লেখার তারিখঃ নভেম্বর ১৪, ২০১৫, ২.০০ এ এম
আজকে ফোক ফেস্টিভ্যাল এর দ্বিতীয় দিন ছিল। আমরা আজকে আগে আগে গিয়া লাইন এ দাড়াইসি। তাই বেশি খন লাগে নাই ঢুক্তে। পনের মিনিট মাত্র দাড়াইতে হইসে লাইন এ। কিন্তু লাইনে দাড়ায়া দাড়ায়া নানান কিসিমের মানুষ দেখার সুযোগ হইসে।
যেমন আমি যেই লাইন এ দাড়াইসিলাম, সেই লাইনে আমার সামনে দুইডা সুট স্যুট পড়া লোক আইসা দাড়াউল। কোট দেইখাই বুঝা যাইতাসিল বংশ পরম্পরায় প্রাপ্ত স্যুট। দাদা পরসে , বাবা পরসে, এখন তারো পড়া লাগবে। এবং শুধু তাই নয়। সন্ধ্যা বেলার লো লাইট এ তাদের সান গ্লাস পইড়া লাইন এ দাড়ায়া থাক্তেই হবে।
পাশে দিয়া কয়েক্ত ছেলের একটা দল গলায় গামসা দিয়া যাইতাসিল।, এই দুই জন সুট পরা লোক ওদের দেইখা হাসাহাসি করতাসিল। ওরা বলতাসিল , দেখসস গামসে পরসে হে হে হে
একটু পর এক লোক মেগা ফোন নিয়া আইসা মাতবরি শুরু করল। লাইন সুজা করেন, লাইন ব্যাকা করেন, মুবাইল মানিব্যাগ সব হাতে ন্যান ইত্যাদি। এই লাইনে বেশি লোক হইইয়া যাওয়াতে উনি চাইতাসিল, অন্য লাইন এ লোকজন কিছু শিফট করতে। এইটারে উনি শুদ্ধ কইরা চিল্লানি শুরু করসে মাইক এ । আর লাগসে প্যাচ।
হঠাত শুনি এই কুতুব এনাউন্স করতাসে , “আমরা যারা লম্বা লাইন এ আছেন, তারা ১৪ নম্বর গেট ব্যবহার করেন। ১৪ নম্বর খালি আছে। “ এই সেন্টেন্স এর “আপ্নরা যারা লম্বা” এই লাইন বলার সময় উনি এত আসতে বলসে যে পোলাপান শুন্সে,
“আপ্নারা যারা লম্বা, তারা ১৪ নাম্যাবার গেট এ যান”
আর সব হুর মুর কইরা অন্য দিকে গেসে গা। আমারে ছ্যুট পরা ভাইজান বলসে, বাইয়া, লম্বা দের তো আলাদা লাইন, যান যান। আমি বলসি, থাক গা। দুঃখ কইরা লাভ নাই। আল্লাহ বাইট্যা বানাইসে, বাইট্যাই থাকি। বইলা একটা ফেক দীর্ঘশ্বাস ফালায়া ফাকা হওয়া যাওয়া লাইন দিয়া ঢুইকা গেসি ভেন্যু তে।
ভিতরের কাহিনী আরেকদিন বলব নে। তিন দিন এর কন্সার্ট শেষ হোক।