া যায়। আসেন এই টাইপ গুলা রে চিন্না রাখি। তাইলে দো জাহানে (বাসা জাহান আর অফিস জাহান) অশেষ ফায়দা হবে।
দি ল্যাডারস, দি বসেস আর দি লিডারস
ল্যাডারস হইল এরা উপরের বস রে খুশি করার লাইগা বিভিন্ন অসম্ভব জিনিষ এ রাজি হয়া আসে আর মনে মনে ভাবে আরে পোলাপান আসে না এত্তডি, এডি আর কি কাম করে, হারাদিন তো বয়াই থাকে, এদের দিয়া সব করায় লামু। তার চোখে তার টিম মেম্বার রা মানুষ না, তার নিজের উপরে ওঠার সিড়ি মাত্র। সিড়ি তো কেউ কোলে নিয়া উপরে উঠে না। তাই টিম মেম্বার রে পারা দিয়া উপরে উঠতে এদের কোন গায়েই লাগে না।
বসেস হইল, বড় কাজ টা কেম্নে হইব, কি হইব এদের ডিটেইল কোন আইডিয়া নাই। ভাসা ভাসা ধারনা আসে। এরা শুধু হুকুম করতে পারে, প্লিজ ডু দা নিডফুল বইলা মেইল করতে পারে আর মাঝে মাঝে উইকেন্ড এ আইসা কি কাজ টাজ হচ্ছে তো? কর কর কাজ কর… এই টাইপ কথা বার্তা বলতে পারে।
লিডারস হইল যারা বড় কাজ টা আসার পর প্রথমে মনে মনে এক দফা ল্যাডারস আর বসেস দের গাইল্লায়। তারপর মনে মনে ছক কইরা ফেলে এম্নে এম্নে করলে এত দিন এর মধ্যেই কাজটা শেষ করা সমভব। তারপর নিজে হাতে হাতে কালি কুলি মাখায়া কাজ এ নাইমা যায়। এরা বলেনা, “কি ! এত গুলা বাকি? শেষ কর কর, কেম্নে করবা আমি কি জানি না, করতে হবে” এরা বলে “ওয়াও এত গুলা করসো। বাহ। আরেক্টূ করলেই তো শেষ”
দা হিংসুইট্টাজ
এদের কিছুই ভাল্লাগে না। আপনি কেন ভাল কাজ করসেন তা নিয়া এদের কমপ্লেইন আসে। কেন আপনার কাজের একটা অংশ তারা করসে তবু তাদের এপ্রিসিয়েট করা হয় নাই এই নিয়া এদের কমপ্লেইন আসে। চাকরি করতে দেখবেন এত আজিব রকমের ইমেচিউরড লোকজন এর দেখা পাবেন যে আপ্নার মনে হয়, এই লোক এই খানে চাকরি করে কেম্নে, ওরে নিসে কিডা।
দা কচ্ছপ্স
এরা কাজের ভলিউম টা দেখে তারপর চুপ চাপ নিজের মত কইরা কাজ শুরু করে। ল্যাডারস, বসেস আর লিডারস দের ফল আপ এর অত্যাচারে যদিও এদের গতি অনেক স্লো যায় কিন্তু এরা নিজের মত কইরা কাজ করে, কাজ শেষ করে আর তার পরপরি হিংশুইট্টাদের রোষানলে পতিত হয়।
আরো টাইপ্স আসে তবে এগুলাই বেশ বেসিক টাইপ্স। কালকে অফিস আসে। যাইঘুমাইগা।